Tag: তুরস্ক

  • তুরস্কে পা রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল

    তুরস্কে পা রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল

    বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ তুরস্কে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, তুরস্কে উদ্ধার কাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের উদ্ধারকারী দল সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে বিমান জার্নি শেষে আদানা এয়ারপোর্টে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে তারা ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আদিয়ামান স্থানে বাসে করে রওনা হয়েছে।

    এর আগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উদ্ধারকারী দলটি তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হয়। তুরস্কে ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে অংশ নিতে ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্সের ১২ সদস্যসহ মোট ৭০ সদস্যের একাধিক দল পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে দলগুলো বিমানবাহিনীর (সি ১৩০) উড়োজাহাজে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

     

  • তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ২১ হাজার ছাড়াল

    তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ২১ হাজার ছাড়াল

    তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশে মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ১৭ হাজার ৬৭৪ জন ও সিরিয়ার তিন হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আফটারশকের শঙ্কাও রয়েছে। ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

    এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।

    গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।

  • তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০ ছাড়িয়েছে

    তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০ ছাড়িয়েছে

    তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা সাত হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে আর ভেঙে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিতদের বের করে আনতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের মরণপণ সংগ্রাম চলছে।

    যতোই সময় যাচ্ছে বিপর্যয়ের মাত্রা চোখের সামনে আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠছে আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে কয়েক হাজার শিশু মারা যেতে পারে। খবর রয়টার্সের।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান দেশের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তবে ভূমকম্পে বিধ্বস্ত বেশ কয়েকটি শহরের অধিবাসীরা তাদের ভাষায় উদ্ধার তৎপরতায় অপ্রতুল সাড়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

    মালাতিয়া এলাকায় বিধ্বস্ত বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আত্মীয়-স্বজন হারানো মুরাত আলিনাক বলেন, ‘এখানে একজনও আসেনি। আমরা সম্পূর্ণ নিঃস্ব অবস্থায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তুষারের নীচে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছি। আমি এখন কী করবো, কোথায় যাবো?’

    সোমবার (৬ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে প্রথমে ৭.৮ মাত্রার এবং ঘণ্টাখানেক পর প্রায় সমান মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ায় আঘাত হানলে স্কুল, হাসপাতাল, এপার্টমেন্টসহ কয়েক হাজার ভবন ভেঙে পড়ে। এই দুর্যোগে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন আর বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

    এদিকে ভেঙে যাওয়া রাস্তা, খারাপ আবহাওয়া ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধারকর্মীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না। কোথাও দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঙ্কট।

    তবে যেটুকু সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়েই স্থানীয় জনতা বেঁচে যাওয়া মানুষদের উদ্ধারে প্রাণপণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।

    অন্যদিকে ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় ভূমকম্পের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাহায্য সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।

  • তুরস্কে যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল

    তুরস্কে যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল

    তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ। একটি জরুরি চিকিৎসা সহায়তাকারী দল ও একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কে কি ধরনের সহায়তা দরকার তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। তাদের প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে জরুরি দুটি দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশটিতে বিপুল সংখ্যক আহত জনগণকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে একটি মেডিকলে টিম পাঠানোর হবে। এই দলে কারা থাকবেন, কী কী সরঞ্জাম, উপকরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে, তা ঠিক করা নিয়ে কাজ চলছে। এ ছাড়াও তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনায় উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের একটি টিমও পাঠানো হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলটি আজ রাতে বা আগামীকাল বুধবার তুরস্ক পাঠানো হতে পারে।

    গতকাল সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বিপুল হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই দেশে মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০০। এ সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে

    তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে

    তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা করছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। দেশ দুটিতে ধসেপড়া ভবনের নিচে আরও বহু মরদেহ রয়েছে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, আরও (ভবন) ধসের শঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা (নিহতের) প্রাথমিক সংখ্যা আটগুণ বাড়ার আশঙ্কা করছি।

    প্রাণহানির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় একই জিনিস দেখতে পাই, তা হলো- প্রাথমিক খবরে পাওয়া হতাহতের সংখ্যা পরবর্তী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

    বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ আশঙ্কা মিথ্যা নয়। কারণ তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের একদিন যেতে না যেতেই প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজারে পৌঁছেছে। এখনও বহু এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। তাছাড়া বিরূপ আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ারও সংবাদ পাওয়া গেছে। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।

    তুরস্ক-সিরিয়ায় সীমান্ত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত এক শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার গভীরে।

    এর আগে, ১৯৯৯ সালে ইস্তাম্বুলের কাছে জনবহুল পূর্ব মারমারা সাগর অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প। ওই ঘটনা ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

     

  • ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানি ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: ইউএসজিএস

    ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানি ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: ইউএসজিএস

    গত ৮ দশকের বেশি সময় পর রেকর্ড সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২৮৪ এবং সিরিয়ায় ৩৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬শ।

    কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।

    সংস্থাটি বলেছে, সোমবার ভোরে দক্ষিণ তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং এটি এক লাখে পৌঁছারও কিছুটা আশঙ্কা আছে।

    ওই অঞ্চলের অতীতের ভূমিকম্প, সর্বাধিক কম্পনের আওতাধীন এলাকার জনসংখ্যার কাঠামো এবং সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চলের অবকাঠামোগত দুর্বলতার ওপর ভিত্তি করে এমন অনুমান করেছে মার্কিন এ সংস্থা।

    ইউএসজিএস বলেছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানি এক হাজার থেকে ১০ হাজার জনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ৪৭ শতাংশ। আর ১০০ থেকে ১ হাজার জনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ। তবে ১০ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, সেটি ২০ শতাংশ।

    ইউএসজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ড মাত্রার এই ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভূমিকম্পের বিপর্যয় প্রবল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

    ‘ওই অঞ্চলের মানুষ এমন অবকাঠামো ব্যবস্থায় বসবাস করেন, যেগুলো ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কিছু ভূকম্পন প্রতিরোধী অবকাঠামোও রয়েছে সেখানে।’

    ভূমিকম্পের আর্থিক ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার থেকে এক হাজার কোটি ডলারের মধ্যে হতে পারে যা তুরস্কের জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমান।

    ৮ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প
    ভূমিকম্প বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্প ৮ দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। ৮০ বছরেরও বেশি সময় আগে দেশটিতে আজকের মতো শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

    ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূতাত্ত্বিক স্টিফেন হিকস বলেন, আগের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটিও ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ছিল। সেটি ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে উত্তর-পূর্ব তুরস্কে আঘাত হানে এবং এতে ৩০ হাজার মানুষ মারা যান।

    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ৪১ জন নিহত ও এক হাজার ৬০০ জনের বেশি আহত হন।

    সিরিয়ার জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ রাষ্ট্রীয় এক রেডিও স্টেশনকে বলেছেন, আজকের এই ভূমিকম্প তাদের ভূকম্পন কেন্দ্রের ইতিহাসে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। সিরিয়ার এই ভূমিকম্প কেন্দ্র ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

  • তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহত ১১৮

    তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহত ১১৮

    তুরস্কে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১১৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এই তথ্য জানিয়েছে।

    খবরে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে দক্ষিণ তুরস্কে ভূমিকম্পে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১১৮ জন নিহত হয়েছেন।

    নিহতদের মধ্যে ৭৬ জন তুরস্কের এবং ৪২ জন পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের।

    তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়বে। কারণ, ভূমিকম্পে অনেক ভবন ধসে পড়েছে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে।

    তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল পাজারচিক জেলায়। এটি ঘটে ৭ কিলোমিটার গভীরে।

     

  • তুরস্ক রাষ্ট্রদূতের চুয়েট ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও মতবিনিময়

    তুরস্ক রাষ্ট্রদূতের চুয়েট ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও মতবিনিময়

    তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, “তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক অত্যন্ত চমৎকার। অর্থনৈতিকভাবেও দুইদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় আশাব্যঞ্জকভাবে এগিয়েছে। বাংলাদেশে এখন তুরস্কের বিনিয়োগও বেড়েছে।”

    চুয়েটকে বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ইনোভেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেসরকারি সেক্টরে স্কিলস ডেভেলমেন্ট ভীষণ জরুরি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা নতুন প্রজন্মকে অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যে দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ, রিসার্চ প্রোগ্রাম ও একাডেমিক কোলাবোরেশনের ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। একইভাবে চুয়েটের সাথেও তুরস্কের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিময় বাড়াতে আশাবাদী।”

    তিনি আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি (রবিবার) বিকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ডীন, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

    পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান এবং চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল জনাব সালাহউদ্দিন কাসেম খান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। দুই দেশের একাডেমিক কোলাবোরেশনের ব্যাপারে তুরস্ক আগ্রহী। এ.কে. খান ফাউন্ডেশন দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চুয়েটের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। এইটা আমাদের আশাবাদী করে তুলছে।”

    চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “তুরস্কের সাথে চুয়েটের সর্ম্পক পুরনো। ২০১৪ সালে তুরস্কের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত চুয়েট ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। বর্তমানে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য মাত্রা পেয়েছে। তুরস্কের সাথে আমরা দ্বিপাক্ষিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় ও যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়ে আশাবাদী।”

    এর আগে চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিত শামসেন নাহার খান হল পরিদর্শন করেন।

  • রবিবার চুয়েট পরিদর্শনে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান

    রবিবার চুয়েট পরিদর্শনে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আগামী রবিবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিদর্শনে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।

    তিনি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা চুয়েট ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। পরিদর্শনকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।

    এ সময় চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া চুয়েটের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি-যন্ত্রপাতি সুবিধা ও নান্দনিক অবকাঠামোসমূহ পরিদর্শনসহ দুই দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি এবং কারিগরি শিক্ষায় দ্বি-পাক্ষিক মতবিনিময়ের পাশাপাশি চুয়েটের ডীন, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথেও তিনি মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর, ঢাকায় আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মাণ হবে

    আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর, ঢাকায় আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মাণ হবে

    তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। সেই সাথে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আতাতুর্ক মোস্তফা কামাল পাশার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করবে তুরস্ক। শিগগিরই এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান।

    বুধবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত।

    এ সময় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি আমরা মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেব। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক আর কামাল আতাতুর্ক হচ্ছেন তুরস্কের প্রতীক। এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করবো এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে।

    তুর্কি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইস্তাম্বুল ও চট্টগ্রামেও এ ধরনের কিছু করা যায় কি না সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করবেন। একই সঙ্গে ঢাকায় আধুনিক তুস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করবেন।

    আমরা আরও আলোচনা করেছি তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তাম্বুল ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও এ রকম কিছু করা যায় কি না সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।

  • সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪০

    সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪০

    পৃথিবী জুড়ে যখন মহামারী করোনা ভাইরাসে ভয়াবহতা চলছে, ঠিক তার মধ্যেই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সেনাদের নিয়ন্ত্রিত আফরিন শহরে এক ভয়াবহ ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত।

    তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আফরিন শহরে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একটি বাজারের মধ্য দিয়ে আসার সময় তেলের ওই ট্যাংকারে গ্রেনেড ছুড়ে মারলে তা বিস্ফোরিত হয়ে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ নৃশংস হামলার জন্য কুর্দি বিদ্রোহীগোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে দায়ী করেছেন।

    ওয়াইপিজিকে দমনের জন্যই তুর্কি সেনারা সিরিয়ার সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আফরিন শহর ও এর আশপাশের বিশাল এলাকা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দখল করে রেখেছে।

    তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও ১১টি শিশু রয়েছে।

    ট্রাক বোমা হামলার জন্য ওয়াইপিজি বিদ্রোহীদের দায়ী করে তুরস্ক আরও জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ৪৭ ব্যক্তি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, একটি বাজারের মধ্যে জ্বালানিবোঝাই ট্রাকটি বিস্ফোরিত হয়।

    নিহতদের মধ্যে তুর্কি-সমর্থিত ছয় জঙ্গিও রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি মানবিক ইসলাম চর্চাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে:সৈয়দ সাইফুদ্দীন

    বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি মানবিক ইসলাম চর্চাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে:সৈয়দ সাইফুদ্দীন

    তুরস্কের ইস্তানবুল ইয়ালোভার আর মোদিস হোটেলে, আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব সূফীস স্কলারের আয়োজনে ৯ম আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলনে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া শতাধিক সূফি ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।

    এতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে বর্তমান সময়ে মুসলমানদের তাসাউফের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন সূফি ব্যক্তিত্ব, ওয়ার্ল্ড সূফি ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।

    তিনি বলেন, ইসলামের ফলিত দর্শন ও মূল নির্যাসই হচ্ছে সূফিবাদ। যুগে যুগে ইসলামী সূফিবাদের দাওয়াত প্রসারিত করেছেন ওলী-মনীষী আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বগণ। ইসলামের সাম্য, শান্তি ও মানববাদি রূপরেখাই সূফিবাদি দর্শনে উজ্জলভাবে বিদ্যমান।

    সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, ইসলামের সূফিবাদি শান্তি ও মানববাদী দর্শন চর্চা প্রত্যাশিতভাবে তেমন বিকশিত ও প্রসারিত নয় বলেই সারা বিশ্বে আজ ইসলামের অনুসারীদেরকে অনেকেই ভুল বুঝছে। তাছাড়া এর পেছনে কারণও রয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ছাড়াও ইসলামের নামে এক শ্রেণীর লোকের উগ্রবাদিতা ও হঠকারিতার কারণে মুসলমানরা বিভিন্নভাবে বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত। তাই, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের নামে উগ্রবাদি ও হঠকারীদের থামাতে হবে। আর বিশ্ববাসীকে বুঝাতে হবে ইসলামে উগ্রবাদ, হঠকারিতা ও জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই।

    তিনি বলেন, এসব থেকে মুক্তি পেতে সূফিবাদি মানবিক ইসলাম চর্চাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমগ্র বস্তুবাদি দর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি গণমুখী দর্শনকে দেশে দেশে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সূফিবাদি দর্শনকে ছড়িয়ে দিতে সূফিবাদি চিন্তাধারার বোদ্ধা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সম্প্রীতি ও আন্ত:যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি আরো বলেন, ইরাক ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বহু দেশে আজ রক্তপাত ও হানাহানি-সহিংসতা চলছে। মুসলিম বিশ্বে সংঘাত সহিংসতার জন্য শাসকদের গণবিমুখতা ও স্বেচ্ছাচারিতাই বড় দায়ী। শাসকরা দায়িত্বশীল ও গণমুখী হলেই চলমান বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

    সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী সারা বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বাংলাদেশে গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে পূর্ণ নিরাপত্তা ও নাগরিক মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নিতে সেদেশকে আন্তর্জাতিক চাপ দিতে বিশ্ব সংস্থাগুলেকে আহ্বান জানান। সারা বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে সূফিবাদি জনতাই নিয়ামক শক্তি হতে পারে বলে তিনি মতব্যক্ত করেন।

    সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মো: আল হোসাইনী (তুর্কী)। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ড. মো: উজ্জান আল হাদীদ আমিন।

    আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সূফি ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ড. হাসান বাশিশ (তুর্কি), ড. মাজেন শরীফ (তিউনিসিয়া), শেখ আহমদ তিজানী বিন ওমর (ঘানা), সালমান চিশতী (ইন্ডিয়া), শেখ বাজু (লেবানন), আব্দুল্লাহ শরীফ আল-উজানী (মরক্কো), ড. সোলাইমান তিজানী (নাইজেরিয়া), শায়খ ড. আব্দুল বারী (সোমালিয়া), ড. মাসউদ আহমদ রেযা (বৃটেন), ড. মো: মতিউল্লাহ নহর কারীজি (আফগানিস্তান), ড. সাইয়েদী আলী মাউন আইনাইনসহ (মরক্কো), সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, বাহরাইন, কাতার, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ। ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার পর্যন্ত চলবে এ আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন।