Tag: দাফন

  • করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন বিষয়ে ভাটিয়ারীতে গাউসিয়া কমিটির প্রশিক্ষণ

    করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন বিষয়ে ভাটিয়ারীতে গাউসিয়া কমিটির প্রশিক্ষণ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের দাফন,কাফন ও জানাজার বিষয়ে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড শাখার উদ্যেগে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার বিকালে উপজেলার বানুরবাজারস্থ খানকা শরীফে উক্ত প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড.মোসাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, উত্তর জেলা গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড.মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রচারও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন ৯ নংভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজীম উদ্দীন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • ভাটিয়ারীতে করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির দাফনে এগিয়ে এলো গাউছিয়া কমিটি

    ভাটিয়ারীতে করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির দাফনে এগিয়ে এলো গাউছিয়া কমিটি

    কামরুল ইসলাম দুলু:হাইপ্রেশার আর ডায়াবেটিস এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে নগরীর এই হাসপাতাল থেকে ঐ হাসপাতালে শেষমেশ ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়েও ভর্তি করাতে পারেনি সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের নাসির মুহাম্মদ চৌধুরীর বাড়ি প্রকাশ ফৌজদার বাড়ীর আলহাজ্ব ইব্রাহিম আলম(৬০) কে।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে রাস্তায় গাড়িতেই মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

    সোমবার (৮ জুন) এঘটনা ঘটে। ইব্রাহিম আলমের হঠাৎ প্রেশার ও ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরিবার তাকে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে জায়গা নেই বলে কয়েকটি হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়।

    এরপর গাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। দাফনের আগে মৃত ইব্রাহিমের করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

    এদিকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মৃত ব্যক্তির দাফনে কেউ এগিয়ে না আসায় গাউছিয়া কমিটি এগিয়ে আসে।

    ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন এর অনুমতিক্রমে গাউছিয়া কমিটি সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শাখার একটি টিম সরকারী স্বাস্থবিধি অনুযায়ী উক্ত ব্যাক্তির দাফন কাফন সম্পন্ন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মো আলাউদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলামা মাহমুদুল হাসান আলকাদেরী, নুরউদ্দিন, আবুল কালাম, তসলিম উদ্দিন, রিদুয়ান করিম, জানে আলম, মামুনুর রশিদ মামুন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মৃতদেহের পাশে আসেনি আপন কেউ, বৃষ্টিতে ভিজে শুকালো রোদে:অবশেষে দাফন করলো শেষ বিদায়ের বন্ধু

    মৃতদেহের পাশে আসেনি আপন কেউ, বৃষ্টিতে ভিজে শুকালো রোদে:অবশেষে দাফন করলো শেষ বিদায়ের বন্ধু

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামে সকাল থেকে একটি লাশ পড়ে আছে মৃতদেহের নিজ বাড়ির উঠোনের এক কোনে ।

    বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকিয়ে একাকার হচ্ছে। তার পরেও ছেলে মেয়ে স্ত্রী কেউ আসেনি লাশের পাশে। এ যেন এক পশুপাখির মৃত দেহ।

    বুধবার (৩ জুন) ফজরের নামাজের পর থেকেই এমন দৃশ্য দেখা গেল উপজেলার ওচমানপুর এলাকার কালা বক্স বাড়ির উঠোনের কোনায়।

    মিরসরাইতে এতো নিষ্ঠুরতা নির্মমতা এর পূর্বে আর কেউ দেখেনি। দিন শেষে লাশ দাফনে এগিয়ে এলো মিরসরাইয়ের শেষ বিদায় বন্ধু নামক একটি সংগঠন।

    মিরসরাই উপজেলার ৫নং ওসমানপুর ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের কালা বক্স বাড়ির ছালেহ আহমদ (৫৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে নিজ বাসায় মারা যায় ২ জুন বিকালে। আর ৩ জুন ফজর নামাযের পর তার লাশ গ্রামে নিয়ে আসা হয়।

    গ্রামের লোকজন লাশ এ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামাতে বাঁধা দেয়। বাড়ির লোকজন সবাই সামিল হয় সেই বাধায়। লাশের সাথে তার বড়ো ভাই নুর আহমদ ছাড়া কেউ নাই। স্ত্রী সন্তান কেউ আসেনি শহরের বাসা থেকে। লাশটা কোন প্রকারে বাড়ির উঠোনে রেখে এ্যাম্বুলেন্স চলে যাওয়ার পর সারাদিন পড়ে ছিল মৃত পশু পাখির মতো।

    লাশের অবস্থা দেখে গ্রামের মানুষ বলছে হয়তো আরো একদিন আগে চট্টগ্রামে মারা গেছে। দীর্ঘদিন কুয়েত প্রবাসী ছিলো নিহত সালেহ আহম্মদ গত ২ বছর পরিবার নিয়ে শহরে থাকতো। মরার পর কেউ নাই।

    পরবর্তীতে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেষ বিদায়ের বন্ধু নামক সংগঠনটি এগিয়ে আসে। তারা বিকালে জানাযা শেষে দাফনের ব্যাবস্থা করেন।

    শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠনের সমন্বয়ক মিরসরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আলম বলেন, নিহতের মৃত দেহ তার বড় ভাই বাড়িতে নিয়ে আসার পর বাড়ির লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। গ্রামের লোকজনকে না জানিয়ে লাশ এলাকায় আনাতে কেউ দাফনের জন্য এগিয়ে আসেনি। আমরা খবর পেয়ে সংগঠনের সদস্যদের চাঁদার টাকায় লাশ দাফন কাপনের ব্যাবস্থা করি। প্রশাসনিক বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে আমাদের সহযোগিতা করা হয়নি।

    মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশের ব্যাপারে আমাদের কেউ কোন তথ্য দেয়নি সাংবাদিক নুরুল আলম ফোন করে দাফনের অনুমতি চাইলে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আশরাফ

  • খাটিয়াও মেলেনি করোনা উপসর্গে নিহতের! ২ ভাই ও পিতা লাশ কাঁধে নিয়ে করলেন দাফন

    খাটিয়াও মেলেনি করোনা উপসর্গে নিহতের! ২ ভাই ও পিতা লাশ কাঁধে নিয়ে করলেন দাফন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ]  সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বক্তারপুর গ্রামে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ দাফনে পাশে ছিলোনা কোন স্বজন কিংবা গ্রামবাসী।

    এমনকি মরদেহ দাফনে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি মসজিদের লাশ বহনের খাটিয়া। তাছাড়া দাফনের আগে মৃতের গোসল করাতেও দেয়া হয়নি।

    ফলে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো সালাম মিয়ার লাশ খাটিয়া ছাড়াই বাবা ও দুই ভাই কাঁঁধে করে কবরস্থানের নিয়ে যায়। সেখানে তারা তিনজনেই কবরস্থ করেছেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার।

    ওই দিন রাতে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ খাটিয়া ছাড়া তিন ব্যক্তি কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর থেকেই এ ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে বক্তারপুর গ্রামে মো. সালাম (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সালামের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার পর মরদেহ গোসল না করিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    এ সময় মৃত সালামের বাবা-মা ছেলের লাশ গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের লোকজন তাতে বাধা দেন। তারা মৃতের শরীরে এক ধরনের পাউডার ও কাফনের কাপড় পরিয়ে দিয়ে লাশ প্যাকেটিং করে দেন।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লাশ কবরে নেয়ার জন্য গ্রামের মসজিদ থেকে খাটিয়া আনতে গেলে ইউপি মেম্বার শরিফ উল্লাহসহ মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের খাটিয়া আনতে দেননি।

    এমনকি গ্রাম থেকে অনেক কষ্টে একটি খাটিয়া সংগ্রহ করলেও সে খাটিয়া ব্যবহার করতে দেননি ইউপি মেম্বারসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

    পরে উপায়ন্তর না দেখে মৃতের বাবা জবুল মিয়া এবং তার দুই ভাই খালিক মিয়া ও আলীনূর মিয়া নিজেদের কাঁধে লাশ তুলে খাটিয়া ছাড়াই মরদেহ গ্রাম্য কবরস্থানে নিয়ে যান এবং সেখানে তার দাফন সম্পন্ন করেন।

    মৃত সালামের মা সালেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে মারা গেল কিন্তু গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি পানি এনে দিলেও তারা আমার ছেলের গোসল করাননি। আমার ছেলের মরদেহে কেউ হাত দেননি। সব কিছু তার বাবা ও ভাইয়েরা মিলেই করেছে।

    স্থানীয় মেম্বার আমার ছেলেকে খাটিয়ায় তুলতে দেননি। মসজিদের খাটিয়া ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। রিপোর্টে যদি আমার ছেলের করোনা না হয়, তা হলে আমার দাবি থাকবে– ছেলের মরদেহ আবার উত্তোলন করে যেন শরিয়ত অনুযায়ী দাফন-কাফন করানো হয়।

    এদিকে মৃতের পরিবাবের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছে মসজিদ কমিটি, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ বলেন, যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবই সরকারি ও পঞ্চায়েতের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়ে আসা খাটিয়া ফেরত নেয়া হয়। আমি তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।

    দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ অন্য কেউ হাত দেয়নি। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের তদারকিতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

    দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, মরদেহ দাফনের সময় দোয়ারা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান স্বাস্থ্য বিধি ও শরিয়ত বিধি মেনেই তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এখানে তার পরিবারের কেউ লাশে হাত দেননি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমিও বিষয়টি জেনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। রিপোর্ট হাতে আসার পর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার ওই যুবকের করোনা নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিলেট করোনাভাইরাস ল্যাব কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার করোনা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • সীতাকুণ্ডে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলিম উল্লাহ’র দাফন সম্পন্ন

    সীতাকুণ্ডে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলিম উল্লাহ’র দাফন সম্পন্ন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে নামাজে জানাজা শেষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলিম উল্ল্যাহর মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    পুলিশের একটি চৌকস দল বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বাদ জোহর নিজ এলাকা উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের বশরত নগর গ্রাম জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন রায়, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা, সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী, মোরাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী বাবু, উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার, জেলা ও উপজেলা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউপি সদস্যবৃন্দসহ উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    মরহুম আলিম উল্লাহ সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    ২৪ঘণ্টা/ কামরুল দুলু/ আর এস পি

  • শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়, চির নিদ্রায় শায়িত সাংসদ বাদল

    শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়, চির নিদ্রায় শায়িত সাংসদ বাদল

    পুজন সেন, বোয়ালখালী প্রতিনিধি: জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) কার্যকরী কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন খান বাদলকে শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানিয়েছেন তার নিজ এলাকার গ্রামবাসী।

    শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে সাংসদ বাদলকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

    এর আগে শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ প্লাজায় প্রয়াত মঈন উদ্দিন খান বাদলের ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সড়ক পথে সাংসদ বাদলের মরদেহ চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। বাদ মাগরিব চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে সাংসদের মরদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পৌছে নিজ গ্রাম বোয়ালখালীতে।

    উপজেলা স্মৃতি সৌধ চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুলের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি সু-সজ্জিত চৌকর্ষ দল রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান শেষে রাত ৮টায় বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাদ এশা ৩য় বারের মতো নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন, বোয়ালখালী পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বাবুল, জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুচ, উপজেলা জাসদ সভাপতি মনির উদ্দিন খান, পৌর প্যানেল মেয়র এসএম মিজানুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী, পূজা পরিষদ বোয়ালখালী শাখার সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ।

    উপজেলা চত্বরে রাখা সাংসদ বাদলকে জেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসনসহ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এরপর রাত ৯টায় সারোয়াতলীর ইব্রাহীম নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সাংসদ বাদলের দাফন সম্পন্ন হয়।

    বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের ব্যাঙ্গালুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় সাংসদ বাদলের মরদেহ ঢাকা বিমান বন্দরে পৌঁছায়।