নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৭ অক্টোবর রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হাসানুজ্জামান ও মো. আবু বকর সিদ্দিক রিটটি দায়ের করেন।
জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে নগদ। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এমএফএস লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।
নগদ ডাক বিভাগের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করে আসলেও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টোক কোম্পানিজের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কোনো শেয়ার নগদের নেই।
ডাক বিভাগের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদকে একটি সাময়িক এমএফএস লাইসেন্স দেয়, যা আইনসিদ্ধ নয়। এ কারণে অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।
২৪ঘণ্টা/এনআর