Tag: নারী দিবস

  • নানা আয়োজনে সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

    নানা আয়োজনে সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

    ‘নারীর সুস্বাস্থ্য ও জাগরণ’ এ স্লোগানে সীতাকুণ্ডে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

    এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের উদ্যোগে (৮মার্চ) মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় মুনস্টার কনভেনশন সেন্টারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যলী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পদক্ষিণ করে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর উদ্দিন রাশেদ, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাহমিনা আরজু, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর, সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফর নেছা বেগম, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সৌরভ পাল মিঠুন,সমবায় কর্মকর্তা মোঃ শহীদ ভূঁইয়া ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ফেরদৌসী আক্তারসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    শেষে আইজিএ প্রশিক্ষণ শেষ করা ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ১২ হাজার টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকা ভাতার চেক হাতে তোলে দেন প্রধান অতিথি।

    নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের স্বীকৃতি দানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে ১৮৫৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি।

    ২৪ ঘন্টা/কামরুল দুলু/রাজীব

  • নারী হিসেবে আমি গর্বিত- বোয়ালখালীর ইউএনও

    নারী হিসেবে আমি গর্বিত- বোয়ালখালীর ইউএনও

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ‘নারী দিবসে একজন নারী হিসেবে আমি গর্বিত। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্ম নারীকে যে ক্ষমতা ও মর্যাদা দিয়েছেন তা আর কারোর নেই।’

    সোমবার (৮ মার্চ) বোয়ালখালীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার এ কথা বলেছেন।

    এসময় তিনি বলেন, ‘নারীদের সচেতন হতে হবে এবং সঠিক দায়িত্ব পালন করে নিজেকে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

    উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার বলেন, দিনের ২৪ ঘণ্টায় যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে সেই দিনই নারীর পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়িত হবে।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জিন্নাত সুলতানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব সভাপতি এসএম মোদ্দাচ্ছের, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.তরিকুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অজান্তা ইসলাম।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ, সমতার বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়

    আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ, সমতার বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়

    আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করছে।

    সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচারবিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

    পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেছেন। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

    তিনি আরও বলেন, নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারিত্ব। আর তাই সারা বিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বীকৃতি।

    প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আমাদের জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা গ্রহণ করেছি নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ।

    নারী দিবসের কর্মসূচি

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতীয় পর্যায়ের ৫ জনকে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা’ সম্মাননা দেবে সরকার। সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের হাতে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ।

    বিকেল ৪টায় ৬৭টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনলাইনে আলোচনা সভা হবে। তাতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সভায় উন্নয়নকর্মী, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি আলোচনা করবেন।

    এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশের জাতীয় গণমাধ্যম বিশেষ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টারের মাধ্যমে দিবসটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে।

    যেভাবে এলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস

    ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সে সময় গ্রেফতার হন অসংখ্য নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই।

    এর তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার।

    ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারাবিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

    জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

    নারী দিবস হচ্ছে- জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেয়ার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।