Tag: দুইপক্ষের সংঘর্ষ

  • সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

    সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে সড়ক ও জনপথের বিভাগের জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় উপজেলার কদমরসুল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কদমরসুল এলাকায় রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে এতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়ায় দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত জায়গায় থাকা দোকান ঘর নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝাগড়া সৃষ্টি হয়।

    এক পর্যায়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় জামাল উদ্দিন (৪৫) কামাল (৫০), জসিম (৪২), জানে আলম (৩৮) এবং সাহাব উদ্দিন (২৮) আহত হয়। এদের মধ্যে জামাল উদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    এব্যাপারে আহত জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের দোকানের সামনে এলাকার শামসুল আলম ও তার ছেলে অভি এবং আয়ান পিলার লাগিয়ে দখল করার চেষ্টা করে। এতে আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। উল্টো তারা আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।

    এদিকে রাত আটটার সময় সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই সুজায়েত এর নেতৃত্বে পুলিশ কদমরসুল এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জানে আলম ও সাহাব উদ্দিন নামে দুইজনকে আটক করেছে।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে, ঘটনাস্থলে এসআই সুজায়েতকে পাঠানো হয়েছে। একপক্ষের অভিযোগের ভিক্তিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • গোয়ালন্দে আ’লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

    গোয়ালন্দে আ’লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রেজাউল মোল্লা ওরফে আবু ডাক্তার (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন।

    নিহত রেজাউল মোল্লা ওরফে আবু ডাক্তার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোবারক মোল্লার ছেলে।

    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলী সরদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আবু ডাক্তার হাফিজুল চেয়ারম্যানের মেয়ের দেবর।

    আহতদের মধ্যে আতর আলী সরদারের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলু (৪২), বাবলুর মামা আ. সালাম বেপারী (৫৫), আ. সাত্তার খান (৩০), টোকন সরদার (২৮), গাজী সরদার (৩০), হাফিজুল চেয়ারম্যানের সমর্থক নিজাম শেখ (৩৫), রহমান সরদার (৪৫), আলো মোল্লার (৩৮) নাম জানা গেছে। তাদের গোয়ালন্দ হাসপাতালে আনা হয়। বাকিদের অন্যান্য স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং কয়েকজন এখনও আতঙ্কে এলাকায় রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

    আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক জানান, সোমবার বিকালে দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল স্থানীয় দেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছিল। প্রথম অধিবেশন শেষে শুরু হয় কাউন্সিলরদের ভোটগ্রহণ পর্ব।

    তিনি জানান, ভোটগ্রহণ স্থলে উপস্থিত থাকা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলী সরদারের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলুর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে পরবর্তীতে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ভোটগ্রহণ শেষে হাফিজুল চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আতর চেয়ারম্যানের বাজারে আসলে সেখানে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় হাফিজুলের সমর্থকরা আতর চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়।

    এদিকে হামলার খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। গুরুতর আহত অবস্থায় রেজাউল মোল্লা ওরফে আবু ডাক্তারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    এ বিষয়ে আতর চেয়ারম্যানের (সাবেক) ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, কাউন্সিলস্থলে হাফিজুল চেয়ারম্যানরা চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের জড়ো করে কাউন্সিলকে প্রভাবিত করছিল। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপর চড়াও হয়। পরবর্তীকালে সংগঠিত হয়ে আমাদের লোকজন ও বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে জখম ও ভাংচুর করে।

    ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ওরা আমার মেয়ের দেবর আবু ডাক্টারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।

    তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হলেও যুবলীগ নেতা বাবলু সেখানে জোরপূর্বক অবস্থান করে কাউন্সিলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এ নিয়ে সামান্য বাগবিতণ্ডা হলেও পরবর্তী সময়ে ওরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। চরমপন্থীদের অবস্থানের অভিযোগ সঠিক নয়।

    এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনা শুনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।