Tag: নরসিংদী

  • নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জনের মৃত্যু

    নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জনের মৃত্যু

    নরসিংদীর রায়পুরার কমলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচায় জানা যায়নি।

    আজ সোমবার সকালে উপজেলার কমলপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নরসিংদী স্টেশন মাস্টার এটিএম মুসা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আজ সোমবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরে চিটাগাং মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

  • রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তাকারী সেই নারী গ্রেফতার

    রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তাকারী সেই নারী গ্রেফতার

    নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এক তরুণীকে হেনস্তা, মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেনস্তাকারী নারীকে নরসিংদীর শিবপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    ওই নারীর নাম শিলা আক্তার ওরফে সায়মা। তার বাড়ি নরসিংদী সদরের উপজেলা মোড় এলাকায়। পেশায় ঘটক।

    আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌহিদুল মুবিন খান।

    এর আগে গত ১৮ মে ভোর সোয়া ৫টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে আসেন ওই তরুণী ও দুই তরুণ। সকাল পৌনে ৬টা পর্যন্ত স্টেশনটির ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে তারা ঢাকাগামী ঢাকা মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সাড়ে ৫টার দিকে স্টেশনে অবস্থানরত মধ্যবয়সী এক নারী ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কী পোশাক পরেছো তুমি’। তরুণীও পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনার তাতে কী সমস্যা হচ্ছে?’ এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এর মধ্যে সেই বিতর্কে যোগ দেন স্টেশনে অবস্থানরত অন্য কয়েকজন ব্যক্তি। এক পর্যায়ে ওই তরুণীর পোশাক ধরে টান দেন ওই নারী। কোনো রকমে নিজেকে সামলে দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে চলে যান ওই তরুণী। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই তরুণকেও মারধর করতে দেখা যায় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ব্যক্তিকে। পরে তারাও দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে চলে যান। পরে ভুক্তভোগী তরুণী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিলে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ রেলস্টেশনে এসে তাদের ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেয়।

    রেলস্টেশনে ওই তরুণীকে হেনস্থা ও মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে ঘটনার দুই দিন পর শুক্রবার রাতে নরসিংদী শহরের ইউএমসি জুট মিলের সামনে থেকে ইসমাইল মিয়া নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ও ৩০ ধারায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে এক নারীসহ দুজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরো এক নারী ও ১০ পুরুষকে আসামি করা হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিওতে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আসামি করা হয়।

  • নরসিংদীতে মসজিদের ইমাম করোনায় আক্রান্ত, গ্রাম লকডাউন

    নরসিংদীতে মসজিদের ইমাম করোনায় আক্রান্ত, গ্রাম লকডাউন

    নরসিংদীতে প্রথম একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তির বাড়ি পলাশ উপজেলার ডাঙ্গার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি একটি মসজিদের ইমাম।

    সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ইমরুল কায়েস।

    খবর পেয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটনের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি টিম ওই গ্রামে যান।

    প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গ্রামটি লকডাউন করা হয়েছে।

    আগামিকাল মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেয়া হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের এক মসজিদে ইমামতি করতেন। অসুস্থ হয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদীতে যান তিনি।

    নরসিংদীর করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেল সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতি করেন। করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গতকাল রোববার (৫ এপ্রিল) ঢাকায় নমুনা দিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন। সোমবার তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

    নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, নরসিংদীর করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো। রাতেই তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হবে। আগামিকাল সকালে তাকে আইসোলেশনে রাখা হবে।

  • নরসিংদীতে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

    নরসিংদীতে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

    নরসিংদীতে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় গুরত্বর আহত হয়েছেন আরো ৬ জন।

    শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর মাধবদীর ভগীরথপুর এলাকার একটি মিলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত দুজনই পিকআপের যাত্রী ছিলেন। তারা হলেন- নরসিংদী সদর উপজেলার কান্দাইল গ্রামের মৃত হাতেম আলী প্রধানের ছেলে আব্দুল বারেক (৫৬) এবং অপর ব্যক্তির (৩০) পরিচয় জানা যায়নি।

    পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, নরসিংদী সদর উপজেলার কান্দাইল থেকে একটি পিকআপ ভাড়া করে শেখেরচর বাবুরহাটে যাচ্ছিলেন তারা। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হন।

    স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

  • টাকার ‘লোভে’ মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেয় বাবা, মা-ও জানতেন

    টাকার ‘লোভে’ মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেয় বাবা, মা-ও জানতেন

    নরসিংদীর বাহেরচরে চাঞ্চল্যকর ইলমা হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি মাসুম মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবাই তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে হত্যার অনুমতি দিয়েছিলেন।

    বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইলমা খুন হন ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ। এই ঘটনায় বাদী হয়ে ইলমার বাবা আবদুল মোতালেব নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।

    আজ সোমবার (৯ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক (সংঘবদ্ধ অপরাধ বিভাগ) ইমতিয়াজ আহমেদ সিআইডির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইলমা তার বাবার লোভের বলি হয়েছিল। নরসিংদীর বাহের চরে শাহজাহান ভূঁইয়া ও সাবেক মেম্বার বাচ্চুর নেতৃত্বে দুটি দলের প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। শাহজাহান ভূঁইয়ার লোকজন প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে শিশু হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর বিনিময়ে তিনি ইলমার বাবা আবদুল মোতালেবকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। টাকার লোভে ইলমার বাবা মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেন। এ পর্যন্ত ইলমার বাবা চারলাখ টাকাও পেয়েছেন।’

    ‘হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মাসুম মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। মাসুম শিশু ইলমার ফুপাতো ভাই’, যোগ করেন তিনি।

    ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরার নেতৃত্বে একটি দল নরসিংদীর মাধবদী থেকে ইলমার বাবা আবদুল মোতালিব, ফুপাত ভাই মাসুম মিয়া, গ্রুপ লিডার শাহজাহান ভূঁইয়া, মা মঙ্গলী বেগম ও মো. বাতেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর মাসুম মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    আসামি মাসুমের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির উপমহাপরিদর্শক বলেন, ‘ইলমাকে হত্যার পরিকল্পনা হয় ২০১৫ সালের ১ মার্চ। ওই রাতে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাতে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে ইলমার বাবাকে সন্তানের বিনিময়ে ৩০ লাখ টাকার টোপ দেওয়া হয়। ওতেই রাজি হয়ে যান তিনি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ইলমার দুলাভাই বাবুল বাড়ির পাশে নূরার দোকান থেকে তাকে জিনিসপত্র কিনতে পাঠান। বাড়ি ফেরার পথে এই দুলাভাই বাবুল ও ফুপাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাত-আট জন তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ইট ও মুগুর দিয়ে মাথা থেঁতলে ও গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়। এ সময় ইলমার বাবা পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। ’

    সিআইডি জানায়, এই পরিকল্পনা সম্পর্কে ইলমার মা ও জানতেন। মাসুম আরও বলেন, ইলমা হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের বাদ দিয়ে বাবা মোতালিব বাদী হয়ে বিরোধী পক্ষ ‘বাচ্চু’ গ্রুপের বিলকিস, খোরশেদ, নাসুসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় ওই বছরের ৩১ মার্চ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইলমার বাবা হত্যাকাণ্ডের আগে টাকা দাবি করেছিলেন। পরে ওই টাকা পুরো পাননি।

    শুধুমাত্র মাসুম মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে সন্তান হত্যার দায় বাবা–মায়ের ওপর চাপানো কতটা যৌক্তিক হচ্ছে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ইলমার বাবা–মা মূল আসামির নাম এজাহারে উল্লেখই করেননি। এমনকি তদন্ত করার সময় ইলমার বাবা একেকবার একেকজনের নাম এজাহারভুক্ত করার আবদার নিয়ে এসেছেন। সন্তান হত্যার বিচার না চেয়ে, তিনি বারবার আসামির নাম বদলানোর অনুরোধ নিয়ে পুলিশের কাছে এসেছেন। এ ছাড়া ইলমার সুরতহাল প্রতিবেদনে যেখানে যেখানে আঘাতের কথা বলা হয়েছে, মাসুম ঠিক সে জায়গাগুলোরই উল্লেখ করেছে।

    তদন্তে জানা যায়, নরসিংদী থানার বাহেরচরে শাহজাহান ভূঁইয়া ও সাবেক মেম্বার বাচ্চুর নেতৃত্বে দুটি দলের মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। শাহজাহান গ্রুপের সদস্য ও ইলমার ফুফাতো ভাই মাসুমের সঙ্গে বাচ্চুপক্ষের সদস্য তোফাজ্জলের মেয়ে তানিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করার জন্য তানিয়াকে তোলা হয়েছিল মাসুমের ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে। পরে তানিয়ার বাবা দলবল নিয়ে এসে তানিয়াকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে মাসুম, তার ভাই খসরু ও ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছালে বাচ্চু গ্রুপের সদস্যদের ক্ষতি করতে শাহজাহানের অনুসারীরা ইলমাকে খুনের পরিকল্পনা করে।

  • বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা দাবি, পুড়িয়ে দেয়া হল যুবকের যৌনাঙ্গ (ভিডিও)

    বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা দাবি, পুড়িয়ে দেয়া হল যুবকের যৌনাঙ্গ (ভিডিও)

    নরসিংদীতে এক যুবককে প্রেম-বিয়ের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি এবং তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে নিপীড়ণের ঘটনা ঘটেছে।

    অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে এসে নির্যাতিত যুবক নিজেই এ তথ্য ও ভিডিও দিয়েছেন।

    রাসেল জানান, তিনি একজন সৌদি প্রবাসী। তিন মাসের ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। বিদেশে থাকাকালীন তার শ্বশুর নয়ন ইসলাম ব্যবসা করার কথা বলে তার কাছ থেকে দু লাখ টাকা ধার নেন। তিনি দেশে ফেরার পর পাওনা টাকা ফেরত চাইলে শ্বশুর তালবাহানা করতে থাকেন। পরে তার স্ত্রী মন্টির সহায়তায় মিথ্যা মামলায় রাসেলসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা করেন।

    রাসেল আরো জানান, জামিনে বেরিয়ে এলে একপর্যায়ে বিবাদ মিমাংসা করার কথা বলে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তাকে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ডেকে নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভুয়া পুলিশ সাজিয়ে গ্রেফতারের নামে অপহরণ করে তাকে।

    রাসেল অভিযোগ করেন, অপহরণের পর তার উপর নির্যাতন করা হয়। তার বড় শ্যালক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পাপ্পু ও তার বন্ধুরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাপ্পু ও তার বন্ধুরা শ্বশুর নয়ন ইসলামের নির্দেশে আবারো নির্যাতন করে।

    রাসেল অভিযোগে জানান, এসময় তাকে বিবস্ত্র করে তার পুরুষাঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দিয়ে ছবি তোলে, মোবাইলে ভিডিও করে।

    রাসেলের উপর নির্যাতনের ভিডিও তার মাকে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়। আইনের সহায়তা না নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হয়। এতে তার মা হার্ট অ্যাটাক করেন বলে জানান রাসেল।

    তিনি অভিযোগ করেন, চক্রের মূল হোতা তার কথিত স্ত্রী মন্টি। প্রতারণার জন্য সে অন্তত ৮/১০টি বিয়ে করেছে।

    পরে, কৌশলে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসেন রাসেল। নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করতে গেলে অস্ত্র হাতে তোলা সেসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে মামলা না করেই ফেরত আসেন রাসেল।সূত্র:সময় সংবাদ

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3139576679388118&id=2539033922775733

  • সাংসদ বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    সাংসদ বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আলোচনা-সমালোচনার মুখে শনিবার বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট লাভের আশায় প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেন নরসিংদীতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী।

    নিজে পরীক্ষা না দিয়ে পর পর ৮টি পরীক্ষায় অংশ নেয় তার পক্ষে আটজন প্রক্সি পরীক্ষার্থী। বিএ পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে হলে হাতেনাতে ধরা পড়েন এশা নামে এক শিক্ষার্থী। তাই তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    একই সঙ্গে জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধানে কলেজের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহিলা এমপি বুবলীর এই জালিয়াতির খবর বেরিয়ে আসলে এলাকায় নিন্দা সমালোচনার ঝড় উঠে।

    জানা গেছে, নরসিংদী ও গাজীপুর আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী। তিনি নরসিংদী পৌরসভার প্রয়াত মেয়র ও সাবেক শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী।

    তার দেবর কামরুজ্জামান কামরুল নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর দেবর শামীম নেওয়াজ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুবলী এইচএসসি পাস। উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট লাভের আশায় তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হন। এ পর্যন্ত চারটি সেমিস্টারের ১৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

    অভিযোগ রয়েছে ১৩টি পরীক্ষার একটিতেও স্বশরীরে অংশ নেননি তিনি। তার পক্ষে একেক সময় একেকজন অংশ নিয়েছে। আর এমপির প্রক্সি প্রার্থীকে সুবিধা দিতে পরীক্ষাকে কেন্দ্রসহ হল পাহারায় থাকতেন এমপির লোকজনসহ ক্যাডার বাহিনী। তাই ভয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেউই মুখ খুলতে পারে না। সর্বশেষ শুক্রবার পরীক্ষা দিতে এসে প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।

    প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা নিজেকে তামান্না নুসরাত বুবলী হিসেবে দাবি করেন। তবে ছবি সংবলিত প্রবেশপত্র দেখাতে পারেনি। এমপি তামান্নার পরীক্ষা কিভাবে দিচ্ছেন তা জানতে চাইলে তার কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেনি প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা।

    ভুয়া বা প্রক্সি পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন পরীক্ষার্থীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার বিধান থাকলেও এর কিছুই করেননি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। অনেকটা বীরদর্পেই হল থেকে বেরিয়ে যায় ওই পরীক্ষার্থী।

    নরসিংদী সরকারি কলেজ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/হল ইনচার্জ প্রফেসর শফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার্থীর ছবি সংবলিত প্রবেশপত্র ছিল না। প্রবেশপত্র নাকি হারিয়ে গেছে। তাই থানার জিডি কপি নিয়ে পরীক্ষা হলে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসছে। তাই আমরা চিনতে পারিনি।

    বিষয়টি জানার পর প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশাকে আটক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দায়িত্বে ছিল একজন পুলিশ সদস্য। তাই কথা বলার ফাঁকে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে পরে অনেক পুলিশ সদস্যই কলেজে এসেছেন।

    এ সব বিষয়ে নরসিংদী সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ব্যস্ত পাওয়া যায়।

    নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান আকন্দ বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেয়া তামান্না নুসরাত বুবলীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তাকে পরীক্ষা থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধানে কলেজের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • সেই সাংসদ বুবলীর সব পরীক্ষা বাতিল

    সেই সাংসদ বুবলীর সব পরীক্ষা বাতিল

    জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেয়া সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তাকে পরীক্ষা থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান আকন্দ।

    তিনি বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার তামান্না নুসরাত বুবলীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তাকে পরীক্ষা থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধানে কলেজের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট লাভের আশায় প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেন সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলী।

    নিজে পরীক্ষা না দিয়ে পর পর ৮টি পরীক্ষায় অংশ নেয় তার পক্ষে প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা। বিএ পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে হলে হাতে নাতে ধরা পড়েছে এশা নামে এক শিক্ষার্থী। তাই তাকেও পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।