Tag: দিনমজুর

  • জমি জবর দখল করেও দিনমজুরের হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক

    জমি জবর দখল করেও দিনমজুরের হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক

    লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে জমিজমা বিষয়ক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ হোসেন নামের এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার নামের এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক টুমচর আসাদ একাডেমিতে শিক্ষকতা করছেন।

    পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২১ নং টুমচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের মুসলিম পন্ডিত বাড়ীর মৃত মুসলিম পন্ডিতের ছেলে আতরআলী জীবদ্দশায় তার খরিদকৃত সম্পত্তি থেকে আনুমানিক ১৫ বছর পূর্বে ১৩৮১ খতিয়ানের ৬২৭২ দাগে নাল জমির পূর্ব পাশ দিয়ে মোট জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেন একই এলাকার টুমচর গ্রামের সালাম চোকিদার বাড়ি প্রকাশ মনির বাপের বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের কাছে।

    ১৫ বছর ধরে ওই জমির পূর্ব পাশ দিয়ে ভোগ দখল করলেও আতর আলী বিগত ৫ বছর পূর্বে মারা যাওয়ার পর এক রকম হঠাৎ করেই মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার তার দলবল নিয়ে জমির পশ্চিম পাশ দিয়ে জবর দখল করেন। এতে আতর আলীর ৯ ওয়ারিশের মধ্যে জমজ দুই ভাই মোহাম্মদ হাসান (৪৫) মোহাম্মদ হোসেন (৪৫) সহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ বাধা দিলে পূর্ব থেকে ওঁতপেতে থাকা মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের পেটোয়াবাহিনী তোফায়েলের ছেলে শরীফ(২৬)ও শহীদ(২৩), মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ইউসুফ (৩৮),আব্দুর রহিমের ছেলে জসীম(৩৫) ও মহিন (৩৮) সহ আরো ৫/৭জন সঙ্গবদ্ধ হয়ে লোহার রড, দা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের লোহার রডের আঘাতে মোহাম্মদ হোসেনের ডান হাতের কব্জি ভেঙে যায় ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।

    আহতদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। যার রেজিঃনং ২৪১২৭/৭২

    প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শরীফ হোসেন বলেন – মারামারীর ভিতরে শোরগোল শুনে আমি এগিয়ে গেলে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার আমাকে হুমকি ধামকি দেয় আমি যেনো সামনের দিকে এগিয়ে না যাই। সে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মোহাম্মদ হোসেন ও হাসানদের উপর মারধোর করতে থাকে।

    আহত মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী পাখি বেগম বলেন- আমার স্বামীকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার ও তার পেটোয়া বাহিনী। আমি এর বিচার চাই।

    মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কয়েকদফা চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এই নিয়ে টুমচর ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকদফা সালিশ বৈঠকে বসলেও সুনির্দিষ্ট কোনো মীমাংসা না হওয়ায় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

    টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল আমিন বলেন এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি তবে সমাধান করতে পারেনি।

    এদিকে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হোসেন ও হাসান তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে এ প্রতিবেদকের কাছে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আকাশ

  • দিনমজুরদের খাদ্য বিতরণ করলেন পুলিশ সুপার

    দিনমজুরদের খাদ্য বিতরণ করলেন পুলিশ সুপার

    অ আ আবীর আকাশ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাভাইরাস আক্রান্তের ফলে বেকার হয়ে পড়া অসহায় দিনমজুর মানুষদের কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার। লক্ষ্মীপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন অসহায় ও দুস্থ্যদের খাবার বিতরণ করছেন পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান।

    রবিবার ও সোমবার দুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে এ খাবারের বস্তা ও মাস্ক পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।

    পুলিশ সুপার জানান, নবেল করোনা ভাইরাস রোধে সারাদেশে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।এতে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তা দিতে এ আয়োজন। এসময় সকলকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বাড়ী চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন পুলিশ সুপার।

    পুলিশ সুপার ডক্টর এএইচ এম কামরুজ্জামান লক্ষ্মীপুরে যোগদানের পর থেকে একদিকে যেমন আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে তেমনি গরীব অসহায় মানুষের পাশে নিঃসংকোচে দাঁড়িয়েছেন। এতে করে তিনি বঞ্চিত অসহায় মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

  • ২০ হাজার টাকা নিয়ে রাতে পাম্প কিনতে বের হয়েছিলো রফিকুল! ভাটিয়ারীতে লাশ উদ্ধার সকালে

    ২০ হাজার টাকা নিয়ে রাতে পাম্প কিনতে বের হয়েছিলো রফিকুল! ভাটিয়ারীতে লাশ উদ্ধার সকালে

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :  ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে স্ত্রীকে বলে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পাম্প কিনতে বের হয়েছিলো দিনমজুর রফিকুল ইসলাম (৪০)। এর পর আর ফেরা হয়নি তার।

    বুধবার সকাল ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিএমএ এলাকার বালুর রাস্তার পাশেই মিলে রফিকুলের গলাকাটা লাশ।

    স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন।

    নিহত রফিকুল ইসলাম (৪০) নাটোর জেলার সিড়াইল থানার কুসুমদি আনন্দনগর গ্রামের শুকলাল পরমানিক এর পুত্র। রফিকুল দীর্ঘদিন যাবৎ ভাটিয়ারী কলেজপাড়া এলাকায় রফিক সওদাগরের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

    রফিকুল ইসলামের স্ত্রী উন্মে সালমা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, গত রাত ৮ টার সময় পানির পাম্প কিনে আনার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হলে রাতে আর ঘরে ফিরে আসেনি।

    সকালে ৭ টার সময় ভাটিয়ারীর বিএমএ এলাকার ব্রীজের পাশে একটি লাশ পড়ে আছে শুনে আমি সেখানে গিয়ে আমার স্বামীর লাশ সনাক্ত করি। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে বলতে পারছি না। তবে তার সাথে নির্দ্দিষ্ট কোন ব্যক্তির শত্রুতা ছিলোনা জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী।

    এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনারস্থলে গিয়ে একটি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছি, তার পরিচয়ও পাওয়া গেছে। নিহতের স্ত্রী তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করেছে।

    লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। তাছাড়া নিহতের স্ত্রীর ভাষ্যমতে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সুত্র ধরে এ ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানালেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

  • দিনমজুর থেকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’

    দিনমজুর থেকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’

    ছিলেন দিনমজুর। বহু কষ্টে জমানো টাকায় খুলে বসেছিলেন একটা টং দোকানও। তারপর খুব দ্রুত বদলে গেল সবকিছু।

    দিনমজুর সেই লোকটিই রাতারাতি হয়ে গেল বিলাসবহুল বাড়ি আর গাড়ির মালিক।

    ছয় বছর আগে একমাত্র বাহন অল্প দামি একটি মোটরসাইকেল থাকলেও ছয় বছর শেষে হয়েছে কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল গাড়ি। কিছুদিন পরপরই তিনি পরিবর্তন করেন গাড়ির ব্র্যান্ড। যেখানেই যান, তার গাড়িবহরের সামনে-পেছনে থাকে শতাধিক সহযোগীর একটি দল। নিজের সংগ্রহে রয়েছে মার্সিডিস, বিএমডব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডব্লিউ স্পোর্টসসহ নামিদামি সব ব্র্যান্ডের গাড়ি।

    এই হলো কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীবের গল্প। রাজীবের গল্পটা শুনে মনে হতেই পারে যে, সে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়েই ধনী হয়ে গেছে। কিন্তু গল্প আর বাস্তব এক নয়। তবে গল্পের সাথে বাস্তবের কিছু মিল থেকেই যায়।

    রাজীবের আলাদীনের প্রদীপ না থাকলেও ছিল প্রদীপের দৈত্যের মতো বিশাল রাজনৈতিক গডফাদার। মূলত এই গডফাদারদের জোরেই টং দোকানদার থেকে মোহাম্মদপুরের `সুলতান’ হতে পেরেছিল রাজীব।

    দামি ব্র্যন্ডের গাড়িতে চড়তেন রাজীব

    জানা গেছে, মোহাম্মদপুরে যুবলীগ দিয়েই শুরু রাজীবের রাজনৈতিক জীবন। মাত্র এক বছরের রাজনীতি করেই বাগিয়ে নেয় মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ। এ পদ পেয়েই থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করে। সে সময় যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। শোনা যায়, রাজীব মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে উল্টো ঢাকা মহানগরী উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বনে যায়। এই পদ কিনতে সে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছিল বলে জানা যায়।

    ২০১৪ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পর মাত্র কয়েক বছরেই রাজীব কয়েক শ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। শোনা যায়, কাউন্সিলর নির্বাচন করার আগে রাজনীতির পাশাপাশি এক চাচাকে কাজকর্মে সহযোগিতা করতো সে। ওই চাচা ঠিকাদারি করতেন। নির্বাচনের সময় তার ওই চাচা একটি জমি বিক্রি করে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে রাজীবকে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে সহযোগিতা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ওই চাচার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে রাজীব।

    মাত্র ছয় বছর আগেও মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়ির নিচতলার গ্যারেজের পাশেই ছোট্ট এক বাড়িতে ৬ হাজার টাকায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকত রাজীব।

    মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর প্লটে রয়েছে রাজীবের ডুপ্লেক্স বাড়ি। জানা গেছে, ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়িটি করতে খরচ হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এর বাইরে রহিম ব্যাপারী ঘাট মসজিদের সামনে আবদুুল হক নামে এক ব্যক্তির ৩৫ কাঠার একটি প্লট যুবলীগের কার্যালয়ের নামে দখল, ওই জমির পাশেই জাকির হোসেনের ৭-৮ কাঠার ১টি প্লট দখল করেছিলেন। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়ূর ভিলার মালিক রফিক মিয়ার কয়েক কোটি টাকা দামের জমি দখল করেন রাজীব। পাবলিক টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে জমিটি দখল করলেও সেখানে ৫টি দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছেন। ঢাকা রিয়েল এস্টেটের ৩ নম্বর সড়কের ৫৬ নম্বর প্লট, চাঁদ উদ্যানের ৩ নম্বর সড়কের রহিমা আক্তার রাহি, বাবুল ও জসিমের ৩টি প্লটসহ অন্তত ১০টি প্লট দখল করেছেন তিনি। বিদেশেও আছে অঢেল সম্পত্তি।

    জানা গেছে, রাজীবের আয়ের মূল উৎস হলো সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া, জমি দখল, তদ্বির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং ক্যাসিনো ব্যবসা।

    রাজীবের সব অপকর্মের সঙ্গী যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন, সিএনজি কামাল, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক, রাজীবের স্ত্রীর বড় ভাই ইমতিহান হোসেন ইমতিসহ অর্ধশত ক্যাডার। অভিযোগ রয়েছে, রাজীবের নির্দেশেই যুবলীগ কর্মী তছিরকে হত্যা করে রাজীবের ঘনিষ্ঠরা।

    ২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে রাজীব ছিল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিভিন্ন কারসাজি করে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারায় সে।

    অভিযোগ রয়েছে, এর পর থেকেই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নানাভাবে অপমান অপদস্থ করে আসছিল সে।

    মোহাম্মদপুরের পুরো নিয়ন্ত্রণই চলে গিয়েছিল তার হাতে। মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, বসিলার পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং অটোরিকশা, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাস থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তোলে তার লোকজন। পাঁচ বছর ধরে এলাকার কোরবানির পশুর হাটের ইজারাও নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল রাজীব।

    সেপ্টেম্বরে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর সে অন্তত ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তার গ্রেপ্তার আটকাতে চেয়েছিল বলে দাবি করেছে একটি সূত্র।

    কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত চেষ্টাই বিফলে গেল।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদপুর-বসিলা-ঢাকা উদ্যানসহ আশপাশ এলাকার অঘোষিত সম্রাট রাজীবের সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। দিনমজুর থেকে চাঁদাবাজি ও দখলের টাকায় ধনকুবের হয়ে ওঠা রাজীব গতকাল ভাটারা থেকে আটক হয়েছেন র‌্যাবের হাতে। ওই বাড়িতে রাজীব ১৩ অক্টোবর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। বাড়িটি তার আমেরিকাপ্রবাসী বন্ধুর।