Tag: দগ্ধ

  • চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

    চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

    নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর এলাকায় একটি বাসায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।

    আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

    দগ্ধরা হলেন- মো. সালাম মন্ডল (৫৫), বুলবুলি বেগম (৪০), সোনিয়া আক্তার (২৭), টুটুল (২৫), মেহেজাবিন (৭)।

    তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা সোহাগ জানান, সকাল ৮টার দিকে আগুন লাগে। আমরা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। তাদের চিকিৎসা চলছে।

    শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো তরিকুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের মধ্যে মো. সালাম মন্ডলের ৭০ শতাংশ, বুলবুলির ২৫ শতাংশ, সোনিয়ার ৪২ শতাংশ, টুটুলের ৬০ শতাংশ ও শিশু মেহজাবিনের ৩৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থা প্রায় আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

  • চলন্ত রিকশায় ছিঁড়ে পড়লো বৈদ্যুতিক তার, দগ্ধ চালকের মৃত্যু

    চলন্ত রিকশায় ছিঁড়ে পড়লো বৈদ্যুতিক তার, দগ্ধ চালকের মৃত্যু

    চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় চলন্ত রিকশায় ছিঁড়ে পড়া বৈদ্যুতিক তারে দগ্ধ হয়ে মো. জাবেদুল (২৫) নামে এক রিকশাচালক মারা গেছেন। রোববার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বায়েজিদের অক্সিজেন মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জাবেদুল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার পলাশি মোড় গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় ওপর থেকে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জাবেদুলের মাথায় পড়ে। এসময় বিদ্যুতের তারটিতে আগুন লাগে। সেই আগুনে দগ্ধ হন জাবেদুল। দীর্ঘক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আশেক জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অক্সিজেন মোড় এলাকায় বিদ্যুতের তারে লেগে দগ্ধ হওয়া জাবেদুল নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তখন চিকিৎসকরা তাকে ৩৬ নম্বর বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

  • চট্টগ্রামে অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

    চট্টগ্রামে অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

    চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- বিলকিস (২৮), জোসনা বেগম (২৮), সাথী আক্তার (১৭), জান্নাত (০৮) ও কাইনাত (৩)। তারা সবাই চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার উত্তর শিকলবাহা গোদার পাড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে অটোরিকশায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

  • খুলশীতে ফিউশন ক্যাফে রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ, তিন কর্মচারী দগ্ধ

    খুলশীতে ফিউশন ক্যাফে রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ, তিন কর্মচারী দগ্ধ

    চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকার ফিউশন ক্যাফে রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।

    সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মো. কাশেম (১৭), নুর হোসাইন (২০) এবং মুবিনুল হক (২২)। তারা ওই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী বলে জানা গেছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির তদারককারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় আনা হয়। তাদের হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    হাসপাতালে নিয়ে আসা ফিউশন ক্যাফের ম্যানেজার মো. গুলজার জানান, দুর্ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম। আমাদের পাশের একজন ফোন দিল রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে। আমি দ্রুত গিয়ে আমাদের তিন কর্মচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তবে হোটেলে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত বলে জানান তিনি।

    খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ফিউশন ক্যাফেতে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ সেটা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে, তারা এর কারণ উদঘাটন করবেন।

     

  • শুটিংয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী শারমিন আঁখি

    শুটিংয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী শারমিন আঁখি

    বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছোটপর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শুটিং চলাকালীন আহত হন তিনি।

    শারমিন আঁখি চিকিৎসা চলছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অভিনেত্রীর শরীর ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির বলেন, সজলের সঙ্গে একটি টেলিফিল্মের শুটিং ছিল মিরপুর সাড়ে ১১তে। দুপুরের দিকে আঁখি মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে যায় চুল ঠিক করতে। হেয়ার স্টেটমেন্ট অন কিংবা অফ করতে গিয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের ধারণা, কেউ বডি স্প্রে ব্যবহার করেছে ওটার গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটতে পারে।

    রাহাত আরও বলেন, শুটিং হাউসটি সম্পূর্ণ নতুন। এটি এই হাউসের দ্বিতীয় কাজ। পেইন্টিংয়ের স্মেল থেকেও হতে পারে। তবে কেউ নিদিষ্টি করে কিছু বলতে পারছে না। বিস্ফোরণে বাথরুমের দরজা ভেঙে যায়। চিৎকার করে আঁখি বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে দুই হাত, পা ও কপালের একাংশ, চুলসহ ৩৫ শতাংশ বার্ন হয়ে যায়।

    গুরুতর কিছু আশঙ্কা করা যাচ্ছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্মাতা বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না। ডাক্তার অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। সেগুলোর ফলের পর বলা যাবে পরিস্থিতি। হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হবে। আর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। সবার কাছে আঁখির জন্য দোয়া চাই।

    এক দশকেরও বেশি ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখির মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে কাজ করেও আলোচনায় আসেন তিনি।

  • সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে পুরাতন জাহাজে কাজ করার সময় আগুনে তিন শ্রমিক দগ্ধ

    সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে পুরাতন জাহাজে কাজ করার সময় আগুনে তিন শ্রমিক দগ্ধ

    কামরুল ইসলাম দুলু : সীতাকুণ্ডে পুরাতন জাহাজে কাটিং এর কাজ করার গ্যাস লাইনের পাইপ বিস্ফোরণ হয়ে তিন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে। আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় যমুনা শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের পুরাতন জাহাজে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত তিনজন হচ্ছে উপজেলার শীতলপুর তেতুলতলা এলাকার দুদু মিয়ার পুত্র মোঃ জিহাদ (১৮), কুড়িগ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুস সামাদ (৪০) এবং নওগাঁর জয়দুল হোসেনে পুত্র মোহাম্মদ পাইলট (২২)।

    গুরুতর আহতবস্থায় তিনজনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ৩৬নং বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।

    এব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন বলেন, দগ্ধ অবস্থায় তিনজন শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে জিহাদ এবং আব্দুস সামাদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামের কাট্টলী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মায়ের পর এবার অগ্নিদগ্ধ ছেলের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের কাট্টলী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মায়ের পর এবার অগ্নিদগ্ধ ছেলের মৃত্যু

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলী এলাকার মরিয়ম ভবনের ছয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর একদিন পরেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়।

    আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান (৪২) মারা যান। এ ঘটনার মাত্র ৩ দিনের মাথায় মায়ের পর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে।

    এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে মিজানুর রহমানের মা পেয়ারা বেগম (৬০)।

    দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া সাইফুল ইসলাম (২৫), মানহা (২), সুলতানা মুন্নি (৩৫) ও মাহের (৭)সহ একই পরিবারের আরো ৫ সদস্য বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত রবিবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার সময় উত্তর কাট্টলীর মরিয়ম ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে একই পরিবারের সাতজনসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন পেয়ারা বেগম (৬৫), মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)।

    চিকিৎসকেরা জানান, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়ারা বেগমের শরীরে ৬৫ শতাংশ, মিজানুরের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সাইফুরের ২২, সুলতানার ২০, মানহার ২০, রিয়াজের ১৮ শতাংশ, সুমাইয়ার ১৫, জাহানের ১২ ও মাহেরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালী পুড়ে যায়। তাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।

    তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরদিন সোমবার চিকিৎসাধিন অবস্থায় পেয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়। আশংকাজনক অবস্থায় মিজানুর রহমানসহ একই পরিবারের আরো ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে তাদের পাঠানো হয়। আজ বুধবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মিজানুর মারা যান।

    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ ও রোগীদের সাথে কথা বলে ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • কাট্টলীতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু, ঘটনাস্থল পরিদর্শণে জেলা প্রশাসক

    কাট্টলীতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু, ঘটনাস্থল পরিদর্শণে জেলা প্রশাসক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলীর মুরাদ চৌধুরী বাড়ির মরিয়ম ভবনের ষষ্ঠ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।  

    সোমবার বেলা ১২টার দিকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শ্বাসনালীসহ শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ৬৫ বছর বয়সী নারী পেয়ারা বেগম।

    তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক রফিক উদ্দিন আহমেদ।

    তিনি বলেন, গতকাল রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরো ৬ জনের শ্বাসনালি পোড়া গেছে। তাঁদের অবস্থাও সংকটাপন্ন। হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিও রয়েছে বলে তিনি জানান।জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন

    এদিকে উত্তরকাট্টলীর যে বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকালে সেখানকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন

    তাছাড়া ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ছুটে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

    এসময় তিনি জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকেই আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে সঠিক কারন খুঁজে বরে করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ জন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    এর আগে রবিবার (৮ নভেম্বর) রাতে উত্তর কাট্টলী এলাকায় মুরাদ চৌধুরীর মালিকানাধীন ‘মরিয়ম ভিলা’ নামে ছয়তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের সাতজনসহ মোট ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে সোমবার বেলা ১২টার দিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম ভবনের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন শিপিং করপোরেশনে চাকরিজীবী মিজানুর রহমান। রাতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনি, তার স্ত্রী, ৭ বছর বয়সী ও দেড় বছর বয়সী দুই শিশু, মা, ভাই এবং বোন দগ্ধ হয়। একই ঘটনায় তাদের বাসায় সাবলেট থাকা দুজনও দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), পেয়ারা বেগম (৬০), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)।

    আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা ওই বাসার লাইট-ফ্যানসহ বিদ্যুৎ সংযোগের প্রতিটি পয়েন্ট পোড়া দেখেছি।

    এতে আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। কারণ গ্যাসের পাইপলাইন এবং রান্নাঘরের চুলা আমরা অক্ষত দেখেছি। বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডারও ছিল না।

    এদিকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে।

    চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল হক ভুঁইয়া বলেন, রবিবার রাত ১১ টার পর থেকে দগ্ধ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া শুরু হয়। মোট ৯ জন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।

    আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, আগুনে এক পরিবারের সাতজনসহ মোট নয়জন দগ্ধ হয়েছে। কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগেছে বলে তারা ধারণা করছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • মিরপুরে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

    মিরপুরে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

    রাজধানীর মিরপুরে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলে জাকির হোসেন, তার স্ত্রী রানী এবং ছেলে জিহাদ।

    শনিবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    দগ্ধদের প্রতিবেশী রিপন জানান, তারা ভাষানটেকে টিনশেড বাড়ির ঘরে ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাতে ওই ঘরে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। এতে সেখানে থাকা একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে।

    রিপন আরও জানান, সাত থেকে আট মাস আগে এই ঘরে আগুনে পুড়ে একজন মারা গিয়েছিল। প্রায় সময়ই এই ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ বের হতো।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধদের বার্ন ইউনিটের অবজারভেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের শরীরের কতভাগ পুড়ে গেছে সেটা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক।

  • গ্যাস বিস্ফোরণে নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ

    গ্যাস বিস্ফোরণে নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ

    নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড সাহেব পাড়া এলাকার একটি ৫ তলা ভবনের নিচতলার বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৮জন দগ্ধ হয়েছেন।

    সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।দগ্ধরা হলেন- মো. কিরণ মিয়া (৪৫), আবুল হোসেন (২৫), মো. হিরন মিয়া (২৫), কাওছার (১৬), মুক্তা (২০), লিমা (৩), নুরজাহান (৬০) ও আপন (১০)।

    নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ওই বাড়ির নিচ তলায় পরিবারটি ভাড়া থাকে।বাসার লাইনের গ্যাসে বেশি চাপ না থাকায় বাসায় সিলিন্ডার গ্যাসও ব্যবহার করতেন তারা। রাতে রান্নার পরে গ্যাসের চুলার সুইচ বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। ভোরবেলা উঠে ম্যাচ জ্বালাতেই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা দগ্ধ হয়। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

    ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা খুবই গুরুতর।

  • বায়েজিদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ নির্মাণ শ্রমিক

    বায়েজিদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ নির্মাণ শ্রমিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ হয়েছে এক নির্মাণ শ্রমিক। আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৯টার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    দগ্ধ নির্মাণ শ্রমিকের নাম মো. লিমন (২২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার এলাট নগর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার। তিনি বলেন, রবিবার সকালে নির্মাণাধীন একটি ভবনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ আহত লিমনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।

    হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাতে আলাউদ্দিন জানায়, দগ্ধ শ্রমিক লিমনের শরীরের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

    কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

    কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জন।

    তাদের নাম মুস্তাকিম (২২), আবু সাইদ (১৭) ও আবদুর রাজ্জাক(৪৫)।

    ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, চিকিৎসাধীন থাকা মুস্তাকিম ভোর সাড়ে ৬টায় ও সাড়ে ৯টায় রাজ্জাক মারা যান। তারা দুজনই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। মুস্তাকিমের শরীরের ২০ শতাংশ ও রাজ্জাকের শতভাগ দগ্ধ ছিলো। এছাড়া সাড়ে ১২টার দিকে আবু সাঈদ মারা যান

    তিনি আরও জানান, আইসিইউতে এখন আরও ৭জন ভর্তি আছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া ৮জন ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।

    এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান অপর অগ্নিদগ্ধ মো. আসাদ (১৪)।

    গত বুধবার বিকেলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলে আর ১৬ জন হাসপাতালে মারা যান।

    এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আলম ও রাজ্জাকের ছোট ভাই মো. জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে কারখানা মালিক মো. নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।