Tag: নাফ নদী

  • নাফ নদীতে আরাকান আর্মির বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত

    নাফ নদীতে আরাকান আর্মির বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফের নাফ নদীতে বোমা নিক্ষেপ করেছে আরাকান আর্মি। এতে এক রোহিঙ্গা নিহত ও আরো ২ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৭ জুলাই) নাফ নদীর সোনার ডেইল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত রোহিঙ্গার নাম জুবাইর। আহতরা হলেন— জাবের ও শুক্কুর। তারা সবাই টেকনাফ লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা। আহত শুক্কুর এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

    টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্থানীয়রা জানান, এই ৩ রোহিঙ্গা যুবক নাফ নদীর সোনার ডেইল পয়েন্টে কাঁকড়া ধরতে যায়। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে আরাকান আর্মি। এতে ঘটনাস্থলে জুবাইর নামক এক রোহিঙ্গা নিহত হয়। আহত হয় আরো ২ জন। তাদের মধ্যে এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছে।

    নিহত জুবাইরের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত জাবেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আশিকুর রহমান।

  • নাফ নদীতে মিয়ানমার পুলিশের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

    নাফ নদীতে মিয়ানমার পুলিশের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

    নিহতের নাম মোহাম্মদ ইসলাম (৩৫)। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলী এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় জেলেরা।

    মোহাম্মদ ইসলাম নাফ নদীতে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তবে স্থানীয় এক সূত্রের দাবি, প্রশাসনের সিদ্ধান্তে প্রায় দুই বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় তার মাছ শিকারে যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। ইয়াবা চোরাকারবার করতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে থাকতে পারেন।

    টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। তার পেটের ডান পাশে গুলির আঘাত ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

    কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এস এম নওশাদ রিয়াদ বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১০টায় মোহাম্মদ ইসলাম মারা গেছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলে এবং নিহত ইসলামের ছোট ভাই শফিক আলম বলেন, ‘একটি ছোট নৌকায় করে মোহাম্মদ ইসলাম ও আবু বকর নাফ নদীতে মাছ শিকারে যান। নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ সংলগ্ন স্থানে তারা মাছ ধরছিলেন। হঠাৎ করে মিয়ানমারের জলসীমায় টহলরত স্পিডবোট থেকে বিজিপির সদস্যরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এসময় ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আবু বকর অক্ষত থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করেন।’

    এ বিষয়ে টেকনাফস্থ বিজিবি ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান বলেন, ‘এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা যাতে আগামীতে না ঘটে, সেজন্য মিয়ানমারের বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। চিঠিতে সীমান্তে যেকোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধ করতে স্ব স্ব প্রটোকল মতে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম