Tag: দোকান কর্মচারী

  • নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: দুই দোকান কর্মচারী গ্রেফতার

    নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: দুই দোকান কর্মচারী গ্রেফতার

    রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন- নিউমার্কেট ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী কাউসার ও বাবু।

    সোমবার (৯ মে) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলনার (১০ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার

    এ বিষয়ে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরেরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

    এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী ছিলেন।

    সংঘর্ষের সূত্রপাত নিউমার্কেটের ভেতরে থাকা ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের দুই দোকান কর্মচারীর দ্বন্দ্ব থেকে। সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ রয়েছে। তবে কোনো দোকানই নিজে চালাতেন না মকবুল। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়েছেন দোকান দুটি। রফিকুল ও শহিদুল পরস্পর আত্মীয়।

    সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়। দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।

    এছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন ও মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা করেন। এই চার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৪০০ জনকে। তবে তিনটি মামলার মধ্যে শুধু পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা মকবুলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

  • সংকট মোকাবেলায় সমালোচনায় নয়, সমাধান খুজতে হবে:চসিক মেয়র

    সংকট মোকাবেলায় সমালোচনায় নয়, সমাধান খুজতে হবে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা বৈশ্বিক সংকটময় একটি মহামারি। এটাকে সামাল দিতে বিশ্বের সরকার প্রধানরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমাদেরমত উন্নয়নশীল দেশে জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রনের প্রচেষ্টা চলছে। অথচ কেউ কেউ এর সমালোচনা করেই চলেছে।

    মেয়র বলেন, সমালোচনায় সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয়। সমাধান খুঁজতে হবে সম্মিলিতভাবে দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব যতটা সম্ভব বজায় রেখে আমরা যদি দেশের প্রতিটি প্রয়োজনীয় সেক্টরকে সচল রেখে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে পারি তবেই বাঁচবে দেশ, বাঁচবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। সরকার সবদিক বিবেচনায় শপিংমল সহ অন্যান্য ব্যবসাকেন্দ্র সীমিত আকারে চালু রেখেছে। এতে করে কম বেশি সবাই উপকৃত হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি যদি দেউলিয়া হয়ে যায় বেঁচে থাকলেও আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হবে। দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে গণস্বাস্থ্য সংরক্ষণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, সতর্কভাবে দেশের মানুষ সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে সংকট উত্তরণ কঠিন হবে না। দোকান কর্মচারীদের পরিচ্ছন্ন হয়ে দোকানে বসার পাশাপাশি ক্রেতারা এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। নিজেরা আক্রান্ত হলে অন্যের সেবার যে দায়িত্ব আমাদের কাঁধে, তা ভালোভাবে করতে পারবো না।

    আজ সোমবার সকালে নগরীর বিপনী বিতান কার্যালয়েবিপনী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থা ও বিপনী বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে বিপণী বিতানের কর্মচারীদের মাঝে করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    এ সময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিপণী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. সাগির, বিপনী বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল কান্তি শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশীদ, আনিসুল ইসলাম আনিস, অনিল ধর, জনি ইসলাম, মো. ফরহাদ, আহমেদ রুবেল, তাজুল ইসলাম রিপন, আজাদ হোসেন, মনসুর আলম, মহিউদ্দিন, অনিক, আলী, ফজলুল, অরুন চৌধুরী ও সুভাশিষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পূর্ব মাদারবাড়ি সেবক কলোনী পরিদর্শনে- মেয়র
    যারা নগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন রোগ বালাই প্রতিরোধের প্রধান প্রতিষেধক। করোনাকালে এর গুরুত্ব অপরিসীম। পরিচ্ছন্ন আবাস ও দেহকে জীবাণু সহজে স্পর্শ করেনা। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মপরিকল্পনায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে অধিকতর গুরত্ব দেয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনী নিশ্চিত হলে রোগ-ব্যাধি সংক্রমণের জীবানু নিস্তেজ ও নিষ্প্রান হতে বাধ্য।

    তিনি গতকাল পূর্বমাদারবাড়িতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আবাসিক কলোনী পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, নগরীকে যারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে। তাই তাদের জন্য বহুতল ভবন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঝাউতলায় সেবক কলোনী বহুতল ভবন নির্মাণকাজ চলমান। বাকী কলোনীগুলোতেও একই ধরণের সুযোগ-সুবিধায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চসিক। এইসব প্রকল্পে আবাসনের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি হল ও উপাসনালয়ও থাকছে।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর