Tag: নওফেল

  • চট্টগ্রাম লিজেন্ড স্কুলের শুভ উদ্বোধন কাল, আসছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

    চট্টগ্রাম লিজেন্ড স্কুলের শুভ উদ্বোধন কাল, আসছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম লিজেন্ড স্কুলের শুভ উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগামীকাল ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কস্থ আব্দুর রশিদ টেন্ডলের ঘাটায় স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টচার্য্য, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুল হক।

  • চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান দিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী নওফেল

    চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান দিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী নওফেল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকার চন্দনপুরা এলাকায় পোস্ট অফিস গলির ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৬ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    গতকাল ১৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে নওফেল তার সংসদীয় এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্ক খোঁজখবর নেন এবং সরকারি তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন৷অগ্নিকাণ্ডে আর্থিক অনুদান নওফেলের

    এসময় নওফেলের সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনছারুল হক, ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিল গোলাম সরোয়ার মিন্টু, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, নগর যুবলীগের সদস্য মো. একরামুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সেলিম ও মোহাম্মদ আমিন প্রমুখ৷

  • মহিউদ্দিন চৌধুরী নওফেলকে বলতেন-শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে

    মহিউদ্দিন চৌধুরী নওফেলকে বলতেন-শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : সন্তান হিসেবে একটি কথা বলতেন সবসময়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে, তাকে ছাড়া এই বাংলাদেশ মুখথুবড়ে পড়বে, মনে প্রানে এটি বিশ্বাস করতেন চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    নেত্রীও তাকে সেভাবেই দেখেছেন, মৃত্যুর পরে ছুটে এসেছিলেন। প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার খবর নিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। জন্মিলে মরিতে হবে, এই চিরন্তন সত্যের কাছে তিনি আত্মসমর্পন করেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।

    ঠিক এভাবেই নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে সন্তান হিসেবে পিতার বলে যাওয়া কথাগুলো প্রকাশ করে প্রয়াত পিতাকে স্মরণ করলেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি আজ ১৫ ডিসেম্বর পিতার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীর দিন রাত ৮ টা ১১ মিনিটে স্ট্যাটাসটি আপলোড করেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকদের জন্য নওফেলের স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরে হলো।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল লিখেছেন :

    ধ্যানে জ্ঞানে, পিতা মুজিবকে তিনি লালন করতেন, চর্চা করতেন। আওয়ামী লীগ কে সংগঠিত করতে সারা দেশ চষে বেরিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে অস্ত্রধারী হয়েছিলেন। খুনী জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। প্রতিকূল পরিবেশে দূর্গম টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর বাধিয়ে নিয়েছিলেন।

    শেষ বয়সে জীবন সায়াহ্নে নেতার স্মরণে টুঙ্গিপাড়ায় তীর্থতূল্য ভ্রমণ করেছিলেন প্রতি বছর। আজীবন সাধারন মানুষের স্বার্থে দল এবং প্রশাসনকে পরিচালিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। কঠিন সময়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বারবার জীবন ঝুঁকি নিয়েছেন, নেত্রীর প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে কখনও পিছপা হন নাই।নওফেলের স্ট্যাটাস

    শ্রমজীবি মানুষের জন্য, বঙ্গবন্ধু মুজিব যেই রাজনীতি করার নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিছেন সেটাই আমৃত্যু করে গেছেন। পরিবার হারিয়েছেন কিন্তু আপোষ করেন নাই, পরিবার পরিজন, কোনো কিছুর কথা ভেবে পিছপা কখনও হন নাই।

    একজন “মহিউদ্দিন চৌধুরী” সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন সহকর্মী হিসেবে, সাধারন শ্রমজীবি মানুষের নেতা হিসেবে সমদৃত হয়েছেন সারা বাংলাদেশে।

    প্রিয় নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রামের সাথে সাথে পার্বত্য শান্তি চুক্তি, নগরপিতার দায়িত্ব, আবার লাশ ধোয়ানো, রোগীর দেখভাল, রাস্তা পরিস্কাত, করেননি এমন কোনো কাজ বাকি ছিলোনা। আর্থিক সমৃদ্ধি কখনো তার হয়ে উঠেনি, এটি তিনি গৌরবময় মনে করতেন।

    রাজনৈতিক জীবনের যবনিকাপাত ঘটিয়েছেন লালদীঘিতে বক্তব্য রেখে। জন্ম হয়েছিলো তার বিজয়ের মাসে, বিদায়ও সেই মাসেই সেই লালদীঘির ময়দানে জানাযার নামাজের মাধ্যমে। একটি জীবন্ত ইতিহাস ছিলেন, এখন প্রয়াত হয়ে মুজিব সেনাদের অনুপ্রেরণা জাগাবেন।

    “এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী”, নানান বিশেষণে ঢাকা এই নামটির মাঝে একজন অতি সাধারণ মানুষের সাদামাটা জীবন লুকিয়েছিলো, লক্ষ্য ছিলো তার আদর্শিক পিতার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করার। কোনো চাওয়া পাওয়ার জীবন তার ছিলোনা।

    পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে শিয়ালদহ স্টেশনে সাধারণ শ্রমিকের জীবন থেকে, পতাকা উড়িয়ে জনপ্রতিনিধির জীবন সবই তিনি দেখেছিলেন। কিছু নিয়েই তার আক্ষেপ ছিলোনা। সন্তান হিসেবে একটি কথা বলতেন সবসময়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে, তাকে ছাড়া এই বাংলাদেশ মুখথুবড়ে পড়বে, মনে প্রানে এটি বিশ্বাস করতেন। তার নেত্রীও তাকে সেভাবেই দেখেছেন, মৃত্যুর পরে ছুটে এসেছিলেন।

    প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার খবর নিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। জন্মিলে মরিতে হবে, এই চিরন্তন সত্যের কাছে তিনি আত্মসমর্পন করেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।

    আমি আজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকলের প্রতি, যারা চট্টলবীর “এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী’র” মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করেছেন, প্রার্থনা করেছেন, তাকে স্মরণ করেছেন। সারা দেশে তার অসংখ্য সহকর্মী এখনো বেচে আছেন, তাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

    এদের সকলের আত্মত্যাগ, বিসর্জন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল থেকে পরিনত করেছেন একটি অনুভুতিতে। বিজয়ের মাসে সেই অনুভুতি, যার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের সকলকে অনুপ্রানিত করে। এই দল, এই দেশ, এই মুজিব পাগল মানুষগুলোর প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকবে।

  • দক্ষতা যে পর্যায়েই অর্জিত হোক না কেন এর গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত:শিক্ষা উপমন্ত্রী

    দক্ষতা যে পর্যায়েই অর্জিত হোক না কেন এর গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত:শিক্ষা উপমন্ত্রী

    শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষতার কোন বিকল্প নেই।

    দক্ষতার বৈশ্বিক সীমা রেখা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘দক্ষতা যে পর্যায়েই অর্জিত হোক না কেন এর গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। দক্ষতার সুফল পেতে হলে দক্ষ জনগোষ্ঠির মাঝে কাজের প্রতি একাগ্রতা, দৃঢ়তা, সততা, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থাকতে হবে। এসব বিষয় সামনে রেখে সরকার দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

    এ সময় মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন,আগামীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে সমাজে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট (আইডিইবি) মিলনায়তনে আইডিইবি আয়োজিত ‘কোয়ালিটি টিভিইটি ফর স্কীলস রেডিনেস ইন দ্য এজ অব ইন্ডাস্ট্রি ফোর’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসবকথা বলেন।

    আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ, কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজ, ম্যানিলার মহাপরিচালক ড. লামহরি লামচিন, আইএলও স্কিল-২১ প্রকল্পে চীফ টেকনিক্যাল এডভাইজার কিশোর কুমার সিং।

    এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনেস্কো-ইউনিভোক’র প্রধান ড. শ্যামল মজুমদার।

  • বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে আস্থার সংকটে ভুগেছেন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা। কিন্তু আস্থা হারাননি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

    এমনকি পঁচাত্তর পরবর্তী যখন অনেক নেতাই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছেন ঠিক তখনও তিনি দলের অস্থিত্ব রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে দলকে সাজিয়ে নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও দলকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্মরণসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল আরো বলেন, বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। তিনি অসময়ে চলে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে তার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের অনেক সংকট দুর হতো। আজকে শুধু নিজের দল ভারির যে রাজনীতি এবং যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আজ আমরা দেখি তা দেখতে হত না।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পরে যখন আমার বাবা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন, প্রথম পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই তখন লন্ডনে ছিলাম। সেখানে আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ারের নির্দেশে আমি বাবু চাচার বাসায় যায়।

    তিনিই তখন আমাকে অভয দিয়ে বলেছিলেন, এখন যে দুঃসময় দেখছো, এরচেয়ে কঠিন সময় আমরা পার করে এসেছি। এর চেয়েও কঠিন দুঃসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর দিয়ে গেছে। এগুলো কিছুই না। যারা ক্ষমতায় এসেছে, বসেছে, তারা বেশীদিন টিকতে পারবে না।

    নওফেল বলেন, সেদিন তাঁর কথায় আমি আশ্বস্থ হয়েছিলাম, সাহস পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, তোমরা এখানে আছো, তোমাদের কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাকে জানাবে। তাঁর নাম্বার আমাকে দিয়েছিলেন।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    রাজীব সেন প্রিন্স : 
    মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও পার্লামেন্টারিয়ান মঈনউদ্দিন খান বাদল আর নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এ এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    প্রয়াত পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাংসদ মাঈনুদ্দিন খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মহিউদ্দিনপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার ১০টা ৫৭ মিনিটে তার ভেরিফাইড ফেসবুক ফেইজে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে এসব কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্টাটাসটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    মাঈনুদ্দিন খান বাদল। বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় নেতা, অনলবর্ষী বক্তা, সংসদ সদস্য, বীর চট্টলার গৌরব, আরো অনেক কিছুতেই তাকে সম্বোধন করা যায়। না ফেরার দেশে তিনি আজ থেকে থাকবেন। ইন্না-লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। মনে হচ্ছে যেনো আবারো পিতৃহারা হলাম।

    দুবছর আগে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়েছিলেন যখন, তখন তার বন্ধু মহিউদ্দিন চৌধুরীও গুরুতর ভাবে অসুস্থ, হাসপাতালে। খুব আফসোস করতেন বন্ধুকে দেখে যেতে পারেননাই। অশ্রু সজল নয়নে স্মরণ করতেন। আজ থেকে আমরা তাকে স্মরণ করবো।

    চট্টগ্রামের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থে, দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথায় ছিলোনা তার গর্জন? প্রথম তার সাথে আমার পরিচয় শৈশবে। এরশাদের দোর্দণ্ড শাসনের সময়। তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, আজকের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের রাজবন্দীদের কক্ষে। আমার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রিজন সেলের সহবন্দী ছিলেন। এরশাদের সাথে আপস করে মন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু বেছে নিয়েছিলেন বন্দী জীবন।

    আমাকে সমাজতন্ত্র শেখাতেন, দেখতেও ছিলেন স্টালিনের মত, ইম্পোজিং ব্যক্তিত্ব। আমার বাবার সাথে হাস্যরস আর গভীর রাজনৈতিক আলোচনায় মগ্ন থাকতেন। মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কাছ থেকে শুনতাম। পরবর্তীতে যখনই দেখা হতো, প্রতিবার তার কাছ থেকে শিখেছি।

    রাজনৈতিক আলোচনা যে শুধুই পদবির আর ক্ষমতার রাজনীতি নয় এবং রাষ্ট্রনীতি, আদর্শ, উন্নয়ন, এসবই হচ্ছে রাজনীতির মূল আলোচনা, বারবার তার সান্নিধ্যে এসে তা অনুভব করেছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, তার সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের প্রশ্নে, সেই শৈশব থেকে দেখেছি অবিচল দৃঢ়তার সাথে তাকে বলতে।

    তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। বাংলাদেশের রাজনীতি আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    নওফেল তার স্ট্যাটাসে প্রয়াত পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে মাইনুদ্দিন খান বাদলের অপর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, খালেদা সরকার যখন তার বাল্যবন্ধুকে দেয়া চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহাসিক জনরায় ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তখন সারারাত জনতাকে জাগিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব নেয় বাদল। বিজয়ের হাসিতে মেয়র কামরান। এদের শ্রমে ঘামে আজকের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সরকারের ভীত রচিত হয়েছিলো।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া মঈন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম ৮ আসনের তিন তিন বারের সংসদ সদস্য। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল তার।

    বাদলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্টফেল করায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাংসদ বাদলের ছোট ভাই মনির খান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মরহুমের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্থান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।
    মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।