Tag: থানা

  • মিরসরাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরী অপহরণ! মামলা নেয়নি থানা

    মিরসরাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরী অপহরণ! মামলা নেয়নি থানা

    মিরসরাইয়ে ফারহানা (ছদ্মনাম) নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরী স্থানিয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

    স্থানীয় বখাটে ফিরোজ খান প্রকাশ মাসুম (২০) তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। রবিবার (১৫ মে) সকাল ৯টায় উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠানালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ খান মাসুম একল এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে।

    কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বখাটে ফিরোজ খান তার অবুঝ কন্যাকে বিভিন্ন সময় উত্তক্ত করতো। গত ২৩ এপ্রিল রাত ৯টায় ফারহানা কিশোরী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়ে দিতে ঘর থেকে বের হলে ফিরোজ খান তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশ্ববর্তী বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।

    ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর পিতা ফারুক হোসেন অভিযুক্ত ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে মামলা করতে মিরসরাই থানার শরণাপন্ন হলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের সরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়।

    পরবর্তীতে গত ২৮ এপ্রিল কিশোরীর মা চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে ফিরোজ উদ্দিন প্রকাশ (মাসুম) কে আসামী করে মামলা (নং-১৩৪/২০২২) দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    কিশোরীর মা জানান, আদালতে মামলা করার পর ফিরোজ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। শনিবার (১৪ মে) রাতে সে আমাদের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে ফারহানাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। অন্যথায় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়।

    এরপর রবিবার (১৫ মে) আমার অবুঝ মেয়েকে বাড়িতে কোথাও খুঁজে পাইনি। এঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলা করতে আসলে পুলিশ অদৃশ্য কারণে মামলা না নিয়ে নিঁখোজ ডায়েরী (নং-৬২৫) নেয়। মেয়েকে খুঁজে দিতে ও বখাটে ফিরোজ খানের শাস্তির জন্য তিনি আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, একজন মহিলা এই ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বলে শুনেছি। যে টুকু জেনেছি ওটা প্রেম জনিত ঘটনা। তবে বিস্তারিত আমি এখনো জানিনা। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় মামলা রুজু পূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    ২৪ ঘন্টা/আশরাফ উদ্দিন/রাজীব

  • কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল,গুলি ও ককটেলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    গত ২৪ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামির অবস্থান শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ১২টার সময় পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে। এসময় দুজন গ্রেফতার হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার বাংগরা বাজার পূর্বধৈইর মো. আব্দুল খলিল মিয়া প্রকাশ খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ওসমান মিয়া প্রকাশ উসমান (২৯) এবং ফেনী জেলার দাগনভুইঁয়া দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কাজলের ছেলে মো. আরিফ (১৯)। বর্তমানে দুজনই নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আকবরশাহতে আসামির অবস্থান শনাক্ত হয়।

    মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় আকবরশাহ থানা এলাকার বিজয় নগর এলাকা থেকে উসমান মিয়া ও মো.আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ১ টি ককটেল এবং ১১টি রামদা পাওয়া যায়।

    ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং আকবরশাহ থানা এলাকায় অবৈধভাবে জমি দখলে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উসমান মিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি, খুলশী ও আকবরশাহসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টির অধিক মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আকবরশাহ থানায় নতুন একটি এজাহার দায়ের করার কথা জানিয়েছেন ওসি মহসীন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • থানাকে করোনা মুক্ত রাখতে পুলিশের ভিন্ন পদ্ধতি

    থানাকে করোনা মুক্ত রাখতে পুলিশের ভিন্ন পদ্ধতি

    আশরাফ উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি ::::থানার পুলিশ সদস্যের করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখতে সেবে গ্রহীতাদের সেবা প্রদানে ভিন্ন পদ্ধতি হাতে নিয়েছে মিরসরাই থানা। এই ব্যাতিক্রমি ব্যবস্থায় থানায় কোন সেবা গ্রহীতা আসলে তিনি সরাসরি ডিউটি অফিসারের সাথে দেখা করতে পারবেন না ভিন্ন কক্ষ থেকে ইন্টারকম টেলিফোনের মাধ্যমে তার অভিযোগ অবহিত করবেন।

    সোমবার ( ২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশের এই বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

    দুপুর ১টায় সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শামসুদ্দিন ছালে আহম্মদ চৌধুরী পিপিএম (বার) উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    এসময় তিনি বলেন, থানায় আগত সেবাপ্রার্থী সহ সকল বহিরাগতদের থানায় প্রবেশ পথে ইন্টারকম ফোনে ডিউটি অফিসার এর সাথে কথা বলবেন।ওখান থেকেই সমাধান দেওয়া সম্ভব হলে তিনি থানায় প্রবেশ করবেন না।সমাধান সম্ভব না হলে ওখানে তার শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে গোল ঘরে বসিয়ে সার্ভিস ডেলিভারি অফিসার ডিউটি অফিসার অথবা অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশ মোতাবেক অভিযোগকারীর অভিযোগ লিখতে সহায়তা করবেন। উক্ত অভিযোগ এর ভিত্তিতে ডিউটি অফিসার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    অভিযোগ অধিক গুরুত্বপূর্ণ হইলে ডিউটি অফিসার কিংবা অফিসার ইনচার্জ সরাসরি অভিযোগ কারীর বক্তব্য শুনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    মিরসরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান বলেন, এই সার্ভিসের ফলে একদিকে যেমন বিচারপ্রার্থী মানুষ সহজে দ্রুত সেবা পাবে, সেই সাথে থানার অফিসাররা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপদে সেবা দিতে পারবেন। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে নিজেদের কিছুটা হলেও নিরাপদে রাখতে পারবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • থানায় যুবলীগ নেতার জন্মদিন পালন করলেন ওসি!

    থানায় যুবলীগ নেতার জন্মদিন পালন করলেন ওসি!

    রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বলাৎকারের অভিযোগে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমনের জন্মদিন পালন করেছেন ওসি গোলাম মোস্তফা।

    রবিবার রাতে আলোচিত যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমনকে নিয়ে ওসি নিজ চেম্বারে কেক কাটেন। পরে কাউন্সিলর সুমন ওসির আমন্ত্রণে থানায় জন্মদিন পালনের খবর নিজের ফেসবুক পেজে ছবিসহ শেয়ার করেন।

    জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর ছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে দিনভর ওই ওয়ার্ডে নানা ব্যক্তির উদ্যোগে কেক কাটা হয়। সুমন নিজের ফেসবুকে সেগুলোর বর্ণনাসহ কৃতজ্ঞতা জানান। পরে রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফার কক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। ওসির আমন্ত্রণে সুমন থানায় হাজির হন। এসময় ওসি গোলাম মোস্তফা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে ওসিকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন সুমন। এসময় ওসি গোলাম মোস্তফা তাকে কেক খাইয়েও দেন। অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ও একজন এসআইও উপস্থিত ছিলেন।

    থানায় জন্মদিন পালনের বিষয়ে সুমন ছবিসহ নিজের ফেসবুকে লিখেন, ‘চন্দিমা থানার ওসি সাহেব গোলাম মোস্তফা মহোদয়ের স্নেহময় ভালোবাসায়’। ছবিতে দেখা যায়, কাউন্সিলর সুমন এবং ওসি মোস্তফা মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কাটছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে হাত তালি দিচ্ছেন ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ও একজন এসআই।

    এবিষয়ে কাউন্সিলর সুমন বলেন, ‘সবার ভালবাসায় বিভিন্নস্থানে কেক কেটে তিনি জন্মদিন উদযাপন করেন। চন্দ্রিমা থানার ওসি মোস্তফা সাহেব তাকে ভালবাসেন। তাই তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার আমন্ত্রণেই গিয়ে কেক কেটেছেন।’

    যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফার সরকারি ফোন রিসিভ করেন ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘স্যার (ওসি) মিটিংয়ে আছেন’। তবে কাউন্সিলর সুমনের জন্মদিনে থানায় কেক কাটা অনুষ্ঠানের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যুবলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে নগরীর শিরোইল এলাকার এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে। তখন এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপরই সুমনকে মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।