Tag: তিউনিসিয়া

  • তিউনিসিয়ার কাছে হেরেও শীর্ষে থেকে নকআউটে ফ্রান্স

    তিউনিসিয়ার কাছে হেরেও শীর্ষে থেকে নকআউটে ফ্রান্স

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় জয়ে আসর শুরু করেছিল ফ্রান্স। ডেনমার্ককে কর্তৃত্ব করে হারিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তিউনিসিয়ার বিপক্ষে একাদশই বদলে ফেলেছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। তবে তার বেঞ্চের খেলোয়াড়রা পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিউনিসদের কাছে ফ্রান্সও ম্যাচ হেরেছে ১-০ গোলে।

    ফ্রান্স কোচ দলটির ফ্রন্ট থ্রি এমবাপ্পে, জিরু এবং ডেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে শুরু করেন। মিডফিল্ডে গ্রিজম্যান ও র‌্যাবিওট ছিলেন না। বিশ্রামে ছিলেন গোলরক্ষক হুগো লরিস, ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজও। প্রথমার্ধে বলের দখল পায়ে রাখলেও কিংসে কোম্যান, মুয়ামিরা তেমন আক্রমণ তুলতে পারেনি। বরং তিউনিসিয়া বেশি সাবলীল ছিল।

    ওই সুযোগ নিয়েই দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে লিড দেয় তিউনিসরা। লাইডউনির পাস ধরে গোল করে ওহাবি খাজরি। ওই গোল খাওয়ার পরই মূল খেলোয়াড়দের নামাতে শুরু করেন ফ্রান্স কোচ। জয় না হোক সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ার চ্যালেঞ্জ চলে আসে তার দলের সামনে। গোল খাওয়ার চার মিনিটের মধ্যে এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান ও র‌্যাবিওটকে মাঠে নামান খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা দেশম।

    তারা আক্রমণ তুলতে শুরু করে। শেষ ২৫ মিনিটে ছয়টি আক্রমণ করে ফ্রান্স, জালে যাওয়ার মতো তিনটি শটও ছিল। এর মধ্যে ম্যাচের শেষ বাঁশির একেবারের আগে জালে বল পাঠিয়ে উদযাপন শুরু করেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে খেলা গ্রিজু। কিন্তু ভিএআর চেক করে ওই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ফ্রান্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় পা রেখেছে।

  • ডেনমার্ককে রুখে দিল তিউনিসিয়া

    ডেনমার্ককে রুখে দিল তিউনিসিয়া

    দিনটা শুরু হয়েছিল সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার পিলে চমকে যাওয়া দিয়ে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এবার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের ডেনমার্ককে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিল তিউনিসিয়া।

    গেল ইউরোর সেমিফাইনালিস্ট ডেনমার্ক। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও খেলেছে বেশ দাপটের সঙ্গে। সেই দলটিকে এবারের ডার্ক হর্স বলেও মনে করা হচ্ছিল বেশ। সেই ডেনমার্ককেই দারুণভাবে রুখে দিল আজ তিউনিসিয়া।

    তবে স্কোরলাইন যেমন বলছে, খেলাটা অমন ম্যাড়মেড়ে ছিল না মোটেও। ডি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই তিউনিসিয়া বেশ শক্তির পসরা সাজিয়ে বসেছিল। শুরুতে দাপট ছিল তাদেরই।

    ডেনমার্ক অবশ্য ধীরে ধীরে ফিরে আসে ম্যাচে। বলের দখলে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে দলটি। তবে তিউনিসিয়ার দাপট তাতে কমেনি একটুও। দুই অর্ধে বারদুয়েক দারুণ সুযোগ এসেছিল দলটির সামনে, কাজে লাগানো হয়নি যদিও।

    তবে ম্যাচের সেরা সুযোগটা এসেছিল ডেনমার্কের আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াসের কাছে। তবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তার হেডারটা প্রতিহত হয় পোস্টে।

    দুই অর্ধে দুই দলই বেশ সুযোগ পেয়েছে, যদিও কাজে লাগানো হয়নি কারোই। তাই ম্যাচটা শেষমেশ শেষ হয়েছে গোলহীন এক ড্রয়েই। ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রথম গোলশূন্য ড্রয়ের জন্য যেখানে ৩৭ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, সেখানে এবার গোলহীন ড্রয়ের দেখা মিলে গেল ষষ্ঠ ম্যাচেই।

    তাতে তিউনিসিয়া অবশ্য একটা বার্তাও দিয়ে দিল বাকি গ্রুপের বাকি দুই দল ফ্রান্স আর অস্ট্রেলিয়াকে। দলটাকে হালকাভাবে নিলে বড় ভুলই হয়ে যাবে!

  • ব্রাজিল উড়িয়ে দিল তিউনিসিয়াকে

    ব্রাজিল উড়িয়ে দিল তিউনিসিয়াকে

    কাতার বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শক্তিমত্তা মাঠে ফুটিয়ে তুলল ব্রাজিল। নীল জার্সিতে গোলের বন্য বইয়ে দিলেন নেইমার-রাফিনিয়ারা।

    প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।

    পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই দাপুটে জয় হৃদয় ভরে গেছে সেলেকাও সমর্থকদের। গোলের দেখা পেয়েছেন দলের সেরা তারকা নেইমার, জোড়া গোল করেছেন রাফিনিয়া, একটি করে গোল করেছেন রিচার্লিসন ও পেদ্রো।

    গত বছরের জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর থেকে এই নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত রইল তিতের দল। এর মধ্যে তাদের জয় ১২টি, ড্র তিনটি।

    ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ৩০তম স্থানে থাকা তিউনিসিয়াকে শুরু থেকে চেপে ধরে এক নম্বর দল ব্রাজিল।

    একাদশ মিনিটেই সফলতা আসে। মাঝমাঠ থেকে কাসেমিরোর উঁচু করে বাড়ানো বলে ডি-বক্সে লাফিয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া।

    তবে এর সাত মিনিটের মধ্যেই দলকে সমতায় ফেরান তিউনিসিয়ার মনতাসার তালবি। ১৮তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ফ্রি-কিকে ডি-বক্সে লাফিয়ে হেডে বল জালে জড়ান এ ডিফেন্ডার।

    সমতাও এক মিনিটের বেশি টেকেনি। ১৯তম মিনিটেই ডান দিক থেকে রাফিনিয়ার পাসে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রিচার্লিসন। এ ফরোয়ার্ডের গোলে ব্যবধান ২-১ হয়।

    ২৭তম মিনিটে কাসেমিরোকে ডি-বক্সে তিউনিসিয়ার এক ডিফেন্ডার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে ব্যবধান ৩-১ করেন নেইমার।

    এরপর অনেকটা সময় গোলের দেখা মিলেনি। ৪০তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে তিউনিসিয়ার জালে হালি পূরণ করেন রাফিনিয়া। বাঁ দিক থেকে নেইমার ডি-বক্সে খুঁজে নেন রিচার্লিসনকে। তার পাসে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে শট নেন রাফিনিয়া। ভাগ্যগুণে তা পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।

    ৪-১ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লুকাস পাকেতার জায়গায় ভিনিসিউস জুনিয়র ও রিচার্লিসনকে তুলে পেদ্রোকে নামান ব্রাজিল কোচ তিতে।

    তবে তাতে গোল আসছিল না। ৭৪তম মিনিটে গোলের দেখা পান পেদ্রো। ডি-বক্সে দারুণ ভলিতে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল করেন ফ্লামেঙ্গোর এই ফরোয়ার্ড।

    এরপর আর কোনো গোলের দেখা না মিললে রেফারির শেষ বাঁশিতে ৫-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।

    বিশ্বকাপের আগে এটিই ছিল ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ। টানা ৭ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাতারে যাবে তিতের শিষ্যরা।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

     

  • পদত্যাগ করতে মারধর করা হয় তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে

    পদত্যাগ করতে মারধর করা হয় তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে

    তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পূর্বে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডেকে নিয়ে মারধর করা করা হয়। মিডলইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়।

    সংবাদমাধ্যমটি মারধরের পর প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি কতটা আহত হয়েছেন সেটা যাচাই করতে না পারলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৭ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি বেশ আহত হয়েছেন। তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন। এ কারণে ঘটনার পর তিনি আর জনসম্মুখে বের হননি।

    গত রোববার তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডাকেন। সেখানে তিনি মেশিশিকে পদত্যাগ করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তিউনিসিয়ার বাইরের দেশের নাগরিকও ছিলেন।

    প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে মিশরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্টকে অভ্যুত্থানের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা মারধরের সময় মিশরের কর্মকর্তারা কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে সেটা জানা যায়নি।

    উল্লেখ, প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে রোববার রাতেই বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট স্থগিত করেন। সংসদ স্থগিতের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি প্রেসিডেন্টকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    অন্যদিকে, এ ঘটনার পর থেকে তিউনিসিয়ায় চরম রাজনৈতিক অসন্তোষ বিরাজ করছে। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পর স্পিকার রাশেদ ঘানৌচিরের ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন সরকার-সমর্থকেরা। এছাড়া প্রেসিডেন্ট সাঈদ বিরোধীরা এই ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।