চট্টগ্রাম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে নারিকেল তেলের জনপ্রিয় প্যারাসুট ও কুমারিকা ব্র্যান্ডের নকল হেয়ার অয়েল কারখানার সন্ধান মিলেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্দ্যগে পরিচালিত তদারকিমূলক কার্যক্রম চলাকালে এসব প্রসাধনীর নকল কারখানাটির সন্ধান মেলে।
নগরীর খুলশি ও কোতয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়। পৃথক এসব অভিযানে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পৃথক এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনার সময় জনপ্রিয় প্যারাসুট ও কুমারিকা ব্র্যান্ডের নকল হেয়ার অয়েল কারখানার সন্ধান মিলেছে নগরীর রেয়াউউদ্দিন বাজারে। যেখানে আসল ব্রান্ডের সাথে মিল রেখে হুবহু লেবেল, স্টিকার, বোতলের ডিজাইন এমনকি বিএসটিআইয়ের সিলও নকল করে এসব প্রসাধনী তৈরি করা হচ্ছিলো।
তিনি বলেন, বাজারের ভাই ভাই স্টোর নামক একটি প্রতিষ্ঠানটি এসব নকল হেয়ার অয়েল প্রস্তুত করে বাজারজাত ও সংরক্ষণ করার জন্য রাখা ছিলো। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি ধরা পড়লে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়। তাছাড়া এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে আনুমানিক দুই লক্ষ টাকা মূল্যের প্যারাসুট ও কুমারিকা ব্র্যান্ডের নকল হেয়ার অয়েল জব্দ করার পর সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
একই দিন একই বাজারে তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনার সময় অননুমোদিত পণ্যে বিএসটিআই এর মানচিহ্ন সম্বলিত অবৈধ স্টিকার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় আনোয়ার ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ১০ হাজার ভুয়া স্টিকার জব্দ করার কথা জানিয়েছেন হাসানুজ্জামান।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, নগরীর খুলশী থানা এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনার সময় অননুমোদিত রং, নকল চেরি ও হাইড্রোজ ইত্যাদি খাবারে ব্যবহার করে বিক্রি করার অপরাধ দৃশ্যমান হলে ইসলাম এন্ড ব্রাদার্সকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১০ কেজি ইন্ড্রাস্টিয়াল রং, নকল চেরি ও হাইড্রোজ ধ্বংস করা হয়।
অন্যদিকে মহানগরীর ঝাউতলা বাজারের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করে পিঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ক্রয় ভাউচার ও মূল্য তালিকা তদারকি করা হয়। এসময় আইনুল স্টোরকে কৃত্রিম রং মিশ্রিত মটর বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ৫ কিলোগ্রাম মটর ধ্বংস করা হয়।
ইকবালের দোকানকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও ঝাউতলা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ীদের মুরগী জবাই করতে চোঙ ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মুরগী প্রক্রিয়া করতে অনুরোধ করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযানের সার্বিক নিরাপত্তায় এপিবিএন, ৯ এর সদস্যবৃন্দ নিয়োজিত ছিলেন।