Tag: তরুণ

  • সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের অংশীদার হতে​ তরুণদের দেখতে হবে

    সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের অংশীদার হতে​ তরুণদের দেখতে হবে

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চুয়েটের একাডেমিক সিলেবাসকে বিশ্ববাজারের উপযোগী করে প্রণয়ন করা হয়েছে।

    বিশ্বমানের ও অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা বিভাগে আবশ্যিকভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট রাখা হয়েছে।

    এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে এবার সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখতে হবে।আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।”​

    চুয়েট ভিসি আরও বলেন, “বর্তমান সময়টা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণদের চাকরির পাশাপাশি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্য চুয়েটে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

    এছাড়া চট্টগ্রামকে ঘিরে বর্তমানে সরকারের অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে প্রকৌশলীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রকৌশলী হিসেবে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ রয়েছে। সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের গর্বিত অংশীদার হতে আজকের দিন থেকেই তোমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে।”​

    আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর সংলগ্ন বাস্কেটবল মাঠে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (‘২০ ব্যাচ) ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে​ “Inspiring Speech” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর,​ “Academic Ordinance” বিষয়ে পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম,​ “Research Collaboration, Industry and University Interaction” বিষয়ে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক,​ “Campus Living Rules and General Rules” বিষয়ে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান বক্তব্য রাখেন।

    এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। এছাড়া​ “Student Discipline Rules (General); Hall Accommodation and Hall Discipline Rules​ and​ Extra Curricular Activities” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

    তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা এবং উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের পূজা তালুকদার ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অর্পণ দাশ তালুকদার।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা।

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/রাজীব

  • অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় বাংলাদেশি তরুণ আশিক

    অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় বাংলাদেশি তরুণ আশিক

    অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ৩৮ জন ‘তরুণ ধনী’র তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিক আশিক আহমেদ। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকারও বেশি)। তিনি ‘ডেপুটি’ হিসাব রক্ষণাবেক্ষণকারী একটি সফটওয়্যারের প্রধান নির্বাহী (সিও) ও সহপ্রতিষ্ঠাতা।

    বৃহস্পতিবার দেশটির ব্যবসা ও অর্থ বিষয়ক দৈনিক ‘অস্ট্রেলিয়ান ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ’ দেশটির শীর্ষ ‘তরুণ ধনী’ দের তালিকা প্রকাশ করেছে। ৩৮জনের তালিকায় আশিক আহমেদের অবস্থান ২৫ নম্বরে।

    আশিক আহমেদ মাত্র ১৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। এরপর মেলবোর্নের একটি ফাস্ট ফুড চেইনে বার্গার ফ্লিপ করার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।

    কিন্তু আশিকের গণিত এবং বিজ্ঞানে আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৮ সালে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ‘ডেপুটি’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন। মূলত সফটওয়্যার এর ব্যবসা করেই ধনীর কাতারে পৌঁছান তিনি।

    শীর্ষ ‘তরুণ ধনী’র তালিকায় স্থান পাওয়ার বিষয়ে আশিক আহমেদ নিজের অনুভূতি সম্পর্কে বলেন, ‘‘এটা আমার জন্য দারুণ একটি ব্যাপার। আমি কখনোই শুধু অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করিনি। বরং শুরু থেকেই অর্থের চেয়ে সমস্যার সমাধান করা আমাদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল।’’

    অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম এসবিএস নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে আশিক বলেন, প্রথম দিকে আমি ঘণ্টাভিত্তিক বেতনে কাজ করতাম। সেসময় আমি দেখেছি, যারা ঘণ্টাভিত্তিক কাজ করেন, হিসাব রাখার ক্ষেত্রে তাদেরকে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবার মালিকপক্ষের যারা কাজের হিসাব রাখেন, তাদেরও বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই সমস্যা সমাধান করা যায় কীভাবে সে বিষয়টি আমার মাথায় কাজ করতে থাকে। তখন গণিত, বিজ্ঞান ও কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা-চ্যালেঞ্জের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধানের একটি গাণিতিক উপায় আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা ‘ডেপুটি’ নামের এই সফটওয়্যারটি তৈরি করি।

    ‘ডেপুটি’ এমন একটি সফটওয়্যার যা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কাজের সময়সূচি তৈরির পাশাপাশি বেতন প্রদানের হিসাবের রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত সহজ করে দেয়।

    বর্তমানে বিশ্বে ১ লাখ ৮৪ হাজার প্রতিষ্ঠান ‘ডেপুটি’ সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এদের মধ্যে নাসা ও কান্টাসের (অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বড় এয়ারলাইন্স) নামও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।