Tag: ধর্ষণ

  • উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীকে অপহরণ

    উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীকে অপহরণ

    খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।

    গতকার শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন তিনি। তবে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন রায় জানান, ডুমুরিয়ার ২৮ বছরের এক তরুণী শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তাকে ওসিসিতে রেফার্ড করা হয়। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

    ওই তরুণী বলেন, ‘মধুগ্রাম কলেজে পড়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করছে। আজও সে (শনিবার রাতে) আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে।

    ওই তরুণীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইল করে তার বোনকে শাহপুর এলাকায় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ওই দিন তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। তিনি ডুমুরিয়া থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

    তবে সাংবাদিকদের কছে অভিযোগ অস্বীকার করে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। ফলে সত্যমিথ্যা কিছুই বলতে পারছি না। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

    তবে বাংলাদেশ মানবধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে ধর্ষণের অভিযুক্ত তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান—স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় ডুমুরিয়ার ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে জনতা। ওই চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদেও চাচাতো ভাই।

    তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

     

  • অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণ করে গ্রেপ্তার লঙ্কান ক্রিকেটার

    অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণ করে গ্রেপ্তার লঙ্কান ক্রিকেটার

    চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সেরা ১৫ জনের মধ্যে ছিলেন দানুস্কা গুনাথিলাকা। দলের হয়ে শুরুর দিকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্বও করেছেন এই টপ অর্ডার লঙ্কান ক্রিকেটার। তবে ইনজুরির জন্য এরপর ছিটকে যান বিশ্বকাপ থেকে।

    বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন গুনাথিলাকা। আর সেখানেই বড়সড় ধরনের অনৈতিক কাজ করে বসলেন এই ক্রিকেটার। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। যার ফলে সিডনি থেকে এই ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তারও করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম।

    বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা। যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে নিজেদের দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। তবে গ্রেপ্তার হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় এই ক্রিকেটারকে রেখেই উড়াল দিয়েছে দল।

    এই বিষয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কান সাংবাদিক রেক্স ক্লেমেন্টাইন টুইটারে এক টুইটে লিখেছেন,’শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুস্কা গুনাথিলাকা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা দল তাকে ছাড়াই দেশের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে। গুনাথিলাকা তিন সপ্তাহ আগে চোটে পড়লে তার বদলে বিশ্বকাপে সুযোগ পায় আসেন বান্দারা। তবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও দল এই ক্রিকেটারকে সঙ্গেই রেখেছিল।’

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • সীতাকুণ্ডে প্রলোভনে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ, আটক ১

    সীতাকুণ্ডে প্রলোভনে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ, আটক ১

    সীতাকুণ্ডে ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহীন (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. শাহীন উপজেলার বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের ইয়াছিন নগর এলাকার নেজাম উদ্দিনের ছেলে।

    জানা যায়, গত ২৩ মার্চ প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিমের মা-বাবা কাজের উদ্দ্যেশ্য বাড়ি থেকে বাহির হয়। ঘরে বাবা ও মা না থাকায় তাদের ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু কন্যা মাদ্রাসার ক্লাস শেষ করে দুপুর ২ টায় বাড়িতে আসলে উৎপেতে থাকা ধর্ষক মো. শাহীন শিশু কন্যাটিকে ম্যাজিক লাইট দেখাবে বলে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়।

    এসময় ধর্ষক শাহীন শিশু কন্যার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক শাহীন তখন ঘর থেকে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।

    স্থানীয় লোকজন শিশু কন্যাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে তার বাবাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করে। পরবর্তীতে বাবা অসুস্থ মেয়েকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

    সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করেন এবং বর্তমানে মেয়েটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    এ ঘটনায় শিশু কন্যার বাবা বাদী হয়ে ২৭ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) সীতাকুণ্ড থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

    এবিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/কামরুল/রাজীব

  • লঞ্চের কেবিনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা আটক

    লঞ্চের কেবিনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা আটক

    চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের আশ্বাসে লঞ্চের কেবিনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আবুল কাশেম গাজী নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

    নির্যাতনের শিকার একই ইউনিয়নের পশ্চিম জয়শ্রী গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী (২৪) বাদী হয়ে সোমবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এর পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আবুল কাশেম গাজীকে আটক করা হয়েছে।

    আটক যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম গাজী (৩০) পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের যুবলীগ সদস্য। তিনি কামালপুর গ্রামের আলী আক্কাছ গাজীর ছেলে।

    ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী জানান, গত এক মাস আগে যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম গাজীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তার।

    রোববার সকালে স্থানীয় পাটওয়ারী বাজারে বাজার করতে আসেন তিনি। এ সময় পাটওয়ারী বাজারের দক্ষিণ পাশে রাস্তার ওপর অভিযুক্ত আবুল কাশেম গাজী ওই গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে কৌশলে অটোরিকশায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নিয়ে যায়। এর পর লঞ্চের কেবিনে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।

    পরে সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।

    এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আবুল কাশেম গাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছি।

  • মানিকছড়িতে পিতা কর্তৃক জমজ কন্যা ও প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষিত: ধর্ষক আটক

    মানিকছড়িতে পিতা কর্তৃক জমজ কন্যা ও প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষিত: ধর্ষক আটক

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : মানিকছড়িতে মা হারা জমজ শিশু কন্যা নিজ পিতা কর্তৃক ধর্ষিত ও প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলায় দুই ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর গুচ্ছগ্রামের মো. নুর আলম ওরফে মোঃ আলম এর স্ত্রী ২/৩ বছর আগে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রেখেবিষপানে আত্মহত্যা করেন। এর পর ঘরে থাকা ২ জমজ কন্যা ও ১ শিশু পুত্র নিয়ে মোঃ আলম বসবাস করছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মোঃ আলম তার জমজ কন্যাদের বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে ওই লম্পট পিতা মোঃ আলম এমন ঘৃণিত কাজ করার পর মেয়েরা বিষয়টি নানী মোছাঃ ফাতেমা আক্তার (৫৫)কে খুলে বলেন।

    সকালে নানী বিষয়টি সমাজপতিদের অবহিত করলে এই নিন্দনীয় কাজের ধিক্কার ও তোলপাড় শুরু হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন পুলিশ পাঠিয়ে ধর্ষক ও লম্পট মোঃ নুর আলম ওরফে মোঃ আলম (৪৯)কে আটক করেন এবং রাতে ধর্ষিত শিশু কন্যাদ্বয়ের নানীকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) ধারায় মামলা রেকর্ড করেন। মামলা নং ২,তারিখঃ-৫.১২.২০২০খ্রি.।

    ৬ ডিসেম্বর সকালে আসামী মোঃ নুর আলমকে আদালতে এবং ধর্ষিত শিশু দুইটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি প্রেরণ করা হয়।

    এদিকে উপজেলার বাটনাতলী ইউপি’র সাধুপাড়ার মানিক চন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ের (২০) সাথে বাঞ্চারাম পাড়ার মোহাম্মদ ইউচুপ মিয়ার ছেলে মোঃ ইমাম হাসান (২০) এরর দীর্ঘদিন প্রেমের সর্ম্পকের সূত্রে গত ৩০ নভেম্বর রাতে দুইজন পালিয়ে যায়। পরে মানিক চন্দ্র ত্রিপুরার কিশোরী মেয়ে প্রেমিক ইমাম হাসান কর্তৃক ধর্ষিত হয়। ঘটনা জানাজানির পর সু-কৌশলে মেয়ে ও ছেলেকে ৪ ডিসেম্বর এলাকায় আনলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ প্রেমিক ধর্ষক মোঃ ইমাম হাসান(২০) কে ৫ ডিসেম্বর থানায় নিয়ে আসলে দিনভর বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা ব্যর্থ হলে রাতে মেয়ে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষক মোঃ ইমাম হাসান(২০) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা নং-১,তারিখঃ-৫.১২.২০২০ খ্রি.।

    পরে আসামী ধর্ষক মোঃ ইমাম হাসানকে আদালতে এবং ধর্ষিত কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি প্রেরণ করা হয়।

    অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন ঘটনাদ্বয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুইটি ধর্ষণ ঘটনার ধর্ষকদেরকে দ্রুত সময়ে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের এমন তৎপরতায় অপরাধীরা বুঝবে যে কোন অপরাধ করলে কারো জন্য ছাড় নেই।

  • মৃত্যুদণ্ডের আইনের পর তিন গুণ বেড়েছে ধর্ষণ

    মৃত্যুদণ্ডের আইনের পর তিন গুণ বেড়েছে ধর্ষণ

    রাজধানীর মুগদায় ১১ বছর বয়সের স্কুলছাত্রী যমজ দুই বোনকে মুখে গামছা গুঁজে ধর্ষণ করেন ফরহাদ নামের এক যুবক। অভিযুক্ত ফরহাদ ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রীর মামাতো ভাই। গত বুধবারের ওই ঘটনা পরে পারিবারিকভাবে ‘সমাধানের’ চেষ্টা করা হয়। শেষে রবিবার মামলা করেন মেয়েটির বাবা। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ এনামুল করিম বলেন, ‘ধর্ষণ এত বড় অপরাধ। সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এসব ঘটনায় তা মনে হয় না। কেমন যেন ছেলেখেলা। আবার ঘটনা চেপে রেখে বলে মামলা করা যাবে কি না!’

    গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী কামাল ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, ‘ধর্ষণ বড় অপরাধ, মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এমন কোনো ভয় কামালের মধ্যে আমি দেখিনি।’

    প্রতিটি ঘটনায়ই দেখা যাচ্ছে এমন মনোভাব। সিলেট ও নোয়াখালীর ধর্ষণ-নিপীড়নের পর দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ হলে সরকার গত মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেছে। কিন্তু এর প্রভাব অপরাধীদের মধ্যে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে না। সাজা বাড়লেও কমেনি ধর্ষণ।

    নতুন সাজা কার্যকর হওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাস ১০ দিনে কালের কণ্ঠে ছাপানো প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯১ ঘটনায় নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

    ভুক্তভোগীদের ৪৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ সময় অর্ধশতাধিক নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে এমন ঘটনা।

    মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৯ মাসে ৯৭৫ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যেখানে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাই ২০৮টি। সংস্থাটির তথ্য মতে, আইন কঠোর হওয়ার পরও বেড়েছে ধর্ষণ। সেপ্টেম্বরে ছিল এই সংখ্যা ৮৬, যা অক্টোবরে বেড়ে হয়েছে ৩৭৪। এই সংখ্যা আগের মাস আগস্টে ছিল ১৪৮।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় অক্টোবরে ৮৫টি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৬০।

    মানবাধিকার ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠোর আইন ধর্ষণ প্রতিরোধে সহায়ক হচ্ছে না। কারণ যারা এ অপরাধ করছে, তারা ধর্ষণকে অপরাধ বলেই মনে করে না। সচেতনতা বাড়ালে এবং শাস্তি কার্যকর করা গেলে এর প্রভাব পড়বে। এর জন্য সামাজিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একদল লম্পট ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। দুর্বৃত্তরা স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেছিল।

    এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে এক নববধূকে ধর্ষণ করে কয়েকজন তরুণ। দুটি ঘটনায়ই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী এবং উঠতি সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে তথ্য মেলে। এসব ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুবিচারের দাবি ওঠে সব মহল থেকে। শুরু হয় আন্দোলন। দুই সপ্তাহের বিক্ষোভের মধ্যে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে সরকার।

    আইন সংশোধনের পর এক মাস ১০ দিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও গাজীপুরে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রায় আড়াই শ জনকে আসামি এবং ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা প্রতিবেশী, আত্মীয়, প্রেমিক ও স্কুল-মাদরাসার শিক্ষক। অপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮ জন। মুদি দোকানি, সেলুনের কর্মী, ইজি বাইকের চালক, বাসচালক, চালকের সহকারী, রিকশাচালক, কবিরাজ, সবজি বিক্রেতা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ সদস্য, বিজিবি সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সহায়তাকারী হিসেবে কমপক্ষে তিনজন নারীর বিরুদ্ধে এ সময় অভিযোগ উঠেছে।

    বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘এখনো যারা ধর্ষণ করে যাচ্ছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড হলো কি হলো না তার খবর নেই। এখানে জনসচেতনতা বাড়ানোর কাজ করতে হবে। অনেকে নারীকে নির্যাতন করা অপরাধই মনে করে না। কারণ এর জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। যুবসমাজকে উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

    পুলিশের সাবেক প্রধান আব্দুল কাইউম বলেন, ‘ধর্ষণ হওয়ার আগেই নিপীড়নের ঘটনায়ও যেন দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আগের আইনগুলোও আছে। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই পুলিশ পারে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের। প্রয়োজন আইনের বাস্তবায়ন। হত্যার শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড, এ কারণে হত্যা বন্ধ হয়নি। তবে হত্যা করলে ফাঁসি হবে, ভয় পায় মানুষ। তদন্ত আর বিচারে সাজা নিশ্চিত করতে হবে।’

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক বলেন, ‘ধর্ষক বা লাঞ্ছনাকারীদের আমরা উল্লাস করতে দেখি। নারীদের নির্যাতন অপরাধ নয়, এই জঘন্য মানসিকতা গড়ে উঠেছে অনেকের মধ্যে। মূলত বিচারহীনতা এবং ক্ষমতার প্রভাব এটি করছে। এটি হচ্ছে পরিবার থেকে সমাজ, রাষ্ট্রে সবখানে। একদল আদিম মানসিকতাতেই দেখছে নারীদের। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যেহেতু তাদের সেই বোধ নেই, সেহেতু শক্ত বা দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ভয় দেখাতে হবে তাদের।’

  • স্ত্রী কুকুরকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে গ্রেফতার হলেন যুবক

    স্ত্রী কুকুরকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে গ্রেফতার হলেন যুবক

    ডেস্ক নিউজ : ভারতে শুধু মানুষ, নারী নয়, অবলা পশুরাও এখন আর নিরাপদ নয়। কিছুদিন ধরে দেশটিতে বেড়ে গেছে কুকুর ধর্ষণের ঘটনা। গরুকেও যৌন হয়রানি করছে বিকৃত রুচির ধর্ষকরা।

    এবার দেশটির মুম্বাইতে অবলা এক কুকুরের মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে ৩০ বছর বয়সী এক শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মুম্বাইয়ের মুলুন্দ এলাকায়। এই ঘটনায় শোভানাথ সরোজ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মুম্বাইয়ের পশ্চিম মুম্বইয়ের মুলুন্দ অঞ্চলের একটি পার্কিংয়ে ওই নারকীয় কাণ্ডটি ঘটে। কুকুরটিকে পার্কিং এলাকার একটি ছোট ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে শোভানাথ সরোজ।

    কুকুরটির আর্তনাদ কানে আসায় নিরাপত্তারক্ষীরা দৌড়ে সেখানে পৌঁছলে অসহায় কুকুরটি কাতর অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকতে দেখে এবং তার যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে আসার আগেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।

    এ নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য ব্রিজ ভনশালির জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি মুলুন্দ থেকে খবর পাই একটি স্ত্রী-কুকুরকে এক শ্রমিক কার পার্কিং এলাকায় ধর্ষণ করেছে।

    আমি সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়াল করে পুলিশে খবর দিতে বলি। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আহত কুকুরটিকে একটি পশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এমন আরেক কুৎসিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল মুম্বই। সেবারও একটি নিরীহ কুকুরকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।’

    সমসাময়িক কালে সামাজিক এই ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইদানিং ধর্ষণটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয় প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে।’

    শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৭০ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধান সংযুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

    তাঁর সরকার ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের যারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হলেন আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্নধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকের যাঁরা নতুন প্রজন্ম তারাই ’৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসসী হয়েই আমাদের কর্মকর্তা, কর্মচারিরা দেশ এবং জনগণের সেবা করবে, সেটাই আমার লক্ষ্য।’

    তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।’
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে সাভারস্থ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠান স্থলসহ দেশের ৭টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

    প্রধানমন্ত্রী ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা চাই কোন ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়।’

    তিনি বলেন, ‘মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ, আমি জানি যে, বিচার না পেলে কি কষ্ট। আমার বাবা-মা, ভাই, ভাতৃবধু-তাঁদেরকে যখন হত্যা করা হয়, খুনীদেরকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। আমার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না। আমি কেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যাঁরা নিহত হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের কারোরই বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না।’

    তিনি বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা-মা, ভাই মারা গেছে আমি একটা মামলাও করতে পারিনি। আমার সেই অধিকারটাও ছিল না। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে যেন আর না থাকে।

    তাঁর সরকার ক্ষতায় আসতে পেরেছিল বলেই জাতির পিতার খুনী এবং দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    বিপিএটিসি’র রেক্টর মো. রাকিব হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৭০ তম বুনিয়াদি কোর্সের ফলাফল হস্তান্তর করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করেন।

    এবারের ৬ মাস ব্যাপী কোর্সটির শেষ একমাস করোনার কারণে অনলাইনে সমাপ্ত করা হয়। যেখানে ১৬১ জন নারীসহ ৬৬৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ৫০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী সেন্টার অব এক্সিলেন্স সনদ প্রাপ্ত হন।

    অনুষ্ঠানে সনদ প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে মেহেদী হাসান কাওসার এবং মুনিয়া সিরাত নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন হবার পরই জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুণর্গঠনকালে সংস্কারের মাধ্যমে স্বাধীন দেশের উপযোগী সিভিল সার্ভিস গঠনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

    এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া জাতির পিতার একটি ভাষণেরও উদ্ধৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতির পিতা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনা দেয় ঐ গরীব কৃষক, আপনার মাইনা দেয় ঐ গরীব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ঐ টাকায়, আমি গাড়ি চড়ি ঐ টাকায়, ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন, ওরাই মালিক।’

    প্রধানমন্ত্রী এই উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘আজকে যারা নবীন কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁদের কিন্তু ঐ কথাটাই মনে রাখতে হবে যে, এই দেশের গরিব মানুষ যাঁরা বা এখনও তৃণমূলে যাঁরা পড়ে রয়েছেন তাঁরাই এ দেশের মালিক। আর তাঁদের ঘর থেকেই লেখাপড়া শিখে আজকে উঠে এসেছেন। কাজেই, সে দিকে লক্ষ্য রেখে তাঁদের সেবা করাটাই হবে সব থেকে বড় দায়িত্ব।’

    তিনি জাতির পিতার সিভিল সার্ভিস কমিশন সংস্কার নিয়ে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস রি-অর্গানাইজেশন কমিটি’ ও গঠন করেছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা তাঁর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করে প্রত্যেক জেলার জন্য ‘জেলা গভর্নর’ নিযুক্ত করেন।

    কারণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণই ছিল জাতির পিতার মূল লক্ষ্য।’

    তিনি বলেন, কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না, কোন শিশুই পথশিশু থাকবে না, প্রত্যেক শিশুরই একটা ঠিকানা হবে এবং লেখাপড়া এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান করে জীবনে যাতে দাঁড়াতে পারে তার ব্যবস্থা আমাদের করে যেতে হবে।’

    তিনি এ সময় সীমিত ভূখন্ড এবং বিশাল জনসংখ্যার উল্লেখ করে বলেন, ‘সে জন্যই তাঁর সরকারের লক্ষ্য প্রত্যেকটি গ্রামকে সকল ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শহরে রূপান্তরিত করা।’

    সারা বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস অন্তর্ভূক্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ডিজিটাল পোষ্ট অফিস নির্মাণ করে দেশকে ডিজিটালাইজড করে স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা জনগণের দোড়গোঁড়ায় নিয়ে আসায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।

    তাঁর সরকারের মানুষের নাগালের মধ্যে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনকে নিয়ে আসার জন্য এ সব পণ্যের ওপর থেকে আমদানী শুল্ক প্রত্যাহার এবং বেসরকারী খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ারও তথ্য দেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘সেই চর কুকরি মুকরি থেকে শুরু করে সারাদেশ যেন ডিজিটাল সংযোগের আওতায় আসতে পারে সে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। কাজেই, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে যেখানে করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকেই বের হতে পারছি না সেখানে আপনাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কথা বলতে পারছি।’

    তিনি বলেন, করোনাভাইরানের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর পরই আমি একটা নির্দেশ দিয়েছিলাম-আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতেই হবে। যে কারণে দেশে কোন খাদ্য সংকট হয়নি।’
    তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকা যেন সচল থাকে সে ব্যবস্থা যেমন আমাদের করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে দেশটা যেন এগিয়ে যেতে পারে সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

    ভূমি সংস্কার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নামের ব-দ্বীপটাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকটি জলাধার সুরক্ষা করে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমানোর ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন।

    তাঁর সরকার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্দেশনায় বিপিএটিসি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ভৌত অবকাঠামো পুনর্নিমাণ ও আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিপিএটিসি’র সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ-শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

    তিনি বলেন, তারই ধারাবহিকতায় ২০ তলা বিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন’ এর নকশা ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    প্রশিক্ষণের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, আমাদের এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটা একদিকে যেমন দৃষ্টি নন্দন হয় এবং সেখানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাটাও যেন বিশ্বমানের হয় এবং এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা সমগ্র বিশ্বে যেন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। ‘আমি চাই এই কাজটা যেন একটু দ্রুত শেষ হয়,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশপাশি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে তাঁর একটি কাঠামো তৈরীতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১০ থেকে ২০২০ এখন আবার ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করছি। এমনকি শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনাও আমরা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

    ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্তিকে’ ধরে আরো রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিভিল প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশকে এমন ভাবে গড়ে তুলবেন। এই বাংলাদেশ যেন আর কোনদিন পিছিয়ে না যায়।’

    তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই একটা দিক দর্শন থাকতে হয়। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হয়। লক্ষ্য বিহীন জাতি যেমন এগোতে পারে না তেমনি দিকহারা জাতি কোন ঠিকানা খুঁজে পায় না। কাজেই, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সকল পরিকল্পনা দিয়ে গেলাম। যাকে আপনারাই সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

    পরিশেষে, করোনা ভাইরাসকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে নিজে সুরক্ষিত থাকবেন এবং অপরকেও সুরক্ষিত রাখবেন।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চিপসের লোভ দেখিয়ে ৪ বছরের ভাতিজিকে ধর্ষণ, আপন চাচা আটক

    চিপসের লোভ দেখিয়ে ৪ বছরের ভাতিজিকে ধর্ষণ, আপন চাচা আটক

    ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুরে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে চিপসের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ শিশুটির আপন চাচা ইমন ফারুক বাদশাকে আটক করেছে। ধর্ষক ইমন ফারুক বাদশা মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত রবিউল হকের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, গত সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শিশুটি নিজ বাড়িতে খেলা করার সময় তার আপন চাচা ইমন ফারুক বাদশা চিপস কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।

    এই সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মা বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলে ধর্ষক বাদশা পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের অন্যান্যরা গুরুতর আহত শিশুটিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আসে।

    ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে ছাগলনাইয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতনদমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গতকাল শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধর্ষকের স্বজনরা সোনাগাজীতে পালিয়ে থাকা ধর্ষক ইমনকে কৌশলে ছাগলনাইয়ায় ডেকে আনলে পুলিশ তাকে ছাগলনাইয়া থেকে গ্রেফতার করে।

    আজ শনিবার ইমন ফারুক বাদশাকে আদালতে প্রেরন করা হবে।

    ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, শিশুটির তথ্যটি জানতে পেরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আমরা শিশুটির সাথে ও তার মার সাথে কথা বলি। তার মাকে মামালা করতে বলি। ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

    মামলা করার পর থেকে আমরা সারা রাত-দিন অব্যাহত অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে আমরা জানতে পারি সে বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করছিল। সে সর্বশেষ সোনাগাজীতে ছিল। আমরা তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে তাকে পুশইন করে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু সে আবার পলাতক হয়।

    গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় জানতে পারি সে ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাঁশ পাড়ায় তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। পরবর্তীতে আমরা তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করি। আজ তাকে আদালাতে পাঠনো হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

    উল্লেখ্য, এই নিয়ে ছাগলনাইয়ায় চলতি মাসে দুই ধর্ষণ ও মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা দুই শিশুকে বলৎকার করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেফতার করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সোনাগাজীতে কর্মচারীর মেয়েকে ধর্ষণ, আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

    সোনাগাজীতে কর্মচারীর মেয়েকে ধর্ষণ, আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

    ফেনীর সোনাগাজীতে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় তমিজ উদ্দিন নয়ন (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাদাদিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    পেশায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিজ বাড়ির সামনে তমিজ উদ্দিনের একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। গত ১ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।

    ধর্ষিতা শিশুটির বাবা ওই দোকানের কর্মচারী। ঘটনাটি কাউকে জানালে শিশুটি ও তার বাবাকে হত্যার হুমকি দেন তমিজ উদ্দিন। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি দেখে ফেলায় তার মুখ বন্ধ করার জন্য তাকেও মারধর করেন তিনি।

    পরে ধর্ষণের ঘটনাটিএলাকায় জানাজানি হলে তাসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পরইসোনাগাজী মডেল থানাপুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সাইকুল আহমেদ ভূঞা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলার পর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে চবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

    ধর্ষণের বিরুদ্ধে চবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

    চবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকউজ্জামান ধ্রুবর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের বীর বাহাদুর, নাট্যকলা বিভাগের শিঞ্জিনি স্নিগ্ধা, ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফী নিতুসহ আরো অনেকে। এছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সমাপনি বক্তব্য রাখেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের এই মহামারির কারণ হলো ক্ষমতা, ক্ষমতার এই কালো হাত ভেঙে দিতে হবে। ক্রসফায়ার নয়, আদালতের মাধ্যমে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

    সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ সমাবেশে সংহতি জানান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদ, পিসিপি (জেএসএস) এবং সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/মেহেদী

  • বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষিতাকে ফের ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

    বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষিতাকে ফের ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

    গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীকে (২০) ফের ধর্ষণ করেছেন ইউপি সদস্য (মেম্বার)। উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

    এ ঘটনায় শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পারভেজ আহম্মেদ (২৮) ও কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) কলিম উদ্দিনকে (৪০) অভিযুক্ত করে শনিবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযোগে জানা গেছে, নির্যাতিতা স্থানীয় একটি কারখানার পোশাক শ্রমিক।

    অভিযুক্ত পারভেজ আহম্মেদ পিকাপচালক। তার গাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই সম্পর্কের জেরে ১৮ জুলাই রাতে পারভেজ তরুণীকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন পরদিন ১৯ জুলাই রাত আটটার দিকে ওই বাড়িতে যায়।

    তাকে তার প্রেমিক পারভেজের সাথে বিয়ের বন্দোবস্ত করে দেয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে মোটরসাইকেলে করে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে শালবনের ভেতরে নিয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন তরুণীকে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। সেখান থেকে তার স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    শ্রীপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শনিবার মামলা রুজু হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত পারভেজ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    অপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমের শরীরিক পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শতামেক) পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর