২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা ডেস্ক || করোনা মহামারীতে রুপ নেওয়ায় সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখন লকডাইনে। তেমনি আমাদের দেশে অনেক জেলা-উপজেলাকেও লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাছাড়া পুরো দেশ লম্বা সাধারণ ছুটিতে।
এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনীয় ছাড়া প্রায় সকল কর্মসংস্থান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এ কদিন গৃহবন্দি থেকে অনেকের খাদ্য ভান্ডারও ফুরিয়ে এসেছে।
তেমনি একজন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। তিনি তার অবস্থার দিক বিবেচনা করে গত ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে তার গ্রামের ৩০০ কৃষকের জন্য খাবার চান।
তবে ৩৩৩ এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় ওই কৃষককে মারপিট করেছেন অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার।
বোববার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই চেযারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, করোনা কারণে আঙ্গারিপাড়া গ্রামের অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ে। গত ১০ এপ্রিল ৩৩৩ তে কল করে কৃষক শহিদুল ইসলাম তার সহ ওই গ্রামের ৩শ’ জনের খাদ্য চান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে নির্দেশ দেন। ১২ এপ্রিল রাতে এবি ইউনিয়ন পরিষদে ওই কৃষককে ডেকে নিয়ে মারপিট করেন।
স্থানীয়রা সোমবার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।
কৃষক শহিদুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ত্রাণ চেয়ে মার খেয়েছি। এ ঘটনার তিনি বিচার চান। তবে মারপিটের বিষয়টি অস্বিকার করে এবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, ত্রাণ চাওয়ার বিষয়টি তিনি উত্তেজিত হয়েছিলেন। মারপিট করেননি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, কৃষককে মারপিটের ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। গতকাল সোমবার অভিযুক্ত চেযারম্যানকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স