Tag: দগ্ধ

  • কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন:নিহত ১,দগ্ধ ২৮

    কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন:নিহত ১,দগ্ধ ২৮

    ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ১০ ইউনিট কাজ করছে।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    উদ্ধারকারী মো. জাহিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগুনে দগ্ধ হয়ে ২৮ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    একজনের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রামানন্দ সরকার। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    এদিকে এ ঘটনার পরপরই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ছুটে এসেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। বর্তমানে তিনি সেখানে রয়েছেন।

  • পটিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে ওজনে কারচুপির সময় বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৫, একজনের অবস্থা আশংকাজনক

    পটিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে ওজনে কারচুপির সময় বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৫, একজনের অবস্থা আশংকাজনক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়াতে গ্যাস সিলিন্ডারের ওজনে কারচুপির সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টার সময় উপজেলার বৈলতলী সড়কের কচুয়াই বাইপাস মোড় এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    এ ঘটনায় ৫ জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া হাসপাতালে এবং সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে চন্দনাইশ রসুনহাট সৈয়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে আবু ছালেক (২৬) এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

    আগুনে দগ্ধ অন্যরা হলেন, পটিয়া উপজেলার কচুয়াই গ্রামের মো. আব্দুল মোনাফের ছেলে আবু সৈয়দ (৪০), চন্দনাইশের এনায়েত হোসেনের ছেলে মো. রহিম (৩৩), একই উপজেলার মীর আহাম্মদের ছেলে মো. আলী (৩২) ও আব্দুল মাহবুবের ছেলে সাজ্জাদ (২০)।

    পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছে। ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    তিনি দাবী করছেন শ্রমিকদের দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি কয়েকশ গ্যাস সিলিন্ডার এখানে মজুদ রেখে সেগুলোতে ওজনে কারসাজি করছিলো। অসাবধানতা বশত হঠাৎ দুটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে পুরো ঘরটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    অবৈধ গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানায় আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা: তিমির বরণ চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানায় তালা লাগিয়ে দেন।অবৈধ গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানা

    পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানাটি অবৈধ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ১বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই অবৈধ কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং কারখানা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেন।

    কিন্তু প্রসাশন কে আবারো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারো কারখানাটি চালু করলে মঙ্গলবার দুঘর্টনা ঘটে। পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানায় দ্বিতীয় বারের মত তালা লাগিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

  • বায়েজিদে খেলতে গিয়ে দগ্ধ দুই শিশু : পুড়ে গেছে শরীরের ৭০ শতাংশ

    বায়েজিদে খেলতে গিয়ে দগ্ধ দুই শিশু : পুড়ে গেছে শরীরের ৭০ শতাংশ

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বাযেজিদের আরেফিন নগর এলাকায় খেলতে গিয়ে গরম তেলে দগ্ধ হয়েছে দুই শিশু। এদের প্রত্যেকের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক।

    আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিস্থ খাজা স্টোর নামের একটি দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    দগ্ধ শিশুরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা কলোনির মোস্তফার ছেলে মোবারক (৫) ও একই এলাকার ইয়াছিনের ছেলে রিফাত (৮)।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদশর্ক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া। তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কলোনী এলাকার খাজা স্টোরের কর্মচারিরা পাম তেলের একটি ড্রামের নিচে আগুন দিয়ে তেল গরম করছিলেন। এর পাশেই খেলছিলেন মোবারক ও রিফাত নামের দুই শিশু। হঠাৎ গরম তেল ড্রাম থেকে উৎলে উঠে দুই শিশুর গায়ে ছিটকে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হয় দুই শিশু।

    স্থানীয়রা দুই শিশুকে উদ্ধার করে চমে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করিয়ে দেন। বর্তমানে দুজনই চিকিৎসাধিন রয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক নারায়ণ ধর বলেন, দুই শিশুর শরীর ৬৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

  • বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত যুবকের মৃত্যু

    বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত যুবকের মৃত্যু

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :  চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নিজ বসতঘরে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছে নুরুল আজিম (৩০) নামের এক যুবক।

    শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী কোরবান আলী সওদাগর বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

    নিহত নুরুল আজিম ওই এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি বেকারীতে চাকুরী করতেন। তার ৪ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

    নিহত আজিমের মা জাহানারা বেগম জানান, রাতের খাবার সেরে যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে হঠাৎ ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আজিমকে অনেক ডাকাডাকি করে জাগাতে না পেরে তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বের হয়ে পড়ে।

    বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার কীরীটী রঞ্জন বড়ুয়া।

    তিনি জানান অগ্নিকান্ডে আজিম ও শাহ আলম মাঝির বসত ঘর পুড়ে গেছে। আগুনে দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও নুরুল আজিম নামের এক যুবক এ ঘটনায় মারা গেছেন।

    অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

  • চট্টগ্রামের ইপিজেডে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

    চট্টগ্রামের ইপিজেডে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক :  চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় ওই এলাকার জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের একটি ওয়ার্কশপে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা সবাই ওই ওয়ার্কশপের শ্রমিক।

    আহতরা হলেন, ওসমান গণি (৪৫), রাজিব দাশ (৩০), রাকিব(১৮), নুরুল আলম (৩৫), এনায়েত এবং আজম। বর্তমানে আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

    ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড স্টেশনের লিডার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার সুত্রপাত ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে। খবর পায় ১১ টা ১০ এ।খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের নিয়ে যান।

    ফায়ার স্টেশনের এ কর্মকর্তা জানান, ওয়ার্কশপটির বাইরে রাস্তার উপর বসে শ্রমিকরা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় একটি গ্যাস সিলিন্ডার গরম হয়ে হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে সিলিন্ডারটি টুকরো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

    ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হুদা বলেন, বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য হামিদুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ১১টার সময় ইপিজেড এলাকার জাহাজ কাটার এক ওয়ার্কশপে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আহত পাঁচজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।

  • জুলুসের গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৬

    জুলুসের গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৬

    চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে জশনে জুলুশে অংশগ্রহণকারী একটি মিনা পিকআপের জেনারেটরে আগুন লেগে ৪ শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়।

    রোববার(১০নভেম্বর) দুপুরে লালখান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পিকআপের সাউন্ডসিস্টেম চালানোর সময় জেনারেটরে আগুন ধরে যায় এতে তারা আহত হন।

    আহতরা হলেন, নূর নবী(৬), কাউছার(২০), রফিকুল ইসলাম (৮), রিফাত(১০), হৃদয়(১৬) ও ইয়ামিন (৯)। তারা সবাই বাকলিয়ার তুলাতলী এলাকা থেকে জশনে জুলুশে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আহতদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এব্যাপারে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, জেনারেটরের আগুনে দগ্ধ ৬ জনকে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের ৩৬ নম্বর বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

  • চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, চমেকের বার্ন ইউনিটে বাবা-মা ও বোন

    চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, চমেকের বার্ন ইউনিটে বাবা-মা ও বোন

    চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে মারা গেছে মো. আশরাফুল নামে ৫ বছর বয়সী এক শিশু। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়েছেন নিহত শিশুর বাবা-মা ও বড় বোন। বর্তমানে তারা চমেক হাসপাতালের ৩৬ নং বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিন আছেন।

    শনিবার ভোরে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মোল্লাপাড়ার নিরিবিলি আবাসিক এলাকার একটি বাসায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় পরিবারের শিশু পুত্র আশরাফুল মারা যায়।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শনিবার ভোরে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

    তাদেরকে চমেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শিশু আশরাফুলের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ৩৬ নং ওয়ার্ডের বার্ন ইউনিটে নিহত শিশুটির পিতা আমীর হোসেন (৪৫), মা খালেদা আক্তার (৩০) ও তার বড়বোন অনিয়া (০৭) বর্তমানে চিকিৎসাধিন বলে তিনি জানিয়েছেন।

    এদিকে বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের অবস্থাও গুরুতর জানিয়ে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন।

  • আনোয়ারায় অ্যম্বুলেন্সে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ২ লাশ উদ্ধার

    আনোয়ারায় অ্যম্বুলেন্সে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ২ লাশ উদ্ধার

    চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চলন্ত অবস্থায় একটি অ্যম্বুলেন্সে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে অ্যম্বুলেন্স থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করার তথ্য পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চাতুরি চৌমুহনী এলাকার চৌমুহনী শশী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অ্যম্বুলেন্সে বিস্ফোরিত আগুনে আরো তিনজন দগ্ধসহ চারজন হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া গ্রামের মো. মফিজ (৭০) এবং তার পুত্রবধূ জয়নাব বেগম (২৫)। আহতরা হলেন, একই পরিবারের নিজামউদ্দিন, সাহাবউদ্দিন ও বুলবুলী বেগম এবং অজ্ঞাতপরিচয় অ্যাম্বুলেন্স চালক।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেন্ডার বিস্ফোরণের কারণে গাড়িতে থাকা সবার শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। আহতদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুলাল মাহমুদ চলন্ত অবস্থায় একটি অ্যম্বুলেন্সে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, একটি এ্যাম্বুলেন্স বাঁশখালী যাওয়ার সময় চৌমুহনী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরন হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে দুজন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি।

    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

  • চান্দগাঁওতে আগুন : দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু, ৫ জন হাসপাতালে

    চান্দগাঁওতে আগুন : দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু, ৫ জন হাসপাতালে

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন নারী ও এক শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্য দগ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর দগ্ধ নজরুল ইসলাম (৫৫) চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    সোমবার দুপুরে সময় কে বি আমান আলী সড়কের বাদশা মিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার হাজী মফিজুর রহমান আবাসিক এলাকার বেদার মিয়া চৌধুরী টাওয়ারের তৃতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম ছোটন (৫৫) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

    এ ঘটনায় দগ্ধ অন্য সদস্যরা হলেন, নজরুলের মা মনোয়ারা বেগম (৭০), নজরুলের স্ত্রী জোবাইদা (৩৫), নজরুলের বোন সেলিনা কলি (৩২), নজরুলের ২ ছেলে হাজ্জাজ (৩) ও আজবির (১৩)।

    দগ্ধ ৬ জনেরই শরীরে বিভিন্ন অংশে ১৫ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

    হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সোমবার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও থানা এক কিলোমিটার এলাকা থেকে আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ সদস্যকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে একজনের মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিরাও আশংকাজনক জানিয়ে ২জনকে ঢাকায় প্রেরণ করে বাকি তিনজনকে চমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষনিক বিস্তারিত জানাতে পারেনি তিনি। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন লিক হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে।

    পরিবারের লোকজন বলছে বাইরে থেকে আগুনের পুলকি ভেতরে ঢুকেছে। ঘরের কাঠের মূল দরজা এবং সিঁড়ির জানালার কাঁচ ভাঙ্গা দেখে তারা ধারণা করছে বজ্রপাত বা আগুনের ফুলকি বাইরে থেকে এসেছে।