Tag: নারী

  • সফল নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবিকা লাকী আহমেদ’র কবিতা অনলাইনে উদ্বোধন

    সফল নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবিকা লাকী আহমেদ’র কবিতা অনলাইনে উদ্বোধন

    সাহিত্য ডেস্ক : লাকী আহমেদ একজন সমাজসেবিকা ও নারী উদ্যোক্তা। কাজ করে যাচ্ছেন পথশিশুদের জন্যেও। লেখালেখিও করছেন সমাজসেবার পাশাপাশি।

    কিন্তু সব সময় তা প্রকাশ করার সময় পাননি। এবার তার একটি কবিতা ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে। তার এই কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন কলকাতার বাচিকশিল্পী চন্দ্রিকা ব্যানারজি ধর।

    কবিতাটি লাকী আহমেদ উৎসর্গ করেছেন তার মরহুম স্বামী আলহাজ শামীম আহমেদকে। উনার প্রথম ভিডিও এটি। তার এই কবিতা অনলাইনে উদ্বোধন করবেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল, রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া, কবি শেখ তাহরীম তাহসীর ও সাংবাদিক জাবেদ আলীসহ অন্যান্যরা।

    উল্লেখ্য, লাকী আহমেদ সমাজসেবার জন্য অনেক পুরষ্কারেও ভূষিত হন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি মানবতার মা হয়ে সমাজসেবায় কাজ করে যাবো আজীবন। নিম্নে তার কবিতাটি প্রকাশ করা হলো

    যেদিকে তাকাই আশার আলো
    লাকী আহমেদ

    ১: ভাগ্য আমার ভীষণ ভালো
    যেদিক তাকাই সবই আলো,
    জীবনে আমি যা চেয়েছি
    চাওয়ার আগেই তা পেয়েছি।

    ২: সারাজীবন হৃদয়ে ভরে
    গহীন মনে, ভালোবেসেছি,
    কষ্ট নিয়ে হাসতে শিখেছি
    চলতে পথে পড়েও গিয়েছি!

    ৩: প্রভুর কৃপায় আবার দাড়িয়েছি
    দুঃখের সময় সাথী হারিয়েছি,
    আমার ব্যথায়, কেউ বা হেসেছে,
    কিন্তু ব্যথায় আমার, মা কেঁদেছে।

    ৪: আপন মানুষ, তীর ছুড়েছে,
    তীর বিঁধে ক্ষত হয়েছে,
    বানিয়েছে মলম লবণ দিয়ে!
    সেবা করেছেন দেখতে গিয়ে।

    ৫: ক্ষত আমার যায়না দেখা,
    বুকের ভিতর একরাশ ব্যাথা,
    আমি যে আজ বিষন্ন মনে
    কখনও ভাবি ,ভীষণ একা।

    ৬: তবুও আমার ভাগ্য ভালো,
    হয়তো কারোর চোখে আমি অনেক কালো,
    জীবন দিয়েছি আমি উজার করে
    পেয়েছি আঘাত, বিনয় সুরে।

    ৭: শুনি লোকের উল্টো কথা
    তাদের নাকি খেয়েছি মাথা,
    যুগের আজব রীতিনীতি
    স্বার্থ আগে,.. যাক না চুলোয় অর্থনীতি।

    ৮: এখন ওদের মূল কামনা,
    করবে দখল ,পরের জমি,
    সাজবে মালিক, সাজাবে সেনা,
    পূরণ করবে মনের কু -বাসনা।

    ৯: আমি আজ ওদের চেয়ে
    খোদার দয়ায় আছি ভালো,
    আসলে আমি ভাগ্যবতী
    যেদিকে তাকাই, দেখি আশার আলো।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • অনলাইনে প্রকাশ হল কাতার প্রবাসী কবি এম এ হাসনাত মানিকের কবিতা “নারী তুমি আমার মা”

    অনলাইনে প্রকাশ হল কাতার প্রবাসী কবি এম এ হাসনাত মানিকের কবিতা “নারী তুমি আমার মা”

    সাহিত্য ডেস্ক : কবি এম এ হাসনাত মানিক একজন কাতার প্রবাসী। বাড়ি চট্টগ্রাম শহরে। লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে।

    বর্তমানে কাতারে থেকেও তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরছেন তার কবিতা ও লেখনির মাধ্যমে। তিনি চান বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি গড়ে উঠুক।

    দীর্ঘদিন থেকে তার লেখা কবিতাগুলো বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। অনলাইনে অনেক গুণীজন তার কবিতাগুলো পড়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার শুভ কামনা জানিয়েছেন।

    সম্প্রতি কাতার প্রবাসি এ কবি অনলাইনে মাকে নিয়ে নতুন করে আরো একটি চমৎকার কবিতা উপহার দিয়েছেন অনলাইন পাঠকদের জন্য। তার এবারের কবিতার নাম করণ করা হয় “নারী তুমি আমার মা”।

    তার এবারের কবিতাটি তিনি উৎসর্গ করেন বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী ও লাকী জাগরণ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান লাকী আহমেদকে।

    মাকে নিয়ে লেখা অসাধারণ কবিতাটি ইতিমধ্যে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে। তার কবিতাটি পড়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন সাংবাদিক রাজীব সেন প্রিন্স, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল, কবি ও রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া ও কবি শেখ তাহরীম তাহসীর।

    এম এ হাসনাত মানিকের কবিতাটি পাঠকদের জন্য নিম্নে প্রকাশিত হলো :

    “নারী তুমি আমার মা”
    -এম এ হাসনাত মানিক

    নারী তুমি তো মা, আর আমি তোমার নারী ছেড়া ধন,
    নারী তুমি তো সেই মায়ের কন্যা
    যে মায়ের গর্ভে আমার জন্ম হয়েছে।

    নারী তুমি আমার মায়ের কষ্টে লালন করা, আদরের ঘরের দুলালী,
    নারী তুমি তো সেই নারী
    ক্ষুদার্থ তৃষ্ণা নিবারণে
    যে মায়ের বুকের স্তন,
    তুমি আর আমি একি সাথে পান করেছি।

    নারী তুমি তো পিতা-মাতার স্নেহ ছেড়ে,
    আজ আমার ঘরের আদর্শ, একজন শিশুর মা,
    নারী তুমি বীরঙ্গনা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে
    মুক্তিকামী মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
    দেখেছি তোমার আত্মত্যাগ।

    নারী তোমার কারনে আজ পৃথিবীর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভালো লাগা,
    অগণিত সুখের পরশ তুমি
    সবই যদি নারী তুমি হও
    কেন আজ গৃহহীন তুমি?
    সবই আছে তোমার, কেন আজ পরিবার নামক বিবেকহীন মানুষগুলো পাঠালো তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে?

    বিবেক কেন আজ পদদলিত
    কেন আজ নারী হয় বারবার ধর্ষিতা!
    নারী তোমার ছোট্ট ঘর বে যদি আমার,
    দশ মাস দশ দিন লালন হয়
    আজ কেন শহরের বড় অট্টালিকা আর ফ্ল্যাট এ তোমার
    স্থানের বড্ড অভাব?

    নারী কেন আজ তোমার প্রতি হিংস্র বর্বরতা,
    বারবার ধর্ষিতা তুমি কেন আজ পথে ঘাটে!
    কোথায় গেল আজ বড় বড় বিবেক গুলি,
    মৃত্যুর পরও লাশকাটা ঘরে শুনি তোমার আত্মনাদ?
    আজ কি বলবে?

    সেখানে পোশাকের অপরাধ।
    হায়রে বিবেক বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক!
    একটু ভাবুন নারী আমার মা,
    নারী আমার বোন, নারী আমার ভালোলাগা, নারী আমার সহধর্মিনী,
    নারী একজন শিশুর আদর্শ মা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেল করোনা আক্রান্ত নারী

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেল করোনা আক্রান্ত নারী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে করোনা আক্রান্ত এক নারী। আজ ২৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় তার মৃত্যু হয়।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে জেনারেল হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, মৃত নারী আগে থেকেই কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এরমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হলে গত ২০ মে তিনি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।

    পরে তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬২ জনে।

    প্রসঙ্গত : এর আগে ২৭ মে বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা ছিলো ৬১ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২শ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • দেশের দুই ভিন্ন নারী ইউএনও

    দেশের দুই ভিন্ন নারী ইউএনও

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : সারাদেশে প্রশাসনের যেখানে দমন-পীড়ন সেখানে লক্ষীপুরের ফটো চিত্র ভিন্ন। লক্ষীপুরের দুই নারী ইউএনও তাদের সর্বস্ব দিয়ে গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশের দুর্যোগ মুহূর্তে তারা থেমে নেই, তাদের কার্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    নিজ গুনে ক্রমেই আলোকিত হচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের দুই নারী ইউএনও। অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যখন করোনা ভাইরাসের কারনে হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক তখনই নিজ অর্থায়নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করছেন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান। তাঁরা নিজের বেতনের টাকা দিয়ে ফুটপাতের হকার, রিক্সা চালক, ভিক্ষুক ও হত দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। উপজেলার প্রায় প্রত্যকটি অঞ্চলকেই নিজগুনে আলোকিত করছেন এই দুই নারী ইউএনও।

    ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই থেকে রামগঞ্জ ইউএনও হিসেবে কাজ শুরু করেন মুনতাসির জাহান। অপরদিকে ২০১৯ সালের ০৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরে যোগদান করেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী ।

    জানা যায়, যোগদানের পর থেকে সূর্য উদয় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ দুই ইউএনও ছুটছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

    ব্যবসায়ীরা যখন ক্রেতা সাধারণকে জিম্মি করে দ্রব্য মূলের দাম বাড়াচ্ছেন, ঠিক তখনি সাধারন মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ছুটে গিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে। পরিচালনা করেছেন ৪০টি মত মোবাইল কোট। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ৪৫টি বাল্যবিয়ে আটকে দিয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছেন আলোর পথ। সেই সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা এমনকি হাত খরচ উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যক্তি কাঁধে তুলে দিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয় বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিয়েও রাখছেন কঠোর নজরদারি। বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধে ইউনিয়নের ওয়াড গুলোতে করেছেন সতেচনমূলক উঠান বৈঠক।

    দুই উপজেলার সাধারন মানুষ বলছে ইউএনওদের কাজে সন্তষ্ট তারা, সরকারী সহায়তার আগে তারা নিজেদের উদ্দ্যেগে অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে যে খাদ্য সহায়তা করেছেন এতে খুশি অসহায় ও হত দরিদ্র মানুষ গুলো, তারা বলেন দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আইন মেনে চলা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব, ইউএনও দের কাছে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বলতে পারছি, সমস্যা সমাধান হচ্ছে এটাই বড় কথা।

    রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান বলেন, দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আইন মেনে চলা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব। কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঠিক দিকনির্দেশনার কারণে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে পারছি।

    রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি মানুষের জন্য কিছু করতে। আমাদের কর্ম দিয়ে মানুষের উপকার করতে পারি এটাই আমার সাথর্কতা।

  • রংপুরে নারী টিআরসি-দের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    রংপুরে নারী টিআরসি-দের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    ছয় মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করার পর আজ সোমবার রংপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (পিটিসি) মাঠে নারী প্রশিক্ষণার্থী রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)- দের ২০ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

    এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এর অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষন সমাপনি কুচকাওয়াজে এক হাজার ৫৭ জন সফল নারী টিআরসি’র অভিবাদন গ্রহণ করেন।

    কমান্ড্যান্ট হিসেবে রংপুর পিটিসি’র পরিদর্শক (সশস্ত্র) মিনহাজ খন্দকার এবং সহকারী কমান্ড্যান্ট হিসাবে উপ-পরিদর্শক (সশস্ত্র) জাহেদুল ইসলাম আটটি কন্ডিজেন্টে বিভক্ত সকল নারী রিক্রুট কনস্টেবলদের অংশগ্রহনে উক্ত প্রশিক্ষণ সমাপনি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেন।

    রংপুর পিটিসি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা নারী প্রশিক্ষণার্থী কনস্টেবলদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

    রংপুর পিটিসির কমান্ড্যান্ট এবং বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কুসুম দেওয়ানের সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি, প্রশিক্ষন সমাপনকারী নারী টিআরসি-র স্বজন এবং স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

    রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলিম মাহমুদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু জাহিদ সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৩ এর কমান্ডিং অফিসার রেজা আহম্মেদ ফেরদৌস এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণ কোর্স চলাকালীন তাদের সেরা পারফরম্যান্স এবং শীর্ষস্থান অর্জনের জন্য কনস্টেবল শারমিন আক্তার লাবনী (প্যারেড), পাকিজা খাতুন (একাডেমিক), রুকাইয়া ইয়াসমিন (মাসকেটরি) এবং রানু আক্তার (সকল বিষয়ে চৌকষ) কে পুরষ্কার প্রদান করেন।

    এসময় বক্তৃতাকালে তিনি শান্তিপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং তাদের আত্মবিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে সফলভাবে প্রশিক্ষন সমাপনকারী নারী টিআরসিদের প্রতি প্রশিক্ষণলব্ধ দক্ষতাকে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে পালনের মাধ্যমে জাতির সেবা করার আহ্বান জানান।

  • রাউজানে মাদক এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

    রাউজানে মাদক এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্প’র (ইউজিপিডি) আওতায় বাল্য বিবাহ ও যৌতুক, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে স্কুল পর্যায়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ সোমবার উপজেলার রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডস্থ রাউজান ব্যারিস্টার সুরেশ বিদ্যায়তন ও হলদিয়া ইউনিয়নের হযরত ইয়াছিন শাহ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

    রাউজান ব্যারিস্টার সুরেশ বিদ্যায়তনে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনা, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদ তালুকদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ ই জাহান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মুনির হোসাইন, রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শফিউল আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার সরকার।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মিঠু চৌধুরী, মাস্টার মোবারক আলী, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক রোকন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ, শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলি ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করা হয়।

    দুপুরে হযরত ইয়াছিন শাহ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল। অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম বাবর, রুনু ভট্টচার্য্যসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • শাড়িতে অপরূপা শরতের নারী

    শাড়িতে অপরূপা শরতের নারী

    বলা হয়ে থাকে, শাড়িতেই অনন্যা বাঙালি নারী। কথাটি নিছক কথার কথা নয়। শাড়িতে বাঙালি নারীর একইসঙ্গে প্রিয়তমা ও মাতৃরূপ যেভাবে ফুটে ‍ওঠে তা আর কোনও পোশাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    ষড়ঋতুর এই দেশে প্রকৃতিতে এখন শরতের মায়াবী স্নিগ্ধ ছোঁয়া লেগেছে। শরতের এই সাদা-নীল আকাশের তলে কাশফুলের আলতো উল্লাসের মতো বাঙালি নারীর শাড়ি যখন মৃদ্যু বাতাসে উঠে তখন প্রেমিক হৃদয়ে রোমান্টিকতার ঢেউ জাগে।

    শরতের বহুরূপী আকাশে কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। স্বচ্ছ নীল আকাশ। খরতাপে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয় হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি। প্রকৃতির এই বিচিত্র রঙের খেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবন আরও ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠে পোশাকের বৈচিত্র্যে। শরতের শাড়ির সাজ নিয়ে এ প্রতিবেদন।

    এই শরতে সুতি, সিনথেটিক, জর্জেট, চিনন শাড়ি পরতে পারেন। রঙের দিকে তো নজর রাখতেই হবে! গাঢ় নয়, হালকা রং বেছে নেবেন। নীল, সবুজ, ফিরোজা, গোলাপি, অফ হোয়াইট রংগুলোতে আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।

    এছাড়াও চাইলে জরিপাড় সমেত ফিকে নীল শাড়ি, ধানি রং, চাঁপাফুল রং, সাদা জমিনে বুটি তোলা জামদানি শাড়ি এবং সঙ্গে ব্লাউজ ম্যাচ করে পরতে পারেন।

    তবে দিনের বেলা গরমে গাঢ় সাজ যেমন মানানসই নয়, তেমনই অন্যদের চোখেও তা দৃষ্টিকটু লাগে। তাই সব মিলিয়ে সাজসজ্জায় স্নিগ্ধভাব থাকা চাই। এজন্য হালকা মেকআপই ভালো। আর সাজের উপকরণের রঙে অবশ্যই উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়া উচিত। এ সময় লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সবুজ রঙে ইচ্ছামতো সেজে উঠতে পারেন।

    শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চোখের কাজল, শ্যাডো, লিপস্টিক ব্যবহার করুন। কপালে লাল, কালো, কিংবা সবুজ টিপে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে। বড়জোর হালকা প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। বেছে নিন হালকা গহনা।

    এক্ষেত্রে সোনা, রূপা, মুক্তা, অক্সিডাইজ, মেটাল, কাঁচ, মাটি, পুঁতি, কাঠ কিংবা যে কোনো রকমেরই গহনা হতে পারে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে হাতে চুড়ি বা প্লেন বালা, গলায় লকেট, কানে দুটো হালকা দুল পরলে খুব মানানসেই হবে।

    শরতে শাড়ির সাজে চুলের খোঁপাতেও স্টাইল নিয়ে আসতে পারেন। পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে খুলে দিন চুলটা। আর দেশীয় পোশাকের সঙ্গে করতে পারেন ইচ্ছামতো খোঁপা বা ঝুঁটি।

    খোঁপায় গোলাপ কিংবা রজনীগন্ধা গুজে নিতে পারেন। কণ্ঠে পরে নিতে পারেন বকুল ফুলের মালিকা।