Tag: দিল্লী

  • দিল্লীতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে ফটিকছড়িতে মানববন্ধন

    দিল্লীতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে ফটিকছড়িতে মানববন্ধন

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ভারতের রাজধানী দিল্লীতে নির্বিচারে মুসলিম হত্যা এবং মসজিদ-মাদরাসা ও মুসলমানদের বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদের উপর অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে ফটিকছড়িতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন বিবিরহাট বাস স্টেশন চত্বর থেকে নাজিরহাট ঝংকার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। উপজেলার কওমী মাদ্রাসাগুলোর কয়েক হাজার ছাত্র-শিক্ষক মিছিল সহকারে মানববন্ধনে যোগদেন।

    এতে বক্তব্য রাখেন- হেফাজতে ইসলামের সিনিয়ির নায়েব আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা সলিমুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হক,মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী,আমির উদ্দিন,জুনায়েদ বিন জালাল, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আবু বকর,মুফতি শওকত নানুপুরী, মাওলানা সলিম উদ্দিন দৌলতপুরী,খালেদ নানুপুরী, ক্বারী আবু সাঈদ, মাওলানা দিদার,মুফতি মুহাম্মদ, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, আফাজ উদ্দিন প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভারতকে মুসলমানরাই স্বাধীন করেছে। আর আজকে সেই মুসলমানদের সঙ্গে মোদি সরকার নিপীড়ন নির্যাতনমূলক আচরণ করছে। অথচ তারা নিজেরাই ছিলেন ইংরেজদের দালাল। সেই দালাল গোষ্ঠীই আজকে নিরীহ মুসলমানদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে।

    সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, দিল্লিতে মুসলমানদের গায়ে যদি আর রক্ত ঝরে ও একটা গুলি চলে তাহলে জিহাদের ঘোষণা দেওয়া হবে। মুসলিম ভাইদের রক্তের বদলা নিতে আর বসে থাকা যাবেনা।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে তাকে বাংলাদেশে কোনোভাবেই ঢুকতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন খুনি। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর মোদি সরকার নির্যাতন হত্যা চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

  • এবার দিল্লী ও তেলেঙ্গানায় করোনা

    এবার দিল্লী ও তেলেঙ্গানায় করোনা

    ভারতে আরও দু’জনের শরীরে ধরা পড়ল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। তাঁদের মধ্যে একজন দিল্লির বাসিন্দা। অন্যজন তেলেঙ্গানা রাজ্যের বাসিন্দা।

    সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার থেকে একথা জানানো হয়েছে। নতুন দু’জনসহ এ পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।

    ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসের দেখা মিলেছিল কেরালায়। ভারত সরকার জানিয়েছে, দুই রোগীর অবস্থাই স্থিতিশীল এবং তাঁদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দিল্লির আক্রান্ত ব্যক্তি এর আগে ইতালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তেলেঙ্গানার আক্রান্ত ব্যক্তি গিয়েছিলেন দুবাইয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় একথা জানিয়েছে।

    পৃথিবীজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে মৃতের সংখ্যা ৩,০০০ ছাড়িয়েছে। সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীনে। এরপরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম দেখা মিলেছিল এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের। তারপর থেকে ৬০টি দেশের ৮৮,০০০-এরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে।

    এর আগে কেরালায় তিন শিক্ষার্থীর শরীরে মিলেছিল করোনা ভাইরাস। তবে তাঁরা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। পরে তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের শরীরে আর করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব নেই।

    চীন থেকে আগত ভারতীয়দের কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার পরে কয়েক জনকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ শুক্রবার করোনা ভাইরাস তার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ‘হু’ জানিয়েছে, এই ভাইরাস মূলত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের শরীরে আক্রমণ করে।

    গত কয়েক সপ্তাহে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের সর্বত্র। কেবল আন্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই দেখা মিলেছে করোনা ভাইরাসের।

  • দিল্লিতে সাংবাদিকের প্যান্ট খুলতে ধর্ম যাচাই

    দিল্লিতে সাংবাদিকের প্যান্ট খুলতে ধর্ম যাচাই

    প্রথম বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে রাজধানী নয়াদিল্লি।

    সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুক্তোভোগী হয়েছেন দেশটির প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকরাও।

    সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে, মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি সাংবাদিক মুসলমান কিনা তা নিশ্চিত করতে প্যান্ট খুলে যাচাই করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার দেশটির প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এসব তথ্য নিশ্চিত করে একটি অনলাইন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

    সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে ক্ষোভের নিশানায় পড়েছে সংবাদমাধ্যম। মঙ্গলবার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে আরও দুই সংবাদকর্মীকে। এর আগের দিন বিক্ষোভে উত্তপ্ত এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক বাঙালি সাংবাদিক। তাকে প্যান্ট খুলে নিশ্চিত করতে হয়েছে তিনি মুসলমান নন।

    মঙ্গলবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার চিত্র সাংবাদিক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এমন সাম্প্রদায়িক ত্রাসের শিকার হন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

    বিড়ম্বনাময় অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ভুক্তোভোগী সাংবাদিক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, উত্তেজনাপূর্ণ জাফরাবাদ অঞ্চলে সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি ও তার সহকর্মী সাংবাদিক।

    সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌজপুর মেট্রো রেল স্টেশন এলাকায় একটি হিন্দু সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের হাতে এ হেনন্তার শিকার হন তিনি।

    তিনি জানান, সেদিন তার কপালে তিলক এঁকে দিতে তৎপর হলে তিনি আপত্তি করলে ক্ষিপ্ত হয়ে যান ওই সংগঠনটির সদস্যরা। হিন্দু হলে তিলক আঁকতে আপত্তি কিসের প্রশ্ন করা হয় তাকে।

    এর ১৫ মিনিট পরেই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয় এবং ‘মোদি’ ‘মোদি’ স্লোগানের মাঝে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়।

    এ সময় স্থানীয় একটি বাড়িতে আগুন লাগলে অগ্নিকাণ্ডের ছবি তুলতে গিয়ে আবারও বাধাপ্রাপ্ত হন এবং সেই একইধরনের প্রশ্নের সম্মূখীন হন। তারা সাংবাদিক অনিন্দ্য বলেন, ‘আপনিও তো হিন্দু। তা হলে ওখানে কেন যাচ্ছেন? আজ হিন্দুরা জেগে উঠেছে।’

    তবে তাদের কথায় কান না দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছবি তুলতে গেলে অনিন্দ্যকে একদল সশস্ত্র চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এ ঘটনার কিছু পরেই এক তরুণ এগিয়ে এসে সাংবাদিক অনিন্দ্যকে ফের পথরোধ করে হুমকি দেয় ও জিজ্ঞেস করে, ‘তুই একটু বেশি চালাকি করছিস। তুই হিন্দু, না মুসলিম?’

    এ সময় তারা সাংবাদিক অনিন্দ্যর প্যান্ট খুলতে বাধ্য করে এবং তার ধর্মীয় চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাতজোড় করে অনেক অনুনয়-বিনয় দেখানোর পরে কোনো মতে রেহাই পান ওই চিত্র সাংবাদিক।

    তখনও বিপদ কাটেনি ওই সাংবাদিকের। অটোরিকশা নিয়ে ফেরার পথে ফের সশস্ত্র বাহিনীর মারধরের মুখে পড়েন ।

    কারণ তিনি প্যান্ট খুলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বলে নিশ্চিত করলেও অটোরিকশাচালক মুসলমান ছিলেন। তাই ফের সশস্ত্র বাহিনীর রোষানলে পড়তে হয়।

    তাদের মাঝপথে থামিয়ে ঘেরাও করে চারজন সশস্ত্র যুবক। কলার ধরে দুজনকে অটো থেকে নামিয়ে মারধরের চেষ্টা করে। সাংবাদিক পরিচয় এবং অটোচালক নির্দোষ, এমন কথা বলে অনেক অনুনয়ের পরে তারা ছাড়া পান।

    অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুহূর্তগুলো আমার পার হলো ভয়ানক আতঙ্কে। ওই অটোওয়ালাই যখন আমাকে অফিসে দিয়ে গেল, তখনও সে ভয়ে কাঁপছে। চলে যাওয়ার আগে শুধু বলল, ‘সারা জীবনে কেউ আমাকে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেনি কখনো।’

    এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিজুড়েই ১৪৪ ধারা করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। কিন্তু কারফিউ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এতে দিল্লি পুলিশের উদ্বেগ আরো বেড়েছে।

    পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে অবশেষে সন্ধ্যার দিকে সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ফের কারফিউ জারি করা হয়েছে।

    ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

  • পেট্রোল ঢেলে পুলিশই পুড়িয়েছে বাস (ভিডিও)

    পেট্রোল ঢেলে পুলিশই পুড়িয়েছে বাস (ভিডিও)

    নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে বাস পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিবার বিকেলের ঘটনার একাধিক ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। যাতে দাবি করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা নয়, বাস পুড়িয়েছে পুলিশ নিজেই।

    এদিকে একই দাবি করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। টুইটার বার্তায় বাস পোড়ানোর একাধিক ছবি প্রকাশ করে মনীশ সিসোদিয়ার অভিযোগ, ‘নোংরা রাজনীতির অংশ হিসেবে পুলিশকে দিয়ে এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি সরকার। ’

    ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাসের ভেতর সাদা ও হলুদ ক্যানে করে পেট্রোল ঢালছে পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী লোক। এরপরে বাসগুলো জ্বলে উঠে।

    সিসোদিয়া জানান, ‘বাসের ভেতরে পুলিশ সাদা ও হলুদ ক্যান করে কী ঢালছিল তার নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। ’

    যদিও নয়াদিল্লি পুলিশ দাবি করে, ক্যানের ভেতরে পেট্রোল নয় পানি ছিল। আগুন নেভাতে তারা বাসের ভেতরে পানি ঢালছিল।

