Tag: তুরস্ক

  • তুরস্ক গেলেন রাষ্ট্রপতি

    তুরস্ক গেলেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তুরস্কের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছয় দিনের এক সরকারি সফরে আজ রাতে আঙ্কারার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, তুরস্ক সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি আঙ্কারার প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আগামী ৩ জুন বিকেল ৫টায় (তুরস্কের স্থানীয় সময়) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি উড়োজাহাজ (ফ্লাইট নং- বিজি ২০৭) রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আঙ্কারা এসেনবোগা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, সংশ্লিষ্ট সচিবসহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

    বঙ্গভবনের দেওয়া সূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সফরকালে আঙ্কারার কানকায়া প্রাসাদে রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কয়েকটি কর্মসূচিতে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

    তুরস্ক সফরকালে রাষ্ট্রপতি আঙ্কারায় ‘শেরাটন আঙ্কারা হোটেলে’ অবস্থান করবেন।

    আগামী ৬ জুন সন্ধ্যায় একটি ভিভিআইপি উড়োজাহাজে (ফ্লাইট নং বিজি ২০৮) দেশে ফেরার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের।

  • বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান

    বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান

    প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারগলুকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তার বিজয় উদযাপনে রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। এ জয়ের খবরে এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও।

    বাংলাদেশ সময় রোববার (২৮ মে) রাত ১২টার আগেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এরদোয়ানের বিজয়ের খবর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে।

    এরপর থেকেই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান। মুসলিম বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি অমুসলিম নেতারাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য পাঠিয়েছেন।

    কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ইচ্ছে পোষণ করেছেন।

    লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ এরদোয়ানের জয়কে তুরস্কের বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছেন। এরদোয়ানের বিজয়কে অভূতপূর্ব উল্লেখ করে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান।

    ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তুরস্কের মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, দেশটির বাদশাহ সালমান এরদোয়ানকে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    নির্বাচনে জয়ের পর এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

    তিনি তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এরদোয়ানকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেন, দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোতে ন্যাটোর মিত্র হিসেবে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো।

    তাছাড়া অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ককে একটি মূল্যবান ন্যাটো মিত্র ও অংশীদার বলে অভিহিত করেছেন।

    প্রিয় বন্ধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এরদোয়ানের বিজয় প্রমাণ করে তুর্কি জনগণ তার নিঃস্বার্থ কাজ ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেছে।

    জয়ের জন্য এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    অভিনন্দন জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর উল্লেখ করেছেন, উভয় দেশের জনগণ ও অর্থনীতি কতটা গভীরভাবে জড়িত। তাছাড়া একটি নতুন উদ্দীপনার সঙ্গে সাধারণ এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ও তুরস্ক এগিয়ে যেতে থাকবে।

    অভিনন্দন জানিয়েছেন, ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন। দুইজনেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ন্যাটো মিত্র হিসেবে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলাসহ যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করবেন।

    এছাড়াও আর্মেনিয়া, সুইডেন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি, হাঙ্গেরি, আজারবাইজান, সুদান, সার্বিয়া, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, আমিরাত, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও এরদোয়ানকে অভিনন্দন ও সম্পর্ক জোরদারের কথা জানিয়েছেন।

    গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রোববারের ভোটে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দেশটির মসনদে বসছেন। রান-অফ নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

  • নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় বললেন এরদোয়ান

    নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় বললেন এরদোয়ান

    টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। রোববারের (২৮ মে) প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান-অফ নির্বাচনে কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজিত করে আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নিশ্চিত করেন জনপ্রিয় এই নেতা।

    এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের এই বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। সোমবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার বিজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সের আঙিনায় জড়ো হওয়া কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে বক্তৃতা করার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে রোববারের রান অফ ভোটের প্রকৃত বিজয়ী ৮৫ মিলিয়ন তুর্কি নাগরিক এবং তুর্কি গণতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন।

    রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হওয়া হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই। এই নির্বাচনে তুরস্কের জয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।’

    মধ্যরাতের এই বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ কেউ হারেনি। তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে। আর এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’

    এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ওয়াইএসকে প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোয়ান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন।

    টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, এখন পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশ ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন এই প্রেসিডেন্ট ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট।

    এরদোয়ান বলেন, ‘আমাদের বহুদলীয় রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে আমাদের জনগণ ‘সেঞ্চুরি অফ তুর্কিয়ের’ পক্ষে রায় দিয়েছে।’

    এরদোয়ান তার সমর্থকদের বলেন, রোববারের এই নির্বাচনটি আধুনিক যুগে তুরস্কের জন্য ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি বলেন, জনগণের জন্য আমাদের দিনরাত কাজ করতে হবে।

    গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের ক্ষত নিরাময় এবং ধ্বংস হওয়া শহরগুলোর পুনর্গঠন তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে অব্যাহত থাকবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, তুর্কি জাতির ক্ষমতা ও শক্তি রয়েছে এবং তারা বিশ্বব্যবস্থায় তার যথাযথ স্থান অর্জন করবে।

    উল্লেখ্য, প্রায় ছয় কোটি ভোটারের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোটার দ্বিতীয় দফায় ভোট দেন। এর আগে প্রথম দফার নির্বাচনে কোনও প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

    গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে ৪৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিলেন এরদোয়ান। এরপরই ছিলেন কিলিচদারোগলু। তার ভোট ছিল ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

    তবে রোববারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে গত দুই দশক ধরে তুরস্কের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও পাঁচ বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলেন।

  • টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

    টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

    গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানই পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দেশটির মসনদে বসছেন। রোববার অনুষ্ঠিত রান-অফ নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।

    আনাদোলু বলছে, ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্স গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এই গণনায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

    ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ৯ বছর প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোয়ানের পেশীবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।

    এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোয়ানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।

    চলমান এই পরিস্থিতির মাঝে গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ানের সাথে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।

    বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে তুরস্কের উচ্চ নির্বাচন বোর্ডের প্রধান আহমেদ ইয়ানার এক সম্মেলনে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, রোববারের ভোটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুর চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। প্রাথমিকভাবে ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনায় এরদোয়ান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ এবং কিলিচদারোগলু ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।

    এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন একে পার্টির মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শক্ত সমর্থন ধরে নির্বাচিত হয়েছেন।

    এদিকে, নির্বাচনী ফলে এরদোয়ানের জয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে ক্ষমতাসীন একে পার্টির কর্মী-সমর্থকরা তুরস্কজুড়ে আনন্দ মিছিল শুরু করেছেন। রয়টার্স বলছে, সমর্থকরা তার ইস্তাম্বুলের বাসভবনে জড়ো হয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছেন। ২৮ বছর বয়সী একে পার্টির সমর্থক নিসা নামের এক তরুণী বলেন, আমরা আশা করছি সবকিছু ভালো হবে।

    ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতিতে ধুঁকতে থাকা সাড়ে ৮ কোটি মানুষের এই দেশটির নির্বাচনে এরদোয়ানের পুনরায় জয় লাভ তার অপরাজেয় ভাবমূর্তিকে আরও দৃঢ় করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    • প্রথম দফার ভোটের ফল
    গত ১৪ মে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পান ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট।

    আর জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক হিসাবে পরিচিত সিনান ওগান পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে এরদোয়ানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।

    তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, প্রথম দফার নির্বাচনে তুরস্কের ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটারের মাঝে ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

    • রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান
    একে পার্টি নামে পরিচিত তুরস্কের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলভমেন্ট পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্ট জোটের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ৬৯ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রনেতা তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন ২০ বছর ধরে। এর মধ্যে ৯ বছর প্রেসিডেন্ট এবং ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তুরস্কের অন্যতম বৃহৎ শহর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন তিনি।

    এবা‌রে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হ‌য়েছেন এরদোয়ান। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট আর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাঝে এবারের এই নির্বাচনর তার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।

    • কেমাল কিলিচদারোগলু
    দেশটির ছয়দলীয় জোট ন্যাশন অ্যালায়েন্সের হয়ে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৭৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। রাজনীতির মাঠে পা রাখার আগে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের বেশিরভাগ সময় দেশটির সামাজিক বীমা ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল কুর্দিপন্থি এইচডিপির সমর্থনে ছয়-দলীয় ন্যাশন অ্যালায়েন্সের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। তুরস্ককে একটি শক্তিশালী সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি‌লেন কেমাল।

     

  • আজ তুরস্কে অগ্নিপরীক্ষায় এরদোয়ান কেমাল

    আজ তুরস্কে অগ্নিপরীক্ষায় এরদোয়ান কেমাল

    তুরস্কে আজ দ্বিতীয় দফার ভোটেই নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফের ক্ষমতায় আসছেন, নাকি আমলা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া কেমাল কিলিচদারোগলু প্রথমবারের মতো মসনদে বসছেন।

    প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় আজকের এ ভোটে নির্ধারিত হবে তুরস্কের নতুন প্রেসিডেন্ট, যার দিকে এখন সারা বিশ্বের চোখ। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় গড়ানো এ প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে দুই প্রার্থীই পরস্পরকে সমালোচনার জালে বিদ্ধ করেছেন। দিয়েছেন নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি। তবে প্রথম দফার নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া সিনান ওগান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সমর্থন দেওয়ায় বর্তমান প্রেসিডেন্টই ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। আবার প্রথম দফায় ১২ লাখ ভোট পাওয়া ভিক্টোরি পার্টি কেমালকে সমর্থন দেওয়ায় দেখা দিয়েছে টান টান উত্তেজনা। তাই ‘অগ্নিপরীক্ষা’ হয়ে ওঠা এ নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

    তুরস্কের এবারের জাতীয় নির্বাচনে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা গেছে। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। কিন্তু গত ১৪ মে প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তাই নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফার ভোটে এরদোয়ান ৪৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কেমাল পেয়েছিলেন ৪৫ শতাংশ। প্রথম দফার ভোটের ফলে এরদোয়ানের চেয়ে প্রায় ২৫ লাখ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন কেমাল। আর সিনান ওগান ছিলেন তৃতীয় অবস্থানে। তার ঝুলিতে যায় ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট। এখন দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সিনান সমর্থন দিয়েছেন এরদোয়ানকে। ফলে সিনান ওগান একজন কিংমেকার হয়ে উঠেছেন। তাই এরদোয়ানের ফের ক্ষমতায় আসাটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে অনেকে মনে করছেন। তবে তুরস্কে অভিবাসনবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত ভিক্টোরি পার্টি প্রথম দফার নির্বাচনে ১২ লাখ ভোট পেয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় দলটি কেমালকে সমর্থন দিয়েছে। এই দলের নেতা উমিত ওজাদাগ বলেন, ক্ষমতায় গেলে ১ কোটি ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেমাল। তাই তাকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা উচিত। এ ছাড়া প্রথম দফায় ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া প্রায় ৮০ লাখ ভোটারও আজ প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারেন বলে জানা গেছে।

    এদিকে, শুক্রবার শেষ সময়ের প্রচারণায়ও ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন দুই প্রার্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও কেমাল কিলিচদারোগলু। এরদোয়ানের অভিযোগ, কেমাল ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজধানী আঙ্কারায় এদিন এক সমাবেশে এরদোয়ান বলেন, নির্বাচনে কেমালের জয় হলে সন্ত্রাসবাদ জিতে যাবে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কেমালের ওঠাবসা। তিনি (কেমাল) নির্বাচনে বিজয়ী হলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জয় হবে। কাজেই তাকে নির্বাচিত হতে দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে কেমাল সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের ইস্যু সামনে এনে জাতীয়তাবাদী ভোট নিজের ঝুলিতে ভরার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে এরদোয়ান অবশ্য বলেছেন, ইতোমধ্যে সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। আবারও ক্ষমতায় গেলে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে। আরও বেশিসংখ্যক শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে।

    উল্লেখ্য, এ সপ্তাহে চার ঘণ্টা বাবালা টিভি নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভোটের প্রচার চালিয়েছেন কেমাল। ভোটার ও সমর্থকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখেছেন। বিশেষত তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই অনুষ্ঠান। জাতীয়তাবাদী গুড পার্টির তরুণ প্রচারক মেহতেপ বলেন, ইউটিউবে কেমালের এই অনুষ্ঠান তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। অনেক তরুণ ভোটার প্রথম দফায় ভোটকেন্দ্রে যাননি। তারা এখন নতুন করে ভাবছেন। আঙ্কারার দক্ষিণ-পূর্বের বালা শহরে কাবাবের দোকান চালান আল ওজদেমির। এরদোয়ানের দল একে পার্টির দপ্তরের সড়কে তার দোকান। তিনি বলেন, ‘আগেরবার এরদোয়ানকে ভোট দিয়েছি। এবারও দিব। আমি চাই, তিনি আবারও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসুক।’ তবে বিভক্ত হয়ে পড়া ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেবেন, তা জানতে খুব একটা সময় অপেক্ষা করতে হবে না।

  • প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে এরদোগান, ভোট গড়াবে দ্বিতীয় দফায়

    প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে এরদোগান, ভোট গড়াবে দ্বিতীয় দফায়

    তুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান এগিয়ে আছেন। ভোট গণনা শেষে তিনি ৪৯.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৭৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ প্রায় ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এরদোগান। কিন্তু তিনি নিজেও ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় এই নির্বাচন এখন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

    খবরে বলা হয়, তুরস্কের আইন অনুযায়ী কোন প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোগান বলেছেন যে, প্রয়োজন হলে তিনি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, তিনি জয় পাবেন। এদিকে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কামালও। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।

