Tag: দুর্নীতি

  • তথ্য অধিকার নিশ্চিত হলে দুর্নীতি হ্রাসসহ দেশে সুশাসন প্রতিষ্টিত হবে-এবিএম আজাদ

    তথ্য অধিকার নিশ্চিত হলে দুর্নীতি হ্রাসসহ দেশে সুশাসন প্রতিষ্টিত হবে-এবিএম আজাদ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আজাদ বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দেশে ক্রান্তিকাল চলমান রয়েছে। সংকটকালেও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতি হ্রাসসহ দেশে সুশাসন প্রতিষ্টিত হবে।

    পাশাপাশি সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারী সংস্থাগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাŸদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। সরকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

    তিনি বলেন, তথ্য পাওয়া সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ অনেক প্রেক্ষাপট জড়িত। তাছাড়া তথ্য অধিকার আইন আছে তা জনগনকে জানাতে হবে।

    আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় আন্তজাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে জুম অ্যাপের মাধ্যমে আয়োজিত ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সরকারের তথ্য কমিশন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “তথ্য অধিকার-সংকটে হাতিয়ার, সংকটকালে তথ্য পেলে, জনগণের মুক্তি মেলে”।

    বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রনীত হয়।

    তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণে এই আইন করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়েছে।

    তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে কমিটি করে দেয়া হয়েছে।

    আগামীতে ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি করা হবে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনগনের চাহিদামত তথ্য আদান-প্রদান করছে কি না তা কমিটির প্রধানগনকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তাহলে এ আইন আরো বেশি কার্যকর হবে।

    জনগনের চাহিদামত তথ্য প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। আবার যেসব তথ্য প্রদান করলে রাষ্ট্র বা সরকারের জন্য ক্ষতিকর বা হুমকি হবে সে সব তথ্য দেয়া যাবেনা।

    জনগণকে কোন্ কোন্ ধরনের তথ্য দেয়া যাবেনা বা কেন দেয়া যাবেনা তা কারণসহ জানিয়ে দেবেন ঐ কর্মকর্তা। জনগণ যাতে আইনটি সম্পর্কে জানে সেজন্য প্রচার-প্রচারনা ও সচেনতার বিকল্প নেই।

    বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে গনমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিছু কিছু ব্যক্তি ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ।

    তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও সরকারের যুগ্ম সচিব মো. জাফর আলম।

    জুম অ্যাপের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর সেকান্দর হায়াত খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. শাব্বির ইকবাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী ও সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিইউ) উপ-পুলিশ কমিশনার হামিদুল হক।

    অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুর রহমান, বিভাগের বিভিন্ন জেলার ডিসি, এডিসি, ইউএনও, সিভিল সার্জন, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাসহ সকল সরকারি চাকরিজীবিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘ঘুষ ও দুর্নীতির ব্যাপারে আপনাদের সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এই সব ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি অনেক সময় আমাদের সমাজকে ধ্বংস ও উন্নয়নকে ম্লান করে দেয়। তাই আপনাদের এ ব্যাপারে গণ সমচেতনা সৃষ্টি করতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিসিএস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন অ্যাকাডেমিতে ১১৩, ১১৪ ও ১১৫তম বিসিএ প্রশাসন ও আইন কোর্স এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের বলবো জনগণের ট্যাক্স এবং কৃষক-শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রমের কল্যাণে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি।’

    তিনি আরো বলেন, ‘তাই তাদের এই পরিশ্রমলব্ধ অর্থের যেন যথাযথ ব্যবহার হয় এবং সুপরিকল্পিত ও সাশ্রয়ীভাবে যেন উন্নয়নমূলক কর্মকা-গুলো সম্পন্ন হয় সেদিকে আপনাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’

    শেখ হাসিনা দেশের আরো উন্নয়নের জন্য দেশপ্রেম ও কর্তব্যপরায়ণতার সাথে কাজ করার জন্য নতুন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘আপনাদের একথা মনে রাখতে হবে যে এ দেশে আমাদের এবং আপনাদের সন্তানরা ভবিষ্যতে এখানেই বাস করবে। তাই আপনাদের এ কথাও মাথায় রাখতে হবে যে আপনারা আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছেন। আপনারা যদি এই চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ লালন করে কাজ করেন, তবে আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির মূল উৎপাটনের জন্য অভিযান শুরু করেছে এবং এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে নতুন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    তিনি তাদেরকে আরো বেশি উদ্ভাবনীর পরিকল্পনার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, তারা তাদের এলাকার পরিবর্তন ঘটাতে পারেন এবং তাদের কাজের মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটাতে পারেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি আপনারা প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। এলাকাগুলোর উন্নয়ন আপনাদের কাজের মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে। তাই দেশের জন্য ভালবাসা ও কর্তব্যপরায়ণতার সাথে এই উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে প্রশাননের নবীন কর্মকর্তাদের স্মরন করিয়ে দেন যে, জনগণই দেশের মালিক।

    তিনি বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, এই জনগণের জন্য আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এবং তাদের জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

    আমরা যেমন আমাদের পরিবারের জন্য দায়িত্বশীল, এই চিন্তা চেতনা নিয়ে তেমনি দেশের জনগণের জন্যও আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
    শেখ হাসিনা নবীন কর্মকর্তাদের শপথকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেন এবং নিয়মিতভাবে এই শপথ অনুসরন করতে তাদের প্রতি পরামর্শ দেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, শপথের প্রতিটি বাক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি শুধু পাঠ করলেই চলবে না, এটি চর্চাও করতে হবে। আমরা চাই আপনারা তা করবেন।

    তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যখন মাঠ পর্যায়ে বড় দায়িত্ব পালন করবেন, তখন আপনাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে যাবে।

    শেখ হাসিনা দেশের আরো উন্নয়নের জন্য তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নীতির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার ২০১০-২০২০ সাল পযর্ন্ত মেয়াদে ১০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহন করেছে।

    তিনি আরো বলেন, আমরা এখন দেশের আরো উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা কৌশলপত্র (২০২১-২০৪১) প্রণয়ন করেছি। আজকের তরুন অফিসাররা একদিন সিনিয়র অফিসার হবেন। সে সময়ে তাদেরকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে তাদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
    সততার শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ মোকাবেলা এবং চ্যালেঞ্জে বিজয় লাভ করেছে।

    তিনি আরো বলেন, আমরা সৎ পথে ছিলাম বলে এই অভিযোগ আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। অবশেষে সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং কানাডার ফেডারেল কোর্ট রায় দিয়েছে যে, এই অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। আমরা সততার সঙ্গে অগ্রসর না হলে আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে পারতাম না।

    এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কিছু লোকের উস্কানির কারণে বিশ্ব ব্যাংক এসব অভিযোগ এনেছিল।

    তিনি আরো বলেন, যারা বিশ্ব ব্যাংককে দিয়ে এসব অভিযোগ করিয়েছিল, তারা আমার হাত থেকে লাভবান হয়েছিল। আমি তাদেরকে গ্রামীন ফোনের ব্যবসা দিয়েছিলাম। আমি ১৯৮৫-৮৬ সালে গ্রামীন ব্যাংকের পক্ষে প্রচারনা চালিয়েছিলাম এবং আমার সরকার জাতিসংঘে গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের ধারনার ওপর প্রস্তাব পেশ করেছিল এবং ১৯৯৬ সালে এটি পাস করতে সাহায্য করেছিল।

    সেই লোকই গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদের জন্য পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন তহবিল বন্ধ করতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এমডি পদের জন্য এতোটা লোভী হয়ে উঠেছিলেন কেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ি একজন এমডি কেবল ৬০ বছর বয়স পযর্ন্ত তার পদে থাকতে পারেন। অথচ সে সময়ে এই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন অবৈধভাবে পদ আকড়ে থাকায় বাধা সৃষ্টি করলো, তখনি পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল কারণ তিনি ছিলেন হিলারির বন্ধু।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দু’জন খ্যাতিমান সম্পাদকও সে সময়ে পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থসহায়তা বন্ধ রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি তখন এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। আমি তখন বললাম কোথায় দুর্নীতি হয়েছে, তা প্রমাণ করতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার লক্ষ্যে সরকারের একটি সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বের মানুষের ধারনা বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তারা ধারণা করতে পেরেছে যে, বাংলাদেশ যদি ইচ্ছা করে তাহলে পারে এবং আমরা তাই করেছি।

    শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারিদের কল্যাণে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং বাড়ি ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য তাদেরকে সুবিধা দিয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘যারা ভাল কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে আমরা জনপ্রশাসন পদক চালু করেছি। এর উদ্ধেশ্য হচ্ছে, আমরা চাই তারা দেশ ও দেশের জনগণের জন্য বেশি করে কাজ করুক, আমার জন্য নয়।’

    জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হাসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচএন আশিকুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর কাজী রওশন আখতার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। রেক্টর অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তিন কোসের্র তিন তরুন কর্মকর্তা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।

  • গত দশ বছরে দেশের নিচেরতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত হরিলুট হয়েছে : মেনন

    গত দশ বছরে দেশের নিচেরতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত হরিলুট হয়েছে : মেনন

    চৌদ্দ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘গত দশ বছরে দেশের নিচেরতলা থেকে শুরু করে উপরতলা পর্যন্ত শুধু লুট, লুট আর হরিলুট হয়েছে। টিআরের গম লুট, রাস্তার ইট লুট, প্রকল্পের টাকা লুট, জিডিপির টাকা লুট, বড় বড় প্রকল্পে লুটপাট হয়েছে।’

    তিনি আজ শনিবার বেলা ১১টায় শহীদ আলতাফ মাহমুদ অডিটরিয়ামে মুলাদী উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘দেশে দুর্নীতির মুলোৎপাটনের জন্য ১৪দল গঠন করা হয়েছিলো। সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক বড় বড় প্রকল্প করেছি। সেই বড় বড় প্রকল্পে বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে। বালিশ ক্রয়, বালিশের কভার, বালিশ নিচতলা থেকে কক্ষে ওঠাতে খরচের নামে দুর্নীতি হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র কয়েকটি ক্যাসিনো-জুয়া বন্ধ করলেই হবে না। দেশের সকল পর্যায়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ না করলে স্বাধীনতার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। এছাড়া দেশের উন্নয়নে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বন্ধ করে তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দিতে হবে। যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে তাদের সম্মান দিতে হবে। তাহলেই দেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পারবে।’

    সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম. এ গফুর মোল্লা। প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলু। বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শেখ টিপু সুলতান, কোষাধ্যক্ষ মাজহারুল হক, কেন্দ্রিয় যুবমৈত্রীর সহ-সভাপতি সুজন আহমেদসহ উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ।

  • ২০ টাকার স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লোভস ৩৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব

    ২০ টাকার স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লোভস ৩৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব

    চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির দামে অস্বাভাবিক প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    বর্তমানে লাগামছাড়া চলছে দেশে উন্নয়ন খাতে অর্থ ব্যয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ ও প্রস্তাব করছে ইচ্ছেমতো।

    ২০ থেকে ৫০ টাকা দামের একটি স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লোভসের দাম ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ২ হাজার টাকা দামের পিলোর (বালিশ) দর ২৭ হাজার ৭২০ টাকা আর কভার ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। ওই কভারের দাম ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এ ছাড়া ডিসপোজেবল সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্ক প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা; যার বাজারদর সরেজমিন যাচাই করে জানা গেছে মান ভেদে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

    সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে মূল্যায়ন কমিটির বৈঠকে এই প্রকল্পের খরচের হিসাব নিয়ে অসন্তোষ ও চরমভাবে আপত্তি জানানো হয়। প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ৬২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। একনেকে তা এখনো অনুমোদন হয়নি। অনুমোদন পেলে তিন বছরে এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কাজ সমাপ্ত হবে।

    চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এই প্রকল্পটি বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। আর্থসামজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এই প্রকল্পের মূল্যায়ন কমিটির বৈঠক হয়।

    ব্যয় পর্যালোচনা ও সরেজমিন দর যাচাই করে দেখা যায়, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য যে দাম প্রস্তাব করা হয়েছে তা অতিরঞ্জিত ও অস্বাভাবিক। সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া এই ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের জন্য ১২টি চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম অতিরঞ্জিত ও যথেচ্ছভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে। সরেজমিন তোপখানা রোডস্থ সার্জিক্যাল মার্কেটে এসব পণ্যমূল্য যাচাই করে দেখা যায় প্রকৃত মূল্যের সাথে প্রস্তাবিত মূল্যের কোনো সম্পর্কই নেই। বিক্রেতারা এসব প্রস্তাবিত পণ্য মূল্য শুনে হতবাক। স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লোভস প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা; যা ভ্যাট, ট্যাক্সসহ বাজারমূল্য প্রতিটির ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। ৫ এমএলের টেস্ট টিউব গ্লাস মেডের দাম ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। বাজারমূল্য হলো ১৫ থেকে ৫০ টাকা। ডিসপোজেবল সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্ক প্রতিটির দাম ৮৪ হাজার টাকা, বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। পিলো (অ্যাজ পার স্পেসিফিকেশন) ২৭ হাজার ৭২০ টাকা। বর্তমান বাজারমূল্য সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা। আর পিলো কভার ২৮ হাজার টাকা। বাজারদর ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা বলে বিক্রেতারা বলছেন। তিন পিন বা রাউন্ড প্লাগের মাল্টিপ্লাগ উইথ এক্সটেনশন কর্ডের দাম ৬ হাজার ৩০০ টাকা, বাজারমূল্য ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

    সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্ক ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্য যেসব সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব করেছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- নির্ধারিত সাইজের একটি রেক্সিনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা (সম্ভাব্য বাজার মূল্য ৩০০-৫০০ টাকা), স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লোভস ৩৫ হাজার টাকা (২০-৫০ টাকা), কটন তাওয়েল ৫ হাজার ৮৮০ টাকা (২৫০-১০০০ টাকা), ৫ এমএল সাইজের টেস্টটিউব-গ্লাস মেডের মূল্য ৫৬ হাজার টাকা (১৫-৫০ টাকা), থ্রিপিন ফ্লাট ও রাউন্ড প্লাগযুক্ত মাল্টিপ্লাগ উইথ এক্সটেনশন কড ৬,৩০০ টাকা (২৫০-৫০০টাকা), রাবার ক্লথ ১০ হাজার টাকা (৫০০-৭০০ টাকা), হোয়াইট গাউন ৪৯ হাজার টাকা (১-২ হাজার টাকা), ডিসপোজাল সু কভার সাড়ে ১৭ হাজার টাকা (২০-৫০ টাকা), বালিশের দাম ২৭ হাজার ৭২০ (৭৫০-২০০০ টাকা) এবং বালিশের কভার ২৮ হাজার টাকা (৫০০-১৫০০ টাক)।

    সরেজমিন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৫৪ ইঞ্চি আকারের একটি সাদা গাউনের দাম ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা যার বর্তমান বাজারদর সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা। প্রকল্পে ২২ ইঞ্চি বাই ৩৬ ইঞ্চি আকারের কটন টাওয়েলের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৮০ টাকা, যার বাজারমূল্য হলো মানভেদে ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। ৫৪ ইঞ্চি আকারের একটি রেক্সিনের দাম ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা, যার বাজারদর ৩ শ’ থেকে ৫ শ’ টাকা। ৫৪ ইঞ্চি আকারের রাবার ক্লথ ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। বাজারে গিয়ে দাম জানা গেছে ৫ শ’ থেকে ৭ শ’ টাকা।

    প্রকল্পের কিছু কিছু যন্ত্রপাতির ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রাক্কলন করা হয়েছে। প্যাথলোজি বিভাগের জন্য চারটি স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের দাম ডিপিপিতে (পৃষ্ঠা-৬৪) প্রতিটি দেড় লাখ টাকা ধরা হয়েছে। চারটির দাম ৬ লাখ টাকা। ল্যাব. মেডিসিন বিভাগের জন্য চারটি স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ (ডিপিপি-পৃ. ৭০) ৩০ কোটি টাকা।

    এখানে প্রতিটির দাম সাড়ে ৭ কোটি টাকা। ১১৫ পৃষ্ঠায় এ মেশিনের দাম ৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের এই ধরনের অত্যাধুনিক দামি যন্ত্রপাতি চারটি করে ক্রয় করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই দুই বিভাগের চিকিৎসাসরঞ্জামের তালিকা ১ থেকে ৫২ ক্রমিক নম্বর পর্যালোচনায় দেখা যায়, হুবহু একই ধরনের চিকিৎসাসরঞ্জামের দামে বড় ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে।

    জানা গেছে, যেখানে অধ্যাপকদের জন্য ১২০টি ইউনিট, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের জন্য ৪০টি ইউনিট, সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য ২৪০টি ইউনিট, সহকারী অধ্যাপকদের জন্য ৩ শ’টি ইউনিট, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য ৭০টি ইউনিট, সাব-অ্যাসিসট্যান্টদের জন্য ২৫০টি ইউনিট, সেখানে প্রতিটি আইটেম প্রায় ১০৫০টি করে কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। রিসার্চ সেলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আবার অন্য রিসার্চ ল্যাবের জন্য যন্ত্রপাতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা। আসবাবপত্র ও ফার্নিচারের ক্ষেত্রেও প্রাক্কলিত দর একেক জায়গায় একেক রকম ধরা হয়েছে। হাস্যকর বিষয় হলো, ২০তলা ভবনের জন্য ধরা হয়েছে ১০তলা ফাউন্ডেশন। ২৫ কোটি টাকার বেশি কোনো বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই বাধ্যতামূলক হলেও এই প্রকল্পে তা করা হয়নি। তাই অতিরঞ্জিত মূল্য ধরা হয়েছে।

    পরিকল্পনা কমিশন বলছে, একটি বিভাগের ১২টি আইটেমেই প্রস্তাবিত মূল্যের সাথে বাজারমূল্যের পার্থক্য আকাশছোঁয়া। এই প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত সব যন্ত্রপাতি বা চিকিৎসাসরঞ্জাম ক্রয় পর্যালোচনা করলে এই অসামঞ্জস্য আরো বেশি হবে। এই ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাক্কলন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ডিপিপিতে ১২৭ থেকে ১৪৩ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন দফতরের জন্য প্রায় ১০৫০টি ওয়াটার ফিল্টার, ১০৫০টি রিভার্স ওসমোসিস, প্রায় ১০৫০টি ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ১০৫০টি ল্যাপটপ, ১০৫০টি কালার প্রিন্টার ও ১০৫০টি সাদা-কালো প্রিন্টার ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ওয়াটার ফিল্টার থাকলে রিভার্স ওসমোসিস, ডেস্কটপ থাকলে ল্যাপটপ এবং কালার প্রিন্টার থাকলে সাদা-কালো প্রিন্টার এত বিপুল সংখ্যায় ক্রয়ের যৌক্তিকতা নেই। একই রকম চিত্র গাইনি বিভাগের জন্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও।

    এই ব্যয় প্রাক্কলনের ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রাক্কলনের যৌক্তিকতা নিরূপণের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়।

    এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্প রিজেক্ট করা হয়েছে। অনুমোদন পায়নি পিইসিতে। কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ব্যয় প্রাক্কলন অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অতিরঞ্জিত। তিনি বলেন, গত ৩০ মে অনুষ্ঠিত যৌক্তিকতা নিরূপণ কমিটির সভায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একজন অধ্যাপক, দু’জন সহযোগী অধ্যাপক, ডিপিপি প্রণয়নকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীর সাথে ওই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অফিস সহায়কের স্বাক্ষর পাওয়া গেছে। সরকারি দফতরের ব্যয় প্রাক্কলনের মতো একটি সংবেদনশীল কাজে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি অনভিপ্রেত।

    তিনি বলেন, যারা এই ডিপিপিতে ব্যয় প্রাক্কলন করেছেন তারা দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অজ্ঞ।

    তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ডিপিপি প্রস্তুতে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কারা কারা জড়িত ছিল তা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থ খরচের জন্য সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন নতুন খাত। প্রকল্প মূল্যায়ন কোনোভাবে ম্যানেজও করা হচ্ছে। ফলে ব্যয়ের খাতগুলো নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন উঠছে না। কোনো না কোনোভাবে তা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে ব্যয় অনুমোদনও নেয়া হচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা আছে সেগুলোর তোয়াক্কা করছে না বেশির ভাগ বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও সংস্থা।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমদ এ ব্যাপারে বলেন, বিচারহীনতা থাকলে এমন অবস্থা চলতেই থাকবে।

    তিনি বলেন, এই ধরনের প্রস্তাবনা এলে তা ফেরত না পাঠিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের উচিত হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। এভাবে ফেরত পাঠানো কোনো সমাধান নয়। অনেক ঘটনাই তো ঘটছে। শাস্তি না হওয়ার কারণে এসবের মাত্রা আরো বেড়ে যাচ্ছে। শাস্তি দৃশ্যমান হওয়া উচিত।

    সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলের অর্থে এটি বাস্তবায়ন করার কথা স্বাস্থ্য অধিদফতরের।

    প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

    প্রস্তাবিত প্রকল্পটি নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। সেখানেই বিভিন্ন সরঞ্জামের দামে অস্বাভাবিক প্রস্তাবের বিষয়টি চিহ্নিত হয়।

    প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের অসামঞ্জস্য ব্যয় ধরা পড়ায় প্রকল্পটি অনুমোদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বেশকিছু সুপারিশ দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

    এজন্য পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২৫ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাই বাধ্যতামূলক। সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া এত বড় প্রকল্প নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। তাছাড়া যেভাবে দাম প্রাক্কলন করা হয়েছে এটা মেনে নেয়া যায় না।

    সূত্র জানায়, এছাড়া প্রকল্পের প্রস্তাবে আরও বিভিন্ন বিষয়ে কেনাকাটায় দামে অসামঞ্জস্যতা খুঁজে পেয়েছে কমিশন। এগুলো হচ্ছে, আসবাবপত্রের ব্যয় প্রাক্কলনে একেক জায়গায় একেক রকম ধরা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অত্যধিক ধরা হয়েছে। কোথাও ফার্নিচারের পরিমাণ নির্ধারণে রয়েছে অসঙ্গতি।

    এছাড়া নির্মাণ ও পূর্ত কাজের ক্ষেত্রে ২০ তলা ভবনের জন্য ভুল করে ১০ তলা ফাউন্ডেশন ধরা হয়েছে। ফাউন্ডেশন নির্মাণের রেট, বিভিন্ন ভবনের ফ্লোরের রেট, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবনের এক্সট্রা হাইটস, স্যালাইন জোন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যয় প্রাক্কলন অসামঞ্জস্য হয়েছে।

    বইপত্রের দাম প্রাক্কলনের ক্ষেত্রেও নানা অসামঞ্জস্যতা পেয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বইপত্র ক্রয়ের জন্য ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। বইয়ের যে তালিকা দেয়া হয়েছে সেটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ব্যয় প্রাক্কলন বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি ধরা হয়েছে।

    তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে হাল সংস্করণের বই থাকা সত্ত্বেও পুরনো সংস্করণের বই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তালিকায়।

    প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে সাপোর্ট স্টাফদের অবিশ্বাস্য বেতন প্রস্তাব করেছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেখানে ক্লিনারের বেতন মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, অফিস সহায়কের বেতন প্রতি মাসে ৮৩ হাজার ৯৫০ টাকা এবং ক্যাড অপারেটরের বেতন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রস্তাব দেয়া হয়।

    শুধু তাই নয়, বিদেশি পরামর্শকের মাসিক বেতন ধরা হয় ২৫ লাখ টাকা, যা গড়ে ১৬ লাখ টাকা। রেলওয়ের একটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্পে সাপোর্ট স্টাফদের জন্য এ রকম ব্যয় ধরা হয়। বিষয়টি নজরে আসে পরিকল্পনা কমিশনের। ফলে পিইসি সভা স্থগিত করে সেটিও ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

  • দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

    দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

    দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফাঁকফোকর কোথায় এবং কারা উন্নয়ন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

    আর অসৎ দুর্নীতি-অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িত থাকলে দলের লোকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

    শনিবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য আসে।

    তিনি বলেন, “আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, এই অসৎ পথ ধরে কেউ উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে যদি ধরা পড়ে, তবে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না, এর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ব্যাপকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছি। যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিচ্ছি, তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হত, ব্যবহার হত, আজকে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি উন্নত হতো পারত।

    “এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে এখানে কোথায় লুপহোল, কোথায় ঘাটতিটা, কারা কোথায় কীভাবে এই জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”

    চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক দলীয় সভায় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এরপর ঢাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তত্ত্বাবধানে ক্যাসিনো চালানোর খবর সংবাদমাধ্যমে এলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ও বারে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অভিযানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

    প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, “যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যায়, যখন অসৎ উপায়ে উপার্জিত পয়সা সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দেয়।

    “কারণ একজনকে সৎভাবে চলতে গেলে তাকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড, ওই ব্র্যান্ড, এটা সেটা হৈ চৈ,… খুব দেখাতে পারে।”

    শেখ হাসিনা বলেন, “ফলাফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ছেলেমেয়েরা ছোট শিশু, তারাতো আর এতটা বোঝে না। ভাবে যে ওরা এইভাবে পারে তো আমাদের নাই কেন।

    “এটা স্বাভাবিক, তাদের মনে এই প্রশ্নটা জাগবে। ওত ছোট ছোট বাচ্চারা, তারা সৎ-অসতের কী বুঝবে। তারা ভাবে আমার বন্ধুদের এত আছে, আমাদের নাই কেন? স্বাভাবিকভাবে মানুষকে অসৎ উপায়ের পথে ঠেলে দেবে।”

    সমাজের এই যে বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরেকটা জিনিস আমি দেখতে বলে দিয়েছি, সেটা হল কার আয়-উপার্জন কত, কীভাবে জীবন যাপন করে, সেগুলো আমাদের বের করতে হবে।

    “তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারব।”

    দুর্নীতি পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান, সেটাও অব্যহত থাকবে। এই মাদক একটা পরিবার ধ্বংস করে, একটা দেশ ধ্বংস করে। এর সঙ্গে কারা আছে সেটাও আমরা খুঁজে বের করব। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক দূর করে বাংলাদেশের মানুষকে আমরা উন্নত জীবন দিতে চাই।”

    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস যে কেবল বাংলাদেশের সমস্যা না, গোটা বিশ্বের জন্যই যে এটি একটি হুমকি, সে কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এখন দেশের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার।

    “জনগণের শক্তিই বড় এবং আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয় এবং জনগণ উন্নত জীবন লাভ করে বলেই আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে।”

    শেখ হাসিনা তার সরকারের সময় দেশের শিক্ষাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া এবং বাজেট বাড়ানোর কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

    এত উন্নয়নের পরও দেশে ‘একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী পরশ্রীকাতর’ আচরণ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়নে যত ভালো কাজই করা হোক, তারা কখনোই ভালো বলবে না।”

    সেই ‘বুদ্ধিজীবীদের’ তিনি বিএনপির-জামায়াতের সময় দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির কথাও বলেন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন রাজনৈতিক নেতা হতে হলে দেশের মানুষের

    কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।”

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা ও বাঙালির বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি, পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ধর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের প্ররোচনাতেই ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

    লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেভাবেই হোক সমুন্নত রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি তাদের দেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান এ অনুষ্ঠানে।

    জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    আট দিনের এই সফর শেষে ১ অক্টোবর ভোরে প্রধানমন্ত্রীর দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।