Tag: ধর্ষণের পর হত্যা

  • আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে দিহানের স্বীকারোক্তি

    আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে দিহানের স্বীকারোক্তি

    রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রী আনুশকাহকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

    শুক্রবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেট দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

    বৃহস্পতিবার রাতে কলাবাগান থানায় আনুশকাহর বাবার করা মামলায় শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দিহানকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেয় পুলিশ। আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান।কিন্তু দিহান দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আর তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।

    নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান জানিয়েছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টা করা হবে। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে।

    স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

    ধর্ষণের শিকার কিশোরীর নাম আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টার মাইন্ডের ‘ও লেভেল’-এর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু দিহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, মেয়েটির শরীরের ওপরের দিকে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার বন্ধু দিহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে তার দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।

    নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকাহর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে।

    পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, ওই বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।

  • চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

    চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাজ্জাদ হোসেন (৩৮)।

    পুলিশের দাবি, নিহত সাজ্জাদ চলন্ত গাড়িতে চম্পা বেগমকে (১৯) নিপীড়নের পর ফেলে দিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি।

    তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নারী নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ইয়াবা কারবারসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ পেকুয়া সদরের শেখের কিল্লাঘোনার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

    সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চকরিয়ার কোনাখালী মরংঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, সোমবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাঘোনার এলাকা থেকে স্থানীয়রা চম্পা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

    সাজ্জাদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তরুণী চম্পা বেগমকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নিপীড়ন ও পরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

    সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে সেই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে সাজ্জাদের সহযোগী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষে গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে পিছু হটে সাজ্জাদের অস্ত্রধারী সহযোগীরা।

    পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি দুটি এলজি, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

    এ সময় অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবুল ফারুক, দুই কনস্টেবল সুবল ও সুমনসহ তিন পুলিশ সদস্য। তাদেরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নারী নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মামলা রয়েছে পেকুয়া থানায়।

    চম্পা বেগমকে নিপীড়নের পর হত্যার পর দিনই র‌্যাব অপর সন্দেহভাজন আসামি সাজ্জাদের সহযোগী অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদীনকে (২২) আটক করে। জয়নাল পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা নন্দীপাড়ার মোহাম্মদ আলী প্রকাশ সোনইয়ার ছেলে।

    র‌্যাবের হাতে আটকের পর জয়নালের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ সাজ্জাদ হোসেনকে আটকের জন্য কয়েকবার তার বাড়িতে গিয়েও তাকে ধরতে পারেনি। এ ঘটানায় সাজ্জাদ জড়িত থাকার বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে সোমবার দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নিহত সাজ্জাদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুণী চম্পা বেগম গত ৬ মে চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার সময় পেকুয়ায় এসে গাড়ি বদল করে।

    চম্পা পেকুয়া থেকে সিএনজিচালিত বেবি টেক্সিতে চকরিয়ার দিকে যাওয়ার সময় কোনাখালীর মরংঘোনার একটি ব্রিজের কাছে তাকে দুই অটোচালক নিপীড়ন করে।

    এর পর চম্পাকে তারা পরিকল্পিতভাবে একটি অটোরিকশা থেকে ফেলে দিয়ে অপর অটোরিকশা দিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চম্পার মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি ইয়াসিন শেখ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

    রোববার (১৫ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার সময় শহরের পূর্বখাবাসপুরস্থ লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে এ বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্য।

    নিহত ইয়াসিন শেখ শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি শেখের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

    পুলিশ জানায়, রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামির ছবি সংগ্রহ করে ইয়াছিনকে চিহিৃত করা হয়। এরপর জনগণের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।
    পরে তাকে নিয়ে রাতে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বেশকিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময়ে গুলিবিদ্ধ হয় ইয়াছিন। আর এ ঘটনায় আহত হয় তিন পুলিশ সদস্য।

    পরে ইয়াসিনকে উদ্ধার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে বিকেল বেলা রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন নামে ওই ধর্ষক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

  • গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা:গৃহকর্ত্রী আটক,গৃহকর্তা পলাতক

    গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা:গৃহকর্ত্রী আটক,গৃহকর্তা পলাতক

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় ১২ বছরের গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহকর্মীর নাম জান্নাতি।

    বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলীর বাসা থেকে, মৃত অবস্থায় গৃহকর্মী শিশু জান্নাতিকে মৃত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসার লোকজন দাবি করেন শিশু জান্নাতি বাথরুমে পড়ে মারা গেছে।

    এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে জান্নাতির বাবাকে তার অসুস্থতার খবর দিয়ে ঢাকা আনা হয়। এরপর জানানো হয় শিশুটির মৃত্যুর কথা। সুরতহাল রিপোর্টে জান্নাতির শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে জান্নাতির পরিবার।

    জান্নাতির বাবা বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমার মেয়ে অসুস্থ। দেখতে চাইলে ঢাকা আসতে। এসে দেখলাম মেয়ে মারা গেছে। আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

    তাদের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তেলেআটা গ্রামে। এ ঘটনায় তার বাবা জানু মোল্লা গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

    এদিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা গৃহকর্মী জান্নাতির (১২) মরদেহ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

    প্রথম দফার ময়নাতদন্তে কেবল শারীরিক নির্যাতনের তথ্য মিলেছে বলে জানানো হলেও দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তে জানা গেছে, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

    মামলার আসামি গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামি গৃহকর্তা সাইদ আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সাইদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বলে জানা গেছে।

    মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেন।

    জানতে চাইলে এসআই মিজানুর বলেন, জান্নাতি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তা বুধবারের (২৩ অক্টোবর) প্রথম দফার ময়নাতদন্ত থেকে জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ ফের তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন।

    এতে জানা যায়, জান্নাতি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এরপর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় গৃহকর্ত্রী রোকসানাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

  • আক্কেলপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৭ জনের ফাঁসি

    আক্কেলপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৭ জনের ফাঁসি

    জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া গ্রামে গৃহবধূ আরতি রাণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজনকে পাঁচ লাখ ও পাঁচজনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

    দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আক্কেলপুর উপজেলার মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার, দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন,দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন, দেওড়া সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী, দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান, জগতি গ্রামের রুহুল আমীন ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাতে দেওড়া গ্রামের উজ্জল মহন্তের স্ত্রী আরতি রাণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসামিরা গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরতি রাণী মারা যান। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর আরতি রাণীর স্বামী উজ্জল মহন্ত বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

    মামলার দীর্ঘ শুনানির পর আজ জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাত আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আসামি সোহেল ও ফেরদৌসকে পাঁচ লাখ টাকা আর বাকি পাঁচজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী আর বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন ছিলেন।

  • নলডাঙ্গায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

    নলডাঙ্গায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

    রাজশাহীর বাগমারার তামান্না আক্তার টিয়া (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই কলেজছাত্রী উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমষপাড়া গ্রামের রশিদ উদ্দিনের মেয়ে। সে সাধনপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিল।

    গতকাল শুক্রবার রাতে তামান্না আক্তার টিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিহত টিয়ার পরিবারের লোকজন।

    নিহত টিয়ার বাড়ির থেকে পাঁচশ গজ দূরে নলডাঙ্গা উপজেলার সরকুতিয়া দক্ষিণপাড়ার আমবাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ। মেয়েকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

    নিহতের টিয়ায় বাবা রশিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাধনপুরের খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলাম (২১) বাড়িতে এসে তাঁর মেয়েকে হুমকির মুখে তুলে নিয়ে যায়। সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় টিয়ার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা তার বাড়িতে খবর দেয়।

    বিষয়টি শোনার পর এলাকার লোকজন টিয়াকে দেখতে ভিড় জমায়। মেয়ের মা নিলুফা সাংবাদিকদের বলেন, টিয়া ও শান্ত একই কলেজে পড়তো। কলেজে গেলে শান্ত মাঝে মাধ্যে টিয়াকে ইভটিজিং করতো বলেও জানান।

    এ ঘটনায় সন্ধ্যায় থানায় একটি হত্যা মামলা করবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন ঝুলন্ত অবস্থায় লাশের পা সম্পূর্ণ মাটিতে ছিলো এবং লাশ নামানোর সময় সাহায্যকারী স্থানীয় মহিলারা নিহতের যৌনাঙ্গে বেশ আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়।

    এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) উজ্বল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।