    যদিও প্রথম দফায় এরদোগানই বেশি ভোট পেয়েছেন।

    তুরস্কের কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প এবং বাড়তি মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এরদোগান ও কামাল ছাড়াও তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিনান ওগান ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন করবেন এরদোগান ও কামাল। তাই সিনানের এই ৫ শতাংশ ভোটারকে তিনি যেদিকে ভোট দিতে বলবেন তিনিই নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিনান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি আগামী কিছুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ জন্য তিনি তার জোটের নেতাদের সাথে আলাপ করবেন। তারপরেই তিনি একটি সিদ্ধান্ত নেবেন।
    তুরস্কে ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৫০ লাখ হচ্ছেন নতুন ভোটার, যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তারা প্রথমবারের মত ভোট দিয়েছেন।

  • তুরস্ক-সিরিয়ায় ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

    তুরস্ক-সিরিয়ায় ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

    তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সেন্টার।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

    খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৪ মিনিটে দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের দেফনে শহরে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ২ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের তীব্রতা ২০০ কিলোমিটার উত্তরের আন্তাকিয়া ও আদানা শহরেও অনুভূত হয়।

    প্রথম ভূমিকম্পটির কয়েক মিনিট পর হাতায়ের সামান্দাগ জেলায় ৫ দশমিক ৮ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা। তবে প্রাথমিক কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।

    তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, ভূমিকম্প পার্শ্ববর্তী জর্ডান, ইসরায়েল, মিশরেও অনুভূত হয়েছে।

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কয়েক মিনিট পর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

     

  • ২৫৭ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে নারীকে জীবিত উদ্ধার

    ২৫৭ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে নারীকে জীবিত উদ্ধার

    তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১০ দিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নেলিহান কিলিক (৪২) নামে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধার কর্মীরা।

    স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কাহরামানমারাস প্রদেশের একটি ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আনাদোলুর।

    উদ্ধারের পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই দিনে আলেয়েনা ওলমেজ নামে ১৭ বছরের এক কিশোরী এবং মেইসাম ও আলী নামে দুই সন্তানসহ ইলা নামে এক গৃহবধূকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

    এদিকে, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

    দেশটির ১১টি প্রদেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় মৃত্যু ৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

    দেশ দুটিতে এখন খাদ্য ও ওষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো জরুরি ত্রাণ চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছে দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ।

  • তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৯৮ ঘণ্টা পর তিনজনকে জীবিত উদ্ধার

    তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৯৮ ঘণ্টা পর তিনজনকে জীবিত উদ্ধার

    তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৯৮ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অলৌকিকভাবে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

    মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি), আদিয়ামান প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ বছর বয়সী কিশোর মুহাম্মেদ কাফেরকে। তাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অক্সিজেন মাস্কের পড়িয়ে দেয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আঙুল নাড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।

    তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বাকি সম্পর্কে আপন ভাই। একজন হচ্ছেন, ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মেদ ইনেস ইয়েনিনার। অপরজন তার ভাই, ২১ বছর বয়সী বাকি ইয়েনিনার। এই তিনজনকেই হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের সবশেষ পরিস্থিতি এখনও জানা যায়নি।

    উল্লেখ্য, তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে বেড়েই চলেছে লাশের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। কেবল তুরস্কে ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। সাড়ে চার হাজারের ওপর মৃত্যু হয়েছে সিরিয়ায়। এখনও ধ্বংসস্তূপের মাঝে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ।

  • তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ৩৪ হাজার ছাড়াল

    তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ৩৪ হাজার ছাড়াল

    তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাতদিন পরও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত লাখেরও বেশি।

    সিএনএনের তথ্যমতে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৭৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ২৯ হাজার ৬০৫ এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫৭৫ জন। তবে, জাতিসংঘ বলছে, নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    এদিকে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের ২৪ হাজার ৯২১টি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু আটকা পড়ে আছেন। তাদের বেঁচে থাকাটা ক্ষীণ। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের সাতদিন পরও অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকাদের সন্ধান পাচ্ছেন তারা।

    জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাবারের প্রয়োজন।

    এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প।

    উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।

  • তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়াল

    তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়াল

    ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় অনেক জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

    স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করেছেন জার্মান উদ্ধারকারীরা এবং অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী। একটি অপরিচিত গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। যদিও সংঘর্ষের কারণ জানাননি উদ্ধারকারীরা।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উদ্ধারকারী বলেছেন, খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বন্দুক জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।

    অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় চেয়েছেন।

    এক বিবৃতিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়েস বলেছেন, তুরস্কে দলগুলোর মধ্যে আগ্রাসন বাড়ছে। একটি জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা নিরাপত্তা ঝুঁকির সঙ্গে কোনো যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক বহন করে না।

