Tag: নাজমুল হাসান পাপন

  • বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স : পাপন-সাকিবের পদত্যাগ চেয়ে নোটিশ

    বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স : পাপন-সাকিবের পদত্যাগ চেয়ে নোটিশ

    ক্রিকেট বিশ্বকাপের চলমান আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বাজে পারফরম্যান্স করায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার তাদের এ নোটিশ পাঠান।

    নোটিশে বলা হয়, মাঠের খেলার বাইরে এবারের বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্টের মাঝে দলকে ফেলে দেশে এসেছিলেন অনুশীলন করতে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে খেলা চলাকালীন সময়ে বিজ্ঞাপনের শুটিং করে সমালোচিত হয়েছিলেন। যা কাম্য নয়। সাকিবের মতো একজন উঁচু মাপের খেলোয়াড়ের কাছে সমগ্র জাতি আরও পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।

    নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে এমন কোনো ক্রিকেট বোর্ড সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ দল গড়েছিল তাদেরই দেশ সেরা ওপেনারকে দলের বাইরে রেখে। যে ওপেনারকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেকে নিয়ে অবসর থেকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ শুরুর দুই মাস আগে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলের দায়িত্ব ছাড়েন। সেই ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দলের বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে সময়োপযোগী কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আবার ওপেনার লিটন দাসও ব্যক্তিগত কারণে (পুত্রসন্তানের জন্ম) দুইবার খেলা চলাকালীন সময়ে দেশে এসেছেন। পেশাদার দলে মানবিক কারণে একবার আসা মেনে নেওয়া যায়। তাই বলে একাধিকবার! ম্যাচ গুরুত্বহীন হলেও পেশাদার টিমে এমনটা চলতে পারে না। ম্যানেজমেন্টের এমন শিথিল মানসিকতা চূড়ান্ত পেশাদার সময়ে আরও বেমানান। অথচ এ ক্ষেত্রেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বোর্ড।

    সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমরা অনেক আন্ডার প্রিপেয়ার্ড ছিলাম। এখন এসব অভিযোগ দিয়ে আসলে লাভ হবে না। তবে অবশ্যই প্রস্তুতি কম ছিল। তাহলে আইসিসি পুরুষ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এ সাফল্য পেতে জাতীয় দলের প্রধান কোচ, কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক কমিটি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কেন প্রস্তুতি সঠিকভাবে নিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি? ফলে আপনারা বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের ব্যর্থতার দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।

    নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক কমিটি বাতিল করবেন। একইসঙ্গে আইসিসি পুরুষ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন। এছাড়াও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিজস্ব কোচ তৈরি, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো যে ধরনের উইকেটে হয় তার অন্তত কাছাকাছি মানের উইকেটে ঘরোয়া লিগে আয়োজন, স্কুল ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও প্রশিক্ষণের আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে সমগ্র জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। অন্যথায় প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

    উল্লেখ্য, হারের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে টাইগারদের এবারের বিশ্বকাপ মিশন। রোববার সকাল ১০টায় ভারত থেকে দেশে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৯ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টানা হার নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পদত্যাগের দাবি জানান।

  • পাপনের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে!

    পাপনের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে!

    হটাৎ করে বাংলাদেশে ক্রিকেটের এখন একটি সংকটকাল চলছে। এই সংকটকালের বিতর্কের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    কদিন থেকেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে বেশ সমালোচনার ঝড় দেখা যায়। এরই মধ্যে পাপনের ক্যাসিনো খেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে যেন আগুনে ঘি ঢালার মতে অবস্হা দাড়ায়। ভিডিওটি নজরে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। যদিও এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি।

    সেই বিশ্বকাপে সাকিবের ফটো সেসনে না আসা নিয়ে পাপনের মন্তব্য, এরপর হঠাৎই সাকিবের নেতৃত্বে ক্রিকেটারদের আন্দোলন, পরবর্তী ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েও আইসিসিকে না জানানোর অপরাধে হঠাৎই সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় বিসিবি সভাপতির প্রতি আঙুল তুলেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। অনেকেই আন্দোলন করেছেন বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে।

