Tag: নরেন্দ্র মোদি

  • ভারতে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য নেই, দাবি মোদির

    ভারতে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য নেই, দাবি মোদির

    ভারতে ধর্মীয় বৈষম্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার দাবি, তার সরকারের অধীনে ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনো বৈষম্য করা হয় না।

    স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দাবি করেন।

    যদিও ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী এবং সাংবাদিকদের নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ সামনে এনেছে বহু মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। শুক্রবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফর করছেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকবারই দেশটিতে সফরে গেছেন এবং তবে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণের কারণে মোদির এই সফরটি যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর বলে বিবেচিত হচ্ছে।

    তবে গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের শুরুতেই মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মোদি। এমনকি মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠিও লিখেছেন ৭৫ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা।

    ওই চিঠিতে ওয়াশিংটন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ভারতে মানবাধিকারের বিষয়গুলো উত্থাপন করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনুরোধ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ওই ৭৫ জন সদস্য। মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের এই আইনপ্রণেতারা সবাই ডেমোক্র্যাট দলীয়।

    প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে আলোচনার সময় মোদির সাথে মানবাধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    পরে প্রেস কনফারেন্সে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ‘আপনার দেশের মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের উন্নতি এবং বাকস্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য আপনি কি পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক,’ এমন প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, তাদের উন্নতি করার দরকার নেই।

    মোদি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সংবিধান ও আমাদের সরকার এবং আমরা প্রমাণ করেছি, গণতন্ত্র ঠিকমতো চলতে পারে। জাতি, ধর্ম, ধর্ম, লিঙ্গ ইস্যুতে ভারতে (আমার সরকারে) বৈষম্যের কোনো স্থান নেই।’

    রয়টার্স বলছে, মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভারতে মুসলমান, হিন্দু দলিত, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দেশটির সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি সামনে এনেছে।

    মোদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
    এদিকে নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বহু সংখ্যক বিক্ষোভকারী হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর অজিত সাহি। তিনি বলেছেন, ‘মোদির চিন্তা করা উচিত কেন প্রেস ব্রিফিংয়ে তাকে প্রথম প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এটা সবার কাছে স্পষ্ট যে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।’

    ভারতীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে হিন্দুত্ব ওয়াচ নামে একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাকিব হামিদ নায়েক বলেছেন, ‘মোদির মন্তব্য (তার সরকারের অধীনে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য নেই) সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটি কালো গহ্বরে পরিণত হয়েছে।’

    ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি পাঁচবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক মর্যাদার সাথে এই সফরটিই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মোদির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। যদিও মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির অধীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে উদ্বেগ রয়েছে।

    ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আশা করছে। কারণ চীনকে মোকাবিলায় ভারতকে পাশে রাখা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বিগ্ন যে, ভূরাজনীতির হিসেব-নিকেশে হয়তো ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো চাপা পড়ে যাবে।

    আর এ কারণে বেশ কয়েকটি মার্কিন মানবাধিকার গোষ্ঠী আগেই মোদির সফরের সময় বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, চীনকে মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের গুরুত্ব এবং উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ওয়াশিংটনের পক্ষে ভারত ও তার সরকারের মানবাধিকারের সমালোচনা করা বেশ কঠিন করে তুলেছে। আর এ কারণেই বৃহস্পতিবার মোদির জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে দিয়েছেন বাইডেন।

    রয়টার্স বলছে, মার্কিন কংগ্রেসের দুই মুসলিম নারী সদস্য প্রতিনিধি ইলহান ওমর এবং রাশিদা তালাইব প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের মতো অন্যান্য প্রগতিশীল আইন প্রণেতাদের সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে মোদির ভাষণ বয়কট করেছেন। মূলত ভারতীয়

    ভিন্নমতাবলম্বী এবং সংখ্যালঘুদের – বিশেষ করে মুসলমান – ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে মোদির ভাষণ বয়কট করেন তারা।

    মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, মোদির আক্রমনাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য জায়গাকে সংকীর্ণ করে তুলেছে।

    নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, ভারত সরকারের নীতির সুবিধা সকলের কাছেই পৌঁছাচ্ছে। তবে মানিবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, মোদি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ভারতে ভিন্নমতাবলম্বী, সংখ্যালঘু এবং সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

