Tag: তামিম

  • বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তামিম

    বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তামিম

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের (বিপিএল) সামনের আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তামিম ইকবাল। আইকন ক্রিকেটার হিসেবে দেশসেরা ওপেনারকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

    বিপিএলে সর্বশেষ দুই মৌসুমে ফরচুন বরিশালের আইকন ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। তবে এবার বরিশাল ছেড়ে রংপুর রাইডার্সে নাম লিখিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

    সাকিবকে হারিয়ে তামিমের দিকে হাত বাড়িয়েছে বরিশাল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি হয়েছে দেশসেরা ওপেনারের।

    আগামী বছরের শুরুতে বিপিএলের আসর মাঠে গড়ানোর কথা। তবে ওই সময় জাতীয় নির্বাচন থাকবে বলে এখনও দিন তারিখ নির্দিষ্ট করা যায়নি।

  • হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডানওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। লিটন-তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ স্মরণীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে অনায়াসেই।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তার আগেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসলে ফের মাঠে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার।

    একপর্যায়ে দেশের হয়ে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়ে ফেলেন দুজনে। দলীয় ২৯২ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের গড়া ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭৬ রান করা লিটন। ১৪৩ বলের মোকাবেলায় হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা।

    লিটন সাজঘরে ফিরলেও তামিম থাকেন অপরাজিত। ১০৯ বলে ১২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অভিষিক্ত নাইম শেখ ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন কার্ল মুম্বা। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান।

    বড় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করে জিম্বাবুয়ে। এতে দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। শন উইলিয়ামস, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল চাপে পড়ে গেলে তাদের প্রচেষ্টা দলের জয়ের কারণ হতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৩৭.৩ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন রাজা- ৫০ বলের মোকাবেলায় ৬১ রান। এছাড়া মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উইলিয়ামস ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার)
    লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭
    মুম্বা ৮-০-৬৯-৩

    জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩ ওভার)
    রাজা,৬১ মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪, উইলিয়ামস ৩০
    সাইফউদ্দিন ৪১/৪, তাইজুল ৩৮/২, আফিফ ১২/১, মুস্তাফিজ ৩২/১, মাশরাফি ৪৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
    সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী