Tag: দক্ষিণ কোরিয়া

  • দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

    দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

    দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে দ্বিতীয়ার্ধে আর বল জড়াতে পারেনি ব্রাজিল। বরং, কাম ব্যাক করার চেষ্টা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যার ফলে একটি গোল শোধও করতে সক্ষম হয় তারা। তবুও নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।

    এটাই মূলত ব্রাজিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যারা এসেছে কাতারে। তাদের পা থেকে এমন সুন্দর ফুটবলের পসরা সাজানো খেলাই দেখতে চায় ভক্ত-সমর্থকরা। শত্রুরাও ব্রাজিলের খেলা দেখতে বসে সুন্দর ফুটবলের আশায়।

    গ্রুপ পর্বে নেইমারসহ বেশ কয়েকজনের ইনজুরির কারণে সত্যিকার ব্রাজিলকে দেখতে পাওয়া যায়নি। অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পাওয়া গেলো। প্রতিপক্ষে রক্ষণদুর্গ চূর্ণ করে কিভাবে একের পর গোল দেয়া যায়, সেটাও দেখা গেলো। ঠিক জোগো বোনিতো।

    নেইমার, ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন, রাফিনহা কিংবা লুকাস পাকুয়েতা- তাদের পায়ে সুন্দর ফুটবলে জোগো বোনিতোর দেখা মিলেছে। গোলের পর আবার সাম্বা নাচের অসাধারণ ডিসপ্লেও হয়েছে মাঠের মধ্যে। ব্রাজিলিয়ানদের গোল সেলিব্রেশন নিঃসন্দেহে আর সবার চেয়ে আলাদা।

    গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অসংখ্য আক্রমণ করেও ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোল পায়নি সেলেসাওরা। উল্টো ১ গোল হজম করে হারতে হয়েছিলো তাদের। কিন্তু নকআউটে এসে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে গুনে গুনে বল জড়াতে শুরু করেছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধেই চারবার বল জড়ায় তারা এশিয়ার অন্যতম প্রতিনিধিদের জালে। গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস, নেইমার, রিচার্লিসন এবং পাকুয়েতা।

    ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন, নেইমার এবং রাফিনহার সমন্বয়ে গড়া হয়েছে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ। ভয়ঙ্কর এই আক্রমণভাগকে রোখার সাধ্য দক্ষিণ কোরিয়ার ছিল না।

    বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে এই ম্যাচে দলে ফিরেছেন নেইমার। তার ফেরাতে যেন দল পুরোপুরি উজ্জীবিত এবং ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই গোল বের করে নেয় সেলেসাওরা। এরপর ১২, ২৯ এবং ৩৬তম মিনিটে আরও তিনবার দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল জড়িয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু আক্রমণেও গোল আর বের করা যায়নি। বরং, কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে একটি গোল আদায় করতে সক্ষম হয়েছে তারা।

    ম্যাচের ৭ম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে অসাধারণ এক আক্রমণ সাজান রাফিনহা। তিনি ডানপ্রান্ত বল ঠেলে দিলে সেটা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেয়ে যান এবং সময় নিয়ে ডান পায়ের শট নেন তিনি। জড়িয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।

    ১১তম মিনিটে বক্সের মধ্যে রিচার্লিসনকে ফাউল করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় জুং উ ইয়ং। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ১২তম মিনিটে স্পট কিক নেন নেইমার। জড়িয়ে যায় কোরিয়ানদের জালে।

    ১৬ মিনিটে গোলের অসাধারণ এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। হাওয়াং হি চানের দুর্দান্ত শটটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় গোল থেকে ব্রাজিলকে বাঁচান গোলরক্ষক অ্যালিসন।

    ২৩ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের অসাধারণ এক শট ফিরিয়ে দেন কোরিয়ান গোলরক্ষক। ২৯তম মিনিটে অসাধারণ এক সম্মিলিত আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল। এবার গোলদাতা রিচার্লিসন।

    নিজে বক্সের সামনে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দারুণ স্কিল দেখান। এরপর বল ঠেলে দেন মার্কুইনহোসের দিকে। তিনি বল দেন থিয়াগো সিলভার কাছে। সিলভা আলতো টোকায় বল ঠেলে দেন বক্সের ভেতরে। পেয়ে যান রিচার্লিসনই। সামনে গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আলতো টোকায় বলটি তিনি জড়িয়ে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।

    ৩২তম মিনিটেই দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। এবারও হাওয়াং হায়ে চান শট নিয়েছিলেন ব্রাজিলের পোস্ট লক্ষ্যে। কিন্তু অ্যালিসন তৎপর ছিলেন সেখানে। বল তার হাতের মুঠোয় চলে যায়।

    ৩৬তম মিনিটেই একহালি ব্রাজিলের। এবার গোলদাতা লুকাস পাকুয়েতা। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এসে বামপ্রান্তে ভিনিসিয়ুসকে পাস দেন নেইমার। ভিনিসিয়ুস বলটি নিয়ন্ত্রনে নিয়েই আলতো টোকায় বল বক্সের মধ্যে ডানপ্রান্ত ফেলেন। লুকাস পাকুয়েতা এক শটেই সেই বলটি জাড়িয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।

    ৪৫ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান রিচার্লিসন। গোলরক্ষকই ছিল শুধু তার সামনে। রিচার্লিসনের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলটি পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তিনিও পারেননি বলটি কোরিয়ানদের জালে জড়াতে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৪৭তম মিনিটে) গোলের সোনালি এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। সন হিউ মিন একেবারে গোলরক্ষকে সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার শটটি অসাধারণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন অ্যালিসন।

    ৫৪ত মিনিট গেলের অসাধারণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন রাফিনহা। মাঝ মাঠ থেকে লম্বা পাসে বল পেয়ে ডান প্রান্ত ধরে বল নিয়ে তিনি প্রবেশ করেন কোরিয়ার জালে এবং কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন কোরিয়ার জালে। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল হওয়া থেকে রক্ষা করেন। ভিনিসিয়ুস ফিরতি বল পেলেও বল বাইরে মেরে দেন।

    ৬২ মিনিটে আরও একটি দারুণ সুযোগ ব্রাজিলের। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান নেইমার। এরপর বল ডেন ডানপ্রান্তে রাফিনহাকে। বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বাম পায়ের অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় দক্ষিণ কোরিয়া।

    ৬৮ মিনিটে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। সন হিউং মিনের শট প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন গোলরক্ষক অ্যালিসন। ওই সময় গোলমুখে ছোট বক্সে হালকা জটলা তৈরি হয়। ওই একই সময়ে জটলার ভেতর থেকে আরও দু’বার গোলমুখে শট নিলে প্রথমে মার্কুইনহোস এবং পরে আলভেজ দলকে গোল থেকে রক্ষা করেন।

    ৭৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথমে ফ্রি-কিক পায় কোরিয়ানরা। শট নেন সন। ডিফেন্সের দেয়ালে লেগে বল ফিরে আসলে সেটি পেয়ে যান সিউং হো পাইক। বাম পায়ের অসাধারণ এবং বুলেট গতির এক শটে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

    ৮০তম মিনিটে আবারও অ্যালিসনের দক্ষণতা এবং ক্ষিপ্রতায় রক্ষা পায় ব্রাজিল। এবার গোলের জন্য শট নেন কোরিয়ার এক স্ট্রাইকার; কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোল থেকে ব্রাজিলকে রক্ষা করেন তিনি।

    ৮৯ তম মিনিটি বক্সের বাম প্রান্ত থেকে ক্রস দেন মার্টিনেলি। দানি আলভেজ অসাধারণ এক শট নিলে কোরিয়ান ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে দলকে গোল থেকে রক্ষা করেন।

  • পর্তুগালকে হারিয়ে নকআউটে দক্ষিণ কোরিয়া

    পর্তুগালকে হারিয়ে নকআউটে দক্ষিণ কোরিয়া

    দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে জিততেই হতো দক্ষিণ কোরিয়াকে। এই পরীক্ষায় সফল কোরিয়ানরা। পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করল দক্ষিণ কোরিয়া।

    ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হওয়ার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে পর্তুগাল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে সমীকরণ এমন ছিল যে, জিতলেই পরের পর্বে। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে আরেকটি অঘটন দেখলো বিশ্ব। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে পা রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

    প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পর্তুগালের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে আগেই। মাঠে নেমেই আগ্রাসী পর্তুগাল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোল পায় ড্যালোটের অ্যাসিস্টে গোল করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রিকার্ডো হোরতা। এগিয়ে গিয়ে থেমে থাকেনি পর্তুগিজরা। একাধিক আক্রমণ শানালেও আর গোল পায়নি তারা।

    বলা ভালো পেতে দেননি দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক কিম। কোরিয়ার গোলমুখে পর্তুগাল শট নেয় ৯টি, যার ৬টি অন টার্গেট। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া লড়াই করে সমানতালে। ফলশ্রুতিতে ২৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান কিম উন। গোটা প্রথমার্ধে পর্তুগিজদের গোলমুখে ৫টি শট নেয় কোরিয়ানরা। ৪৪ শতাংশ বল পজিশনে রেখে ভালোই জবাব দেয়।

    ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর মাঠে নেমে আরও গোছালো ফুটবল খেলে এশিয়ার দলটি। একের পর এক আক্রমণ করেও গোল পাচ্ছিলো না। তবে ৯২ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে একা বল টেনে নেন সন, পর্তুগালের বক্সের বাইরে পাস দেন হোয়াং হিচানকে। সেখান থেকে সুযোগ মিস করেননি এই ফরোয়ার্ড।

    যাদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত ছিল, তারাই উঠে গেল পরের পর্বে। কাতার দেখলে আরেকটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। শেষের আগে হার না মানার মানসিকতায় দক্ষিণ কোরিয়া বার্তা দিল, বিশ্বকাপ উন্মুক্ত।

  • কোরিয়ার বিপক্ষে ঘানার দুর্দান্ত জয়

    কোরিয়ার বিপক্ষে ঘানার দুর্দান্ত জয়

    কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানা ম্যাচ বাড়তি সময় যুক্ত করে ১০০ মিনিটের বেশি গড়িয়েছে। রোমাঞ্চ ভরা ম্যাচে ঘানার গোল বারে ২২টি শট নিয়েছে কোরিয়া। বিপরীতে ঘানা নিয়েছে মাত্র ৭টি শট। ঘানার গোলে কোরিয়ার এমন ঝড়েও শেষ হাসি হেসেছে আফ্রিকার দলটি। মূলত কোরিয়া ঝড় ঠেকিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল ঘানা। ৩-২ গোলে আসরের একমাত্র পেল তারা।

    সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৭টায় কাতার বিশ্বকাপের ৯ম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁচা-মরার ম্যাচে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানা। ‘এইচ’ গ্রুপে এটি দুদলের দ্বিতীয় ম্যাচ।

    রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠার জন্য দুদলেরই জয়ের প্রয়োজন ছিল। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বল দখলে খানিকটা দক্ষিণ কোরিয়া এগিয়ে থাকলেও আক্রমণের ধার ছিল না সন হিউয়েন মিনদের। এদিকে প্রতিপক্ষে রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে আফ্রিকান দলটি।

    কিন্তু এরপরও কাঙ্ক্ষিত প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২৪তম মিনিট পর্যন্ত। এ সময় জর্ডান অ্যাওয়ের দেওয়া ক্রসে উড়ে আসা বল শঙ্কামুক্ত করতে পারেননি দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। সেই সুযোগে কাজে লাগিয়ে ২০১০ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথমার্ধে দলকে গোল এনে দেন মোহাম্মেদ সালিসু।

    এর মিনিট দশেক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মেদ কুদুস। এবারও অ্যাসিস্ট করেন জর্ডান অ্যাওয়ে। ৩৪তম মিনিটে তার ক্রস থেকে আসা বল আলতোভাবে হেড করে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল পাঠান কুদুস। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ২-০ গোল ব্যবধানে।

    প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় উত্তেজনার পারদ ছড়ায়। মাত্র চার মিনিটের মাথায় জোড়া গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেন চো হু সাং। পরে ঘানা আরেকটি গোলে ৩-২ এ এগিয়ে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে ঘানা শিবির জর্জরিত করলেও গোলের দেখা পায়নি কোরিয়া।

  • উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ গোলশূন্যতে ড্র

    উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ গোলশূন্যতে ড্র

    শুরুতে খেলার গতি ছিল মন্থর। এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে গোলের নেশায় বুদ হয়ে ওঠে দুদল। কিন্তু আসেনি সাফল্য। দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও দেখা মিললো একই চিত্র। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ব্যবধানেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। আর তাই পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ল উরুগুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

    এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বল দখলে ও আক্রমণে খানিকটা এগিয়ে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। পুরো ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হয়েছে উরুগুয়ে। তবে আক্রমণে ধার ছিল না তেমন। পুরো ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার গোলবার বরাবর কেবল একটি শট নিতে পেরেছেন সুয়ারেজ-কাভানিরা।

    এদিকে পুরো সময়ের ৪৫ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখেন দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু আক্রমণে ছিল না ধার। প্রতিপক্ষের গোলবার বরাবর অর্থাৎ অনটার্গেটে শট নিতে পারেনি একটিও।

    ম্যাচের ১৯তম মিনিটে হোসে মারিয়া হিমেনেসের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেদে ভালভার্দের নেয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ২২তম মিনিটে হিমেনেসের দেয়া লম্বা পাস লুইস সুয়ারেস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্রস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে। লাফিয়ে ভলি করার চেষ্টায় বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি লিভারপুল ফরোয়ার্ড নুনেস।

    আর বিরতির ঠিক আগে উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার ও দলনেতা দিয়েগো গোডিনের হেড পোস্টে লেগে ফিরে এলে মেলেনি কাঙ্ক্ষিত গোল। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতেই।

    দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় দুদলই গতি বাড়ায়। ফলে চলতে থাকে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু কেউই আদায় করতে পারছিলো গোল। এভাবেই শেষ হতে যাচ্ছিল নির্ধারিত সময়। কিন্তু ৮৯তম মিনিটে ফের একবার পেয়ে যাচ্ছিল গোল। দুর্ভাগ্যবশত ফের একবার গোলপোস্টে বল লেগে তা ফিরে আসে। আর শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানেই।

  • কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত ১৫১

    কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত ১৫১

    দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১ জনে ঠেকেছে। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। সেক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানী সিউলের ইথেওন এলাকায় পদদলনের ঘটনাটি ঘটে।

    সিউলের দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা চোই সুং-বিওম বলেছেন, হ্যালোইন উদ্‌যাপনের মধ্যে একটি সরু গলিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত হলে পদদলনের ঘটনাটি ঘটেছে।

    করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সিউলে হ্যালোইন উৎসব বন্ধ ছিল। করোনা আবহে এবারই প্রথম হ্যালোইন উৎসব আয়োজন হলো। সেখানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল না।

    হ্যালোইন উৎসব পালনকারীদের কাছে সিউলের ইথেওন এলাকা খুবই জনপ্রিয়। গতকাল শনিবার রাতে ওই এলাকায় অন্তত এক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন।
    পদদলনের ঘটনার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে পোস্ট দিয়ে সেখানে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ এটাও বলেছেন যে, ওই স্থান নিরাপদ নয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পদদলনের ঘটনার আগে সেখানে গোলমাল সৃষ্টি হয়। পুলিশ উপস্থিত জনতাকে সামাল দিতে পারেনি।

    পদদলনের ঘটনাস্থলের কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার ওপর ব্যাগে করে মরদেহ রাখা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসাসেবা দিয়ে আহত ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। রাস্তায় একজন আরেকজনের ওপর পড়ে আছেন।

  • নেইমারের জোড়া পেনাল্টিতে ব্রাজিলের বড় জয়

    নেইমারের জোড়া পেনাল্টিতে ব্রাজিলের বড় জয়

    তিতের ব্রাজিলের সামনে আশা জাগিয়েও প্রতিরোধ গড়তে পারল না দক্ষিণ কোরিয়া। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পোস্টার বয় নেইমার। একটি করে গোল পেয়েছেন রিচার্লিসন, ফিলিপ কৌতিনিয়ো ও গ্যাব্রিয়েল হেসুস।

    সিউলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দীর্ঘ সময় পর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল, প্রতিপক্ষ স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ান ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি হলেও পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে কাগজে-কলমে অনেক পিছিয়ে হিউন-মিন সনের দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই দুরন্ত শুরুতে স্বাগতিকদের চেপে ধরে সেটাই প্রমাণ করে ব্রাজিল। আগ্রাসী শুরুতে সফলতাও ধরা দেয়।

    স্টেডিয়ামের দর্শকরা ঠিকঠাক আসন গ্রহণের আগেই ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল পাঠায় ব্রাজিল। রাফিনহার ফ্রি-কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি টেকেনি।

    তবে দারুণ ছন্দে ম্যাচ শুরু করা ব্রাজিলকে বেশি সময় ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। অফসাইডে গোল বাতিলের মিনিট পাঁচেক পরেই প্রথম গোল পেয়ে যায় সেলেসাওরা। সপ্তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে কোরিয়ার বক্সে ঢুকে ফ্রেডের উদ্দেশ্যে বল বাড়িয়েছিলেন অ্যালেক্স সান্দ্রো। ফ্রেড শট নিয়েছিলেন গোলের লক্ষ্যে, তার সামনে থাকা রিচার্লিসনের পায়ে লেগে বল ঠাঁই পায় জালে। ১-০।

    দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার গোল অভিমুখে আক্রমণে আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তবে পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তিতের দল। ২৪ মিনিটে বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হয়ে রিচার্লিসন পেনাল্টির জন্য জোরালো আবেদন করেছিলেন, তবে ভিএআর সেই দাবি আমলে নেয়নি।

    এরপরই ৩১ মিনিটে অনেকটা ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ব্রাজিলের বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভাকে এক প্রকার বিব্রত করেই দলকে সমতায় ফেরান কোরিয়ান স্ট্রাইকার হোয়াং উই-জো। বক্সের ভেতর পাস ধরে সিলভাকে একপাশে রেখে গতিময় শটে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ওয়েভারটনকে পরাস্ত করেন এই দক্ষিণ কোরিয়ান।

    তবে ম্যাচে ১-১ সমতা বেশিক্ষণ টেকেনি। ৩৯ মিনিটে অ্যালেক্স সান্দ্রো বক্সে ফাউল হন। ভিএআর ম্যাচে ব্রাজিলের প্রথম পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দিলেও এবার আর তাদের হতাশ করেনি। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে বিরতির আগে সেলেসাওদের এগিয়ে দেন ম্যাচের আগে চোট শঙ্কায় থাকা তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার।

    বিরতির ১২ মিনিট পর এই গোলেরই যেন অ্যাকশন রিপ্লে দেখা যায়। ফের সান্দ্রো বক্সের মধ্যে ফাউল হন, ফের নেইমার স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।

    এরপর ম্যাচের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের হাতে। মুহুর্মুহু আক্রমণে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ কোরিয়ার গোলমুখে হানা দেন নেইমার-রাফিনহারা। তবে কোরীয় গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না ব্রাজিল।

    তবে শেষদিকে দুই বদলি কৌতিনিয়ো এবং হেসুস আরও দুইবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাল কাঁপিয়ে ব্রাজিলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামার মিনিট দুয়েকের মাঝেই বক্সের বাঁ পাশ থেকে অসাধারণ ফিনিশে ম্যাচে ব্রাজিলকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান কৌতিনিয়ো। যোগ করা সময়ে আরেক বদলি হেসুস লক্ষ্যভেদ করে কোরিয়ানদের চূড়ান্তভাবে হতাশ করেন।