‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে ভাষা শহীদদের স্মরণে এই গান। একে একে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে ইডিইউ পরিবারের সবাই।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও সম্মান জানাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি এদিন আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
ভোরে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের নেতৃত্বে প্রভাতফেরীর মধ্যদিয়ে ইডিইউ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বোর্ড অব ট্রাস্টি, উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ভাষা শহীদদের।
পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রারম্ভিক বক্তা ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তিু বড়ুয়া।
উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, একটি জাতির পরিচিতি তার ভাষায়। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতিসত্তাকে মুছে ফেলতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু হাজার বছরের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতি এর প্রতিবাদ করে নিজের মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছিলো। তাই এ ভাষার মৌলিকত্ব ধরে রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভাষা আন্দোলন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছিলো না। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের সূত্রপাত ছিলো বায়ান্ন, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভিত গড়ে দিয়েছিলো। ভাষার মর্যাদা রক্ষার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন সালাম-বরকতেরা, আমাদেরও তা অনুসরণ করতে হবে।
এদিন অমর একুশের থিম নিয়ে দেয়ালিকা প্রকাশ করে ইডিইউ লিটারেরি ক্লাব। উপাচার্য ফিতা কেটে দেয়ালিকাটি উদ্বোধন করেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী প্রমুখ।