    পাপনের কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই দুর্গতি হয়েছে বলে একাধিক মহল মনে করছেন। আওয়ামী লীগের মধ্যেই অনেকে এখন এ ব্যাপারে সরব হয়েছে। তারা দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছেও অনুযোগ করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    শুধু পাপন একা নন, বাংলাদেশে ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের যে সমস্ত প্রভাবশালী লোকজন রয়েছে, যারা ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডে পাপনের বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত- তাদের মধ্যে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং নানারকম অপকর্মের অভিযোগ এখন প্রকাশ্যে এসেছে। বিসিবির একজন পরিচালক ইতিমধ্যে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগে কারান্তরীণ রয়েছেন। এই অবস্থায় বিসিবি নতুন করে পুনর্গঠনের বিষয়টি সামনে এসেছে।

    আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করছেন যে, এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সংকটকালে নাজমুল হাসান পাপনের সরে যাওয়াটাই উত্তম। তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, ভারত সফর শেষ হওয়ার আগে পাপন সরে গেলে সেটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ভারত সফরের পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ক্রিকেটারদের সঙ্গেও নাজমুল হাসান পাপনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে ক্রিকেটারদের আন্দোলনের সময় পাপন ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। যার ফলে অনেক ক্রিকেটারই বিব্রত হয়েছেন।

    একাধিক সূত্র বলছে যে, পাপনের বিকল্প এরই মধ্যে খোঁজা শুরু হয়েছে। একাধিক বিকল্প সরকারের কাছে রয়েছে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠিত হযেছে নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচন এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া এ ধরনের বোর্ড ভেঙে দিলে তা আইসিসি নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ওপর খড়গ নেমে আসেতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।

    সেজন্য বিষয়গুলোকে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি বা পরিচালকমণ্ডলীকে হুটহাট পরিবর্তন করা যায় না। এটা সরকারনিয়ন্ত্রিত কোনো সংস্থাও নয়। বরং এটি স্বাধীন সক্রিয় সংগঠন বলেই স্বীকৃত। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে বিভিন্ন দেশ আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। সমগ্র বিষয়গুলো বিবেচনা করে পাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

    তবে শেষ পর্যন্ত যে পাপনের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে এবং পাপনের সরে যাওয়ার একটি পথ খোঁজা হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র।

    সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে সাবের হোসন চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা হোক অথবা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক মাশরাফিকে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

  • ক্যাসিনো খেলছেন পাপন,সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)

    ক্যাসিনো খেলছেন পাপন,সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)

    ক্যাসিনো অভিযান ও সাকিব ইস্যুতে যখন ক্রিকেট ও রাজনীতির মাঠ গরম, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো বিসিবি সভাপত নাজমুল হাসান পাপনের একটি ভিডিও।

    আর ভিডিওটি দুই ইস্যুকেই সরগরম করে দিয়েছে।

    ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্বের আলোচিত মেরিনা বে ক্যাসিনোতে বসে জুয়া খেলছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুধীজনরা।

    তারা বলছেন, বর্তমানে সবচেয়ে দুর্যোগময় দিন কাটাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। দুই বছর আগে ভারতীয় জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপের বিষয়টি আইসিসিকে না জানানোয় এক বছর নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন সাকিব আল হাসান।

    স্ত্রীকে সময় দেবেন বলে মাঠের বাইরে রয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।

    চোটের কারণে খেলা থেকে ছিটকে পড়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও। অথচ সামনেই রয়েছে ভারত সফর।

    এদিকে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণেও রাজনীতির মাঠে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতারসহ সম্পদের হিসাব তলব চলছে বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদের।

    এমন পরিস্থিতিতেই ফেসবুকসহ বাংলাদেশের সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল বিসিবি বসের এই ক্যাসিনো খেলার ভিডিওটি।

    তবে জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে’তে খেলেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।

    ভিডিওটি পুরনো হলেও সিঙ্গাপুরের সেই বিতর্কিত ক্যাসিনোতে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি গেছেন এবং খেলেছেন তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

    যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের।

    তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে পাপনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

    পাপনের এ ক্যাসিনো খেলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার বন্ধু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার প্রসঙ্গ টানছেন।

    ক্যাসিনোবাণিজ্যে জড়িত থাকাসহ বাসায় অনুমোদনহীন বিদেশি মদ রাখার অপরাধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

    তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্যই তিনি মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি রুম ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন।

    গ্রেফতার করা হলেও এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারিত বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি।

    উল্লেখ্য, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। লোকমান গ্রেফতারের পর পাপনের বক্তব্য ছিল, তিনি জানতেনই না যে, তার বন্ধু মদ খেতে পারে আর ক্যাসিনোবাণিজ্যে জড়িত।

    নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার সেই ভিডিওটি দেখুন-

     

  • সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    এক বছর ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে।

    ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব তিনবার পেয়েও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে জানান নি এই অলরাউন্ডার। এ কারণে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। যার মধ্যে আছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। টানা এক বছর বাংলাদেশ অধিনায়ক থাকবেন না ক্রিকেট মাঠে। এমন খবরে অন্য অনেকের মতো হতাশ বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    প্রিয় সতীর্থদের জন্য মন পুড়ছে মাশরাফির। ওয়ানডে অধিনায়ক মঙ্গলবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এনিয়ে লিখলেন আবেগঘন স্ট্যাটাস। যেখানে সতীর্থদের জন্য বিনিদ্র রাত কাটানোর কথাও বললেন ম্যাশ।

    ওয়ানডে অধিনায়ক লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান…!!!’

    সব ধরণের ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার আরেক সতীর্থ মুশফিকুর রহিমও। মাশরাফির মতো তারও বিশ্বাস আরও বেশি দাপট নিয়েই ফিরবেন প্রিয় সতীর্থ। মুশফিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমরা ১৮ বছর ধরে এক সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলেছি। এটা খুবই দুঃখজনক তোমাকে (সাকিব) ছাড়া মাঠে নামতে হবে। আমি আশা করি, সাকিব বীরের মতো ফিরে আসবে। তোমার জন্য আমার এবং পুরো বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে। শক্ত থাকো। ইনশা আল্লাহ।’

    সাকিব আল হাসানের নিজের কণ্ঠেও ফেরার প্রত্যয়। তিনি মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা শুনে মিরপুর বিসিবি কার্যালয়ে আসেন। বিমর্ষ এই মহাতারকা বলেন, ‘আমি শাস্তি মেনে নিয়েছি। সকল খেলোয়াড়ের মতো আমিও চাই ক্রিকেটটা দুর্নীতিমুক্ত থাকুক। তরুণদের উন্নয়নে আমি কাজ করব। আপনারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন, তাহলে আমি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারব।’

    সাকিবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এর চেয়ে বেশি মর্মান্তিক কিছু হতে পরে বলে আমার জানা নেই। কারণ আমি বহুবার বলেছি, দুজন খেলোয়াড়ের বিকল্প আমাদের নেই। একজন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি, অন্যজন সাকিব। আমি মনে করি আমাদের সকলকে সাকিবের পাশে এখন থাকা উচিত। ওর এখন খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। ও অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। সেটা করে যাক এবং যেভাবে যখন যেভাবে সাপোর্ট করা দরকার বিসিবি ওর পাশে থাকবে।’

    গত দুই বছরে তিনবার একজন চিহ্নিত ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। তখন সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেন তিনি। তবে জুয়াড়ির কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) কে জানাননি। এটাই তার বড় ভুল। আর সেই ভুলের ফাঁদে পড়েই আজ ক্রিকেট দুনিয়ায় নিষিদ্ধ হলেন সাকিব।

    বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্ছ সংস্থা আইসিসির কোড অব কনডাক্টে আছে-অনৈতিক প্রস্তাব লুকোনোও বড় অপরাধ। সেটিই করেছেন টাইগারদের অধিনায়ক। যার মাশুল দিয়ে এখন ক্রিকেটেরই বাইরে চলে গেলেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা!

  • সবার সমর্থন থাকলে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব : সাকিব

    সবার সমর্থন থাকলে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব : সাকিব

    বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জুয়াড়িদের কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি আইসিসি কিংবা বিসিবির কাছে বিষয়টি গোপন করায় তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

    তবে, দোষ স্বীকার করার কারণে, তার ১ বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। সাকিবকে যে শাস্তি দিয়েছে তা মেনে নিয়ে তিনি বলেছেন, সবার সমর্থন থাকলে এই সময়ের মধ্যে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন।

    আইসিসির রায় ঘোষণার পর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপনের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন সাকিব।

    তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান এবং সেজন্য আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তি তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। সবার সমর্থন থাকলে নিষেধাজ্ঞা শেষে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব।

    সাকিব বলেন, আমার ভালোবাসার খেলাটি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় আমি অত্যন্ত বিষণ্ণ। তবে (আইসিসিকে) রিপোর্ট না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা পালনের জন্য আইসিসির এসিইউ খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখে। কিন্তু আমি এক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।

    তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটার এবং ফ্যানদের মতো আমিও চাই দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট। আমি আইসিসির এসিইউ টিমের শিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে চাই এবং আমি যে ভুলটি করেছি তা যেন আর কোনো তরুণ ক্রিকেটার না করেন সেটি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে চাই।

    এর আগে সন্ধ্যায় জুয়াড়ির সঙ্গে কথোপকথন গোপন করার অপরাধে সাকিবের বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রায় ঘোষণা করে আইসিসি। তবে ঘোষিত রায়ের এক বছরের শাস্তি স্থগিতও করা হয়েছে। একই অপরাধে না জড়ালে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।

    বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একটি নয়, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধে এ শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।

  • সাকিবকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না

    সাকিবকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না

    নিয়ম না মেনে গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যে কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

    বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সাকিবকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

    শনিবার বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে বোর্ড প্রধান বলেছেন, ‘আমাদের আইন অনুযায়ী কোনোভাবেই খেলোয়াড়রা এটা করতে পারে না। সেটা টেলিকম কোম্পানি যেমন জানে, তেমনি খেলোয়াড়রাও জানে। সাকিব এটা কেন করলো আমরা জানি না। তারপরও আমরা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিচ্ছি। তবে এটা বলতে পারি, আইন অনুযায়ী একজন ক্রিকেটার কোনও টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারে না।’

    সাকিবকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে নাজমুলের জবাব, ‘প্রশ্নই ওঠে না।’ এ সময় পাশ থেকে বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম বলে ওঠেন, ‘আইন ভঙ্গ করলে যে রকম শাস্তি হওয়ার কথা সেরকমই হবে।’

    গত ২২ অক্টোবর গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব। সেদিন জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘গ্রামীণফোনের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার বিশ্বাস, গ্রামীণফোনের সঙ্গী হয়ে দেশকে ও দেশের ডিজিটাল খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’

  • চুপ করো,আমাকে অনেক ভুল বুঝাইছো

    চুপ করো,আমাকে অনেক ভুল বুঝাইছো

    সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিত এই ব্যক্তিত্বের আছে বেশ কিছু পরিচয়। বিভিন্ন পদ-পদবীতে বহাল থেকে ক্রিকেট অঙ্গনে বেশ প্রভাব রাখছেন ৪৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।

    তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার উপর বেশ অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটারদের সাম্প্রতিক বিদ্রোহ ও ধর্মঘট চলাকালে সুজনের ভূমিকা নিয়েই অসন্তুষ্ট বোর্ড সভাপতি। খেলোয়াড়দের সাথে বোর্ডের বহুল আলোচিত সভায় খালেদ মাহমুদ সুজনের উপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।

    ২৩ অক্টোবর রাতে বিসিবিতে খেলোয়াড়দের সাথে বোর্ড কর্তাদের বৈঠকের সময় সুজনের কণ্ঠজুড়ে ছিল খেলোয়াড়দের উপর দোষারোপ। ঢাকার প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে খেলোয়াড়রাই জড়িত- এমন দৃষ্টিকটু ও ভুল তথ্য সম্বলিত অভিযোগও করে বসেন সুজন। এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদেরও দোষারোপ করে যাচ্ছিলেন বারবার।

    এতে চটে যান পাপন। এ সময় তিনি সুজন এত দিন ধরে পাপনকে ‘ভুল বোঝাচ্ছিলেন’ বলেও উল্লেখ করেন বোর্ড সভাপতি।

    সুজনের উদ্দেশে তিনি বলেন-

    ‘চুপ করো। তুমি আর কথা বলবা না। একটা কথাও না। তোমার লজ্জা লাগে না! টাকা নাও আবার কথা বলো! আমাকে অনেক ভুল বুঝাইছো এত দিন।’

    এছাড়াও বোর্ডের উর্ধ্বতন অনেক কর্তাই খালেদ মাহমুদ সুজনের উপর অসন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। এমনও শোনা যাচ্ছে- বোর্ডে দায়িত্বরত অবস্থায় জাতীয় দলের সাথে সুজনের সংযুক্তিতায় ‘স্বার্থের সংঘাত’ হিসেবে দেখছে বিসিবি।

  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে চক্রান্ত চলছে : পাপন

    দেশের ক্রিকেট নিয়ে চক্রান্ত চলছে : পাপন

    দেশের ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিদাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    তার অভিমত, দেশের ক্রিকেট নিয়ে চক্রান্ত চলছে এবং ক্রিকেটারদের এমন অবস্থান চক্রান্তেরই অংশ।

    যদিও ক্রিকেটারদের সবাই জেনেবুঝে এমন কাজ করছেন বলে মনে করেন না তিনি।

    ক্রিকেটারদের দাবির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাপন তুলে ধরেন- তিনি দায়িত্বে আসার পর দলের বা বোর্ডের কী কী উন্নতি হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আমি আসার পর আইসিসি সভাগুলোতে বলা হতো জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশকে টেস্টে চাই না।’

    বোর্ডকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে জানিয়ে পাপন বলেন, ‘চক্রান্ত চলছে। কে এসব করছে এগুলো জানি। আপনারাও সব জানেন।’

    খেলোয়াড়দের ধর্মঘটের পেছনে অক্রিকেটীয় কারণ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা জানত দাবি দিলেই মেনে নিব,এজন্য যোগাযোগ করেনি। এটা পরিকল্পনার অংশ। ওরা কেন আমাদের কাছে চাচ্ছে না? খেলা কেন বন্ধ করল? ক্যাম্প কেন বন্ধ করল? সবকিছুর পেছনেই একটা কারণ আছে।’

    ‘এটা ঐ ষড়যন্ত্রেরই অংশ। সব খেলোয়াড় এটা জেনেশুনে করছে বলে আমি মনে করি না। তবে হাতেগোনা ২-১ জন হয়ত জানে। বাকি না জেনেই (ধর্মঘটে) এসেছে।’

    এ সময় পাপন সবার কাছে কিছুদিন সময় চান। শীঘ্রই ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    ‘কারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে এটা খুঁজে বের করতে হবে। এটা খুবই জরুরী। আমি আপনাদের কাছে কিছুদিন সময় চাচ্ছি। দৃঢ় বিশ্বাস, কারা এসব করছে আমরা বের করতে পারব।’

    ভারত সফর বানচালের জন্য এমনটি করা হচ্ছে বলেই উল্লেখ করে পাপন। তিনি আরও জানান, ‘দেশের বাইরে থেকে করা হচ্ছে। আমাদেরও ২-১ জন জড়িত থাকতে পারে, খেলোয়াড়দের কেউই জড়িত থাকতে পার।’