Tag: দুদক

  • দুদকের নতুন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ

    দুদকের নতুন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ

    দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে করেছে সরকার।

    বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    একইসঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হককে দুদকের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    প্রসঙ্গত, দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ও কমিশনার আ ক ম আমিনল ইসলামের চাকরির মেয়াদ আগামী সপ্তাহে শেষ হবে। তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও মো. জহুরুল হক।

  • সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করেন। শিশির মনির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।

  • পিকে হালদারের ৭০-৮০ গার্লফ্রেন্ড, ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    পিকে হালদারের ৭০-৮০ গার্লফ্রেন্ড, ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে ধরতে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের (ইন্টারপোল) কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    তিনি জানান, ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের ৭০-৮০ জন গার্লফ্রেন্ডের সন্ধান পেয়েছে দুদক। তাদের একাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছেন তার তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদেরও আসামি করা হবে।

    আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পিকে হালদারকে ধরতে এরইমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চেয়েও ফেরেননি। এমনকি তার অবস্থান নিয়েও নিশ্চিত নন কেউ।

    প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সময় গোপনে কানাডায় পাড়ি জমান তিনি। মাঝে একবার টাকা ফেরতের শর্তে দেশে ফিরতে চাইলেও দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে হবে হাইকোর্টের এমন আদেশের পর অসুস্থতার কথা বলে আর ফেরেননি তিনি।

  • হাজী সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদের’ সন্ধানে নেমেছে দুদক

    হাজী সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদের’ সন্ধানে নেমেছে দুদক

    নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ছেলে ইরফান সেলিম গ্রেফতার হওয়ার পর ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন।

    দুদক কমিশনার জানান, এমপি হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা তথ্যগুলো খতিয়ে দেখছে দুদক। তাদের অর্জিত ও দখলি সম্পদগুলো যদি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধে গণ্য হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই কমিশনার বলেন, হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ দেখেছি। আমরা লক্ষ্য‌ করছি, বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত। এতে অবৈধ সম্পদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা- তা পরিষ্কার নয়।

    তিন আরও বলেন, অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের তফসিলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং তফসিলভুক্ত অপরাধের শামিল হয়, তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি হোক; যদি দখল হয় এবং দুদক আইনের আওতাভুক্ত হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আস‌নের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সে‌লি‌মের গাড়ির স‌ঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়া‌সিফ আহ‌মেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে ইরফান সে‌লিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পেটান।

    রাত সোয়া ১০টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যা‌চেষ্টার অভি‌যো‌গে ধানম‌ণ্ডি থানায় মামলা দা‌য়ের করা হয়।

    মামলার পরই চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লে‌নে হাজী সেলিমের বাসায় র‍্যাব অভিযান চালায়। ওই ভবন থেকে লাইসেন্সহীন একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৪০টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়। এ সময় ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর মঙ্গলবার এমপি হাজী সেলিমের দখল থেকে ২০ শতক জমি উদ্ধার করে অগ্রণী ব্যাংক।

    এদিকে মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে হাজী সেলিমপুত্র ইরফানকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বিডিনিউজ সম্পাদকের জামিন স্থগিত চেয়েছে দুদক

    বিডিনিউজ সম্পাদকের জামিন স্থগিত চেয়েছে দুদক

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের আগাম জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে দুদক।

    দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

    এর আগে বিডিনিউজ সম্পাদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    গত ২৬ আগস্ট দুদকের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

    দুদকের করা মামলায় তৌফিক ইমরোজ খালিদী ওই দিন হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ গত ৩০ জুলাই মামলা করা হয়।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাবরিনার ২ এনআইডি, ইসিতে দুদকের চিঠি

    সাবরিনার ২ এনআইডি, ইসিতে দুদকের চিঠি

    জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে কারণ প্রকৃত তথ্য জানতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনি।

    আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

    তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ডা. সাবরিনার বিষয়ে দুইটি আইডির তথ্য পায় দুদক। এ বিষয়ে জানতে নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

    দুদক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর দেওয়া চিঠিতে ডা. সাবরিনা দুইটি জাতীয় পরিচয় পত্রের আইডির নম্বর দিয়ে গত ১৯ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো চিঠির জবাব পায়নি দুদক। চিঠিতে অতি জরুরি কথা উল্লেখ করা হয়।

    করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে এরই মধ্যে জেলগেটে গত ২৪ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। একই ঘটনা ২৩ আগস্ট তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
    জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই নমুনা পরীক্ষা ও আত্মসাত করা অর্থের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি।

    ধারণা করা হচ্ছে, নথিপত্রে বড় ধরণের গলদ থাকার কারণেই তাদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল।

    এ ছাড়া তাদের সহযোগী আ স ম সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী এবং প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। গত ৬ আগস্ট জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের প্রার্থনা করে দুদক।

    করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বহাল থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী। ১৫ হাজার ৪৬০টি জাল প্রতিবেদন তৈরি ও সরবরাহ করে তারা ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

    গত ১৩ জুলাই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডা. সাবরিনা চৌধুরী পেশায় একজন হৃদরোগ সার্জন। তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। যার চতুর্থ স্ত্রী সাবরিনা।

    আরিফের মালিকানাধীন জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ২৭ হাজার করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে। এর পর কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দেন। বাকি ১১ হাজার ৫৪০টি রিপোর্ট দিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মাধ্যমে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলে রাহাতের ব্যাপারে তদন্ত করছে দুদক

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলে রাহাতের ব্যাপারে তদন্ত করছে দুদক

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের ছেলে রাহাত মালেক শুভ্রের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) তদন্ত শুরু করেছে।

    সাম্প্রতিককালে এন-৯৫ মাস্ক, ভেন্টিলেটরসহ করোনা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটা নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্র রাহাত মালেক শুভ্রের নাম।

    এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।

    জানা গেছে যে, এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, জিএমআই নামে যে কোম্পানিটি এই মাস্ক সরবরাহ করেছিল, সেই কোম্পানি বিনা টেন্ডারে ভুয়া এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করেছিল। এই কোম্পানিটির সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্রের যোগসাজশের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

    অবশ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, সাম্প্রতিক করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে কেনাকাটা নয়, বরং আগে থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলেকে নিয়ে তারা তদন্ত করছিলেন।

    এই তদন্তের অংশ হিসেবেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাবেক এপিএস ড. আরিফুর রহমান শেখকে দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্রের ব্যাপারে তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ড. জাহিদ মালেক। এরপর থেকেই তার পুত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কেনাকাটার বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই তারা অনুসন্ধান শুরু করে।

    অবশ্য যখন দুদক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাবেক এপিএসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন, তখন মন্ত্রী তার তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। এরপর থেকেই দুদক নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করছে। খুব শিগগিরই তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।সূত্র:বাংলা ইনসাইডার

  • মামাকে নানা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি, দুদকের মামলা

    মামাকে নানা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি, দুদকের মামলা

    নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুলাল হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে মামাকে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগে রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার মামলা দায়ের করেন। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সংরক্ষিত কোটায় ‘উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দুলাল হোসেন ওই বছরের ৮ নভেম্বর আবেদন করে চূড়ান্ত নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই দুলালের নামে সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। ১২ আগস্ট তিনি রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। মে/২০১৯ পর্যন্ত তিনি মোট ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৪ টাকা বেতন ও ভাতাদি উত্তোলন করেছেন।

    দুলাল হোসেন ২০০৫ সালে দাখিল এবং ২০০৯ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত বর্তমানে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী মন্ডল, পিতা-মৃত মকিম উদ্দিন মন্ডল, সাং- তুড়গ্রাম, ডাকঘর- বৈদ্যপুর, উপজেলা-মান্দা, জেলা-নওগাঁ এর মুক্তিযোদ্ধা সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করেন।

    একইসঙ্গে মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান, ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদ, মান্দা, নওগাঁ এর স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেন। প্রত্যয়নপত্রে তার মা দুলোতন বিবিকে মো. ইব্রাহিম মণ্ডলের জ্যেষ্ঠ কন্যা বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে- এধরনের কোনো প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করা হয়নি।

    মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ আমার কছে এসেছে। বিষয়টা তদন্তাধীন আছে। আমি তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরইমধ্যে দুদক রাজশাহী কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দুলাল হোসেন। তদন্তে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    রাজশাহী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের অনুসন্ধানে মামাকে নানা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। সেই অনুযায়ী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদক রাজশাহী জেলা কার্যলয়ে মামলা হয়েছে।

  • ‘আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি-মন্ত্রীর তো যাবজ্জীবন হবে’

    ‘আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি-মন্ত্রীর তো যাবজ্জীবন হবে’

    ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি-মন্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

    চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কৃত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, গোলাম রাব্বানী এবং দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বর্তমানে যুক্তরাজ্য বসবাস করছেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সেখানে বসেই দুদকের এই অভিযান বিষয়ে ফেসবুকে মতামত জানালেন নাজমুল।

    তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি এখানে তুলে ধরা হলো…

    “ছাত্রলী গের দায়িত্ব ছেড়েছি প্রায় চার বছর। এতদিন যাবত দেশের বাহিরেই থাকি, মাঝখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সব মিলিয়ে তিন/চার মাস দেশে ছিলাম। দায়িত্বে থাকার সময় টেন্ডার, চাঁদা, তদবির, কমিটি বাণিজ্য কোনটিই করিনি। তারপরেও দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছেন অবৈধ সম্পদের খোঁজে। কোন অন্যায় না করে এতোবড় কষ্টের দায় কেন নিতে হচ্ছে জানি না। কষ্ট পাচ্ছি না, নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে।

    এই চার বছরে ধার করেছি প্রায় অনেক টাকা। আমার পাওনাদারও আছেন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে, তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছি। ফেরত দিবো বলে তারাও ত্যক্ত-বিরক্ত আমার প্রতি। তবে কি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল এই কারণেই আমার শাস্তি? সম্রাট ভাই আমাকে আদর করতো, স্নেহ করতো। রাজনীতির মাঠেই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছিল।

    সম্রাট ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এই কারণে দুদক আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তো তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। কারণ…
    প্রায় সবাই দুধে ধোয়া তুলসিপাতা।”

    ফেসবুক লিঙ্ক :

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1812135798916876&id=100003614196671

  • নাজমুল-শোভন-রাব্বানীর সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

    নাজমুল-শোভন-রাব্বানীর সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

    ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কৃত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    এ ছাড়া সংগঠনটির আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিদ্দিকী নাজমুল আলমের বিরুদ্ধেও তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক।

    দুদক সূত্র জানিয়েছে, শুধু ছাত্রলীগের এই তিন নেতার বিরুদ্ধেই নয়; শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এর মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপসহ ৪ জন সংসদ সদস্য, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ৫ কাউন্সিলরসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।

    গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই অংশহিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।

    অনুসন্ধান টিমের প্রাথমিক তদন্তে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। সে অনুযায়ী, এবার অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।

    গত ৩০ অক্টোবর প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬শ’ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় দুদক। হিসাবগুলো আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, যুবলীগের সম্রাট, জি কে শামীম, খালেদসহ অন্যান্য ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের। এ তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমও।

    বিভিন্ন ব্যাংকে এদের আমানতের স্থিতির পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। বর্তমানে অ্যাকাউন্টগুলোর লেনদেন স্থগিত ও কিছু জব্দ করা হয়েছে। তাদের সম্পদের খোঁজ করতেই বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।

    এ সংক্রান্ত সব তথ্য চেয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মহাব্যবস্থাপকের কাছে চিঠি দেয়া হয়।

    আরও শতাধিক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আলাদাভাবে চিঠি দিতে যাচ্ছে দুদক।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, চলমান অভিযানের অংশহিসেবে দুদক বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে।

    এ অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ (ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) চার শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

  • সম্রাট দুর্নীতি মামলায় রিমান্ডে

    সম্রাট দুর্নীতি মামলায় রিমান্ডে

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে দুদকের আবেদনে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল দুদক। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

    ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো বসিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। এ অর্থে তিনি ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

    সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়। গত ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

  • কোটি টাকার চেক নগদ সাড়ে সাত লাখ টাকা উদ্বার,ভূমি কর্মকর্তাসহ আটক ৩

    কোটি টাকার চেক নগদ সাড়ে সাত লাখ টাকা উদ্বার,ভূমি কর্মকর্তাসহ আটক ৩

    চট্টগ্রাম জেলার ভূমি অফিসের বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি টাকার চেক ও নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকাসহ ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নগরীর ষোলশহর চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্সের একটি দোকানে বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বিভিন্ন গ্রাহকের দলিল ও কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

    জানাগেছে, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মো. নজরুল ইসলাম নামের এই কর্মচারীকে ঘুষের নগদ টাকা ও চেকসহ হাতেনাতে আটক করেছে দুদক।

    পাশাপাশি ওই দোকানে অবস্থান করায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের অফিস সহকারী তসলীম উদ্দিনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ। তিনি বলেন, প্রায় ১০ টাকার মতো ঘুষ লেনদেনের হওয়ার খবরে আমরা শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার আনুকা নামক একটি পোশাকের দোকানে অভিযান চালাই। এসময় তল্লাশি চালিয়ে নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা এবং সাড়ে ৯০ লাখ টাকার ৮টি চেক পাই। এছাড়া ওই দোকান থেকে জমি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত বেশ কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, নজরুল ওই নগদ টাকার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া দোকানে এদিন কোনো বেচাকেনাও হয়নি। মূলত জমি অধিগ্রহণের নামে চেকগুলোর টাকা উত্তোলন করে ঘুষ বাবদ অগ্রিম টাকা নেয়া হয়েছিলো। তাই ওই দোকানের মালিক নজরুলকে আটক করেছি। এছাড়া এসময় দোকানে জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী তসলীম উদ্দিনকে অবস্থান করতে দেখে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।

    দুদক সূত্রে জানা যায়, ভূমি অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা পান সেই টাকা ছাড় করাতে কমিশন দিতে হয় একটি চক্রকে। আর এ কমিশনের ভাগ অনেকেই পান। কমিশন তোলার কাজটি করতেন নজরুলসহ জড়িত কয়েকজন। অগ্রিম কমিশনের অংশ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে চেক ও টাকাগুলো নেওয়া হয়েছে। তছলিম উদ্দিনও তাদের সঙ্গে কাজ করতেন।

    এ বিষয়ে দুদক সজেকা চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

    উল্লেখ্য, শপিং কমপ্লেক্সস্থ আনুকা নামক দোকানের মালিক নজরুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়ের শিকলবাহক (চেইনম্যান) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকেসহ তিনজনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দিয়েছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। পরে তাকে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।