  • গান লিখলেন নরেন্দ্র মোদি, গাইলেন ফালু

    গান লিখলেন নরেন্দ্র মোদি, গাইলেন ফালু

    একেবারে নতুন ভূমিকায় এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গ্র্যামি পুরস্কারজয়ী ভারতীয়-আমেরিকান গায়িকা ফালুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার গান লিখলেন তিনি। যে গানের মধ্যে দিয়ে বাজরার উপকারিতা এবং বিশ্ব ক্ষুধা দূর করতে এই ফসলের গুণ প্রচার করা হয়েছে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

    জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ২০২৩ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেটস’ হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে। সেই উপলক্ষেই এই গান বাঁধা হয়েছে। ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে এটি।

    গানের জগতে ফালু নামেই জনপ্রিয় ফাল্গুনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই গান নিয়ে নানারকম এক্সপেরিমেন্ট করে থাকেন তিনি।

    ২০০৭ সালে প্রথম মুক্তি পায় তার নিজস্ব অ্যালবাম। লোকগীতির সঙ্গে পাশ্চাত্য সংগীতের ফিউশন ফাল্গুনীর গানের বিশেষত্ব। সংগীতপ্রেমীদের কাছে আগে থেকেই তা জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, খ্যাতনামা সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। এর আগেও ‘সেরা চিলড্রেন মিউজিক’ বিভাগে গ্র্যামিতে মনোনীত হয়েছিলেন এ গায়িকা।

  • বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত: মোদি

    বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত: মোদি

    বিগত বছরগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে তিনি এবং তার দেশ গর্বিত বলে জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের উদ্বোধনকালে মোদি এই কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এটি উদ্বোধনকালে ঢাকা থেকে যুক্ত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে আসবে ডিজেল। এই পাইপলাইন বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করবে বলে মনে করেন নরেন্দ্র মোদি।

    নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে তত দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে।

    মোদি বলেন, এই পাইপলাইনের কল্যাণে খরচ কমার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের উপকার হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই পাইপলাইন দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। ডিজেল আমদানিতে সময় ও ব্যয় কমবে।

    এজন্য বাংলাদেশের সরকারপ্রদান ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাবে।

    দুই দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন এটি। বার্ষিক এক মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে এবং এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় ডিজেল সরবরাহ করবে। ৩৭৭ কোটি রুপির এই পাইপলাইনের মধ্যে বাংলাদেশের অংশটি ভারতীয় অনুদানের সহায়তায় প্রায় ২৮৫ কোটি রূপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

    পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পাইপলাইনটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ১২৫ কিলোমিটার এবং ভারতের অভ্যন্তরে পাঁচ কিলোমিটার বিস্তৃত।

  • নরেন্দ্র মোদীর মা মারা গেছেন

    নরেন্দ্র মোদীর মা মারা গেছেন

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী মারা গেছেন। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    মৃত্যুকালে হীরাবেন মোদীর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। মায়ের প্রয়াণের খবর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

    মায়ের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে লেখেন, ‘সুন্দর একটি শতাব্দী শেষে ভগবানের চরণে বিশ্রাম নিতে গিয়েছেন মা। মায়ের মধ্যে সবসময় আমি ত্রিমূর্তি দেখতে পেয়েছি। যার মধ্যে ছিল একজন সাধুর যাত্রা, একজন কর্মযোগীর প্রতীক এবং মূল্যবোধের প্রতি দায়বদ্ধতা। এ ভাবেই তিনি জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন।’

    অপর একটি টুইটে মোদী লিখেছেন, ‘শততম জন্মদিনে যখন মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন, ‘কাজ করো বুদ্ধি দিয়ে এবং জীবন যাপন করো শুদ্ধ ভাবে।’

    গত মঙ্গলবার হঠাৎই শরীর খারাপ হওয়ায় হীরাবেন মোদীকে আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ঠিক কী কারণে অসুস্থ হন তা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা

    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি ঈদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    শুক্রবার এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।

    লিখিত সেই শুভেচ্ছা বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঈদুল আজহা উৎসব ভারতের বিভিন্ন এলাকাতেও উদযাপিত হয়। এটি মনে করিয়ে দেয় আমাদের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগের কথা। আমরা আশা করি এই উৎসব আমাদের দুটি দেশের মধ্যে শান্তির চেতনা ও আমাদের সংশ্লিষ্ট সমাজে সহিষ্ণুতা এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে।

    শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, উভয় দেশ যখন কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে তখন আপনার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

    বাংলাদেশ এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী। স্বাস্থ্য খাতের সামর্থ্য বৃদ্ধিসহ আপনাদের উদ্যোগে যেকোনও সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।

    নরেন্দ্র মোদি আরও লিখেছেন, এই শুভ উপলক্ষে আমি আপনার ও আমার সব বাংলাদেশি ভাই ও বোনের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।

    শুভেচ্ছা বার্তায় এই আশ্বাস সর্বোচ্চ বিবেচনার সঙ্গে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শেখ হাসিনাকে ফোন করে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

    শেখ হাসিনাকে ফোন করে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আজ সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন বিকেলে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

    তিনি জানান, দেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১৭ মার্চে আসছেন না মোদিসহ বিদেশি অতিথিরা

    ১৭ মার্চে আসছেন না মোদিসহ বিদেশি অতিথিরা

    দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের  কারণে জনসমাগম এড়িয়ে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনসমাগম হবে এমন অনুষ্ঠানগুলো আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুজিব বর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এতে ১৭ মার্চের প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানটি বাতিল হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা আসছেন না।

    রোববার (৮ মার্চ) রাতে আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ১৭ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে দেশে করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানটি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু জনগণের কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছেন তাই জনকল্যাণে জনগণের কষ্ট পরিহার করতে এবং জনগণের স্বাস্থ্যের প্রতি বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক প্রোগ্রামটি পুনর্বিন্যাস করা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে জনসমাগম পরিহার করা হবে। তবে ১৭ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে। যার আওতায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা এবং পরবর্তীতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানানো হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে দোয়া মাহফিল চলবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান চলবে। স্মারক ডাকটিকিট মুদ্রা এবং প্রকাশনা প্রকাশ করা হবে। তবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠানটি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কবে নাগাদ প্যারেড স্কয়ারের প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠানটি হবে তার পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিদেশি অতিথিদের আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানটি বাতিল হয়েছে।’

    রোববার রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ৩ জন করোনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটি এবং জাতীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

  • খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না: ফখরুল

    খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না: ফখরুল

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেন, ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কারাবরণ করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এখন জেলে আছেন, তাকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না।’

    শনিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় আসছেন। তার সঙ্গে বিএনপির কোনো বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।’

    মোদীর আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আগেই পরিষ্কার করে বলেছি, আজকে বাংলাদেশের যে অবস্থা, ভারতের এনআরসি নিয়ে দাঙ্গা হয়ে গেলো, সেটার যে প্রভাব এখানে পড়েছে, তাতে তার (মোদীর) এখানে আসাটা কতটুকু সমীচীন এটা তারাই বিচার করবেন।

    ‘বিএনপি সিরিয়াসলি নির্বাচনে অংশ নেয় না, তারা নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগতো কত কথাই বলবে। তারাতো জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া, ভোট ছাড়া, শুধু অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এ ধরণের কথাবার্তা বলবে, যাতে করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ হয়। কিন্তু সেটাতে তারা সফল হয়নি। আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। আমরা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।

    তিনি আরও বলেন, আগেও বলেছি এই নির্বাচনটা গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনের অংশ। আমরা এই নির্বাচনে অত্যন্ত সিরিয়াস। প্রত্যেকটি নির্বাচনেই আমরা সিরিয়াসলি অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণ তাদের সহ্য করে না। তারা জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে তারা তাদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেটার প্রতিবাদ করার জন্য ও প্রতিরোধ করার জন্য আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। অতএব তাদের যে যুক্তি সেটা কোনোদিনই গ্রহণযোগ্য নয়।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। এটাকে কেন্দ্র করেই দীর্ঘকাল ধরে স্বাধীনতার দাবি উঠেছে, স্বাধীনকারের সংগ্রাম হয়েছে। সুতরাং একজন ব্যক্তি বা একটা গোষ্ঠি-একটা দল স্বাধীনতার দাবিদার হতে পারে না। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ সুদীর্ঘ সময় ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারই ফলে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আমরা স্বাধীন হয়েছি।

    সরকারের পক্ষ থেকে দল মত নির্বিশিষে সবাইকে নিয়ে মুজিববর্ষ পালনের কথা বলা হচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটা মকারি প্রহসন। কারণ বেগম জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। গণন্ত্রের জন্য দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করেছেন। তাকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না।

    ঢাকা-১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবির বিষয়ে মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রার্থী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একজন নেতা। তিনি ছাত্র রাজনীতি করেছেন, দীর্ঘকাল রাজনীতি করছেন। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় নেতা। আমি বিশ্বাস করি তিনি মেধাবী ছেলে নিজের মেধা প্রমাণ করে জনগণের ভোটে জয়ী হতে পারবেন।

