Tag: তালেবান

  • আফগানিস্তানের হেলমান্দে সেলুনে দাড়ি কাটায় তালেবানের নিষেধাজ্ঞা

    আফগানিস্তানের হেলমান্দে সেলুনে দাড়ি কাটায় তালেবানের নিষেধাজ্ঞা

    আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে সেলুনে দাড়ি কাটায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইসলামি আইনের লঙ্ঘন হয় উল্লেখ করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবানের ধর্মীয় পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

    দক্ষিণ হেলমান্দের সেলুনগুলোতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে চুল-দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে শরিয়া আইন মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সেলুনওয়ালাদের কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।

    এ ছাড়া রাজধানী কাবুলের বেশ কিছু সেলুনেও এমন নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কাবুলের একজন সেলুনকর্মী বিবিসিকে বলেন, যোদ্ধারা মাঝে মধ্যেই আসছেন এবং দাড়ি কাটতে নিষেধ করছেন।

    কাবুলের সবচেয়ে বড় সেলুন পরিচালনাকারী বিবিসিকে বলেছেন, “সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে ‘আমেরিকান স্টাইলে চুল কাটতে’ নিষেধ করেছেন এবং দাড়ি কাটা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন।”

    গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে তালেবান বলে আসছে তারা আগের মতো কট্টর নীতিতে দেশ চালাবে না।

    এদিকে, শনিবার হেরাত প্রদেশে চার জন অপহরণকারীকে হত্যার পর তাদের মরদেহ প্রকাশে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখে তালেবান কর্তৃপক্ষ।

    এন-কে

  • চার ‘অপহরণকারীর’ লাশ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে হুঁশিয়ারি বার্তা তালেবানের

    চার ‘অপহরণকারীর’ লাশ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে হুঁশিয়ারি বার্তা তালেবানের

    চার জন অভিযুক্ত অপহরণকারীকে গুলি করে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ আফগানিস্তানের হেরাত শহরের জনসমাগম চত্বরে ঝুলিয়ে রাখার কথা জানাল তালেবান। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

    মৃত্যুদণ্ড ও অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করার মতো চরম শাস্তিদান আবার শুরু হবে—এক তালেবান কর্মকর্তা এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ার এক দিন পর জনসমক্ষে লাশ ঝুলিয়ে রাখার এ নজির দেখাল তালেবান।

    একজন ব্যবসায়ী এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি ক্রেন থেকে একটি লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

    স্থানীয় দোকানি উজির আহমদ সিদ্দিকি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, চারটি লাশ শহরের একটি চত্বরে আনা হয়। একটি লাশ সেখানে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এবং বাকি তিনটি লাশ শহরের অন্যান্য চত্বরে ঝোলানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

    হেরাতের ডেপুটি গভর্নর মৌলভি শাইর বলেন, মৃতদেহগুলো জনসমক্ষে রাখা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপহরণের ঘটনা না ঘটে। তিনি বলেন, তালেবান জানতে পেরেছিল যে—একজন ব্যবসায়ী এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত অপহরণকারীরা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এবং অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা হয়।

    বিবিসি জানিয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে চার ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে, তা তারা জানতে পারেনি।

    তবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা গ্রাফিক ছবিতে দেখা গেছে—একটি পিক-আপ ট্রাকের পেছনে একাধিক রক্তাক্ত দেহ দেখা যাচ্ছে, এবং ক্রেন দিয়ে একটি দেহ ওপরে তোলা হচ্ছে।

    আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্রেন থেকে ঝোলানো একটি মরদেহের বুকে বার্তা সাঁটিয়ে দেওয়া আছে : ‘অপহরণকারীদের এভাবে শাস্তি দেওয়া হবে।’

    গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে তালেবান তাদের আগের শাসন আমলের তুলনায় এবার শিথিল ধাঁচের শাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।

    কিন্তু এরই মধ্যে আফগানিস্তানজুড়ে অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

    তালেবানের সাবেক ধর্মীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীপ্রধান মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি বর্তমানে কারাপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানে মৃত্যুদণ্ড ও অঙ্গবিচ্ছিন্ন করার মতো চরম শাস্তিদান আবার শুরু হবে, কারণ ‘নিরাপত্তার জন্য’ এসবের ‘প্রয়োজন’ রয়েছে।

    তবে, বার্তা সংস্থা এপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড ও অঙ্গবিচ্ছিন্ন করার মতো কঠোর শাস্তি হয়তো জনসমক্ষে কার্যকর করা হবে না। কারণ, এসব শাস্তি ১৯৯০-এর দশকে পূর্ববর্তী তালেবান শাসনের সময় দেওয়া হতো। তালেবানের আগেকার পাঁচ বছরের শাসনামলে কাবুলের স্টেডিয়ামে কিংবা ঈদগাহ মসজিদের বিশাল মাঠে প্রায়ই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো।

    মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি অবশ্য তাঁদের অতীতের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় কোনো ক্ষোভ সৃষ্টির কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের আইন কেমন হওয়া উচিত, তা কেউ বলে দিতে পারবে না।’

    অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মোল্লা তুরাবি আরও বলেন, ‘স্টেডিয়ামে শাস্তি কার্যকর করার ঘটনায় সবাই আমাদের সমালোচনা করেছিল। অথচ আমরা কিন্তু কাউকে তাদের আইন ও সাজা সম্পর্কে কখনও কিছু বলিনি।’

    নির্যাতনের শিকার হাজারা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর নয় জন সদস্যের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত আগস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তালেবান যোদ্ধাদের দায়ী করেছিল।

    অ্যামনেস্টি’র মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড সে সময় বলেছিলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের ‘রক্ত হিম করে দেওয়া বর্বরতা’ তালেবানের অতীত শাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে, এবার তালেবানের শাসন কেমন হতে পারে, তার ভয়াবহ ইঙ্গিত বহন করছে।’

    এন-কে

  • পাকিস্তানের ‘তালেবান ভাবনায়’ বাতিল সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

    পাকিস্তানের ‘তালেবান ভাবনায়’ বাতিল সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

    সার্ক বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তালেবানের অংশগ্রহণ চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ভারতসহ কয়েকটি দেশের বিরোধিতায় ভেস্তে গেছে বৈঠকটি।

    এনডিটিভি জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে শনিবার নিউইয়র্কে হওয়ার কথা ছিল বৈঠকটি।

    এই বৈঠকে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন এই নিয়েই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

    দেশটির তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকেই এজন্য সমর্থন দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

    তবে সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর দাবি, আমির খান মুত্তাকিকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি জাতিসংঘ, যে কারণে চলমান সাধারণ অধিবেশনে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না তিনি।

    তাই সার্ক বৈঠকে আফগানিস্তানের আসন ফাঁকা রাখার প্রস্তাব দেয় ভারতসহ সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্য দেশ।

    তবে পাকিস্তান এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৈঠকটিও আর হচ্ছে না।

    এন-কে

  • জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিতে চায় তালেবান

    জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিতে চায় তালেবান

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি অধিবেশনে যোগ দিতে চায় আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এই আগ্রহের কথা জানিয়ে গত সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে চিঠিও দিয়েছে তারা।

    বিবিসি জানিয়েছে, তালেবানের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফানে ডুজারিখ।

    তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানান, জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের এ সম্মেলনে অংশ নিতে চায় তালেবান।

    জাতিসংঘ নিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের রাষ্ট্রদূত গোলাম ইসাকজাইকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এই চিঠিতে।

    জাতিসংঘের এই অধিবেশনে গোলাম ইসাকজাইয়েরই অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। তবে তালেবান সরকার ইসাকজাইয়ের পরিবর্তে সুহাইল শাহিনকে জাতিসংঘে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় জটিলতা শুরু হয়েছে।

    এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বিশ্ব সংস্থার নয় সদস্যের একটি কমিটি। তবে তা সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে সম্ভব কিনা তা নিশ্চিত নয়।

    এন-কে

  • আফগানিস্তানে ক্লাসে ফিরল প্রাথমিকের ছাত্রীরা, উৎকণ্ঠায় মাধ্যমিকের মেয়েরা

    আফগানিস্তানে ক্লাসে ফিরল প্রাথমিকের ছাত্রীরা, উৎকণ্ঠায় মাধ্যমিকের মেয়েরা

    আফগানিস্তানের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কিছু ছাত্রী গতকাল শনিবার থেকে ক্লাসে ফিরেছে। তবে, একই দিনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুললেও ক্লাস করেছে শুধু ছাত্ররা। মাধ্যমিকের মেয়েরা তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে পারেনি। ফলে, তাদের মধ্যে উদ্‌বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়েছে।

    গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর থেকে মাসখানেক ধরে কাবুলের বেশির ভাগ স্কুল বন্ধ ছিল। গতকাল শনিবার থেকে স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে।

    তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনামলের মতো কট্টর নীতিতে ফিরে যাবেন না। সে সময় নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার তালেবান নারী শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, সেটি অবশ্যই ছেলে-মেয়ে আলাদা শ্রেণিকক্ষে এবং নারী ও পুরুষ শিক্ষকের মাধ্যমে হতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

    কাবুলের একটি স্কুলের নারী শিক্ষক নাজিফে রয়টার্সকে বলেন, পুনরায় স্কুল খুলতে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে। মেয়েরা সকালে এবং ছেলেরা দুপুরে ক্লাস করছে। পুরুষ শিক্ষকেরা ছেলেদের, আর নারী শিক্ষকেরা মেয়েদের ক্লাস নিচ্ছেন।

    গত শুক্রবার মাধ্যমিক স্কুলে ছেলেদের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, তিনি মাধ্যমিকের মেয়েদের ক্লাস কবে শুরু হবে, তা জানাননি। এ সম্পর্কে কিছুই বলেননি।

    তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আফগানিস্তানের বাখতার নিউজ এজেন্সিকে শনিবার বলেন, ‘মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল খোলার জন্য আয়োজন চলমান রয়েছে।’ তবে, ঠিক কবে নাগাদ মাধ্যমিকের মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে তার নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেননি তালেবান মুখপাত্র।

    এন-কে

  • ‘তালেবান’ আতঙ্কে আত্মগোপনে আফগান সমকামীরা

    ‘তালেবান’ আতঙ্কে আত্মগোপনে আফগান সমকামীরা

    তালেবানের শরিয়া আইন অনুযায়ী সমকামীতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাই জীবন বাঁচাতে এখন জন্মভূমি ছাড়তে চান দেশটির সমকামী সম্প্রদায়। যদিও তাদের জন্য তালেবান কী ধরনের আইন জারি করে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    গেল জুলাই মাসে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক তালেবান বিচারক বলেছিলেন, সমকামিতার শাস্তি দুই ধরনের হতে পারে। পাথর নিক্ষেপ অথবা দেয়ালে পিষে হত্যা।

    তালেবান বিচারকের এই বক্তব্যের কারণেই তাদের ওপর ভরসা করতে পারছে না দেশটির সমকামী সম্প্রদায়। এরইমধ্যে যে যার মত আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা। তাদের বেশিরভাগই চেষ্টা করছেন দেশ ছাড়ার।

    বালখি ছদ্মনামে একজন সমকামী বলেন, তার সম্পর্কে সব রকমের তথ্য আছে তালেবানের কাছে। কারণ মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণ চলার সময় তাকে সমকামী হিসাবেই স্বীকৃতি দিয়েছিল তার পরিবার। এখন স্বীকৃত সেই পরিচয়ই হয়েছে তার জন্য হুমকির কারণ।

    বালখি সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি আতঙ্কে আছেন। কারণ তালেবান তাকে খুঁজে পেলে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবে। প্রথমত, একজন নারী হওয়ায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সমকামী হিসাবে এখন তাঁর জীবন হুমকির মুখে।

    তবে নারী সমকামী হওয়ায় একটা সুবিধা তিনি পেয়েছেন। তার ভাষ্য মতে, তালেবানের পোশাক নির্দেশনার কারণে হিজাবে মুখ ঢেকে চলাফেরা করছেন তিনি। এতে পরিচয় গোপন করে থাকা কিছুটা সহজ হচ্ছে।

    আফগানিস্তানের বাইরে থাকা দুইজন সমকামী সিএনএনকে জানান, তাদের গোষ্ঠীর অন্তত একশো জনের তালিকা তারা করেছেন। যারা বর্তমানে আফগানিস্তানে আত্মগোপনে আছেন এবং তালেবানের শাসন থেকে বাঁচতে আইনজীবিদের সাহায্য চাচ্ছেন।

    তবে এই সম্প্রদায় নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানান তালেবান মূখপাত্র।

    এন-কে

  • ভিডিও বার্তায় বিরোধের খবর অস্বীকার বারাদারের

    ভিডিও বার্তায় বিরোধের খবর অস্বীকার বারাদারের

    তালেবানের মধ্যে বিরোধের খবর অস্বীকার করেছেন গোষ্ঠীটির সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল ঘানি বারাদার। তালেবানের মধ্যকার বিরোধে তার নিহতের গুজব ছড়ানোর মধ্যেই তিনি বুধবার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন এবং তিনি ভালো আছেন বলে জানান। খবর রয়টার্স ও বিবিসির

    পাকিস্তানের সীমান্তে মিত্র হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংঘর্ষে তালেবানের শীর্ষ নেতা ও আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লাহ আবদুল ঘানি বারাদারের মৃত্যুর খবরটি ছিল স্রেফ গুজব। বুধবার অনলাইনে পোস্ট করা এই সাক্ষাত্কারে তিনি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে তার হতাহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন। রাষ্ট্রীয় টিভিকে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন বারাদার। তার এই সাক্ষাত্কার টুইটারে পোস্ট করেছে দোহাভিত্তিক তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়। সংগঠনের ভেতরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে হতাহত হওয়ার খবর প্রসঙ্গে সাক্ষাত্কারে বারাদার বলেন, ‘না, এটা সত্য নয়। আমি ঠিক আছি। ভালো আছি।’ বারাদার বলেন, ‘গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে যে তালেবানের ভেতরে বিরোধ আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এসংক্রান্ত খবর সত্য নয়। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’

    তালেবান সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি সম্প্রতি জানিয়েছিল, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের পদ-পদবি নিয়ে বারাদারের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাবশালী নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানির তুমুল বিবাদ হয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বারাদার কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে চলে যান। বারাদারের নিহত হওয়ার খবর আগেই নাকচ করে তালেবান। তাছাড়া এ খবর যে ভিত্তিহীন, তা প্রমাণ করতে আগে বারাদারের একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল তালেবান।

    এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা তালেবান আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের দূত দেবোরাহ লিওনস। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক মিডিয়া ডন। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন গতকাল বৃহস্পতিবার টুইটারে এক বিবৃতিতে জানান, আফগান জনগণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে কাবুলে নিযুক্ত জাতিসংঘ মিশনের প্রধান দেবোরাহ লিওনস ও সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মধ্যে বৈঠক হয়।

    এন-কে

  • নতুন সমীকরণের পথে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন সম্পর্ক

    নতুন সমীকরণের পথে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন সম্পর্ক

    ‘তালেবানের উত্থানের পেছনে পাকিস্তানের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে’- অনেক আগে থেকেই এমন অভিযোগ রয়েছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলের। তবে আফগানিস্তানে নতুন করে তালেবানের উত্থানের পর এ নিয়ে আরও জোড়ালো হয়েছে বিষয়টি। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে ইসলামাবাদের কর্মকাণ্ডের উপর। আফগানিস্তান বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের ওপর’ই ঠিক হবে আগামী দিনের ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক সম্পর্কের গতিপথ।

    সম্প্রতি কংগ্রেসের সামনে বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করেছেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    আফগানিস্তান হতে আমেরিকান সেনা সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহারের পরে এই প্রথম কংগ্রেসে তালেবান প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর বিদেশ বিষয়ক কমিটির সামনে তিনি বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের একাধিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি আবার ওয়াশিংটনের স্বার্থের বিরোধী।’

    এই সভাতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন আসে, তবে কি পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নতুন করে পর্যালোচনার পথে হাঁটবে ওয়াশিংটন? যার উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রশাসন তেমনটাই করতে চলেছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘গত ২০ বছরে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে পাকিস্তান ঠিক কী ভূমিকা নিয়েছে, তা যেমন খতিয়ে দেখা হবে, আগামী দিনে এই বিষয়ে ওয়াশিংটন তাদের কোন ভূমিকায় দেখতে চায়, তাও নির্ধারণ করা হবে।’

    বিগত দিনগুলোতে তালেবানকে সমর্থন ও প্রশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান- যা আজ ওপেন সিক্রেট। গত ২০ বছরে আফগান সরকারের বিরুদ্ধে তালেবানকে গোপনভাবে প্রশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান, যা বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশগুলো সহ অন্য দেশগুলো থেকে অভিযোগ উঠলেও পাকিস্তান মানতে নারাজ ছিলেন। তবে বিশ্ব কূটনৈতিক গোষ্ঠি সবসময়ই দাবি করে আসছে পাকিস্তানের সাথে তালেবানদের গভীর সর্ম্পকের কথা।

    বিশ্বের নানা মহল থেকে ইতিমধ্যে কাতারের পাশাপাশি পাকিস্তানকেই তালিবানের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ের কর্মকাণ্ডে প্রমাণও মিলেছে পাকিস্তানের সাথে তালেবানদের গভীর সর্ম্পকের।

    এন-কে

  • প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তালেবান নেতাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা : বিবিসি

    প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তালেবান নেতাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা : বিবিসি

    আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সরকারের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদারের সঙ্গে একজন মন্ত্রীর তর্কবিতর্ক হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটি বলা হয়েছে।

    জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, নতুন সরকারের পদ-বন্টন নিয়ে এই বাগ্‌বিতণ্ডার অবতারণা।

    মোল্লা বারাদারকে কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তালেবান নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টির গুঞ্জন ছড়িয়েছে সংবাদমাধ্যমে। যদিও এসব নাকচ করে দিয়েছে তালেবান।

    তালেবানের একটি সূত্র ‘বিবিসি পশতু’কে বলেছেন, মোল্লা বারাদার এবং নতুন সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের অন্যতম নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। এ সময় দুইপক্ষেরই সঙ্গীরাও তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন।

    বিবিসি জানায়, কাতারে অবস্থানরত তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শেষের দিকে বচসার ঘটনা ঘটে।

    বিবিসির সূত্রগুলো বলছে, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বারাদার অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় জোর দেওয়ার পক্ষে।

    অন্যদিকে, তালেবানেরই একজন্য জ্যেষ্ঠ নেতার পরিচালিত হাক্কানি গ্রুপের নেতাদের অবস্থান হচ্ছে, বিজয় অজন সম্ভব হয়েছে শুধু লড়াইয়ের মাধ্যমেই।

    মোল্লা বারাদারই প্রথম তালেবান নেতা যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। ২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। তার আগে তালেবানের পক্ষে হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তিতে সাক্ষর করেন মোল্লা বারাদার।

    তালেবানের সূত্রের বরাতে বিবিসি বলছে, মোল্লা বারাদার এই বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনার পরই রাজধানী কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে গিয়েছেন। সোমবার এক অডিওবার্তায় তালেবানের এই নেতা বলেছেন, ভ্রমণে রয়েছেন তিনি। অডিওতে মোল্লা বারাদার বলেন, ‘আমি যেখানেই আছি, আমরা ভালো আছি।’

    তালেবান বলতে চাইছে, কোনো তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রতিক বিবৃতি-বক্তব্যে সাংঘর্ষিক কথা বলা হয়েছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, মোল্লা বারাদার নিরাপদে রয়েছেন, তিনি কান্দাহারে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গে দেখা করতে কান্দাহার গেছেন। পরে বিবিসি পশতুকে তিনি বলেন, মোল্লা বারাদার ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হওয়ায় তিনি বিশ্রামে গেছেন।

    এন-কে

  • পানশিরে বেসামরিক লোকজন হত্যা করেছিল তালেবান : বিবিসি

    পানশিরে বেসামরিক লোকজন হত্যা করেছিল তালেবান : বিবিসি

    পাঞ্জশির উপত্যকায় কমপক্ষে ২০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে তালেবান। সেইসাথে এই উপত্যকার সাথে সবরকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ অবস্থায় সংবাদ সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়লেও, তালেবানের মানুষ হত্যার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

    বিবিসির তথ্য মতে, উপত্যকার একটি রাস্তার ধারের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে, যেখানে দেখা যায়, একজন সাধারণ ব্যক্তিকে ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র তালেবান সদস্যরা। এরপর গুলির শব্দ এবং দেখা যায় লোকটি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। নিহত ওই ব্যক্তি সেনাবাহিনীর সদস্য কিনা তা ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা না গেলেও একজন প্রত্যক্ষদর্শী জোর দাবি জানিয়েছেন যে, ওই ব্যাক্তি সাধারণ মানুষ।

    এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, এলাকার এক দোকানদারেরও মৃত্যু হয়েছে তালেবানের নির্যাতনে। আবদুল সামি নামের ওই দোকানদার ভেবেছিলেন, সাধারণ দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ, যার সাথে যুদ্ধের কোন সম্পর্ক নেই, তাকে কেন হত্যা করবে তালেবান? কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বিক্রি করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মরদেহে নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন দেখেছেন তারা।

    পাঞ্জশিরে এ ধরণের কমপক্ষে ২০টি হত্যার প্রমাণ রয়েছে বিবিসি’র কাছে।

    তালেবান আফগানিস্তানের দখল নিলেও শুধুমাত্র এই উপত্যকাটিই এর বাইরে ছিল। আর এই পাঞ্জশির উপত্যকা বরাবরই প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু। এখানকার নেতা আহমদ শাহ মাসউদের অধীনে গড়ে ওঠা তালেবান প্রতিরোধ বাহিনী এর আগে ২০০১ সালেও একইভাবে তালেবান প্রতিরোধ করেছিল। শুধু তাই নয়, তার আগে সোভিয়েত বাহিনীর আগ্রাসনের সময়ও এই উপত্যকা থেকে জোর প্রতিরোধ ছিল তাদের। উপত্যকাটি পুরোটাই ঘিরে রেখেছে পাহাড়। যেকারণে কারও পক্ষেই এই অঞ্চলের দখল নেয়া সহজ নয়। এখন দেখার বিষয় এবারে কী হতে চলেছে।

    এদিকে পাঞ্জশিরের সাধারণ জনগণকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন তালেবান শীর্ষ নেতারা। যদিও বাস্তবের চিত্র অনেকটাই আলাদা। এখন এই উপত্যকার বেশিরভাগ রাস্তা-ঘাট ফাঁকা, হাট-বাজারেও মানুষের ভিড় নেই। লোকজন এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে এই উপত্যকায় খাদ্য ও খাবারের ঘাটতি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    এন-কে

  • শতাধিক কুকুর-বিড়াল নিতে আফগানিস্তানে বিমান পাঠাবে যুক্তরাজ্য

    শতাধিক কুকুর-বিড়াল নিতে আফগানিস্তানে বিমান পাঠাবে যুক্তরাজ্য

    আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবান দখলে যাওয়ার পর সেখান থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কয়েক দফায় সেনা পাঠিয়েছে ব্রিটেন। এবার থেকে শতাধিক কুকুর-বিড়ালসহ ১৪০টি প্রাণী নিতে আফগানিস্তানে বিমান পাঠাবে দেশটি।

    ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য পল ফার্থলিং আফগানিস্তানে পশুসেবামূলক দাতব্য সংগঠন পরিচালনা করে আসছিলেন। সেখানে তার স্টাফসহ শতাধিক কুকুর ও বিড়াল আছে। তার সবকর্মী, তাদের পরিবার ও কুকুর-বিড়ালগুলোকে নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান পল।

    শনিবার বিবিসি রেডিও ৪-এর একটি অনুষ্ঠানে নিজের পশুসেবা সংগঠন নওজাদ বিষয়ে কথা বলেছেন ফার্থলিং।

    একটি কার্গো বিমানে করে প্রাণীগুলোকে নিরাপদে কাবুল বিমানবন্দর থেকে নেওয়ার জন্য বড় অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেন ফার্থলিং। কিন্তু বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই নাজেহাল। ১৪০টি কুকুর, ৬০টি বিড়াল এবং ১২টি গাধা রয়েছে। এগুলোকে বিমানবন্দর পর্যন্ত আনাটাই জটিল মনে করছেন তিনি।

    ফার্থলিংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালানো ডমিনিক ডায়ার বার্তা সংস্থা পিএ’কে জানিয়েছেন, তাদের এ কাজে ব্রিটিশ সরকার, বিশেষ করে দেশটির পরিবেশমন্ত্রী সরাসরি সহযোগিতা করছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এক ধনী ব্যক্তি এ মিশনে অর্থায়ন করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে যুক্তরাজ্য ঘোষণা দিয়েছে— দেশটি নতুন একটি পুনর্বাসন প্রোগ্রামের আওতায় ২০ হাজারের মতো আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে। এ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন নারী, কিশোরী, ধর্মীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু।

    ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, গত ২০ বছরে আফগানিস্তানকে আরও ভালো জায়গায় পরিণত করতে যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের সবার প্রতি ব্রিটেনের কৃতজ্ঞতা এবং তাদের মধ্যে অনেকের বিশেষ করে নারীদের এখন জরুরি সাহায্য প্রয়োজন।

  • কাবুলে ঢুকছে তালেবান যোদ্ধারা

    কাবুলে ঢুকছে তালেবান যোদ্ধারা

    মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দ্রুতগতিতে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরের দখল নিয়েছে তালেবান। তাদের সামনে বাকি ছিল রাজধানী কাবুল। অবশেষে এটির দখল নিতে শহরে প্রবেশ শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। তবে তার আগে এক বিবৃতিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কাবুল দখলে তারা ‘শক্তি প্রয়োগ করতে চায় না’। খবর আল জাজিরার।

    রবিবার দুপুরের দিকে চারদিক থেকে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করেন তালেবান যোদ্ধারা।

    কাবুলে প্রবেশের খবর তালেবানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

    খবরে বলা হয়েছে, কেউ যদি কাবুল ছাড়তে চায় তাহলে তাকে নিরাপদ রাস্তা করে দেয়ার জন্য যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন তালেবান নেতারা।

    আজ সকালে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের রাজধানী শহর জালালাবাদ দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। জালালাবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। এরপর যেকোনো সময় তালেবান কাবুলে প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। সে আশঙ্কা সত্যি হলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই।

    এদিকে, রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান এক নেতা যোদ্ধাদের হিংসা থেকে বিরত থাকার এবং কাবুল ত্যাগ করতে ইচ্ছুকদের নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে দেয়ার নির্দেশ দেন।

    কাবুলে প্রবেশের আগে এক বিবৃতিতে তালেবান বলেছে, তারা তাদের বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের গেট অতিক্রম না করতে এবং জোর করে শহর দখল না করতে।

    তালেবান জানায়, ‘কারও জীবন, সম্পত্তি এবং সম্মানে আঘাত না করে নিরাপদে তাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আলোচনা চলছে।’

    এছাড়া তালেবান ব্যাংক, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে আরেকটি বিবৃতিতে বলেছে যে, তাদের সম্পত্তি, অর্থ এবং প্রতিষ্ঠানগুলি সশস্ত্র গোষ্ঠী আক্রমণ করবে না।

    তবে তালেবানের আশ্বাস সত্ত্বেও লোকেরা শহরের রাস্তা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এবং বাড়ি যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে।

    তালেবানদের রুখতে আশরাফ ঘানি সরকার পাল্টা আক্রমণ করবে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।