Tag: ত্রান বিতরণ

  • করোনা মোকাবেলায় সরকারের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে:বক্কর

    করোনা মোকাবেলায় সরকারের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে:বক্কর

    নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় সরকারের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছেবলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

    বুধবার (২৯ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে নগরীর এনায়েত বাজার নিজ বাসভবন থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে অসহায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ জন্য হস্তান্তর কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    বক্কর বলেন, করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে দেশে খেটেখাওয়া, গরীব, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সরকার যে ত্রাণ দিচ্ছে তার বেশিরভাগই চুরি হয়ে যাচ্ছে। গরিবের ঘরে চাল-ডাল পৌছানোর আগেই সেসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসায় পাওয়া যাচ্ছে। গত ১২ বছর যাবত তারা চুরি করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে যা দেখবে তাই চুরি করছে। বাজার ব্যবস্থাও সরকারের নিয়ন্ত্রনেরবাহিরে। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপন্যের দাম। একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে নামছে অন্য দিকে নিতপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপন্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। সরকারের বিভিন্ন সিন্ডেকেট ও অবব্যস্থাপনা এর জন্য দায়ি।

    এতে তিনি আরো বলেন, দেশে করোনা সংক্রামেন সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে সরকারের আরো সতর্ক হওয়ার কথা তা না করে সরকার এরই মধ্যে গার্মেন্স, বিভিন্ন কলকারখানা ও খাবার হোটেল খুলে দিয়ে দেশের মানুষকে আরো এক ভয়ারক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের আচরণে বুঝা যাচ্ছে দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোন দায়িত্ব নাই।

    তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল। জনগণের দল হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে যা যা করা দরকার বিএনপি তাই করছে। আমরা সরকারকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই দুর্যোগে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।

    ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সহ ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বুল, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী মো.মহসিন, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএাপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, বিএনপি নেতা এম এ হালিম, যুবদল নেতা আবুল কালাম, মোঃ নওশাদ, মো.বেলাল, মো. রিয়াদ, ছাত্রদল নেতা মোঃ আনাছ, আবু সালেহ আবিদ, আরিফ সোহেল, শহিদুল্লাহ রণি, মোঃ জুয়েল প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন: রেজাউল করিম

    করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন: রেজাউল করিম

    চট্টগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক কে.বি.এম.শাহজাহান এর ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস এর কারণে জনসাধারণের আয় বন্ধ।আয় রোজগার না থাকায় বিশেষ করে খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এ দেশের মানুষ ক্ষুদামুক্ত থাকুক। তাই তিনি সরকারী সকল সংস্থা সহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের কোন মানুষ যেনো অভুক্ত না থাকে, সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য। আমরা তারই নির্দেশনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে কাজ করছি।তাই আপনাদেরকেও অনুরোধ করবো করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে আপনারাও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না গিয়ে ঘরেই অবস্থান করুন। সংকট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ সরওয়ার্দী, সমাজসেবক রাজা মিয়া সওদাগর, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আকতার ফারুক,আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন খোকন,অহিদ চৌধুরী মুক্তি, প্রিয় লাল গোস্বামী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন,এম এ এইচ মানিক, আবুল কাশেম, জাহিদ হোসেন টিটু, আফতাব উদ্দিন মাহমুদ ইমন, আসিফ, আলাউদ্দিন সুমন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ হোসেন, ইফাজ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো:ইলিয়াছ উদ্দীন, মো: আবু সাঈদ সুমন, আবদুর রাজ্জাক, মাহমুদ ইউসুফ মিনার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ পেল লক্ষাধিক পরিবার

    খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ পেল লক্ষাধিক পরিবার

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি::খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৬শ ৮৬ পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

    নয় উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় এসব ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

    এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়েছে বিতরণ করা হচ্ছে নগদ অর্থ। এর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৪শ ৬৪ মেট্রিক টনের মধ্যে বিতরণ হয়েছে ১ হাজার ৮৭ মেট্রিক টনের বেশি চাল । বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরো ৩’শ ৭৭ মেট্রিক টন চাল। চাল ছাড়াও তেল, লবণ, আলু, ডালও বিতরণ করা হচ্ছে।

    ওএমএস এর বরাদ্দকৃত ৪৮ মেট্রিক টনের মধ্যে ৪৫ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে।

