Tag: দপ্তর সম্পাদক

  • বিপ্লব বড়ুয়ার পদোন্নতি, আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপ দপ্তর থেকে এখন দপ্তর সম্পাদক

    বিপ্লব বড়ুয়ার পদোন্নতি, আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপ দপ্তর থেকে এখন দপ্তর সম্পাদক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের নব গঠিত কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এর আগের কমিটিতে উপ দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করলেও নতুন কমিটিতে তাকে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

    শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তিনি আগামী তিন বছরের জন্য দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে ভুমিকা রাখবেন।

    আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক থাকাকালে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারের উপ সচিব পদমর্যাদায় গ্রেড-৫ ভুক্ত হন।

    এর আগে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে নবম বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। এসময় সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য তা সমর্থন করলে পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।

    এরপর জাহাঙ্গীর কবির নানক ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। সমর্থন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটিও ধরে রাখলেন ওবায়দুল কাদের।

    রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এতে যোগ দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে দলের নেতা নির্বাচন করছেন। নতুন কমিটিতে নির্বাচিত নেতারাই আগামী তিন বছর দলটির নেতৃত্ব দিবেন।

  • যুবলীগ থেকে কাজী আনিস বহিষ্কার

    যুবলীগ থেকে কাজী আনিস বহিষ্কার

    যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    এছাড়াও ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, দু’একদিনের মধ্যেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।

    এসএসসি পাশ কাজী আনিসুর রহমান যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিয়ন ছিলেন। ২০০৫ সালে মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতনে ঐ চাকরি পান তিনি যুবলীগের সাবেক এক সভাপতির হাত ধরে। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেওয়ার পাশপাশি এখন তিনি ৩০০ কোটি টাকার মালিক।

    অফিসের পিয়নের কাজের পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন তিনি। এতে করে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি কার্যালয়ে আসা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও পরিচয়ের সুযোগ হয় তার। কম্পিউটারে নিয়মিত সারাদেশের সব যুবলীগ কমিটির তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সব তথ্য তার নখদর্পণে চলে আসে। মুখস্থ বলে দিতে পারতেন যে কোনো কমিটির নেতার নাম।

    ২০১২ সালে যুবলীগের নতুন কমিটি গঠনের সময় তিনি নিজেও আনিসকে একটা সদস্যপদ দিতে সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু আনিস পেয়ে যান উপদপ্তর সম্পাদকের পদ। দপ্তর সম্পাদক পদটি শুরু থেকেই খালি ছিল, ছয় মাসের মধ্যেই সেটাও পেয়ে যান। আনিস থাকতেন টিকাটুলী এলাকায়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পর ধানমন্ডিতে ভাড়া বাসা খোঁজেন। কিন্তু ভাড়া না নিয়ে ১৫ নম্বর সড়কে প্রায় আড়াই হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনে নেন। এখানেই আছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর।

    বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সড়কের এক বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কাজী আনিস। পাঁচ বছর আগেও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টিনের ঘরে থাকা আনিসুরের বাড়িতে এখন সুরম্য অট্টালিকা। ময়মনসিংহের ভালুকা, ঢাকার স্বামীবাগ, ইত্তেফাক মোড়, যাত্রাবাড়ী, শুক্রাবাদ, উত্তরায়ও বাড়ি আছে তার।

    এছাড়া লালমাটিয়া, ঝিগাতলা ও ধানমন্ডিতে আছে কয়েকটি ফ্ল্যাট। উত্তরা, মিরপুর ও গুলশানে মার্কেটে আনিসের নামে আছে দোকান। নারায়ণগঞ্জের একটি চটের মিলেরও মালিক আনিস।

    এছাড়া যুবলীগ অফিসের এক পিয়ন ৯০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যুবলীগের শীর্ষ নেতার কোনো কোনো খাত থেকে বা কারা কোটি কোটি টাকা প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এসে দিয়ে যায় তা আনিসের মাধ্যমেই নেতার কাছে পৌঁছে যেত। এ কারণে আনিসকে পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদকের পদ উপহার দেওয়া হয়।

    গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রাজধানীর বিভিন্ন ক্যাসিনো ক্লাবের অভ্যন্তরীণ এসব চিত্র ভিডিওসহ বিস্তারিত প্রমাণাদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দিয়েছে। এসব দেখে প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।

    ফলে চলমান দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযানে এসব অপকর্মকারীর পালানোর কোনো পথ থাকছে না এবং অস্বীকার করে কিংবা নালিশ বা তদবির করেও বাঁচার সুযোগ নেই।