Tag: নবজাতক

  • সরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ১১ নবজাতকের মৃত্যু

    সরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ১১ নবজাতকের মৃত্যু

    সেনেগালের একটি সরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ১১ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এক টুইটার বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মেকি সেলি।

    ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (২৫ মে) দিনগত মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ফায়ারসার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

    মেকি সেলি তার টুইটে জানান, সরকারি একটি হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি নবজাতকের মৃত্যুর সংবাদ আমি জানতে পেরেছি, যা আমাকে বেদনা দিয়েছে ও হতাশ করেছে।

    এ ঘটনায় নবজাতকগুলোর মা ও পরিবারের সদস্যদের আমি অন্তরের গভীর থেকে সহানুভূতি জানাচ্ছি।

    এক রাজনীতিবিদের বরাতে এনওয়াই পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় তিভাউন শহরের মামে আব্দু আজিজ সাই ডাবাক হাসপাতালের নিওনেটাল ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। শর্ট সার্কিট আগুনের সূত্রপাত হয় বলে উল্লেখ করেছেন ওই রাজনীতিবিদ।

    তিনি জানান, আগুন দ্রুত হাতপাতালে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে শহরের মেয়র দেম্বা দিওপ জানিয়েছেন, মাত্র তিনটি শিশুকে আগুন থেকে রক্ষা করা গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি হাসপাতালটি নতুনভাবে সাজিয়ে চালু করা হয়।

    প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলের শেষের দিকেও অগ্নিকাণ্ডে চার নবজাতকের মৃত্যু হয়। সেনেগালের উত্তরাঞ্চলীয় শহর লিঙ্গুরির একটি হাসপাতালে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • অবৈধ সম্পর্ক : শ্যালিকার গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতককে খুন করল দুলাভাই

    অবৈধ সম্পর্ক : শ্যালিকার গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতককে খুন করল দুলাভাই

    বা‌গেরহা‌টের রামপাল উপজেলার মল্লিকের বেড় ইউনিয়নে শ্যালিকার সঙ্গে দুলাভাইয়ের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের জেরে জন্ম‌ নিয়েছেন নবজাতক

    লোক লজ্জার ভয়ে সে নবজাতককে নদীতে ফেলে হত্যা করেছে দুলাভাই৷ গতকাল শুক্রবার (১৩ মে) এই ঘটনা ঘটে ৷

    এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ৷ পু‌লিশ এজাহার নামীয় আসামি আলামীন শেখ (২৬) ও তার শ্বশুর মো. শাজাহান‌কে আটক করা হয়েছে।

    স্থানীয়রা এবং পুলিশ জানিয়েছেন, রামপাল উপজেলার মল্লিকের বেড় ইউনিয়নের মৃত কালাম শেখের ছে‌লে আলামীন শেখ তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাসের সুবাদে নাবালিকা শ্যালিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে শ্যালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ে ৷

    শুক্রবার তার প্রসব বেদনা উঠলে গোপনে তার দুলাভাই এবং পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে যাবার সময় এরইমধ্যে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। সঙ্গে সঙ্গেই আলামীন ও তার শ্বশুর মিলে সন্তানটিকে নদীতে ফেলে হত্যা করে ৷

    এরপর তার মরদেহটি খালের পাশে পুতে ফেলার সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় ৷ পরে এসআই সোমনাথ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন জানান, নবজাত‌কের মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে ময়নাতদ‌ন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতা‌লে প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। আসামিদের আটক করে শনিবার আদাল‌তে প্রেরণ করা হয়েছে৷

    ২৪ ঘন্টা/

  • সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা হলনা মারুফের,নবজাতক শিশু হারালো পিতা/করোনা উপসর্গে মৃত্যু

    সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা হলনা মারুফের,নবজাতক শিশু হারালো পিতা/করোনা উপসর্গে মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : মাত্র বছর দেড়েক আগে সামাজিক ভাবে ঝাকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন মারুফ চৌধুরী। চট্টগ্রাম আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করতেন তিনি।

    গেল ঈদের আগের দিন তাদের সংসারে ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে এক বেবি। তবে বাবা হওয়ার আনন্দটা সে খুব একটা বেশি সময় উদযাপন করতে পারেনি। এরমাঝেই তার শরীরে দানা বাধে করোনার সব উপসর্গ।

    নবজাতক কণ্যা সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার লোভ ছিলো তার। আর তাই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে চেয়েছে মারুফ। এজন্য করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য নমুনা দিতে বেশ কয়েকটি ল্যাবে ছুটোছুটিও করেছেন নিজেই। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হন।

    এর মাঝেই তার শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গত ১ জুন সে বাজার থেকে অক্সিজেন সিলিণ্ডার কিনে নিয়ে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে।

    এরপরও মারুফের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ২ জুন স্বজনরা তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কোন সিট খালি না পেয়ে নিয়ে যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় পর সেখানে ভর্তি করা হলেও সিট পাননি।

    ৩ জুন দিবাগত রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পারি জমান তরুণ এ শিক্ষানবিশ আইনজীবী। নবজাতক কণ্যা সন্তানের বাবা ডাকটা তার আর শোনা হলনা, নবজাতক শিশুটি হারালো পিতা।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু আবু তাহের ৩ জুন রাত সাড়ে ৯টার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সেখানে উল্লেখ করেন, মারুফ চৌধুরী। ইউনিভার্সিটি সহপাঠীর বড় ভাই। বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছিলেন। ওনার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে শেষবার দেখা হয়েছিল। ঈদের আগের দিন ফুটফুটে বেবিটার বাবা হয়েছেন।

    কিন্তু বাবা ডাক না শোনার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। বুধবার (৩ জুন) করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি অভিযোগও করেন ফেসবুক পোস্টে।

    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চোখের সামনে এভাবে অনেকে আপনজন হারাচ্ছেন। পর্যাপ্ত টেষ্টের অভাব, পর্যাপ্ত হাসপাতালের অভাব, পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে এভাবে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

    ওদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। আল্লাহ যেন মারুফ ভাইকে জান্নাত নসিব করে। আমাদেরকে এই মাহামারি থেকে হেফাজত করুন।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষানবিশ আইনজীবীর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সহকর্মী আইনজীবী বরকত উল্লাহ খান বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তির পর মারুফের মৃত্যু হয়। সে শেষবারের মতো আদালতে গিয়েছিলেন গত ২৫ মার্চ। তখন তার সাথে দেখা হয়েছিলো।

    কখনো ভাবিনি সহপাঠিটি এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। আল্লাহ যে তার পরিবারকে এ শোক সইবার শক্তি দিন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

    তার কলেজ জীবনের বন্ধু সরওয়ার সিহাব ফেসবুকে আবু তাহেরের পোস্টে কমেন্ট করে লিখেছেন, ২০১০ সালে আমি যখন মহসিন কলেজে পড়তাম তখন উনি আমার রুমমেট ছিলেন। চাকরি করতেন গোল পাহাড় মোড়ের মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

    আজকে হঠাৎ উনার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকক্ষণ স্তব্ধ ছিলাম। আল্লাহ বেহেশত নসীব করুক। আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে নবজাতক শিশুর করোনা পজেটিভ/এটাই দেশের সবচেয়ে কম বয়সী করোনা রোগী

    চট্টগ্রামে নবজাতক শিশুর করোনা পজেটিভ/এটাই দেশের সবচেয়ে কম বয়সী করোনা রোগী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ দিনের নবজাতক শিশু। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী এ করোনা রোগীটিও চট্টগ্রামের।

    করোনায় আক্রান্ত মায়ের নবজাতক শিশুটি জন্ম নেওয়ার একদিন পরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল ২৮ মে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবের ফলাফলে তার করোনা পজেটিভ আসে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব। তিনি বলেন, বর্তমানে মা ও ৪ দিনের শিশু পুত্র দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন।

    হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনা নিয়ে গত ২৪ মে রবিবার ৩২ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে গত ২০ মে ওই নারীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    শুরুতে তিনি বাসায় আইসোলেশনে থাকলেও গত ২৪ মে তার প্রচণ্ড প্রসব বেদনা উঠলে তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। করোনা আক্রান্ত ওই নারীকে সেদিনই অস্ত্রোপচার করলে তার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।

    জন্মদাতা মায়ের করোনা পজেটিভ থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরদিন ওই শিশু পুত্রের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শিশুর জন্মের ৪ দিনের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার চমেক ল্যাবের ফলাফলে শিশুটির শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ১৩২ জন এবং উপজেলায় ০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    নতুন শনাক্তদের মধ্যে চারদিন বয়সী এক নবজাতক রয়েছে। গত ২৪ মে জেনারেল হাসপাতালে একজন করোনা রোগী শিশুটির জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার চমেক ল্যাবে নবজাতকটির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সদস্য ১৬ জন এবং সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখায় কর্মরত ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪২৯ জন। যার মধ্যে নগরে ২১৭০ জন এবং উপজেলায় ২৫৯ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬৫ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা রেয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকা থেকে গত ৫ মাস আগে চুরি হওয়া এক ভিক্ষুকের সাত মাস বয়সি শিশুপুত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    শনিবার দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ এ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে রোববার ভোর রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। দুই মাস বয়স থাকতে শিশুটি চুরি করেছে চোরের দল।

    গ্রেফতার হওয়া শিশু চোর চক্রের তিন সদস্যদের মধ্যে মো. আফসার প্রকাশ জাফর সাদেক (৩৫) এ চোর চক্রের মূল হোতা। পারভীন আক্তার (৩৫) এবং নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সিগমা ল্যাবে কর্মরত রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট সুজিত কুমার নাথ (৪৫) আফসারের সহযোগী। বিভিন্ন হাসপাতালের আয়া,নার্স এবং ডায়াগনস্টিক কর্মী সেজে এরা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু পুত্র চুরি করায় এদের মূল পেশা।

    রবিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

    তিনি বলেন, ওরা সংঘবদ্ধভাবে নবজাতক শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে আসছে। এই চোর চক্রের সাথে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়া, নার্স, দারোয়ান ও বিভিন্ন কর্মচারীরা সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা সাধারণত হতদরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে শিশু নবজাতক সন্তান চুরি করে। পরবর্তীতে তাদের কোন স্বজনের সন্তান দাবী করে সমাজের নিঃসন্তান পরিবারের হাতে বেশি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন।

    তিনি বলেন, গত ২৬ মে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে ভিক্ষুক শেফালীর ২ মাস বয়সী শিশু সন্তান চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এধরনের একটি চক্রের সন্ধান পায়। শনিবার রাতে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    মেহেদী হাসান জানান, শেফালির শিশুপুত্রকে চুরি করে নিঃসন্তান পবন কান্তির কাছে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। পুলিশ এ ধরনের চুক্তিপত্রের কপি ও ভুয়া মৃত্যু সনদও জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ৫ মাস আগে গত ২৭ মে শেফালি বেগম নামে এক ভিক্ষুক তার শিশুপুত্র চুরির কথা উল্লেখ করে ২৮ মে কোতোয়ালি থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

    অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চোর সিন্ডিকেটটি নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় গিয়ে তার শিশুকে ভাল জামা কাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে রেয়াজউদ্দিন বাজারে তাকে ও তার শিশুকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কৌশলে শিশুটি চুরি করে তারা পালিয়ে যায়। আরো খবর : নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    ওই চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে শেফালি বেগমের শনাক্ত করা মার্কেটটিতে যায়। সেখানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরচক্রকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ইপিজেড থানা এলাকা থেকে শিশু চুরির অভিযোগে ইকবাল নামে একজনকে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেফতার করার পর তাকে ফুটেজ দেখালে সে শেফালির বাচ্চা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এ সম্পর্কে সে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

    তার কাছ থেকে নবজাতক শিশু চোরের মূলহোতা আফসারের তথ্য পাওয়া যায়। শনিবার আফসারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কক্সবাজারের কলাতলি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে সুজিত এবং নগরীর অক্সিজেন এলাকার সৈয়দপাড়ায় এক বাসা থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়।

    তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নগরীর দামপাড়ায় পল্টন রোডে জনৈক পবন কান্তি নাথের বাসা থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধার করা শিশুকে আদালতের মাধ্যমে মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

  • চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার, নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার, নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় চুরি হওয়া এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    শনিবার দিবাগত রাতে শিশুটি উদ্ধারের পর রবিবার ভোররাত পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে শিশু চোর চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসিন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিস্তারিত গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরবেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

  • নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে মা

    নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে মা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রসবের পর নবজাতককে হাসপাতালেই রেখে পালিয়ে গেছে গর্ভধারিনী মা। সোমবার ভোরে শিশুটি জন্ম দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মা পালিয়ে গেলে শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন। এছাড়া শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন। বুধবার সকালে তিনি আরো জানান, শিশুটিকে কেউ দত্তক নিতে চাইলে সেখানে যোগাযোগ করতে হবে।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় গত রবিবার রাত ১১টার সময় কে বা কারা অজ্ঞাতনামা এক গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে রেখে চলে যায়।

    পরে ওই মহিলাকে দেখে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোতাহের হোসেন সেন্টু তাকে গাইনী বিভাগে ভর্তি করান। রাত তিনটার দিকে ওই মহিলা এক ছেলে বাচ্চা প্রসব করেন। ওইদিনই খুব ভোরে সকলের অগোচরে সদ্য জন্ম দেয়া শিশু সন্তানকে হাসপাতালে রেখে তার মা পালিয়ে যান।

    এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এস আই নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, নবজাতককে রেখে তার মা চলে যাওয়ার পর আমরা শিশুটির খোঁজ-খবর রাখছি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের তত্ত্বাবধানে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইকবাল হোসেন শিশুটিকে চিকিৎসা দেন। বর্তমানে শিশুটি অনেকটা সুস্থ আছে।

    হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোতাহের হোসেন সেন্টু বলেন, রবিবার রাতে তিনি ডিউটি করার সময় ওই মহিলার কান্না শুনে মহিলাকে নিয়ে গাইনী বিভাগে ভর্তি করান। প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র কিনে দেন। রাত তিনটার দিকে ওই মহিলা একটি ছেলে শিশু জন্ম দেন। সকালে তিনি শুনতে পান নবজাতককে রেখে তার মা উধাও হয়ে গেছেন।

    এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.শওকত হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি শিশুটির খোঁজ-খবর নেই। পরে পুলিশ ও সমাজ সেবা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি বলেন, শিশুটি আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। তার কাপড়-চোপড় ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেউ যদি শিশুটি দত্তক নিতে চায় তাহলে তাকে সেখানেই যোগাযোগ করতে হবে।