Tag: নিউজিল্যান্ড

  • টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

    টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

    টেস্ট, ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয় পেলে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। এতে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

    দেশের মাটিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ১৩৪ রানের রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন রনি তালুকদার। টিম সাউদির করা প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু ৭ বলে ১০ রান করে অ্যাডাম মিলনের শিকার হন ডানহাতি এই ওপেনার। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

    একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ১৪ বলে ১৯ রান তোলার পর জিমি নিশামের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪২ রান তুলে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

    তবে দলীয় ৬৭ রানে বেন সিয়ার্সকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। ১৫ বলে ২২ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে তাওহীদ হৃদয় ২৯ রানের জুটি গড়েন। ১৮ বলে ১৯ রান করে কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের শিকার হন হৃদয়। পরের ওভারে টিম সাউদি আফিফ হোসেনকে (১) ফেরালে প্রথমবারের ম্যাচে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

    তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওপেনার লিটন দাস। শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। এ ছাড়া মেহেদী হাসান করেন ১৬* রান।

    এর আগে নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডেতে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের লক্ষ্য টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

    এ ম্যাচে দলের সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে মেহেদী হাসানকে খেলানো হয়। আর অভিষেক হয় তানজিম হাসান সাকিবের।

    প্রথম ওভারে মেহেদী হাসানের শিকার হন ওপেনার টিম সেইফার্ট (০)। একটু নিচু হওয়া অফস্পিনে বোল্ড হন এই ওপেনার। ৮ বলের মধ্যে অপর ওপেনারকে ফিন অ্যালেনকে (১) সাজঘরে ফেরান শরীফুল ইসলাম। পরের বলে বাঁহাতি এই পেসার গ্লেন ফিলিপসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে ১ রান তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।

    এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এতো কম রানে তিন উইকেট হারানোর নজির নেই কিউইদের। স্বাগতিকদের সেই চাপ আরও বাড়ান মেহেদী হাসান। তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ড্যারিল মিচেল (১৪)। নিউজিল্যান্ডের দুর্দশা আরও বাড়ান রিশাদ হোসেন। এই লিগ স্পিনারের উপর চড়াও হতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যান (১৯)।

    অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জিমি নিশাম। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে কিউই অধিনায়ককে সাজ ফিরেয়ে দুজনের ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরীফুল। ২৯ বলে ৪৮ রান করা নিশামকে থামান মুস্তাফিজুর রহমান।

    টিম সাউদিকেও (৮) সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। শেষ ওভারে ইশ সোদির উইকেট তুলে নিয়ে অভিষেক রাঙান সাকিব। বাংলাদেশের পক্ষে শরীফুল তিনটি এবং মুস্তাফিজ ও মেহেদী নেন দুটি করে উইকেট।

  • ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

    ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

    সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। আদতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল অনেকদিক দিয়ে গুরুত্ববহ। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোই শুধু নয়, ইতিহাস গড়ার হাতছানিও যে ছিল!

    নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এর আগে কখনই সীমিত ওভারে (ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি) জয় দেখেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই জয় ধরা দিলো ওয়ানডে ফরম্যাটে। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে সফরকারীরা তিন ম্যাচ সিরিজ শেষ করেছে ২-১ ব্যবধানে হেরে।

    ছোট রান তাড়ায় সৌম্য সরকার আর এনামুল হক বিজয় আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন। তবে তারা ১৫ রান তোলার পর সৌম্যকে ফিরতে হয় চোখে কিছু একটা পড়ে সমস্যা হওয়ায়। ৪ রান করে উঠে যান সৌম্য।

    এরপর মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন বিজয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫০ বলের জুটিতে ৬৯ রান তুলে তারা জয় বলতে গেলে নিশ্চিত করে ফেলেন। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে আসেন বিজয়। ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।

    অধিনায়ক শান্ত জয়সূচক রান নেওয়ার পাশাপাশি ফিফটিও পূরণ করেন। ৪২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।

    বোলাররাই জেতার অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকারদের তোপে ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।

    নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

    শরিফুল ইসলাম আর তানজিম হাসান সাকিবকে দিয়ে দুই প্রান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করেন শান্ত। দলে জায়গা ফিরে পেলেও আগের ম্যাচে বোলিং তেমন ভালো হয়নি তানজিম সাকিবের। তবে আজ (শনিবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শুরুটা দারুণ করেন তরুণ এ পেসার।

    সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগেনি। কিউই ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তিনি সাজঘরে ফেরান রাচিন রাবিন্দ্রকে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করে তানজিম সাকিব বিভ্রান্ত করেন নিউজিল্যান্ড ওপেনারকে।

    সাকিবের মিডলে পিচ করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে রাচিন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ১২ বলে ৮ করে। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

    এরপর অষ্টম ওভারে সাকিবের বাউন্সে পুল করতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে মিডঅনে দাঁড়ানো শান্তর হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন হেনরি নিকোলস (১২ বলে ১)। ২২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তানজিম সাকিব নিজের প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট।

