নাগপুরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নাইমের ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরেও হারতে হয় বাংলাদেশকে। ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬২ করে শ্রেয়াস আইয়ার। বল হাতে হ্যাটট্রিক করেন দিপাক চাহার।
ভারতের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন ভালো শুরুর আশ্বাস দিলেও চাহারের বলে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। তার বিদায়ের পরেই প্রথমবলে আউট হন সৌম্য। দ্রুত দুই উইকেট পড়লে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে চাহালের ওভারে রানের দলের রান বাড়ান তরুণ ওপেনার নাইম।
তারপর থেকেই রানের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন নাইম ও মিঠুন মিলে। নাইম দেখা পান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ফিফটি। দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে জয়ের আশা দেখাতে থাকে। তবে দলীয় ১১০ রানে চাহারের বলে ২৭ রান করে আউট হন মিঠুন। সেই সাথে ভাঙে ৯৮ রানের জুটিও। মিঠুনের বিদায়ের পরেই দুবের প্রথম বলেই বোল্ড হন মুশফিক।
তার বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তখনও দলকে জেতার আশা দেখাতে থাকেন নাইম। তবে দলীয় ১২৬ রানে ব্যক্তিগত ৪৮ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নাইম। পরের বলেই দুবের বলে আউট হন আফিফও। তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অনেকটা। মাহমুদউল্লাহ যেন কিছু করতে পারলেন না। চাহালকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে এসে বোল্ড হন তিনি।
তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষদিকে হ্যাটট্রিক করেন দিপাক চাহার। সাত রানে তুলে নেন ছয় উইকেট। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৪ রানে।
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মাহমুদউল্লাহ। এবারও শুরুতে রোহিতকে ফেরান শফিউল। ধাওয়ান ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৯ করে। ৩৫ রানে দুই উইকেট পড়লে সেখান থেকে দলকে ম্যাচে ফেরান শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। শুন্য রানে শ্রেয়াসের ক্যাচ ফেলে দেন আমিনুল। সেটির খেসারত দিতে হয় দলকে।
জীবন পেয়ে সেই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করেছেন তিনি। জীবন পেয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। সেই সাথে ফিফটি হাঁকিয়েছেন রাহুলও। ৫২ রান করে আল-আমিনের বলে আউট হন রাহুল। শ্রেয়াসের ৬২ রানের উপর ভর করে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। বল হাতে দুইটি করে উইকেট লাভ করেন সৌম্য ও শফিউল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ভারত ১৭৪-৫ (ওভার ২০)
শ্রেয়াস ৬২, রাহুল ৫২: সৌম্য ২-২৯
বাংলাদেশ ১৪৪ (ওভার ১৯.২)
নাইম ৮১, মিঠুন ২৭: চাহার ৬-৭
(ফলাফল: ৩০ রানে জয়ী এবং ২-১ সিরিজ জিতল ভারত)