    তবে বাসে আগুন ধরার আগেই এর ভেতরে পানি ঢালা নিয়ে পুলিশের এমন বক্তব্যও সমালোচিত হয়েছে।

    পুলিশের অভিযোগ, বাসে আগুন ধরিয়েছে জামেয়া মিল্লিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যদিও মিল্লিয়ার ছাত্র সংসদ জানায়, তাদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। তাদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বাইরের অনেক মানুষও।

    এদিকে রাতে মিল্লিয়ার ভেতরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা, ভাংচুর চালায় চালায় পুলিশ। এতে অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

  • লড়াইয়ে তোমরা একা নও, আমিও আছি: ভিসি নাজমা

    লড়াইয়ে তোমরা একা নও, আমিও আছি: ভিসি নাজমা

    দিল্লির বিখ্যাত জামেয়া মিল্লিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের নৃশংস হামলা, নির্যাতন ও আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য নাজমা আখতার।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে মর্মাহত বলে এক ভিডিওবার্তায় জানান নাজমা আখতার। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের লড়াইয়ে তিনিও আছেন।

    মিল্লিয়ার ভিসি বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে বর্বরোচিত আচরণ করা হয়েছে, তাতে আমি ব্যথিত।

    যেভাবে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে এবং লাইব্রেরিতে পড়াশোনারত শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ’

    তিনি বলেন, ‘আমি আমার শিক্ষার্থীদের জানাতে চাই যে, তারা এই কঠিন লড়াইয়ে একা নন। আমি ও পুরো জামিয়া তাদের সঙ্গে রয়েছি। যতক্ষণ সম্ভব আমি এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে যাব। আপনারা কখনও একা নন, হতাশ হবেন না এবং কোনও গুজবে বিশ্বাস করবেন না। ’

    রোববার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে যা করার দরকার ছিল, তারা তা-ই করেছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে, ক্যাম্পাসে পুলিশের ঢুকতে হলে আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

    শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়ার পর কয়েক শত লোক দিল্লি পুলিশ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে করতে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে।

    এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সহিংসতায়-বিক্ষত মূল সড়ক ধরে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে হাত উঁচিয়ে শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে। এসময় পুলিশ তাদের তাড়িয়ে-ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    জামিয়ার প্রধান প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান বলেন, পুলিশ জোর করে ক্যাম্পাসে ঢুকেছে। তাদের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। আমাদের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

    এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে মাথার ওপর হাত তুলে হোস্টেল থেকে ছাত্রদের বের করে নিচ্ছে পুলিশ। যদিও আটকের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি এখনো।

    প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য মিল্লিয়ার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর অভিযান চালায়।

  • দিল্লিতে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩৫

    দিল্লিতে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩৫

    ভারতের দিল্লিতে একটি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট কাজ করছে।

    স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্দি এলাকার ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার শ্রমিকের তখন ঘুমিয়ে ছিল।

    ফায়ার সার্ভিস কর্মীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কারখানায় ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট গিয়ে পৌঁছায়। তাদের নিরলস চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভোরে আগুন লাগার সময় কারখানার শ্রমিকরা ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন। তাই হতাহতের সংখ্যা অনেক। এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৫০ জনকে উদ্ধার করেছি আমরা। তবে ভেতরে আরও অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করছি।

    উদ্ধার তৎপরতা চলমান জানিয়ে এনডিটিভিকে ওই ফায়ার কর্মী জানান, হতাহতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

  • দিল্লীর পথে প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লীর পথে প্রধানমন্ত্রী

    চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সকাল ০৮টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০৩০ ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে তিনি রওনা হন।

    এ সফরকালে আগামী ৩-৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    সফরকালীন আগামী ৫ অক্টোবর (সোমবার) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এছাড়া দিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিট’-এর প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সামিটে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ডায়ালগে যোগ দেবেন তিনি।

    এদিকে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর প্রসঙ্গে ভারতের বহিঃসম্পর্ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই সফরকালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা আলোচনা করবেন দু’দেশের দুই সরকার প্রধান, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে মিত্র রাষ্ট্র দু’টির দ্বিপাক্ষীক সম্পর্ক আরো জোরদার করার প্রসঙ্গটিতে।

    এছাড়া এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি নতুন দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পেরও শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

    প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জনমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এটাই হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর।

    ভারতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারিত সফরসূচির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মাঝে রয়েছে, আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত।

    এ ছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা।

    এর আগে সামিটের সমাপনী দিনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ হাই কমিশনের মৈত্রী হলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সফর সংক্রান্ত ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য মতে, ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। একইদিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে।

    এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন। পাশাপাশি ভারত সফররত সিঙ্গপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেঙ সোয়ে কীট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা যায়।

    সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউজে আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করবেন।

    এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব প্রাপ্ত, ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।

    ৪ দিনের এই সফর শেষে আগামী ৬ অক্টোবর (রোববার) দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নসরুল এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।