সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তুহিন মিয়াকে (৫) তার বাবাই হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন, চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ও বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে হত্যা করেন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আরও বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে বাবার কোলে রেখেই চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ অন্যরা মিলে তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এদিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেকের আদালতে, চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে শিশু তুহিন হত্যায় তার বাবাও জড়িত বলে জানান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাবা বছির ও ২ চাচাকে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনা হয়। এরপর টানা কয়েকঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
পরে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন তুহিনের মা মনিরা বেগম। সেই হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামে অন্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আবদুল বাছিরের পরিবারের বিরোধ ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরে অন্যদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’