Tag: থানায় মামলা

  • কাউন্সিলর জসিম ও চসিকের ৩ প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    কাউন্সিলর জসিম ও চসিকের ৩ প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন প্রকৌশলী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে নগরের আকবর শাহ থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাছান আহম্মদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

    মামলায় আসামিরা হলেন- সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালি আহমেদ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি হক ব্রাদার্সের ওমর ফারুক ও তাকিয়া বেগম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল।

    এ বিষয়ে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত করবে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকালে আকবর শাহ এলাকার বেলতলী ঘোনায় এডিবির অর্থ সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাস্তা নির্মাণের সাথে রিটেইনিং ওয়াল তোলার সময় পাহাড়ের মাটি ধসে এক শ্রমিক নিহত ও তিনজন আহত হন।

    এ ঘটনায় নিহত শ্রমিক মুজিবুর রহমান খোকার স্ত্রী বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিনদিন পর পরিবেশ অধিদপ্তর আরেকটি মামলা করলো।

  • রিজভী-সোহেল-নিপুণসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    রিজভী-সোহেল-নিপুণসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    রাজধানীর শাহবাগ থানায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নিপুণ রায়, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপির ২৯ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

    বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় এসআই মো. গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির অজ্ঞাত আরও ১০০/১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    মামলায় আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী শপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারসহ অনেকে।

    জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীর বিজয়নগরে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির মিছিল বের হলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

    পুলিশ এ সময় যুবদল নেতা শরীফসহ ৪ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানান মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ওই মামলাটি করে বলে জানা গেছে।

  • প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা

    হাটহাজারী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ হাটহাজারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় হাটহাজারী মডেল থানায় ৫০৬/১১৪নং দন্ড বিধির ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪২৭ ধারায় একটি মামলা করেছেন দ্বীন মোহাম্মদ নামে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা।

    সূত্র জানায়, গত সোমবার উপজেলার নাজিরহাটে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু স্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি নামে একটি সংগঠন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের এক পর্যায়ে হঠাৎ বাহির থেকে কিছু দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে জন্মদিনের কেক,চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। এই ঘটনায় দ্বীন মোহাম্মদ নামে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা বাদী হয়ে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের আবু তৈয়ব, এরশাদ, রায়হানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনকে আসামী করে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪২। তারিখ: ২৯/০৯/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।

    আওয়ামীলীগের নেতা রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য শওকত আলম এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা এই অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হুদা মনি বলেন এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার (ওসি তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ অপরাধীরের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/মালেক/পারভেজ

  • ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ থানায় মামলা, আটক-৩

    ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ থানায় মামলা, আটক-৩

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাইম ইসলাম রাজু (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। নাইম ইসলাম রাজু ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

    এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাইম ইসলাম রাজুকে প্রধান আসামী করে মোট ৯ জন সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৭/৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    এ মামলার ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলেন, নাইম ইসলাম রাজুর বাবা নজরুল ইসলাম, তার মা মোছা: নাসিমা বেগম, ও তার খালু কামাল হোসেন।

    মামলার অন্তর্ভূক্ত আসামীরা হলেন, নাঈম ইসলাম রাজু(২২), নাজমুল ড্রাইভার (৩০), সবুজ(২৫), সুমন(২৫), বাবু- ওরফে বড় বাবু(৩২), মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু, মোছা: নাসিমা বেগম(৪৫), আ: হান্নান কাজী, নজরুল ইসলাম(৫২)।

    মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উত্তর-পশ্চিম দিকে ফার্মে থাকা ওই স্কুল ছাত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে নিজ বাড়িতে আসছিলো। ওই স্কুল ছাত্রী সুগার মিল কালি মন্দীরের সামনে পাকা রাস্তার উপর আসলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে ঘেরাও করে ধরে প্রধান আসামী নাঈম ইসলাম রাজু সহ তার সহযোগিরা। সেখানে ওই স্কুর ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মোটর সাইকেল যোগে স্থানীয় ওয়াপদা কোলনির একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ।

    এজাহারে আরও বলা হয়, সেখানে রাত ১০ টার দিকে মামলার অন্যতম আসামী আ: হান্নান কাজীর পরামর্শে অজ্ঞাত কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার অন্তর্ভূক্ত আসামী হান্নান কাজীর দুই ছেলে বাবু ওরফে বড় বাবু ও মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু ওই স্কুল ছাত্রীকে জীবন নাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একশত টাকা মূল্য মানের দুই পাতা অলিখিত নন্জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের উপরে দুইটি এবং নীল পাতা সম্বলিত রেজিষ্টার বইয়ে একটি সাক্ষর জোর পূর্বক ভাবে করিয়ে নেন। এজাহারে আরও বলা হয়, সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে মামলার প্রধান আসামী সহ তার সহযোগিরা মোটর সাইকেল যোগে রুহিয়ার সেনিহারী গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে মামলার প্রধান আসামী নাঈম ইসলাম রাজু। সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রী মুঠোফোনে তার মাকে জানালে সেখানে তার মা স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় নিয়ে আসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে এবং সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এর আগে স্কুল যাওয়ার পথে প্রায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো নাইম ইসলাম রাজু এমনটিও বলা আছে এজাহারে।

    মঙ্গলবার বিকালে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে হাসপাতালে কথা বলতে গেলে তার সে শারীরিকভাবে অসুস্থ থকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরদিন তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসলে বেলা ১২ টার দিকে তার সাথে তার বাড়িতে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি এবং তার পরিবারের কোন সদস্য কথা বলতে রাজি হয়নি।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী নাইম ইসলাম রাজু পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।মামলার আরেক আসামী, নাইম ইসলাম রাজুর বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই স্কুল ছাত্রী অনেক আগে থেকে আমার ভাইয়ের পিছনে ঘুরতো এবং তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করতো। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে বিচার শালিশ ও করেছে। দুই পক্ষের পরিবার সেটা জানে। আমি মনে করেছিলাম আমার ভাইয়ের সাথে হয়তোবা ওই মেয়ের কোন সম্পর্ক আছে। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় আমরা বিয়ে দিতে পারিনি। আমি ওই মেয়েকে বুঝিয়েছি লেখা পড়া শেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে নিয়ে ভাবা যাবে। তিনি আরও বলেন, কোন রকম কোন অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, ওই মেয়ে নিজে এসেছে এবং আমার ভাইকে ফাঁদে ফেলেছে। এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ কেনো করেছে তাদের আসল উদ্দ্যেশ্য কি বুঝতে পারছিনা আমরা। আমাদের হয়রানি করতেই এমন মামলা করা হয়েছে।এ বিষয়ে আ: হান্নান কাজী জানান, আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমি কিভাবে মামলার আসামী হলাম বুঝতে পারছিনা। আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কারন আমি এমন কোন বিয়েই তো দেইনি। আর কিছু জানিও না। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি যদি কাউকে বিয়ে দিতাম আইনের বিধান উপেক্ষা করে তাহলে না হয় আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ মানা যেতো। আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা না হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আপনার দুই ছেলে এই মামলার আসামী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন মামলা উদ্দেশ্য জনিত ও মিথ্যা।এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১ নং আসামী সহ বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অবহ্যাত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • হরিপুরে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা থানায় মামলা

    হরিপুরে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা থানায় মামলা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় রিমা (৭) নামে এক কন্যা শিশুকে শ্বাসরোধ করে রাজু (১৩) নামে এক কিশোর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এবিষয়ে শিশু কন্যা রিমার বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাকারী রাজুকে ১নং আসামী করে ৪ জনের নামে হরিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

    হরিপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকাল ৩টার দিকে শিশু কন্যা রিমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরন করেন।

    হত্যাকারী রাজু (১৩) হরিপুর উপজেলার বকুয়া (কাসুয়াপাড়া) গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। শিশুকন্যা রিমা এই গ্রামের প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের কন্যা।

    এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নাস্তা খেয়ে বাড়ি থেকে শিশু কন্যা রিমা বের হয়। রিমাকে ৩/৪ ঘন্টা ধরে তার বাবা-মা বাসায় দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীদের বাড়ি ও আশে-পাশে খোঁজাখুজি শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে প্রতিবেশী আব্দুল বারেকের তালাবদ্ধ টিনসেট ঘরের দরজার ফাঁক দিকে জনৈক এক ব্যক্তি শিশুকন্যা রিমার মরদেহ ঘরের মেঝেতে দেখতে পায়। বিষয়টি হরিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। তৎক্ষণাৎ হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকারী রাজুর বাবার শয়ন ঘর থেকে শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করেন।

    হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ৭ বছরের এক শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • বাঁশখালীতে মায়ের সাথে ঝগড়া করে ঘর থেকে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী! থানায় মামলা

    বাঁশখালীতে মায়ের সাথে ঝগড়া করে ঘর থেকে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী! থানায় মামলা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় মায়ের সাথে ঝগড়া করে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী।

    গত ২৭ এপ্রিল সোমবার রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়ন ঘোণাপাড়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে গতকাল ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ধর্ষিতা তরুনীর পিতা বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়।

    থানা সূত্রে জানা যায়, এক তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের পিতা। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালের ওয়ান এস্টপ ক্রাইসিসি (ওসিসি) পাঠিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে পারিবারিকভাবে কথা কাটাকাটি শেষে মায়ের সাথে রাগ করে কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরিয়ে যান উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম তরুণীটি।

    সড়কে যানচলাচল না থাকায় সে পায়ে হেটে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন বৈলছড়ির ঘোনাপাড়া এলাকার খালেদা আক্তার নামে এক নারীর ঘরে আশ্রয় নেন।

    স্থানীয় বখাটে আব্দুল মজিদ, আবু তালেব ও অপর এক যুবকসহ তরুণীকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এবং চাকুরির মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তরূণীকে তাদের বাড়ি পৌছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আশ্রিত বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।

    বখাটেরা রাত ৯ টার দিকে চেচুরিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া জিত্তা পুকুরের উত্তর পার্শ্বে ম্যালেরিয়া ও গামারি গাছের বাগানে নিয়ে তরুণীকে গণ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

    পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে চিহ্নিত আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে।

    থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা চিহ্নিত হয়েছে। র্বতমানে তারা পালাতক আছে তবে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ছাত্রী

    ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ছাত্রী

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে প্রভাত চন্দ্র (২৫) নামের এক প্রাইভেট শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়েছে এক ছাত্রী (১৬)। বর্তমানে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    রোববার (১৫ মার্চ) সকালে জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

    রোববার রাতেই ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র (২৫) ও তার সহযোগী লিটন দাস (৩০) এর নাম উল্লেখ করে হরিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শিক্ষক শ্রী প্রভাত চন্দ্র হরিপুর উপজেলার সকল ভিটা গ্রামের ভেটকু শিং এর ছেলে এবং সহযোগী লিটন দাস একই উপজেলার বজরুক গ্রামের উদ্র মোহনের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।

    জানাযায়, ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রী হরিপুরের ধীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। রোববার তার
    প্রাইভেট শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র তাকে পুরনো বই স্কুলে ফেরত দেবার জন্য ফোনে যেতে বলে। বই জমা দিয়ে ফেরার পথে বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র ও তার সহযোগী লিটন দাস তাকে পরীক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনে তার বান্ধবি আছে বলে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে নেবার পরে তারা তাকে নাকে রুমাল দিয়ে
    চেতনানাশক ব্যাবহার করে অজ্ঞান করে এবং পালাক্রমে ধর্ষন করে।

    এসময় ওই ছাত্রীর রক্ত ক্ষরণ হলে তারা তাকে হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং দূর্ঘটনা
    হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়। রক্ত ক্ষরণ বেশি হলে ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার জ্ঞান ফিরে এলে পরিবারের নিকট সব ঘটনা খুলে বলে সে। রাতেই দুই জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা কয়েকজন কে আসামি করে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করে তার বাবা।

    হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুজ্জামান জানান, আসামীদের ধরার জন্য আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তারা পলাতক রয়েছে তবে খুব দ্রতই তাদের আইনের আওতায় নিতে পারবো বলে আশা করছি।

  • বোয়ালখালীতে শিশুকে বলৎকার : মুদি দোকানদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা!

    বোয়ালখালীতে শিশুকে বলৎকার : মুদি দোকানদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক মুদির দোকানদারের বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী এক শিশুকে বলৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এ ঘটনায় গতকাল ১৫ মার্চ রবিবার রাতে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মুদির দোকানদার আবদুল আজিজ সওদাগরের (৪২) বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    আবদুল আজিজ সওদাগর উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী চরখিজিরপুর ৯নং ওয়ার্ডের সুলতান সওদাগর বাড়ীর মৃত অলি সওদাগরের ছেলে। তিনি ওই এলাকার মুদির দোকানদার। শিশুটি স্থানীয় হেফজখানার ছাত্র।

    অভিযোগে বলা হয়, গত ১১মার্চ স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়ীর জন্য রুটি নিয়ে ফেরার পথে মুদির দোকানদার আবদুল আজিজ শিশুটিকে ডেকে নেয়।

    অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে দোকানের ভেতরে জোরপূর্বক বলৎকার করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানো জন্য ভয় দেখিয়ে দোকান থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে সে অসুস্থ বোধ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

    শিশুটির চাচাতো ভাই মো. রুবেল জানান, এ ঘটনা পর থেকে আবদুল আজিজ পলাতক রয়েছে। সে আরো এ ধরণের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। মান সম্মানের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ঘটনার ৫দিন পর শিশুটির পিতা বাদী হয়ে আবদুল আজিজকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে ঘটনা তদন্ত ও আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

    ২৪ ঘন্টা/পূজন সেন/ আর এস পি