Tag: না ফেরার দেশে

  • না ফেরার দেশে সাকিবের শ্বশুর

    না ফেরার দেশে সাকিবের শ্বশুর

    বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের শ্বশুর মমতাজ আহমেদ (৭২) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ইন্তেকাল করেন।

    পারিবারিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, প্রায় তিন দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাকিবের শ্বশুর মমতাজ উদ্দিন অনেক দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

    তার মারাত্মক অসুস্থতার খবর শুনে জরুরি ভিত্তিতে গতকাল গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রে রওনা দেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুর্ভাগ্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর আগেই পান দুঃসংবাদ।

    উল্লেখ্য, শ্বশুরের মৃত্যুর দুই দিন আগেও আরেকটি দুঃসংবাদ পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে, গত সোমবার তার ফুফা ওমর আলী (৬৬) ইন্তেকাল করেন। তাকে মাগুরায় দাফন করা হয়েছে।

    সাকিবের শ্বশুরের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের নরসিংদীতে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজের এলাকায় তার লাশ আনা হবে কিনা, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টিতে জেমকন খুলনার হয়ে খেলছিলেন সাকিব। দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু ফাইনাল না খেলেই শ্বশুরের অসুস্থতার খবর জেনে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

  • পাথরঘাটা গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ : ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে তৃষা

    পাথরঘাটা গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ : ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে তৃষা

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে মারা যায় ডরিন তৃষা গোমেজ। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ এ।

    আজ শুক্রবার ২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার সময় হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।

    নিহত ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩) পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোডের মুসা কলোনির আয়শা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার বাসিন্দা অনিল গোমেজ ও ন্যান্সি গোমেজের বড় কণ্যা। তিনি ইসলামিয়া কলেজে বি.কম সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং ওই এলাকার সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। বলে জানা গেছে।

    ঘটনার দিন সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে রিক্সা করে সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণে দেয়াল ধ্বসে গুরুতর আহত হয়েছিলো ডরিন তৃষা গোমেজ। এ ঘটনায় তৃষার পাজরের হাড় ভেঙ্গে ফুসফুসে ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় তার ব্রেন এবং কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

    এরপর থেকে তৃষা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    উল্লেখ্য : ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ৯ জন।

    নিহতরা হলেন, পটিয়ার অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম ও লোহাগাড়ার মাহমুদুল হক।

  • বুকভরা অভিমান নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্কুলছাত্রী রুনা

    বুকভরা অভিমান নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্কুলছাত্রী রুনা

    টানা ছয় মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানতে হলো রাউজানের স্কুলছাত্রী রুনা আকতারকে।

    বুধবার ভোর চারটায় স্বজনদের চোখের জলে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন চিকদাইর ইউনিয়নের মাওলানা বদিউর রহমানের বাড়ির দিনমজুর আবদুল মন্নানের মেয়ে রুনা। সে চিকদাইর শাহাদাৎ ফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী।

    জানা গেছে, তার সাথে পটিয়া শিকলবাহা জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান বাড়ির কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম অভির সাথে প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল। গত ৩ এপ্রিল এলাকায় একটি ওরসে অভি নামের ছেলেটির সাথে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় কিছু যুবক তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে। এ সময় অভি মেলা থেকে নিজেকে গা ঢাকা দেয়। পরে রুনাকে স্থানীয় জাকের হোসেন মাস্টার ডেকে কথা বলে তার স্বজনদের ফোন করে তাদের হাতে তুলে দেন। পরে মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কিছু ছেলে তাকে উক্ত্যক্ত করার কথা বলেন। বিষয়টা নিয়ে রুনার বাবা মেয়েকে বকাঝকা করেন। রাতে অনেকটা অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার চেস্টা করে সে।

    আত্মহতার চেষ্টাকালে ৩ এপ্রিল ঘটনার দিন রুনাকে মুমূর্ষু অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় স্থানীয় কিছু যুবককে অভিযুক্ত করে রুনার পিতা আব্দুল মন্নান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে ৯ মে পর্যন্ত ১ মাস ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় রুনাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অনেকটা যমে-মানুষে টানাটানি শেষে স্কুল ছাত্রী রুনা বুধবার সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার মৃত্যুতে শোকে কাতর পরিবারের সদস্যরা।

    এদিকে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটি আদালত তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শনা দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল আব্বাস মামলাটি তদন্ত করে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে রুনা আকতারকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রতিবেশী নুরুল আমিনের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (২২), কবির আহম্মদের ছেলে কফিল উদ্দিন(২০) বাশির উদ্দিনের ছেলে হেলাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • চবিতে বাবাকে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে লাশ নিয়ে ফিরল মেয়ে

    চবিতে বাবাকে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে লাশ নিয়ে ফিরল মেয়ে

    সকালে জীবিত বাবাকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে যায় পরীক্ষার্থী তিন্নি দাশ। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ৪র্থ দিনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করেন এ পরীক্ষার্থী।

    বুধবার দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে বাবাকে নিয়ে দুপুর দেড়টায় শাটল ট্রেনে উঠে তিন্নি। তখনও সে জানতো না বাবার সাথে কাটানো এটাই তার শেষ মুহুর্ত্ব।

    শাটল ট্রেনেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবা মৃণাল দাশ। দ্রুত ট্রেন থেকে নামিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। ততক্ষনে তিন্নির বাবা মৃণাল দাশ চলে যায় না ফেরার দেশে। মেয়ের স্বপ্ন পুরণ করতে এসে নিজেই পারি জমিয়েছেন স্বর্গরাজ্যে। মৃত্যু কালে তিনি ২ মেয়ে ও ১সন্তান রেখে গেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চলছে শোকের মাতম।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেয়েকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে অভিভাবক হিসেবে সকালে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় মেয়ের বাবা মৃণাল দাশ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের আশে পাশে মেয়ের অপেক্ষায় ছিলেন।

    পরীক্ষা শেষে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে শাটল ট্রেনে উঠলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই অভিভাবককে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি ধারণা করছেন, হিট স্ট্রোকে তার পিতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত মৃণাল দাশের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানালেন এ চিকিৎসক।

    হিট স্ট্রোকে নিহত মৃণাল দাশের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার আমিলাইশ ইউনিয়নে এবং চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজারের রেওলয়ে কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গেছে।