কথা-কাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টায় সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ২০১৯-২০ সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মামুন, ২০১৮-১৯ সেশনের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মানিক এবং ২০১৭-১৮ সেশনের বোটানি বিভাগের শাহ পরান। এরমধ্যে শাহ পরানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের এ গ্রুপ দুইটি হলো-ভিএক্স ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ। গ্রুপ দুইটিই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এর মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু এবং ভিএক্স গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয়।
জানা গেছে, শহর থেকে ক্যাম্পাসগামী রাতের শাটলে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ভিএক্সের কর্মীরা সিক্সটি নাইনের একজনকে মারধর করে। পরে শাটল স্টেশনে পৌঁছালে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা ভিএক্স এর কয়েকজনকে ধাওয়া করে যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব জানান, আহত ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু জানান, এখানে কে কোন গ্রুপের তা দেখার সুযোগ নেই। প্রশাসন যেন অপরাধী খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করে।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেক হোসেন টিপু বলেন, তারা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমরা তা প্রতিহত করি। যারা আমাদের ওপরে হামলা চালিয়েছে প্রশাসনের কাছে তাদের বিচারের দাবি জানাই।
চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।