    অস্ট্রিয়া উদ্ধার প্রচেষ্টা স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুর্কি সেনাবাহিনী সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে তারা।

    সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ গ্রুপ আইএসএআর এবং জার্মানির ফেডারেল এজেন্সি ফর টেকনিক্যাল রিলিফের (টিএসডব্লিউ) জার্মান শাখাও নিরাপত্তা উদ্বেগ উল্লেখ করে অপারেশন স্থগিত করেছে।

    আইএসএআরের মুখপাত্র স্টেফান হাইন বলেছেন, বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং গুলিও চালানো হয়েছে।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তুর্কি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করার সঙ্গে সঙ্গে আবার কাজ শুরু করবে জার্মান উদ্ধারকারী দলগুলো।

  • তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে

    তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে

    তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকারীরা শনিবার আরো শিশুদের উদ্ধার করেছে। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪,০০০ ছাড়িয়েছে এবং বরফ শীতল তাপমাত্রা লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, অনেকের চরমভাবে সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

    জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভূমিকম্পের পর দুই দেশে অন্তত ৮৭০,০০০ মানুষের জরুরিভাবে খাদ্যের প্রয়োজন, শুধুমাত্র সিরিয়াতেই ৫.৩ মিলিয়ন লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

    গত সোমবারের ৭.৮-মাত্রার কম্পনের পরে আফটারশকগুলো মৃতের সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জীবনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তাকায়ার বাসিন্দা পেনশনভোগী ফিদান তুরান অশ্রু ভরা চোখে বলেন, ‘যখন আমি ধ্বংস হওয়া ভবন, মৃতদেহ দেখি, তখন এমন নয় যে আমি দুই বা তিন বছরে কোথায় থাকব তা দেখতে পাচ্ছি না, কার্যত আমি ভাবতে পারি না যে আমি আগামীকাল কোথায় থাকব।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বর্ধিত পরিবারের ৬০ জন সদস্যকে হারিয়েছি’। ‘ষাট! জন, আমি কি বলব? এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা।’

    জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তুরস্কের অন্তত ৫৯০,০০০ জন এবং সিরিয়ায় ২৮৪,০০০ জন সদ্য বাস্তুচ্যুত মানুষকে খাদ্য রেশন প্রদানের জন্য ৭৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ সরবরাহের আবেদন করেছে।

    এতে বলা হয়েছে, তুরস্কে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে, ৫৪৫,০০০ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এবং ৪৫,০০০ শরণার্থী রয়েছে।
    জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শুক্রবার কুর্দি যোদ্ধা এবং সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে সুযোগ করে দেয়ার জন্য সকল পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে।

    আঙ্কারা এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পাটি পুনরুদ্ধারের কাজ সহজ করার জন্য যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ঘোষণা দিয়েছে।

    বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষ মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে তবে তিন সপ্তাহে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে কোনো সাহায্য বিতরণ করা হয়নি।

    সিরিয়ার সরকার বলেছে, তারা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে।

    এই সপ্তাহে মাত্র দুটি সাহায্য কনভয় তুরস্ক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করেছে, যেখানে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব একটি আরও বড় ভূমিকম্প ত্রাণ অভিযানে নিযুক্ত রয়েছে।
    এক দশকের গৃহযুদ্ধ এবং সিরীয়-রাশিয়ান বিমান হামলা ইতিমধ্যে হাসপাতাল ধ্বংস করেছে এবং বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতি তৈরি করেছে।

    জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে নতুন আন্তঃসীমান্ত মানবিক সহায়তা কেন্দ্র খোলার অনুমোদন দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কাউন্সিল সম্ভবত আগামী সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করবে।
    তুরস্ক বলেছে,তারা সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে দুটি নতুন রুট খোলার জন্য কাজ করছে।

    তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্পে ১২,১৪১টি ভবন ধ্বংস হয়েছে বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক বোগাজিসি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মুস্তাফা এরদিক বলেন, ‘মেঝেগুলো একে অপরের ওপরে স্তুপ হয়ে আছে, যার মানে জীবিত কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’

    প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ার পর দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করা এক ঠিকাদারকে শুক্রবার আটক করেছে পুলিশ।

    ১৯৩৯ সালে ৭.৮-মাত্রার কম্পনে ৩৩,০০০ লোক মারা যাওয়ার পর এই কম্পনটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী এবং মারাত্মক।

    কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তুরস্কে ২০,৬৬৫ জন এবং সিরিয়ায় ৩,৫৫৩ জন মারা গেছেন। নিশ্চিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৪,২১৮ জন।