    এছাড়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৪শ ৬৩ মেট্রিক টনের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৩’শ ৮৯ মেট্রিক টন। বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ৭৩ মেট্রিক টন।

    খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’-খাগড়াছড়ি কমিটির সভাপতি ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান বলেন, জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনকে ত্রাণ বিতরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণে বিভিন্ন সংগঠনকে যুক্ত করা একটি ইতিবাচক উদ্যোগ।

    এছাড়া বিভিন্ন করোনা বেকার হয়ে পড়া বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

    জেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, বিতরণ করা হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্যও।

    মহালছড়ি উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত জানান,‘ আমরা উপজেলার অন্তত ৭শ ৫০ পরিবারের মধ্যে শিশু খাদ্য পৌঁছে দিয়েছি। শিশুদের জন্য গুড়ো দুধ, প্রাটিন সমৃদ্ধ বিস্কুট, সুজি ও চিনি বিতরণ করা হয়।

    পর্যায়ক্রমে প্রায় ৬ হাজার পরিবারকে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক ।

    খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান,‘ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় খাগড়াছড়ি এখনো করোনামুক্ত। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন্য জনগণকে সচেতন করেছি। একই সাথে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে স্বচ্ছতার সাথে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেয়া হচ্ছে। তারপরও যদি কেউ ত্রাণ সহায়তায় বাইরে থাকে সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের অবগত করলে ত্রাণ পৌছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ত্রাণ কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ২য় দফায় ত্রান পেল আরো ৫শ পরিবার

    আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ২য় দফায় ত্রান পেল আরো ৫শ পরিবার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বৈরাগ ইউনিয়নে ২য় ধাপে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। করোনা মহামারি দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে কর্মহীন অসহায় সিএনজি চালক ও নৌকার মাঝিদের মাঝে এসব ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়।

    আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমানের নেতৃত্বে ইউনিয়নের ৫শ জনের বেশি মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন বৈরাগ ইউনিয়ন ত্রাণ সহায়তা তহবিল।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে ২য় ধাপে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া গত (১৬ এপ্রিল) ১ম ধাপেও ৫শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন বৈরাগ ইউনিয়ন ত্রাণ তহবিল।

    আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও তহবিলের উদ্যোক্তা শওকত ওসমান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভাইয়ের নির্দেশে অসহায়, কর্মহীন মানুষের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি।

    করোনা পরিস্থিতিতে সিএনজি চালক এবং নৌকা মাঝিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে, এমন পরিস্থিতিতে বৈরাগ ইউনিয়ন ত্রাণ তহবিলের সদস্যরা তালিকা করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন তহবিলের সদস্যগণ।

    দুই ধাপে আমরা এক হাজারেরও বেশি পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। ইনশাআল্লাহ, এভাবে যতদিন সম্ভব আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বৈরাগ ইউনিয়ন ত্রাণ সহয়তা তহবিল।

    ২৪ ঘণ্টা/ জাবেদুল/আর এস পি

  • হাফিজ জুট মিল শ্রমিকদের মাঝে শ্রমিকদল নেতা রবিউলের ত্রান বিতরণ

    হাফিজ জুট মিল শ্রমিকদের মাঝে শ্রমিকদল নেতা রবিউলের ত্রান বিতরণ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:::একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন অন্যদিকে প্রায় ১০ সাপ্তাহ যাবত বেতন বকেয়া থাকায় চরম দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছে সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুট মিলের শ্রমিকরা।

    এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাছেন তারা। পাচ্ছে না কোন প্রকার সরকারী, বেসরকারী সাহায্য। এমতাবস্থায় কিছু শ্রমিকের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন হাফিজ জুট মিলস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে ব্যক্তিগত উদ্যেগে শ্রমিকদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। তার মধ্যে ছিল চাল,ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চনাবুট, আলুসহ অন্যান্য সামগ্রী।

    রবিউল হক বলেন, দেশে একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের কারণে চরম মহামারী চলছে অন্যদিকে জুট মিলস শ্রমিকদের ১০ সাপ্তাহের বেতন বাকী। যার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক মানবতার জীবন-যাপন করছেন। চরম এ দূর্দিণে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন যেমন দেওয়া হচ্ছে না তেমনী তারা পাচ্ছে কোন ত্রাণ।

    তিনি বকেয়া বেতন প্রদান করে এই দূঃসময়ে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান।