Tag: দিরাই

  • চলন্ত বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা : চালক গ্রেফতার

    চলন্ত বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা : চালক গ্রেফতার

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় চালক শহীদ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

    শনিবার (২ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

    সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, এখনো (সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত) শহীদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি সিআইডি।

    এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে রশিদ আহমদ নামের চালকের সহকারীকে (হেলপার) ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে আটক করে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী ওই বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এসময় চালক ও তার সহকারী কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফ দেন।

    পরে স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ বাসটি জব্দ করে।

    এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও তার সহকারী রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

    ওই ছাত্রী দিরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি বর্তমানে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

  • চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ কলেজছাত্রীর

    চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ কলেজছাত্রীর

    বাসের চালক-হেলপার কতৃক ধর্ষণচেষ্টার পর সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক কলেজছাত্রী।

    শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে করে দিরাই আসছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর এলাকায় আসার পর তিনি ছাড়া বাকি যাত্রীরা নেমে যান।

    কোনো যাত্রী না থাকায় বাসের ড্রাইভার ও হেলপার মিলে তাকে উত্ত্যক্ত করার এক পর্যায়ে ধর্ষণেরচেষ্টা চালায়। সম্ভ্রম বাঁচতে একপর্যায়ে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যান ওই শিক্ষার্থী।

    এ ঘটনায় গ্রামবাসী ওই কলেজছাত্রীকে আহত অবস্থায় দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

    দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

    চালক ও হেলপারকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

  • দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

    দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে বীভৎসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক অপর দুই চাচা জমসেদ ও মোছাব্বির খালাস পেয়েছেন।

    সোমবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই রায় ঘোষণা করেন।

    এর আগে গত ১০ মার্চ আরেক অভিযুক্ত শিশুর চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে আট বছরের আটকাদেশ দেয় শিশু আদালত।

    আলোচিত এই মামলায় পাঁচ মাসের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ করেছে আদালত।

    মামলার আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, তুহিন হত্যা মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক দুই চাচা মোছাব্বির ও জমসেদকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

    সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউর এডভোকেট শামুসন্নাহার রব্বানী শাহানা বলেন, আলোচিত মামলায় দ্রুততম সময়ে রায় দিয়েছে আদালত।

    মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৯ সনের ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত শিশু তুহিন মিয়াকে গলাকেটে তার লিঙ্গ, দুই কান কেটে পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার দুই দিন পর চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও তার দুই চাচা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আদালতে ৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেন। তবে বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির তুহিন হত্যার কথা স্বীকার করেননি। পিতা আব্দুল বাছিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও তিনি ছেলে হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি।

    মামলায় বাবা আব্দুল বাছির, চাচা জমসেদ, নাছির, মাওলানা মোছাব্বির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে পৃথক পৃথকভাবে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

    অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বয়স কম হওয়ায় তাকে বিচারের জন্য শিশু আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

    গত ২ জানুয়ারি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করে আদালত। গত ৩ মার্চ আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে তুহিন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শিশু চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে আট বছরের আটকাদেশ দেন শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।

  • শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, বাবার নেতৃত্বে হত্যা

    শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, বাবার নেতৃত্বে হত্যা

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তুহিন মিয়াকে (৫) তার বাবাই হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন, চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ও বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে হত্যা করেন।

    ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আরও বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে বাবার কোলে রেখেই চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ অন্যরা মিলে তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

    এদিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেকের আদালতে, চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে শিশু তুহিন হত্যায় তার বাবাও জড়িত বলে জানান।

    এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাবা বছির ও ২ চাচাকে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

    জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনা হয়। এরপর টানা কয়েকঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

    পরে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন তুহিনের মা মনিরা বেগম। সেই হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    এদিকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামে অন্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আবদুল বাছিরের পরিবারের বিরোধ ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরে অন্যদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

  • প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের সদস্যরাই তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে!

    প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের সদস্যরাই তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে!

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গতরাতে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে বীভৎস কায়দায় খুন করা হয়। সোমবার দিনভর যারাই ঘটনাটি শুনেছেন তাদের মনেই নাড়া দিয়েছে শিশুটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে খবরটি। কারা এই শিশুটিকে এভাবে বীভৎস কায়দায় খুন করেছে তা নিয়ে সবার ভেতরে ছিল কৌতূহল।

    তবে প্রাথমিকভাবে এই খুনের পেছনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমত আঁৎকে ওঠার মতো। যাদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার কথা তারাই শিশুটির খুনের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বাবাও এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নির্মম ও বর্বর এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারটি।

    সোমবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শিশু তুহিনকে কেন মারা হয়েছে, কীভাবে মারা হয়েছে, কয়জনে মেরেছে পুরো ঘটনা জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু তারা বলবেন না। ঘটনার পরপর তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া ছয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করবে সংস্থাটি।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতার জের। যাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই তিন-চারজন জড়িত আছেন।

    এর আগে এই ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

    তুহিন

    রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে নৃশংস এই খুনের ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছে ঝুলে ছিল শিশু তুহিনের লাশ। পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো ছিল। বাম হাতটি ঝুলে ছিলে লাশের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয় শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে ছিল রক্তে।

    সকাল ১০টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা ছিল। তারা হলেন ছালাতুল ও সোলেমান। তারা সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা।

    ঘটনাটি সুনামগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে জড়িত যারাই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা।

  • দিরাইয়ে পাশবিক কায়দায় শিশু হত্যা

    দিরাইয়ে পাশবিক কায়দায় শিশু হত্যা

    ছয় বছরের ছোট্ট শিশু তুহিনের গলাকাটা নিথর দেহটি ঝুলে আছে কদমগাছের ডালে। নিষ্পাপ দেহ থেকে কেটে নেয়া হয়েছে দুটি কান। ছোট্ট শরীর থেকে গোপনাঙ্গটিও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ঘাতকরা। নির্মমতার এখানেই শেষ নয়—হত্যার পর শিশুটির পেটে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে দুটি ধারালো ছুরি। হত্যা করার​ সবধরনের পাশবিকতাকে হার মানিয়েছে ঘাতকেরা। যেন নির্মম নির্যাতনে হত্যার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলো তারা।

    নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রাম থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুহিন একই এলাকার বছির মিয়ার ছেলে।

    তুহিনের স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে শিশু তুহিন প্রকৃতির ডাকে উঠলে তার মা বাহিরে নিয়ে যান। এর পর তাকে এনে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেন।

    রাত ৩টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। এর পর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখেন। এর পর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

    দিরাই থানার এসআই তাহের জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির কান, গলা ও প্যানিস কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ধারালো ছুরি। তবে কে বা কারা, কী কারণে এ শিশুটিকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।