    তৃতীয় উইকেটে বিপদ কাটানোর চেষ্টা করেন টম ল্যাথাম আর উইল ইয়ং। তবে ৫৫ বলে তাদের ৩৬ রানের জুটিটি ১৭তম ওভারে এসে ভেঙে দেন শরিফুল ইসলাম। সেট হওয়া কিউই অধিনায়ক টম লাথাম ডিফেন্ড করতে গিয়েও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩৪ বলে ২১ করে।

    নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ১৯তম ওভারে আরেক সেট ব্যাটার ইয়ংকে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার।গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ইয়ং। ৪৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।

    ২১তম ওভারে শরিফুলের শিকার মার্ক চ্যাপম্যান। ২ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ব্যাটার। ২৩তম ওভারে আবার তানজিম সাকিবকে আক্রমণে ফেরান শান্ত। এবার প্রথম বলেই উইকেট। টম ব্লান্ডেল (১৭ বলে ৪) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজের হাতে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

    স্বীকৃত ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন কেবল জর্জ ক্লার্কসন। তবে উইকেট ধরে রাখতে চেয়েও পারেননি তিনি। পার্টটাইমার সৌম্য সরকারের বলে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার, ২৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান।

    ক্লার্কসনকে তুলে নেওয়ার পর কিউইদের লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন সৌম্যই। শেষ উইকেটের তিনটিই নেন এই অলরাউন্ডার। মোস্তাফিজুর নেন শেষ উইকেটটি।

    শরিফুল ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। সমান ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট তানজিম হাসান সাকিবের। সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি।

  • মিরপুরের ঘূর্ণি-ফাঁদে প্রথম দিনে ১৫ উইকেট

    মিরপুরের ঘূর্ণি-ফাঁদে প্রথম দিনে ১৫ উইকেট

    মিরপুর শেরে বাংলায় টেস্টের প্রথম দিনের লাটিমের মতো ঘুরছে বল। এই ঘূর্ণি-ফাঁদে পড়ে ১৭২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

    জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই নিউজিল্যান্ডও। ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারী দল। আলোক স্বল্পতায় আধ ঘণ্টার মতো বাকি থাকতেই দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

    ব্যাটিংয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস ৫ আর ড্যারেল মিচেল ১২ রানে। বাংলাদেশ এখনও ১১৭ রানে এগিয়ে। অর্থাৎ প্রথম দিনেই চালকের আসনে বসে পড়েছে স্বাগতিকরা।

    মিরপুরের পিচ প্রথম দিন থেকেই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে দুই দলের যে ১৫ উইকেট পড়েছে, এর মধ্যে ১৩টিই নিয়েছেন স্পিনাররা।

    সফরকারীদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি এই স্পিনারের বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়েছেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ২০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় কিউইরা।

    কনওয়েকে ফেরানের পরের ওভারেই টম ল্যাথামকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তাইজুল ইসলাম। নিচু হয়ে বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ল্যাথাম।

    পরের উইকেটটি পেতেও বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের। তাইজুলকে ডাউন দ্য উইকেটে হাঁকাতে গিয়ে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন হেনরি নিকোলস (১)।

    কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু ইনিংসের ১২তম ওভারে মিরাজের বলে শর্ট লেগে শাহাদাত হোসেন দিপু যে ক্যাচটা ধরলেন, উইলিয়ামসনও হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন। ১৩ করে উইলিয়ামসন সাজঘরে ফেরেন দিপুর প্রায় মাটিতে লেগে যাওয়া ক্যাচে।

    ওই ওভারেই মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হন টম ব্লান্ডেল। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৪৬ রানে ৫টি উইকেট হারায় কিউইরা।

    এর আগে টস জিতে প্রথম ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশও। স্যান্টনার-অ্যাজাজের ঘূর্ণিতে প্রথম সেশনে ৪৭ রান তুলতেই চলে যায় ৪ উইকেট।

    দ্বিতীয় সেশনে ৪০ রান করতে গেছে আরও ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত একদিন শেষ করার আগেই (৬৬.২ ওভার) প্রথম ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ, গুটিয়ে গেছে ১৭২ রানে।

    ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৪৭ রানে ছিল না ৪ উইকেট। তখন মনে হয়েছিল, নতুন কোনো হতাশার রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ। তবে সেটি হয়নি। চরম বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে বলার মতো একটা জয়গায় এনে দিয়েছিলেন মুশফিকুর ও শাহাদাত।

    এটি যে টেস্ট ফরম্যাটের খেলা, তা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন ওপেনার জাকির হাসান। দিনের শুরুতেই বাজে ক্যাচে সাজঘরে ফিরে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মুখে হাসি ফোটালেন জাকির। ২৪ বলে ৮ রান করে মিচেল স্যান্টনারকে আকাশে তুলে মিড-অন অঞ্চলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে সহজ হন তিনি।

    ২৯ রানের মাথায় জাকিরের উইকেট হারানো যেন দিশা হারিয়ে ফেললেন পরবর্তী ব্যাটাররা। এরপরের ১৮ রান তুলতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বাজেভাবে আউট হয়ে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

    জাকিরের দেখানো পথে হাঁটলেন আগের ম্যাচে ৮৬ করা ওপেনার জয়ও। অ্যাজাজ প্যাটেলের বল ঠেকাতে গিয়ে শর্টলেগে টম ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৪০ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটার।

    জয়কে ফেরানোর পর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মুমিনুলকেও সাজঘরের পথ দেখান প্যাটেল। এটি তার দ্বিতীয় শিকার। বাঁহাতি কিউই স্পিনারের করা বল মুমিনুলের ব্যাটে চুমু দিয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হয়।

    আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিনায়ক শান্ত এই ম্যাচে দলের হাল ধরতে পারলেন না। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান স্যান্টনার। ১৪ বলে ৯ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

    ৪৭ রানে ৪ টপঅর্ডারকে হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে মুশফিক ও শাহাদাত। লাঞ্চ-বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বাগতিকদের স্কোরকার্ডে ৩৩ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার।

    বিরতির পর এসে সমর্থকদের হতাশ করেন মুশফিক। প্রথম কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার অপরাধে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরত যান এই ডানহাতি ব্যাটার।

    ইনিংসের ৪১তম ওভারে কাইল জেমিসনকে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ঠেকিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে বল পিচে পড়ে উইকেটের পেছন দিকে যাচ্ছিল। মুশফিক ভেবেছেন, বলটি হয়তো স্টাম্পে আঘাত করতে পারে। যে কারণে তিনি হাত দিয়ে বলটি ঠেকিয়ে দেন। এতে কিউই ফিল্ডাররা আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানান।

    ফলে রিভিউ দেখে টিভি আম্পায়ার মুশফিকককে ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট ঘোষণা দেন। ফলে দেখেশুনে খেলে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে ফিরলেন এই ডানহাতি। অপ্রত্যাশিত এই আউটে মুশফিক-শাহাদাতের করা ১৫১ বলে ৫৭ রানের জুটিটি ভেঙে যায়।

    মুশফিকের ফেরার পর তার সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়া শাহাদাত বেশিক্ষণ টিকলেন না। দলীয় স্কোরকার্ডে ১৯ রান যোগ করতেই ফিরলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নিজের নামের পাশে ৩১ রান লিখিয়ে গ্লেন ফিলিপসের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হন শাহাদাত।

    এরপর মাঠে নেমে শুধু হতাশাই বাড়িয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান। ১৬ বলে ৭ রান করে ফিলিপসের বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আগের ম্যাচে ফিফটি করা মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২০ রান।

    লোয়ারঅর্ডারে ৬ রান করেছেন তাইজুল ইসলাম। ১০ রান করেন শরিফুল ইসলাম। অপরাজিত থেকে ১১ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন নাঈম হাসান।

  • তাইজুলের ১০ উইকেটে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    তাইজুলের ১০ উইকেটে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮১ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এতে শান্তর অভিষেক নেতৃত্বে ১৫০ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করলো টাইগাররা। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের পর ঘরের মাঠে রান ব্যবধানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।

    সব মিলিয়ে ১৩৯ টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৯টি। আর দেশের মাটিতে ৭৪ টেস্টে এটি তাদের ত্রয়োদশ জয়। ঘরের মাঠে সপ্তম প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টেস্ট জিতল টাইগাররা। এর আগে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছিল তাদের।

    সিলেট টেস্টে জয়ের মঞ্চ আগেই তৈরি করে রেখেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন টাইগার স্পিনের ভেলকিতে ১১৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। তিন উইকেট হাতে রেখে ২১৯ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের ব্যাটিংয়ে নামে কিউইরা। দিনের শুরুতেই পঞ্চাশ পূর্ণ করে বাংলাদেশের জয়ের পথে বড় কাঁটা হয়ে থাকে ড্যারেল মিচেল। ৬ চারে ৯৯ বলে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ‘পথের কাঁটা’ মিচেলকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি নাঈম। তার বলে তাইজুলের দুর্দান্ত ক্যাচে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন কিউই এই ব্যাটার।

    এরপর শোধিকে সঙ্গ দিতে এসেই আক্রমণাত্নক হয়ে যান অধিনায়ক টিম সাউদি। ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করে তাইজুলের পঞ্চম শিকার সাউদি। টেস্টে ১২তম বার এই মাইলফলক ছুঁলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তিন রান পর দলীয় ১৮১ তে সোধিকে জাকিরের ক্যাচ বানিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে এটি ছিল ৬ষ্ঠ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট পাওয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তাইজুল। এছাড়া নাঈম হাসান ২টি, মেহেদী মিরাজ ও শরীফুল একটি করে শিকার ধরেন।

    প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের ইনিংসের পরেও ৩১০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে কিউইদের প্রথম ইনিংস থামে ৩১৭ রানে। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ থামে ৩৩৮ রানে। নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩২ রানের। রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ৭১.১ ওভারে ১৮১ রানে। বাংলাদেশ পায় ১৫০ রানের ইতিহাস গড়া জয়।

    দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ১-০তে এগিয়ে স্বাগতিকরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু আগামী ৬ ডিসেম্বর, মিরপুরে।

  • জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে চতুর্থ দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

    জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে চতুর্থ দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

    অসাধারণ এক জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান নেই, নেই তামিম ইকবাল, লিটন দাসের মত ব্যাটার এবং এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদের মত পেসার। নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে বলা যায় ভাঙাচোরা একটি দল খেলতে নেমেছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

    অন্যদিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল নিউজিল্যান্ড। এই দলটিতে কে নেই! টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, টিম সাউদির মত বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটাররা।

    এমন একটি দলের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখাটাও মনে হতে পারে দুঃস্বপ্ন। কিন্তু সেই অসম্ভব স্বপ্নকেই সম্ভব করার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আর মাত্র ৩টি উইকেট। তাইজুল, মিরাজ, নাঈম হাসানরা যদি দ্রুত এই ৩টি উইকেট তুলে নিতে পারে, তাহলেই অসাধারণ এক জয় তুলে নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জিততে হলে বাকি তিন উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে আরও ২১৯ রান।

    দিনের শুরুতে মনে হয়েছে মনে হয়েছিলো এটি বাংলাদেশের জন্য ভালো দিন নয়। কিন্তু স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সে ধারণা বদলে গেছে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত জয়ের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছেন তাইজুল-নাইমরা। যদি না মিরাকল কিছু ঘটে না যায়, তাহলে জয় দিয়েই সিরিজ সিলেট টেস্ট শেষ করবে বাংলাদেশ।

    চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের স্পিনারদের তোপের মুখে পড়ে ৭ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪৯ ওভার খেলে রান করেছে মাত্র ১১৩। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আর ৩ উইকেট। অপরদিকে কিউইদের করতে হবে ২১৯ রান।

    ইনিংসের শুরু থেকেই কিউইদের চেপে ধরেছেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান। তাইজুল তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মেহেদি আর নাইম শিকার করেছেন ১টি করে উইকেট। পেসার হিসেবে একটি উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম।

    সবশেষ কাইল জেমিসনকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাইজুল। ২৮ বলে ৮ রান করেন এই কিউই লোয়ার অর্ডার। এর আগে গ্লেন ফিলিপসকে এলবিডব্লিউ করেছেন ডানহাতি অফস্পিনার নাইম। এই কিউই ব্যাটার করেছেন ২৬ বলে ১২ রান।

    শুরুতেই ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই কিউই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তাকেও পিচে থাকতে দিলেন না অফস্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৭৬ বলে ২২ করা এই ব্যাটারকে শাহাদাত হোসেনের ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার। এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটার টম ব্লান্ডেলকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান তাইজুল। ১৬ বলে ৬ রান করে শর্টলেগে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই কিউই ব্যাটার।

    এর আগে একে একে সাজঘরে ফিরেছেন ৩ কিউই টপঅর্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে রানের খাতা খোলার আগেই টম ল্যাথামকে (৬ বলে ০) সাজঘরে ফেরত পাঠান শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসারের ফুল লেন্থের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ল্যাথাম।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের কাঁটা হয়ে ব্যাট করছিলেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে উইলিয়ামসনকে সেটি করতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের শুরুর দিকেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এই কিউই ব্যাটারকে আউট করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। ২৪ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান উইলিয়ামসন।

    এরপর ব্যাট করতে নামা হেনরি নিকোলসে সাজঘরের পথ দেখান অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ২ রানে করে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই কিউই ব্যাটার।

    এর আগে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ১২৬ রান করেছে বাংলাদেশ। এর আগে গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছিল টাইগাররা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হাঁকিয়েছেন রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের মোট দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ রান।

    এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩১৭ রানে গিয়ে থামে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ম্যাচের তৃতীয় দিনের শুরুর দিকে টাইগারদের থেকে ৭ রান এগিয়ে ইনিংস শেষ করে সফরকারীরা। সেই লিড পার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৩৮ রানের সুবাদে ৩৩১ রানের লিড পায় কিউইরা।

    ম্যাচের চতুর্থ দিনটা যেমন হওয়ার কথা তেমন ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ব্যাট করতে নেমে যেন তাড়াহুড়ো করেই আউট হয়েছেন ব্যাটাররা। চতুর্থ দিনে ৯৬ রান নিতেই চলে গেছে ৪ উইকেট। অথচ তৃতীয় দিনের খেলা দেখে মনে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সামনে রানপাহাড় দাঁড় করাবে বাংলাদেশ। সেটি সম্ভবত আর হচ্ছে না। তবে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশন শেষ করে ৭ উইকেটে ৩০১ রানের লিড দিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন টাইগাররা।

    দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছেন শান্ত। গতকালের অপরাজিত ১০৪ রানের সঙ্গে আজ মাঠে নেমে মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত। দিনের প্রথম বলে ১০৫ রানে খেলা শান্তকে ফিরিয়েছেন কিউই পেসার টিম সাউদি। উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

    এর কিছুক্ষণ পরেই উইকেট বিলিয়ে দিলেন শাহাদাতও। ইশ সোধির বলে লেগবিফোর উইকেটের (এলবিডব্লিউ) ফাঁদে পড়েন শাহাদাত হোসেন। ১৯ বলে ১৮ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

    গতকালের ৪৩ রানকে বাড়িয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মিস্টার ডিফেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। ১১৬ বলে ৬৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার।

    মেহেদি হাসান মিরাজ ৭৬ বলে ফিফটি (৫০) করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। নুরুল হাসান সোহান করেছেন ১০ রান। অবশেষে ৩৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

    দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার জাকির হোসেন।

    দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১১১ তে নিয়ে যায় চা-বিরতিতে যান শান্ত ও মুমিনুল।

    অপ্রত্যাশিত রানআউটের মাধ্যমে শতরানের (৯০) কাছাকাছি এসে ভেঙে যায় শান্ত-মুমিনুলের জুটি। ভুল বোঝাবুঝিতে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুমিনুল।

    দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ মুমিনুল ৪০ রানে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ বলে সেঞ্চুুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শতক হাঁকাতে শান্ত খেলেছেন ৯টি চারের মার।

    কিউইদের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন অ্যাজাজ প্যাটেল। ২ উইকেট পেয়েছেন ইশ সোধি। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন টিম সাউদি ও গ্লেন ফিলিপস।

  • ভালো শুরুর পরও আক্ষেপ দিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের

    ভালো শুরুর পরও আক্ষেপ দিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের

    সিলেটে আজ নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আক্ষেপ করার কথা সবচেয়ে বেশি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাজে শটের পসরা বসিয়ে শুরুর শক্ত ভীত বিসর্জন দিয়ে এসেছেন তারা। যে উইকেটে ৪৫০ রান করা সহজ সেখানে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনের খেলা শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত টিকে আছেন শেষ দুই ব্যাটার তবে আগামীকাল তারা দলকে কতদূর নিতে পারে তাই দেখার বিষয়।

    মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার বাহিনী। দিন শেষে ৮৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান সংগ্রহ নাজমুল শান্তর দলের।

    শুরুতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দলীয় মাত্র ৩৯ রানে নিচু হওয়া বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার জাকির হাসান। এরপরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় হাল ধরেন দলের। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করা শান্ত ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে ফুল টস বলে আউট হন। এরপরে মুমিনুল হক এসে জয়কে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। জুটিতে ৮৮ রান হলে আউট হন মুমিনুল। তিনিও ফেরেন ৩৭ রান করে।

    মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুজনেই হতাশ করেছেন।

    ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এভাবে একের পর এক আউটে হতাশ করেছে ভক্তদের। বিশেষ করে শান্ত যেভাবে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ে ছিলেন, সেটি টেস্টের তার সাথে একজন অধিনায়কের সঙ্গে বড্ড বেমানান। আবার জাকিরের আউটও মেনে নেওয়া যায় না। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি যেভাবে রান করেছেন, তার প্রভাব দেখা যায়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ভুলভাবে ব্যাট চালিয়ে ফিরেছেন শুরুতেই।

    এ দিকে মুমিনুল আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরির আশা দেখানো জয়ও হতাশ করে আউট হন। তিনি ৮৬ রান করে ইশ সোধির বলে আউট হয়েছেন। তবে জয় চাইলে ইনিংসটাকে আরও বড় করতে পারতেন। অপরদিকে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৪ রান। এরপরে চা বিরতি শুরু হয়। ফিরে এসে উইকেট খোয়ানোর প্রতিযোগিতায় নামে বাংলাদেশ। ১২ রান করে মুশফিকুর রহিম, ২৪ রান করে অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ও ২০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন।

    শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানও খেলতে পারেননি দায়িত্বশীল ইনিংস। ২৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক। সোহানের এই উইকটটি ছিল গ্লেন ফিলিপসের চতুর্থ শিকার। এরপরে নাঈম হাসান ৮ রান করে আউট হলে একসময় ২ উইকেটে ১৮০ রান করা টাইগাররা ৩০০ রান করতে পারবে কি না সে প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে এ যাত্রায় রক্ষা করেছেন তাইজুল ও শরিফুল। দুজনে দলের রানকে ৩০০ পার করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ রানের এই জুটি অপরাজিত থাকে। তাতে দ্বিতীয় দিনেও দেখা যাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং। যদিও তা ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারবে কি না তা ভাবনার বিষয়।

  • নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত

    নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত

    মুম্বাইয়ে কিউই বোলারদের কচুকাটা করে রান-উৎসব করেছেন কোহলি-আইয়াররা! তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রান পাহাড় গড়েছিল ভারত। জিততে হলে এই পাহাড় টপকে নতুন করে ইতিহাস লিখতে হতো কিউইদের। কিন্তু মোহাম্মদ শামি সেখানে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন! এই ডানহাতি পেসারের আগুনে পুড়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। ৭০ রানের জয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্বাগতিকরা।

    বুধবার (১৫ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ১১৭ রান এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও।

    জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রানে থেমেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৪ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ৭৩ বলে ৬৯ রান করেছেন উইলিয়ামসন। ভারতের হয়ে ৭ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি।

    বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবার বল হাতে আক্রমণে আসেন শামি। তার করা প্রথম বলটা চতুর্থ/পঞ্চম স্টাম্পে ছিল, গুড লেন্থের এই বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৩ রান।

    কনওয়ে ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। এই ওপেনারও শামির শিকার হয়েছেন। অস্টম ওভারের পঞ্চম বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আসর জুড়ে দারুণ পারফর্ম করা রবীন্দ্র সেমি ফাইনালে করতে পেরেছেন মোটে ১৩ রান।

    ৩৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কিউই সমর্থকরা হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিল। তবে হাল ছাড়েননি উইলিয়ামসন-মিচেল। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটার মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৮১ রানের জুটি গড়েন। তাতে ম্যাচেও ফেরে তারা। কিন্তু ৭৩ রান করে উইলিয়ামসন ফেরার পর ফের পথ হারায় দল।

    মিচেল এক প্রান্তে দুর্দান্ত খেললেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ৯ চার আর ৭ ছক্কায় ১১৯ বলে ১৩৪ রান করে থেমেছেন মিচেল। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফেরার পর নূন্যতম প্রতিরোধটুকুও গড়তে পারেনি দল। এক শামির আগুনেই পুড়ে ছাই কিউইরা! এই পেসার একাই শিকার করেছেন ৭ উইকেট।

    এর আগে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুবমান গিল নতুন বলে আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বিশেষজ্ঞ সুইং বোলারও সুবিধা করতে পারেননি। শুরুর ৫০ রান তুলতে মাত্র ৩২ বল খরচ করেছেন ভারতীয় ওপেনাররা। যেখানে সিংহভাগ রানই আসে রোহিতের ব্যাট থেকে।

    উড়ন্ত শুরু করলেও রোহিত সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। নবম ওভারে টিম সাউদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েছেন ভারত অধীনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৪৭ রান।

    রোহিত ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমেছিল। তবে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন গিল। তাতে ১৩তম ওভারেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।

    প্রথমবার কোনো আইসিসি ইভেন্টের সেমিতে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন গিল। ৪১ বলে ছুঁয়েছিলেন ব্যক্তিগত ফিফটি। দারুণ সব শটে এগোচ্ছিলেন শতকের দিকেই। তবে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চোট। পায়ের পেশিতে টান লাগায় ২৩তম ওভারের খেলা চলাকালে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে সেই চোট গুরুত্বর ছিল না। ৪ উইকেট যাওয়ার পর আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে।

    তিনে নেমে ধীর গতির শুরু করেছিলেন কোহলি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে আরও একবার বড় মঞ্চে নিজের জাত চেনালেন তিনি। ৫৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। পরের ৫০ রান করতে খেলেছেন ৪৭ বল। সবমিলিয়ে ১০৬ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। এটি ওয়ানডেতে তার ৫০তম সেঞ্চুরি। তাতে শচীনকে ছাড়িয়ে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রান করে থেমেছেন কোহলি।

    এরপর আক্রমনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন আইয়ার। কোহলি রানে-বলে সেঞ্চুরি করলেও আইয়ার এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ৩ চার আর ৮ ছক্কায় শতকে পৌঁছেছেন মাত্র ৬৭ বলে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭০ বলে ১০৫ রান।

    শেষদিকে লোকেশ রাহুলও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তার ২০ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৩৯৭ রান তুলেছে ভারত।

  • নারী বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে বন্দুক হামলা, হতাহত ৯

    নারী বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে বন্দুক হামলা, হতাহত ৯

    প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ডে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিজেও নিহত হয়েছেন।

    ফিফা নারী বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের কেন্দ্রস্থলে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে ফিফা নারী বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বন্দুকধারীর গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এই হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছেন এবং পুলিশের পাল্টা গুলিতে বন্দুকধারী নিজেও মারা গেছেন।

    বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২২ মিনিটের দিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ব্যবসায়িক এলাকার একটি নির্মাণ স্থাপনায় এই ঘটনা ঘটে।

    নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, হামলাটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে না। অবশ্য হামলা হলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

    ক্রিস হিপকিন্স আরও বলেছেন, জনসাধারণ নিশ্চিত থাকতে পারে যে, পুলিশ হামলাকারীকে হত্যা করেছে এবং অকল্যান্ডের কুইন স্ট্রিটে এই ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নেই।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার কোনো রাজনৈতিক বা আদর্শিক উদ্দেশ্য এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তিনি বলেন, বন্দুকধারী একটি পাম্প-অ্যাকশন শটগানে সজ্জিত ছিল। এসময় হামলার খবর পেয়ে বন্দুকযুদ্ধে ছুটে যাওয়া নিউজিল্যান্ড পুলিশের সাহসী পুরুষ ও নারীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

    নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি দ্রুত এগোতে থাকে এবং যারা অন্যদের বাঁচাতে নিজেদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে তাদের কর্ম বীরত্বের থেকে কম কিছু নয়।’

    এদিকে অকল্যান্ডের মেয়র ওয়েন ব্রাউন জানিয়েছেন, ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নিতে আসা সমস্ত কর্মী ও ফুটবল দল নিরাপদে আছে এবং তাদেরকে এই ঘটনা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    বিবিসি বলছে, অকল্যান্ড নগরীর ইডেন পার্কে ফিফা নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে বলে নিউজিল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন জানিয়েছেন।

    মূলত নবম এই নারী বিশ্বকাপ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে আয়োজন করছে।

    এর আগে অকল্যান্ডের মেয়র শহরের মানুষকে তাদের বাড়িতে থাকতে এবং শহরের ভেতরে ভ্রমণ এড়াতে সতর্ক করেন। ব্রাউন বলেছিলেন, তার শহরে একটি ‘ভয়ঙ্কর ঘটনা’ ঘটেছে।

    পুলিশ বলছে, তারা নির্মাণ সাইটের ভেতরে একজন ব্যক্তির আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণের খবর পায়। পরে পুলিশ সেখানে যায় এবং লোকটি আরও কিছুক্ষণ গুলি চালানোর পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

  • নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিনস

    নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিনস

    নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লেবার পার্টির এমপি ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস। বর্তমানে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিস হিপকিনস দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী। এর ফলে জেসিন্ডা আরডার্নের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন ক্রিস। তবে এ জন্য রোববার তাকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে।

    ২০০৮ সালে লেবার পার্টি থেকে ক্রিস হিপকিনস প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে তাকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

    গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিনস। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পার্লামেন্টে দলীয় নেতার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    আইনপ্রণেতা হিসেবে পার্লামেন্টে আসার আগে ক্রিস শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়েও কাজ করেছেন।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা আরডার্ন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান। এর কারণ হিসেবে বলেন, তিনি পরিশ্রান্ত এবং নেতৃত্ব দেবার মতো তার ‘যথেষ্ট শক্তি নেই’। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তার এই সিদ্ধান্ত তার সমর্থক এবং সমালোচক উভয়কেই হতবাক করেছিল।

    এছাড়া গতকাল জেসিন্ডা জানান, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কোনো অনুশোচনা নেই। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) নেপিয়ারের এক বিমানবন্দরের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময় পর আমি লম্বা সময় ঘুমিয়েছি।’

  • পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী মাসেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জেসিন্ডা নিজেই তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লেবার পার্টির এ নেত্রী চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আর ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে জেসিন্ডা বলেন, আমার ভবিষ্যত বিবেচনা করার জন্য গ্রীষ্মের ছুটি বেছে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এ সময়ের মধ্যে আমার যা যা প্রয়োজন, তা খুঁজে পাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পাইনি ও এমন পরিস্থিতিতে আমি যদি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখি তাহলে তা দেশের জন্য ভালো হবে না।

    মতামত জরিপ অনুসারে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে তার অভ্যন্তরীণ জনপ্রিয়তা নতুন করে একটু নিচে নেমে এসেছে।

    তিনি আরও বলেন, আমি মানুষ, রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ আমরা চেষ্টা করি আপনাদের সেবা করতে যা দেওয়া যায়।

    ২০২০ সালে দেশটির ৫৩তম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন জেসিন্ডা আরডার্ন। ৩৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকার প্রধান হওয়ার মাইলফলক অর্জন করেন তিনি।

    তিনি করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের বিপরীতে সফল ব্যবস্থাপনার কারণেই দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পান জেসিন্ডা।

  • নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

    নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

    ব্যাট হাতে বোল্ট-সাউদিদের ভুগিয়েছেন বাবর-রিজওয়ান। দুই ওপেনারের গড়ে দেয়া ভিতে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে শিরোপার মঞ্চে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে বাবর আজমের দল।

    সিডনিতে জিতলেই ফাইনাল— এমন ম্যাচে টস জিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান জমা করেন কিউইরা। জবাবে ৫ বল হাতে রেখে দাপুটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

    বৃহস্পতিবার ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলটি হবে বাবর-রিজওয়ানদের শিরোপার প্রতিপক্ষ।

    বুধবার চ্যালেঞ্জিং স্কোরে শুরুটা দারুণ করতে পারত নিউজিল্যান্ড। বোল্টের বলে বাবরকে শূন্য রানে ফেরানোর সুযোগ হারিয়ে ফেলেন কনওয়ে। পাকিস্তানের আলোচিত-সমালোচিত জুটি পরে আনে ১০৫ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে নয়ের উপরে রানরেটে তোলে ৫৫ রান।

    জয়ের পথ সহজ করে ফেরেন অধিনায়ক বাবর। ৪২ বলের ইনিংসে ৭ চারে করেন ৫৩ রান। বাকি পথ হারিসকে নিয়ে এগোন রিজওয়ান। ফাইনালে ওঠার দিনে ৫ চারে ৪৩ বলে ৫৭ রান আনেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন।

    শেষ ওভারে ২ রানের সমীকরণ রেখে স্যান্টনারের বলে অ্যালেনকে ক্যাচ দেন হারিস। ফেরার আগে ২৬ বলে মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৪ বল ও ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। গতবারের রানার্স আপ কিউইরা এবার থামল শেষ চারে।

    বোলারদের বাজে দিনে উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত ছিলেন ইশ সোধি। স্পিনার ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৬ রান। ৩৩ রান খরচ করা বোল্টের শিকার বাবর ও রিজওয়ান। ২৬ রান দিয়ে স্যান্টনার ফিরিয়েছেন হারিসকে। বাকি সবাই উইকেটশূন্য ছিলেন, খরচ করেছেন ওভারপ্রতি আটের বেশি রান।

    এর আগে ব্যাটিংয়ে শাহিন-নওয়াজের দিনে কিউইদের একমাত্র ফিফটি ও সর্বোচ্চ রান এনেছেন ড্যারিল মিচেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান অধিনায়ক উইলিয়ামসনের।

    ইনিংসের শুরুর ওভারের তৃতীয় বলে অ্যালেনকে ফেরান শাহিন। ৩ বলে ৪ করে ফেরার আগের বলেই ফিরতে পারতেন যিনি। এলবির আবেদন তার বিপক্ষে আসলেও রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান ফিন।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৪ রান আনেন কনওয়ে-উইলিয়ামসন। মাঝে নওয়াজ ভুল না করলে পাওয়ার প্লেতেই ফিরতে হতো কিউই অধিনায়ককে। রান আউটের দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন বোলিং প্রান্তে থাকা নওয়াজ।

    পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চাশের আগেই ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। ধস নামার দ্বারপ্রান্তে থাকা দলকে পথ দেখান অধিনায়ক। মিচেলকে নিয়ে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ১৬.২ ওভারে আফ্রিদির বলে যখন উইলিয়ামসন ফেরেন, সংগ্রহ ১১৭ রান।

    অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৪৬ রান, ইনিংস সাজান একটি করে চার ছক্কায়। শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান তুলে দলকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মিচেল। ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৫৩ রানে। দেড়শ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে হাঁকান ৩টি চার ও একটি ছক্কার মার। ১২ বলে ১৬ রান যোগ করেন জিমি নিশাম।

    পাকিস্তানের দিনে ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন শাহিন। ২ ওভারে ১২ রান দেয়া নওয়াজের শিকার ফিলিপস। কনওয়েকে দুর্দান্ত এক থ্রোয়ারে রান আউট করেন শাদাব খান। বল হাতে তিনি ছিলেন খরুচে, ৪ ওভারে ৩৩ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির পথ গুছিয়ে নিল নিউজিল্যান্ড

    আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির পথ গুছিয়ে নিল নিউজিল্যান্ড

    আয়ারল্যান্ড পেসার জসুয়া লিটনের হ্যাটট্রিক এবং ওপেনিং জুটিতে তাদের দারুণ শুরুর পরও বড় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩৫ রানে জিতেছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ গুছিয়ে নিয়েছে। যেটুকু পথ বাকি আছে তা অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচেই পূর্ণ হয়ে যেতে পারে।

    পাঁচ ম্যাচ থেকে নিউজিল্যান্ড তিন জয় ও এক টাইয়ে সাত পয়েন্ট পেয়েছে। তবে তাদের নেট রাট রেট + ২.১১। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পয়েন্ট পাঁচ করে। দুই দলেরই সাত পয়েন্ট হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। অজিদের নেট রান রেট -০.৩০৪ এবং ইংল্যান্ডের + ০.৫৪৭। নেট রান রেট দুই দলের পক্ষেই কিউইদের ছাড়িয়ে যাওয়া খুবই কঠিন।

    শুক্রবার অ্যাডিলেডের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে ৫২ রানের জুটি দেন। অ্যালেন ফিরে যান ১৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলে। ডেভন কনওয়ে আউট হন ৩৩ বলে ২৮ রান করে।

    রান পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পরের দুই ব্যাটারও। তিনে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩৫ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস ৯ বলে ১৭ রান করেছেন। ডার্লি মিশেল ২১ বলে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।

    জবাবে আইরিশরা ওপেনিং জুটিতে উইকেট না হারিয়ে ৮.১ ওভারে তোলে ৬৮ রান। পল র্স্টালিং ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। আন্দ্রে বালব্রেইনি ২৫ বলে করেন ৩০ রান। তারা ফিরতেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করতে পারে ১৫০ রান। লোয়ারে ডকরেল ১৫ বলে ২৩ রান যোগ করেন।

    আয়ারল্যান্ডের হয়ে জসুয়া লিটিল দারুণ বোলিং করেন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে তিনি হ্যাটট্রিকসহ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া গ্যারেথ ডিলানি নেন দুই উইকেট। নিউজিল্যান্ডের হয়ে লকি ফার্গুসন ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন। টিম সাউদি, মিশেল সাটনার ও ইশ শোধি নেন দুটি করে উইকেট।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর