Tag: ধর্ষণের অভিযোগ

  • সৌদি দূতাবাসে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে উপসচিব বরখাস্ত

    সৌদি দূতাবাসে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে উপসচিব বরখাস্ত

    সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফহোমে থাকা গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে উপসচিব মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বরখাস্তকালীন সময় এ কর্মকর্তা চাকরি সংক্রান্ত কোনো সুযোগ–সুবিধা পাবেন না।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, ২১তম বিসিএস এর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান (পরিচিতি নাম্বার-১৫০৫২) রিয়াদ দূতাবাসে কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকার সময় সেখানে আশ্রিত গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জানা গেছে, উপসচিব মেহেদী হাসানকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রিয়াদ দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় মেহেদী হাসানকে ওই পদ থেকে ২০২১ সালের ২৪শে জানুয়ারি অবমুক্ত করা হয়। এরপর এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অসদাচণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দিয়ে ওই বছরের ১০ই মার্চ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

    ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত শুনানিতে দাখিলকৃত জবাব ও বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ওই বছরের ২০ জুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তদন্তে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় গৃহকর্মীকে অপ্রয়োজনীয় একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে অশ্লীল প্রশ্ন ও আচরণসহ বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা এবং যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অসদাচণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

    তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী মেহেদীকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাবে মেহেদী তার বিরুদ্ধে আনীত এবং তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগের বিপরীতে কোনো সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে সক্ষম হননি বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ

    সীতাকুণ্ডে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ কদমরসুল এলাকার পূর্ব পাশে স্বামীর সাথে রিক্সায় করে চাকুরীতে যাওয়ার পথে গতিরোধ করে রিক্সা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রবিন চৌধুরী তার অফিসে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এসময় ঔই নারীর স্বামী বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে।

    ওই সময় ৯৯৯ নম্বারে বিষয়টি জানালে এসআই হারুন তাদেরকে উদ্ধার করে।

    এব্যাপারে ধর্ষিতার বড় ভাই সুজন আহমেদ টিটু বলেন, আমার ছোট বোন তার স্বামীর সাথে রাতে চাকরিতে যাওয়ার পথে রাত ১০টার সময় ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরী জোর করে তাদেরকে রিক্সা থেকে নামিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না দেওয়ায় স্বামীর সামনে ধর্ষণ করে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই এর নেতৃত্ব পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    বিষয়টি স্বীকার করেছেন মডেল থানার এসআই মোঃ হারুন।

    উল্লেখ, গত কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মদ্যপান করে মসজিদের মুসল্লীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে।

  • পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    খুলনার ছোট মির্জাপুরের একটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় অফিসে বিএল কলেজের শিক্ষার্থীকে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকেই ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক রয়েছেন।

    ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী এ ঘটনার পর ৯৯৯ এবং খুলনা সদর থানার ওসির নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চায়। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

    পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

    খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ভিকটিম একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি প্রচারণা নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। সেই সূত্রে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের সঙ্গে ভিকটিমের কয়েক দিন আগে পরিচয় হয়। রোববার দুপুরের দিকে মির্জাপুরের একটি পত্রিকা অফিসে ইন্সপেক্টর মাসুদ ভিকটিমকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, ঘটনার সময় অফিসে একজন স্টাফও ছিল। অফিসের ভিতরের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভিকটিমের। এ ঘটনার পর ভিকটিম নিজেই দুপুর ২টার পর আমাকে ফোন দিয়েছিল। পাশাপাশি সে ৯৯৯-এ ফোন করেছিল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর কেএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন একটি টিম প্লেস অব ওকারেন্সে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

    কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য ভিকটিমকে মির্জাপুরের একটি অফিসে নিয়ে আসে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে আছে। ঘটনার পর থেকে ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবে ভিকটিমের পরিবার।

    পিবিআইয়ের সূত্র জানায়, ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ প্রায় দেড় বছর আগে খুলনায় যোগদান করেছেন। তার স্ত্রীসহ দুটি সন্তানও রয়েছে।

    এদিকে সাংবাদিক আবু হেনা মুক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, এটা আমার আগের অফিস। সেখানে দৈনিক ইনকিলাবের একটি পুরোনো সাইনবোর্ড আছে। অফিসে সাবলেট হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী জাকির থাকত। সেই পুলিশকে নিয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

    দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার খুলনা ব্যুরোপ্রধান ডিএম রেজা সোহাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আবু হেনা মুক্তি এবং মাসুদ রানাকে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

  • যশোরে মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ

    যশোরে মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে মামার বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির আপন ভাগ্নিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে । রাতে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মামা শফিকুল ইসলাম ৬ মাস ধরে এই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে নির্যাতনের শিকার মেয়েরটির অভিযোগ।

    উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী জানান, তার মায়ের সাথে বাবার ডিভোর্স হলে ১০ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে মা বাইরে থাকে। এরপর মায়ের পাঠানো টাকা দিয়ে মামার বাড়িতে আলাদা ঘরে সে বসবাস করে আসছে।

    গত ৬ মাস থেকে সুযোগ পেলেই ছোট মামা শফিকুল ইসলাম ঘরে ঢুকে গলায় দা ধরে জোর করে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। কাউকে বললে রাতে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া সহ তাকে (ভাগ্নি) বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার ভয় দেখাতো।

    রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফের জোর করে পাশবিক নির্যাতন চালানোর সময় প্রতিবেশি এক নারী দেখে ফেলায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এই দিনে ভূক্তভোগি ওই ছাত্রী তার নিকটাত্বীয়সহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার উপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের পুরো ঘটনা খুলে বলেন।

    শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মোল্যা জানায়, মামা শফিকুল ইসলাম প্রায়ই তার ভাগ্নির ওপর এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন বলে তিনি শুনেছেন।

    থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এই ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

    দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

    ২৪ ঘণ্টা, জেলা সংবাদ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের এক কনস্টেবল। দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    এরআগে বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম আব্দুল কুদ্দুস নয়ন (৩৫)। সে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরত।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস নয়নের।

    ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে নয়নের সাথে প্রায়ই কথা হতো ওই নারীর। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এই সম্পর্কের কারণে নয়ন প্রায় সময়ই ওই নারীর বাসায় যাতায়াত করতো।

    গত ৬ অক্টোবর বিকালে নয়ন আবারও ওই নারীর বাসায় আসে। এ সময় নয়ন বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আছে বলে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই নারী দরজা বন্ধ করতে বারণ করলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নয়ন।

    এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামীকে আটক করেছি।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস

  • যশোরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ

    যশোরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকোমড়া গ্রামের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার সকাল ১০ টার সময় ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমড়া গ্রামে ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে ঐ গ্রামে গিয়ে কথিত ধর্ষিতা মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, গত রবিবার বেলা ১০ ঘটিকার দিকে তার ১৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে প্রতিবেশি মনিরুল ইসলাম (৪০) খেলার কথা বলে পাশের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।

    এই সময় তিনি (ধর্ষিতার মা) বাগানের পাশ দিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। তার কথা শুনে ধর্ষক মনিরুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই সময়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েটি কাপতে কাপতে জামা কাপড় ছেড়া অবস্থায় মায়ের কাছে ছুটে আসে।

    এই ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবন্ধীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ মোড়ল মাতব্বদের কাছে গেলেও তারা কর্নপাত করেনি বলে অভিযোগ ঐ কিশোরীর মায়ের।

    তবে ধর্ষনের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন ধর্ষক মনিরুল ইসলাম।

    এই বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর কাছে ফোন করলে তিনি জানিয়েছেন, আসলে ঘটনাটি সত্য দুই পরিবার অসহায় হওয়াই শালীসি বৈঠাকের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলেছেন।

    এই বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আঃ রাজ্জাক কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়টি আগে শুনিনি, বা কেও কোন অভিযোগ করেনি।

    গতকাল সকালে ভিকটিমের মা আমার কাছে ফোন করে কান্নাকাটি করেছিলো আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে তৎখানিক বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এস আই হাফিজ উদ্দীনকে ভিকটিমের বাড়িতে পাঠাই। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মৃত নবজাতক কোলে নিয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী’র

    মৃত নবজাতক কোলে নিয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী’র

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ডালবাড়ী এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. রায়হানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী। শুক্রবার একটি মৃত শিশু কোলে নিয়ে ওই কিশোরী শিক্ষার্থী তার পরিবারের সদস্যদের সাতে নিয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগটি করেন।

    এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়। এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের ছেলে ও শিক্ষক পালিয়ে যায়। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি এমএম মইনুল ইসলাম্ তিনি বলেন থানায় ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    জানা যায়, গত সাত মাস আগে বিয়ের প্রলোভনে রায়হান কিশোরিকে ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার সে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে। কিন্তু দুদিন পর গত বৃহস্পতিবার শিশুটি মারা যায়। পরে মৃত সন্তান কোলে নিয়ে ওই কিশোরী থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা করে কিশোরিটি। ধর্ষক মো. রায়হান দেওয়ানগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে।

    ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েটি খুবই সহজ-সরল। এ সরলতার সুযোগে মেয়েটির জীবন যে লম্পট শেষ করেছে আমি তার শাস্তি চাই। আমার মেয়েটির শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।

    এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে রায়হানের বাবা হাবিবুর রহমান মেয়ের গর্ভের সন্তান প্রসবের পর দুজনের বিয়ে সম্পন্ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

  • ধর্ষণের অভিযোগে নেপালের স্পিকার গ্রেফতার

    ধর্ষণের অভিযোগে নেপালের স্পিকার গ্রেফতার

    নারী সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে নেপালের সদ্য সাবেক স্পিকার কৃষ্ণা বাহাদুর মাহারাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পদত্যাগ করেন তিনি।

    ওই নারী জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাতাল হয়ে স্পিকার তার বাড়িতে আসেন ও তাকে ধর্ষণ করেন।

    তিনি বলেন, আমি কখনো ভাবিনি এমনটা ঘটবে। তিনি জোরপূর্বক এমনটা করেছেন। যখন আমি বলি পুলিশ ডাকব। তখন তিনি চলে যান।

    নেপালে যুগ ধরে চলা গৃহযুদ্ধ থামাতে ২০০৬ সালে মাহারা মাওবাদীদের হয়ে অন্যতম প্রধান আলোচকের ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনের পর তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন।

  • ধর্ষণের অভিযোগে দুই রিহ্যাব পরিচালক গ্রেফতার

    ধর্ষণের অভিযোগে দুই রিহ্যাব পরিচালক গ্রেফতার

    চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- রিহ্যাব’এর দুই পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

    রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর ধানমণ্ডির থানা পুলিশ শাকিল কামাল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদারকে গ্রেফতার করে। ধানমণ্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ধানমণ্ডি থানা জানায়, রোববার চাকরির জন্য ধানমণ্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে ওই নারীকে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী।

    এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিহ্যাবের দুই পরিচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার ওসি।

    এর আগে, রাতে থানা হেফাজতে তাদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।