    এ সময় ঢাকা-১০ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আঞ্জু, দক্ষিণের সহসভাপতি নবী উল্লা নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ভারতে মুসলিম হত্যা ও মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ

    ভারতে মুসলিম হত্যা ও মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলিম হত্যা এবং সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশে সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার জুমআর নামাজের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা ও ইসলামী আন্দোলনের অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

    মুসল্লিরা শহরের পৌর মিলনাতায় চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের চৌরাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ।

    এসময় সংগঠনটির জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মাহফুজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সারাফাত হোসেন, ইমাম ও উলামা পরিষদ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমানসহ বক্তারা বলেন, মুজিববর্ষে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদীকে কোনভাবে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না। আমরা সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বজায় রাখতে চাই। ভারতে যেভাবে মুসলিমদের উপড় নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এভাবে মুসলিমদের উপড় নির্যাতন চলমান থাকলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান নেতারা।

  • মোদি এলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে : কাদের

    মোদি এলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।

    আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আরো অগ্রগতি হবে। কাজেই সম্পর্ক যখন আছে এই সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে, শক্তিশালী হবে। এটিই আমরা আশা করি।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বাক্ষাৎ হলে সমস্যা নিয়ে তো উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবেই। তবে আমাদের যে সম্পর্ক এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরো কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুণছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি আছে।

    তিনি বলেন, ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা বিবেচনা করে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো উচিত। তার আসা প্রতিহত করার ঘোষণায় বিব্রত নয় সরকার।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, উচিত হচ্ছে না। তাদের স্বাগত জানানো উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    এনআরসি সমস্যা সমাধানের কোন আশ্বাস পাওয়া গেল কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন একটা উপলক্ষ নিয়ে, সেটা হলো মুজিব বর্ষ। আমাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে।

  • নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ করেছেন।

    এতে বলা হয়, নয়াদিল্লি¬তে রাইসিনা সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের সাথে হাছান মাহমুদ বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

    ভারত সফররত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাতের আমন্ত্রন পান।

    ড. হাছানের সাথে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবার অনুরোধ জানান।

    তথ্যমন্ত্রী এদিন দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সাথে বৈঠক করেন।

    এরআগে মঙ্গলবার তিনি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকারের সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশ বেতারের দৈনিক চার ঘন্টা সম্প্রচার উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে যৌথ প্রযোজনা চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটি পরিদর্শন শেষে আগামীকাল শুক্রবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

  • গঙ্গা ঘাটে পা পিছলে পড়ে গেলেন মোদী(ভিডিও)

    গঙ্গা ঘাটে পা পিছলে পড়ে গেলেন মোদী(ভিডিও)

    নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে যখন আসামসহ ভারতজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। এমন সময়ে গঙ্গা ঘাটে পা পিছলে পড়ে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এ ঘটনায় তেমন কোন আঘাত পাওয়ার আগেই নিজের হাত দিয়ে পতন সামলে নেন নিজেকে। না হলে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত।

    শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) কানপুরের গঙ্গা ঘাটে ‘নমামী গঙ্গে’ প্রজেক্টের দেখভাল করতে গিয়ে মোদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। যার একটি ভিডিও টুইটারে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

    ভিডিওটিতে দেখা যায়, ঘাটের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর পরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেহরক্ষীরা তাকে টেনে তোলেন।

    ভারতীয় দৈনিক আজকাল পত্রিকা জানায়, গঙ্গার ঘাট থেকে নৌকা বিহারে গঙ্গা ঘুরে দেখার জন্য সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন। এ সময় হঠাৎ বাঁ পায়ের পাতা শেষ সিঁড়িতে আটকে যাওয়ায় সামনের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়েন মোদি।

    মুহূর্তেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজির সদস্যরা ছুটে আসেন। তবে তার আগেই নিজের হাত দিয়ে কোন রকমে পতন সামলে নেন মোদি।

    ভারতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গঙ্গার ঘাটে মোদীর এই পপাতধরণীতলকে অনেকে ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। মোদীর লৌহ কঠিন ব্যক্তিত্বে এই পা হড়কে যাওয়াকে রাজনৈতিক টেনশনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করতে দেখা গেছে মোদী-বিরোধীদের।

    ওই ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে নানা রকম মন্তব্যের মধ্যে একজন বলেছেন- ‘‌তব মুকুট পড়িল পদতলে, হায় এ কী দশা!‌’‌

    https://twitter.com/TheRoshanRai/status/1205801716291010560?s=09