ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ উপলক্ষে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম বিডি হল প্রঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও আগের স্থানে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়ড়া উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন (এমপি) ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশ গুপ্ত।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা.সাদেক কুরাইশী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা এ্যাড.বলরাম গুহ ঠাকুরতা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সদস্য সচিব ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।
শেষে প্রবীর কুমার রায়কে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি ও প্রবীর গুপ্ত বুয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের ২য় অধিবেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।
২৪ ঘন্টা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতিরিক্ত টাকা বানানো একটা রোগ। এটা যাকে ধরে সে আরও বানাতে চায়। আর সে জন্য মানুষ অসৎ পথ বেছে নেয়।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করবে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। অসৎভাবে আয় করলে মানুষ পেছনে গালি দেয়, বলে অসৎ, চোর। তাই এ পথ পরিহার করতে হবে।
সন্ত্রাস-সহিংসতা বিএনপির পুরানো অভ্যাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানুষকে যন্ত্রণা দিতে পারে, শান্তি দিতে পারে না। এদের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমদের জন্য টাকা এসেছে সেই টাকাটা ওদের ভাগ্যে জোটেনি। খালেদা জিয়ার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খালেদা জিয়ার নামে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সে এখন কারাগারে। এটা কোন রাজনৈতিক মামলা না, একেবারে সরাসরি দুর্নীতির মামলা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের সেবায় কাজ করে। অন্যায়, দুর্নীতি তারা প্রশ্রয় দেয় না। আমরা চাই সৎ পথে আয় করে সবাই সম্মান অর্জন করুক। অসৎ পথে আয় করে, দুর্নীতি করে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা যায় না।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত-পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে পরিবেশন করার হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হাজারো নেতা কর্মীর করতালি আর শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এসময় দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকালে ইঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার।
সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা রমেশ চন্দ্র, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি সহ নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনকে ঘিরে সর্বত্র সরব আলোচনা চলছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মাঠ সংলগ্ন রেলওয়ে জেলা পুলিশ ক্লাবসহ পুরো শহরকেই সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের আওয়ামী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশের মত সৈয়দপুরেও দলের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের নতুনদের আগমনের সুযোগ সৃষ্টিতে সারা পড়েছে। দল পরিচালনার দায়িত্ব পালনকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা নিবেদিত প্রাণ ও একনিষ্ঠ তাদের সমন্বয়ে ঢেলে সাজাতে প্রস্তুত কাউন্সিলররা। একদিকে তারা যেমন নতুনত্ব আনতে আগ্রহী, তেমনি নবীন-প্রবীনের যৌথ নেতৃত্বও প্রত্যাশা করছেন অনেকে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খাঁটি আওয়ামীলীগার ও দেশপ্রেমিক নেতাকেই তাদের আগামী দিনের কর্নধার হিসেবে নির্বাচিত করতে চায় তারা।
এখন পর্যন্ত কাউন্সিলে প্রার্থীতা করার জন্য যারা প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের মধ্যে সভাপতি পদে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল। তিনি সর্বশেষ ২০০৫ সালে ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার সাথে সভাপতি হয়েছিলেন আব্বাস আলী সরকার। তিনি ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী মারা যাওয়ার পর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগকে এককভাবে পরিচালিত করে আসছেন আখতার হোসেন বাদল। তিনি ২০০৪ সালে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এখন অনেক সচেতন। তারা যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন। তবে যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা টাকার জোরে নেতৃত্ব পেতে চায় তাদেরকে দল পরিচালনার দায়িত্ব দিলে তা দলের জন্য কতটুকু ভালো হবে সে বিষয়ে সকলকে ভাবতে হবে। তবে যেই আসুক দলের প্রয়োজনে তারা যেন নিবেদিত প্রাণ হয় সেটাই আমার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আমার কোন প্যানেল নেই আমি এককভাবেই সভাপতি পদপ্রার্থী।
এদিকে ইঞ্জিনিয়ার সেকেন্দার আলী ও মোখছেদুল মোমিন এর প্যানেল এর সভাপতি প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার সেকেন্দার আলী।
তিনি বলেন, দলকে তৃণমূল থেকে সুসংগঠিত করতে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকলকে অতীত ও ভবিষ্যৎ ভাবনায় রেখেই বর্তমান নেতৃত্ব নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের নাম মুখে মুখে। তিনি রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পূর্বে তিনি সে পদ ছেড়ে দিয়ে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ তৈরী করেছেন। এ কারণে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তার প্রতি একটা ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি তৈরী হয়েছে বলে প্রচারণা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের সাথে। তিনি জানান, এটি দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের সম্মেলন। এখানে একটা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে মাত্র। প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। আমরা সবাই প্রতিযোগি এবং সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ থাকবেন। তারা যেভাবে পরামর্শক্রমে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে কাউন্সিলরদের সুযোগ দেবেন সেভাবেই হবে। আশা করি নেতা-কর্মীরা সার্বিক দিক বিশ্লেষন করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
তিনি বলেন, যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে তাতে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ কোন অপ্রীতিকর কথা প্রচার করে তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। যাদের কর্মকান্ডই নেতিবাচক বা যাদের ইতোপূর্বে গন্ডগোল করার রেকর্ড আছে তারাই সম্মেলনকে ঘিরে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। সকলের সহযোগিতায় সম্মেলন সফল করার মাধ্যমে আগামীর নেতৃত্ব যেন দলের সার্বিক কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে পারে সে প্রত্যাশাই করছি।
এর পাশাপাশি সাবেক এমপি মরহুম আলীম উদ্দিন ও বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা এমপি রাবেয়া আলীম এর ছেলে পেট্রো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোঃ রাশেদুজ্জামানের নাম শোনা যাচ্ছে প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু তিনি সভাপতি না সম্পাদক পদের প্রার্থী তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দেখেন কি হয়।
এদিকে একটি সূত্র মতে, রাশেদুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী না হলে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিকো আহমেদ প্রার্থী হবেন। পাশাপাশি সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলুও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।
সম্মেলনে উপজেলার ২৫৪ জন কাউন্সিলর তাদের মতামত দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেন। এর মধ্যে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৮৬ জন, উপজেলা কমিটির ৫২ জন এবং অন্যান্য ১৫ জন। তবে গত ২০ অক্টোবর উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী মারা যাওয়ায় মোট ২৫৩ জন কাউন্সিলর রয়েছে।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন রবিবার(২০অক্টোবর)দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এতে ৬৭ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়।
রবিবার দুপুরের দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
এরপর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
এসময় প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রাজনীতির মূল কথা হলো মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণে, দেশের জন্য এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও মুজিব সৈনিকদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা দেশের ৬৪ জেলায় শিল্পনগরী গড়ার মধ্যদিয়ে শিক্ষিত অশিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।’
আসাদুজ্জামান নূর বলেন,‘আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। সে অনুপ্রবেশকারীরা দলটাকে বিক্রি করছে, দলকে ব্যবহার করে তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছে। এসব অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে নেত্রী আজ সোচ্ছার হয়েছেন। তাদের ব্যাপারে আমাদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ,সাধারন সম্পাদক মমতাজুল হক,নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা)আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডিমলা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার,সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু সহ জেলা ও উপজেলা আ.লীগ নেতৃবৃন্দ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে আবুজার রহমানকে সভাপতি, ওয়াদুদ রহমানকে সাধারণ সম্মাদক করে ৬৭ সদস্যের সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৬ সালের সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে আলিমুদ্দিন বসুনিয়া সভাপতি ও আবুজার রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(২অক্টোবর)দিনব্যাপী ডিমলা ইসলামিয়া মহাবিদ্যালয় মিলনায়তনে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
একই দিনে দুপুরে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে সন্ধ্যায় তা গননা শেষে ফলাফলা ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ও সংগঠনটির জেলা সাধারন সম্পাদক এড.মমতাজুল হক।
সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা)আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার। সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থীর মধ্যে মোট ১৯৮ভোট পেয়ে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ও যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু নির্বাচিত হন।তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ৬৩টি ভোট পেয়ে পরাজিত হন। একই পদে অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান ৪৭টি ভোট এবং শাহআলম ৬টি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
সম্মেলনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২৫জন হলেও বিভিন্ন কারনে ভোট নষ্ট হয়েছে ৯টি।
এর আগে সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
এ সময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক-বিএম মোজাম্মেল হক।