Tag: তালাক

  • বাড়লো বিয়ে ও তালাকের খরচ

    বাড়লো বিয়ে ও তালাকের খরচ

    ফি বেড়েছে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) লাইসেন্স ফি এবং বার্ষিক ফি। ‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন (বিধিমালা), ২০০৯’ সংশোধন করে এই ফি বাড়ানো হয়েছে।

    গত ২১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ ‘মুসলিম ম্যারেজেস অ্যান্ড ডিভোর্সেস (রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৪’-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

    সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, এখন একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১৪ টাকা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন।

    দেনমোহরের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার বেশি হলে এর পরের প্রতি এক লাখ টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। তবে দেনমোহরের পরিমাণ যা হোক না কেন, ফি ২০০ টাকার কম হবে না।

    আগে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারতেন কাজী। একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি নিতে পারতেন। এখন তা বেড়ে হলো এক হাজার টাকা।

    নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স লাইসেন্স ফি সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ হাজার টাকার থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কাজীর লাইসেন্স ফি জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার, জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় ৭০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।

    এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারকে প্রতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ১০ হাজার, জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা, জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা বার্ষিক ফি খাতে সরকারকে দিতে হবে।

    আগে এ ফি ছিল যথাক্রমে ৫ হাজার টাকা, এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০ টাকা। এছাড়া এখন থেকে নতুন হারে নিকাহ রেজিস্ট্রারের আদায় করা ফি থেকে প্রতি অর্থবছরের জন্য পরবর্তী অর্থবছরের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিবাহ নিবন্ধন ফি সরকারকে জমা দিতে হবে।

    এক্ষেত্রে ফি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রত্যেক ওয়ার্ডের বিপরীতে ১৬ হাজার টাকা। আগে ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রত্যেক ওয়ার্ডের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে প্রত্যেক ওয়ার্ডের বিপরীতে আট হাজার টাকা।

    এছাড়া এই ফি পৌরসভার প্রত্যেক এলাকার বিপরীতে দুই হাজার টাকা থেকে বেড়ে চার হাজার টাকা এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীতে এক হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে দুই হাজার টাকা।

  • স্ত্রীকে তালাক দিলেন আল আমিন

    স্ত্রীকে তালাক দিলেন আল আমিন

    জাতীয় দলের পেসার আল আমিন স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন। বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গত ২৫ আগস্ট তাকে তালাক দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া লিখিত জবাবে জানিয়েছেন আল আমিন।

    আল আমিন বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে উপস্থিত হন। এর পর মামলার বিষয়ে ৭ পাতার একটি লিখিত জবাব দাখিল করেন। এ বিষয়ে পাঁচ দিন পর শুনানি হবে বলে জানান বাদীর আইনজীবী শামসুজ্জামান।

    তিনি বলেন, আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। লিখিত জবাবে জানান, তিনি গত ২৫ আগস্ট তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি।

    এ বিষয়ে ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, আমি তালাকের বিষয়ে কিছুই পাইনি। আমি ন্যায়বিচার চাই।

    এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে ক্রিকেটার আল আমিন আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

    তারও আগে ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আল আমিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

    মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল আমিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। বেশ কিছু দিন ধরে আল আমিন তার স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ-পোষণ দেন না এবং খোঁজ না রেখে এড়িয়ে চলেন। যোগাযোগও করেন না।

    গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন শাবনূর

    স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন শাবনূর

    স্বামীকে ডিভোর্স (তালাক) দিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। নিজের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামীকে পাঠিয়েছেন তিনি। নোটিশে অনিকের সঙ্গে ‘বনিবনা হয় না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সাত বছর আগে অনিক মাহমুদ হূদয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। এ দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে এক পুত্রসন্তান। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভেঙে গেল সেই সংসার!

    নোটিশে অনিকের সঙ্গে ‘বনিবনা হয় না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    তালাক নোটিশে শাবনূর বলেছেন- ‘আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন।’

    নেটিশে আরো বলা হয়- ‘নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

    শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ। তবে এই তালাক কার্যকর হবে ৯০ দিন পর বলে জানান তিনি।

    ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হূদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের মা হন শাবনূর। পুত্রকে নিয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

    উল্লেখ্য,  ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন শাবনূর। নব্বই দশকের এ চিত্রনায়িকা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘দুই নয়নের আলো’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে তালাক দেওয়ার ৩মাস পর স্ত্রীকে বাড়িতে ডেকে হত্যা

    ঠাকুরগাঁওয়ে তালাক দেওয়ার ৩মাস পর স্ত্রীকে বাড়িতে ডেকে হত্যা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে তালাক দেওয়ার ৩মাস পর গৃহবধূকে বাড়িতে ডেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামে নাজমা আক্তারকে (২২) হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির পাশে গাছে নাজমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

    নাজমা ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকারী গ্রামের নাজমুল হকে মেয়ে। নাজমার ৯ মাস বয়সী একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

    নাজমার মামা সামশুল জানান, প্রায় দুই বছর আগে সদর উপজেলার রহিমানপুর খালপাড়া গ্রামের বাচ্চা বাবুর ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমার। তিন মাস আগে সাদ্দামের সঙ্গে শালিসে নাজমার তালাক হয়।

    তিনি আরও জানান, বিয়ের সময় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিলেও তালাকের সময় ৮০ হাজার টাকা নাজমার পরিবারকে ফেরত দেয় সাদ্দাম। মেয়েকে দেখার কথা বলে সাদ্দাম নাজমাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর নাজমার পরিবারের কাছে সেই ৮০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। আমরা টাকা দিতে রাজি না হলে সোমবার রাতে নাজমাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে সাদ্দামের পরিবার। খবর পাওয়ার পরে সাদ্দামের বাবা বাবুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিচার চাই।

    তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিলা বলেন, নাজমার মরদের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। সেইসঙ্গে তদন্ত চলছে।

  • মিম তালাক দিলেন সিদ্দিককে!

    মিম তালাক দিলেন সিদ্দিককে!

    অবশেষে ভেঙে গেল অভিনেতা সিদ্দিক-মিমের সংসার। দুজেনর সিদ্ধান্তেই এই ডির্ভোস হয়েছে বলে জানা গেছে।

    শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাতে মিম তার ফেসবুক মাইডে তে টিপ সই দেয়া আঙ্গুলের ছবি পোস্ট করেন। আর ক্যাপশনে লিখেন, তালাক দিয়ে দিলাম, আজ থেকে আমি তোমার বউ না, তুমি আমার স্বামী না। শনিবার ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেছেন মিম। ২৩ অক্টোবর ডিভোর্স পেপার সিদ্দিকের হাতে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।

    ২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তারা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন। তবে এখন সিদ্দিক-মিমের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। বাধ্য হয়ে তিন মাস ধরে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন মিম।

    মিমের অভিযোগ, কিছু দিন আগেই একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার কথা থাকলেও বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা রানা মাসুদকে সিদ্দিকই প্রভাবিত করেছেন তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেয়ার জন্য।

    মিম বলেন, সিদ্দিক নিজেও একজন শোবিজের মানুষ। অভিনয় করে, মডেলিং করে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। স্বামী হিসেবে ওর কাছে কোনো সহযোগিতা পাই না। সে জন্যই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচ্ছেদের।

    বর্তমানে একমাত্র পুত্র আরশ হোসেন তার বাবা সিদ্দিকের সঙ্গেই থাকছে।

    এ বিষয়ে সিদ্দিক বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো গণমাধ্যমে দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। বিভিন্ন সংসারেই এমন অশান্তি হয় আবার মিটেও যায়। স্বামী হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে মিমের মিডিয়ায় কাজের চেয়ে সংসারে মনোযোগী হওয়াটা বেশি দরকার। আমার তো আর্থিক সংকট নেই যে আমার স্ত্রীকে কাজ করে সংসার চালাতে হবে। আমাদের স্বপ্ন একটাই সন্তানটাকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু সর্বশেষ মিমের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে হয়েছে।

    এর আগে মিম গণমাধ্যমেক জানিয়েছিলেন, ‘শুধু মিডিয়ায় কাজের বিষয় নয়, তার সঙ্গে ঘর ভাঙার শতশত কারণ আছে। যেগুলো এতদিন আমি সহ্য করেছি। যা এখন আর সহ্য করতে পারছি না। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা বললে গ্রেফতার হবেন সিদ্দিক।’

  • ভেঙ্গে যাচ্ছে সিদ্দকুর-মিমের সংসার

    ভেঙ্গে যাচ্ছে সিদ্দকুর-মিমের সংসার

    মিডিয়াতে কাজ করা নিয়েই সাংসারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও স্ত্রী মিম। আর তা এত চরমে পৌঁছেছে যে স্ত্রী মিম স্বামী সিদ্দিকুরকে তালাক দিতে চাইছেন।

    সিদ্দিকুর গণমাধ্যমকে জানান, ঝামেলার সূত্রপাত একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করাকে কেন্দ্র করে। মিম সেই বিজ্ঞাপনে কাজ করতে চাইলেও সিদ্দিকুর তাকে বাঁধা দেয়। যদিও সেই বিজ্ঞাপনে আর মিমের কাজ করা হয়নি। এরপর থেকেই তাদের সাংসারিক কলহ বাড়তে থাকে। সেই জেরেই ঈদের সময় বাড়ি গিয়ে আর না ফিরে তালাক চাইছেন স্ত্রী।

    কিন্তু তাকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া সিদ্দিকুর। তিনি বলেন, মিম হয়তো ক্ষোভে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি বলবো তুমি ফিরে আসো। আমাদের এত ছোট একটা সন্তান, আমারা আলাদা হলে এই বাচ্চাটা মানুষ হতে পারবে না। ফিরে এসে সংসারটা বাঁচাও, সন্তানটাকেও দেখো।

    এদিকে স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ নিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেই যাচ্ছি। কিন্তু সব কিছুর তো একটা শেষ আছে। যদি ওর ইচ্ছামত বিচ্ছেদ হয়েই যায়, তবে অনেক কিছু প্রকাশ্যে নিয়ে আসবো। সংবাদ সম্মেলন করে সব জানাবো।

    অভিযোগ নিয়ে সিদ্দিক বলেন, আমি সংসার জীবনে তার কাছে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছি। এক বছরের প্রেমে আমাদের বিয়ে। সে আমার কাছে অনেক কিছু গোপন করেছে। ওসব কথা বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলি, সব ইতিহাস ফাঁস করলে আমার স্ত্রী গ্রেপ্তার হবে। শুধু ছেলের কারণে মুখ বন্ধ করে আছি। আমার সন্তানও ওর কাছে যেতে চায় না। মায়ের প্রতি তার ভালোবাসাও নেই।

  • নববধূকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে

    নববধূকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে

    খুব ধূমধাম করে মাত্র ১১ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল নূরন্নাহার খাতুনের (১৯)। শ্বশুরবাড়িতে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর শুক্রবার বাবার বাড়ি ফিরে আসেন নুরন্নাহার।

    এর পর দিনই শনিবার বিকালে ঘর ভাঙে তার। বর মোনছের আলী (৩২) শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নববধূ নূরন্নাহারকে তালাক দিয়ে শাশুড়ি মাজেদা বেগমকে (৪০) বিয়ে করে চলে যায়।

    দুদিন আগের শ্বাশুড়ি মাজেদা এখন মোনছের আলীর স্ত্রী হওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

    এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামে।

    জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ীর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলী গত ২ অক্টোবর গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে নূরন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করেন।

    বিয়ের পর দিন শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। মেয়ের সঙ্গে এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থানের পর শুক্রবার মেয়ে ও মেয়ের স্বামীকে নিয়ে নিজবাড়ি ফেরেন। শনিবার সকালে নূরন্নাহার মোনছেরের সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানান।

    শুরু হয় পারিবারিক কলহ। শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম তখন নূরন্নাহার সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সংসার করবেন বলে জানান। এ অবস্থায় অসহায় শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশ ডাকেন। হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্যরা সালিশি বৈঠকে বসেন।

    সামাজিক বিচারে মাজেদা বেগম ও মোনছের আলীকে মারধর করা হয়। এর পর পুরো পরিবারের সম্মতিতে নূর ইসলাম প্রথমে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তালাক দেন। এর পর বর মোনছের আলী নবপরিণীতা নূরন্নাহারকে তালাক দেন।

    এর পর একই অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতিতে মোনছের আলীর সঙ্গে মাজেদা বেগমের এক লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।

    হাদিরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিনাত এসব কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম্য মাতবর এবং ওই পরিবারের সব সদস্যের সম্মতিতে দুটি তালাক এবং একটি বিয়ের কাজ একই অনুষ্ঠানে সম্পাদন করা হয়।

    ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, পুরো কাজটি হয়েছে ওই পরিবারের সম্মতিতে। তবে শাশুড়ি বিয়ে করার ঘটনায় আপত্তি থাকায় গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মোনছের ও মাজেদাকে শারীরিক শাস্তি দেয়া হয়।

    ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার জানান, শাশুড়ি বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করে মারপিট শুরু করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের সবার সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বিয়ের সম্মতি দেন।

    এদিকে শাশুড়ি বিয়ের খবরে দুদিন ধরে অনেক মানুষ ভিড় করছেন মোনছের আলীর বাড়িতে।