Tag: নিউজিল্যান্ড

  • ভারতকে ধবলধোলাই করল নিউজিল্যান্ড

    ভারতকে ধবলধোলাই করল নিউজিল্যান্ড

    তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতেও হেরে তিন দশকেরও অধিক সময় পর তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের (ধবলধোলাই) স্বাদ পেলো ভারত।

    শেষ ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিং করে লোকেশ রাহুলের শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ভারত সংগ্রহ করে ২৯৬ রান। জবাবে ৫ উইকেট ও ১৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

    সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে মাউন্ট ম্যানগুনায়তে টস হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ৩২ রানের মধ্যে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও বিরাট কোহলি। ৪০ রান করা পৃথ্বী শ বিদায় নেন দলীয় ৬২ রানে।

    চতুর্থ উইকেটে রাহুলের সাথে ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন শ্রেয়াশ আইয়ার। জেমস নিশামের শিকার হওয়ার আগে শ্রেয়াশ করে ৬৩ বলে ৬২ রান। পঞ্চম উইকেটে আরও একটি শতরানের জুটি দেখে ভারত। এবারে রাহুলের সাথে ১০৭ রানের জুটি গড়েন মনিশ পাণ্ডে। রাহুল আউট হলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।

    হামিশ বেনেটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন রাহুল। ২ ছয় ও ৯ চারে ১১৩ বলে ১১২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করা এই ব্যাটসম্যান। পরের বলেই মনিশকেও তুলে নেন বেনেট। মনিশের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৪২ রান।

    নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৬ রান। বেনেট শিকার করেন ৪টি উইকেট।

    জবাবে ঝড়ো শুরু করেন হেনরি নিকোলস ও মার্টিন গাপটিল। নিকোলস কিছুটা ধীরে সুস্থে খেললেও গাপটিল ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। তাদের উদ্বোধনীতে আসে ১০৬ রানে। ১৭তম ওভারে গাপটিল ৪৬ বলে ৬৬ রান করে আউট হলে ভেঙে যায় জুটি। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়।

    কেন উইলিয়ামস (২২), রস টেলর (১২) ও নিশাম (১৯) দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তবে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন নিকোলস। ১০৩ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল ঠাকুরের শিকারে পরিণত হন তিনি।

    টম লাথামকে সাথে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। এই অলরাউন্ডার ২৮ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত টর্নেডো ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। লাথাম অপরাজিত ছিলে ৩২ রানে।

    ১৭ বল হাতে থাকতেই নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। সিরিজের প্রথম দুইটি ম্যাচেও নিউজিল্যান্ড জিতেছিল। ফলে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো ভারত।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ২৯৬/৭ (৫০ ওভার)
    রাহুল ১১২, শ্রেয়াশ ৬২, মনিশ ৪২, পৃথ্বী ৪০;
    বেনেট ৪/৬৪।

    নিউজিল্যান্ড ৩০০/৫ (৪৭.১ ওভার)
    নিকোলস ৮০, গাপটিল ৬৬, গ্রান্ডহোম ৫৮*, লাথাম ৩২;
    চাহাল ৩/৪৭।

    নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

  • জয়ের সেঞ্চুরিতে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

    জয়ের সেঞ্চুরিতে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

    প্রথমবারের মত কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলাদেশের যুবারা। টাইগারদের জয়ে মূল অবদান ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়ের।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পচেফস্ট্রুমে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১১ রান। শুরুতে কিউইদের দারুণভাবে চেপে ধরলেও শেষদিকে বেকহাম হুইলার গ্রিনঅলের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ জড়ো করে কিউইরা।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান আসে গ্রিনঅলের ব্যাট থেকে। ৮৩ বলের মোকাবেলায় ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে এই ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া নিকোলাস লিডস্টোন ৪৪ ও ফার্গুস লেলম্যান ২৪ রান করেন।

    বাংলাদেশের পক্ষে পেসার শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া দুই স্পিনার শামিম হোসেন ও হাসান মুরাদ ২টি করে এবং আলোচিত স্পিনার রকিবুল হাসান ১টি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৩ রানেই তানজিদ হাসান তামিমকে (৯ বলে ৩) হারায় বাংলাদেশের যুবারা। ওয়ান ডাউনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে দর্শক হিসেবে রেখেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (২৯ বলে ১৪)। ৩২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দল চাপে পড়ে গেলে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মাহমুদুল। কিউই বোলারদের ভোগানোর পাশাপাশি আগলে রাখছিলেন দলকেও।

    তৌহিদ হৃদয়ের সাথে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৬৮ রানের পার্টনারশিপ। জুটি ভাঙে হৃদয় ৪৭ বলে ৪০ রান (৪টি চার) করে বিদায় নিলে। তবে শাহাদাত হোসেনের ধৈর্যশীল ব্যাটিং দারুণ সঙ্গ দেয় মাহমুদুলকে। শাহাদাতের সঙ্গ পেয়ে শতক তুলে নিতে ভুল করেননি মাহমুদুল।

    তবে ম্যাচ জয়ের নায়ক দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। দলীয় ২০১ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ১২৭ বলের মোকাবেলায় ১০০ রান করেন ১৩টি চারের সাহায্যে। শাহাদাতের সাথে তার ১০১ রানের জুটি ভাঙলেও শাহাদাত অধিনায়ক আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। শাহাদাত ৫১ বলে ৪০ ও আকবর ২ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ জয় পায় ৩৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই।

    নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১টি করে উইকেট শিকার করেন ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক, ডেভিড হ্যানকক ও আদিত্য অশোক।

    ৯ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

    দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯

    নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯: ২১১/৮ (৫০ ওভার)
    গ্রিনঅল ৭৫*, লিডস্টোন ৪৪, লেলম্যান ২৪
    শরিফুল ১০-২-৪৫-৩, শামিম ৬-১-৩১-২, মুরাদ ১০-১-৩৪-২, রকিবুল ১০-১-৩৫-১

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ২১২/৪ (৪৪.১ ওভার)
    মাহমুদুল ১০০*, হৃদয় ৪০, শাহাদাত ৪০*, ইমন ১৪, আকবর ৫*, তামিম ৩
    হ্যানকক ৭-০-৩১-১, ক্লার্ক ৯-০-৩৭-১

    ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৬ উইকেটে জয়ী।

  • আর্চারের কাছে নিউজিল্যান্ডের ‘দুঃখপ্রকাশ’

    আর্চারের কাছে নিউজিল্যান্ডের ‘দুঃখপ্রকাশ’

    আর্চার যখন ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তখন তার সাথে বর্ণবাদী আচরণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের কোনো এক দর্শক। ব্যাপারটি স্বভাবতই মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে আর্চারের। হতাশা প্রকাশ করে তাই টুইট করেছিলেন ইংলিশ পেসার।

    ব্যাপারটি দৃষ্টি এড়ায়নি ইংলিশদের আতিথেয়তা দেওয়া নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেড)। তারা তাই দুঃখ প্রকাশ করেছে আর্চারের কাছে।

    মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ড পেয়েছে বড় জয়। ম্যাচের শেষ দিন আর্চার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে সফল হননি। এ সময় একজন দর্শক তার সাথে বর্ণবাদী আচরণ করেন কটূক্তির মাধ্যমে।

    টুইট বার্তায় আর্চার উল্লেখ করেন, ‘যখন দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম, তখন একজনের বর্ণবাদী মন্তব্য জ্বালাতন করছিল। পুরো সপ্তাহজুড়ে দর্শকরা দারুণ ছিল, শুধু ঐ লোকটা ছাড়া।’

    আর্চারের এই টুইটের পর নড়েচড়ে বসে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। আর্চারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা বিষয়টি দেখব। আর্চারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার পর কাল আর্চারের সাথে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দেখা করবে। দুই দল হ্যামিল্টনে পরের টেস্টে যখন মুখোমুখি হবে, তখন আমরা বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকব। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কখনোই এমন কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।’

  • নিউজিল্যান্ডে যুবাদের সিরিজ জয়

    নিউজিল্যান্ডে যুবাদের সিরিজ জয়

    সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মাহমুদুল হাসান জয়ের অপরাজিত ১০৩ রান, তানজিদ হাসান তামিম ও তৌহিদ হৃদয়ের অর্ধশতকে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।

    এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ৫ ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা।

    প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৩ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৭৯ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা।

    লিঙ্কনে বাংলাদেশের ইনিংসে আজও পুনরাবৃত্তি ঘটল যেন দ্বিতীয় ওয়ানডের । রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারানো। তামিম-জয়ের ব্যাটে প্রতিরোধ আর শেষদিকে জয়-হৃদয়ের দৃঢ়তা জয় নিশ্চিত। আগের দিনের মতো সবই হলো তাই। তবে আগের দিনকে ছাপিয়ে আজ ছিল বেশি কিছু ব্যতিক্রম ঘটনাও।

    দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছিলেন জয়। তবে আজ আর তা হতে দেননি। যদিও শঙ্কা জেগেছিল আজও শতক হাতছাড়ার। বাংলাদেশের প্রয়োজন যখন ৫ রান, জয়ের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল তখন ৭ রান। এমন অবস্থায় আজও তার শতক হাতছাড়ার শঙ্কা থাকলেও তা আর হতে দেননি তিনি। পরপর দুই বলে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক পূর্ণ করেন তিনি। সাথে নিশ্চিত করেন দলের সিরিজ জয়ও।

    ৯৫ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পূর্ণের পথে ১৬ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান তিনি। তার সাথে তৃতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়ার পথে অর্ধশতকের দেখা পান হৃদয়ও। শেষ পর্যন্ত জয় ১০৩ ও হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে।

    বার্ট সার্টক্লিফে এর আগে টস জিতে কিউইদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। লিলম্যান ও ডিকসন ছাড়া পুরো ইনিংসে প্রত্যাশামত ব্যাট করতে পারেনি কিউই আর কোনো ব্যাটসম্যান।

    লিলম্যান ও ডিকসনের মধ্যকার নবম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটিতে ২২৩ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখার পথে অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন লিলম্যান। ৭ চার ও ৫ ছক্কায় এ রান করেন তিনি। কিউইদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন দশ নম্বরে ব্যাট করতে আসা ডিকসন। তিনি খেলেন অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস।

    সফরকারী বোলারদের মধ্যে তানজীম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, হাসান মুরাদ প্রত্যাকেই নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া শরিফুল ইসলাম পান এক উইকেট।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানে অনিক সরকার আউট হলেও ম্যাচে এর প্রভাব পড়তে দেননি তামিম ও জয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেন তারা। দু’জনে মিলে গড়েন ৯০ রানের জুটি।

    অর্ধশতক পূর্ণের পর আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকা তামিমকে থামান অশোক। ডিকসনের হাতে ক্যাচ দিলে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে শেষ হয় তামিমের ইনিংস। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ বল থেকে এ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে দলীয় ১১১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।

    তামিমের সাজঘরে ফেরার পর তৌহিদ হৃদ‍য়ের সাথে জুটি গড়েন জয়। অবিচ্ছিন্ন থেকে দুজনে মিলে যোগ করেন ১২৮ রানের জুটি। আর এতেই ৭ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-
    নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৯ দল: ২২৩/৮ (৫০ ওভার)
    লিলম্যান ১১৬* ডিকসন ২৩*; অভিষেক ১০-২-২৮-২, সাকিব ১০-১-৪৬-২, হাসান ১০-১-৫৬-২।

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল: ২২৯/২ (৩৬.৫ ওভার)
    জয় ১০৩*, তামিম ৬৫, হৃদয় ৫১*; অশোক ৭-০-৪০-১।

    ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
    সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

  • নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যুবাদের দাপুটে জয়

    নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যুবাদের দাপুটে জয়

    লঙ্কিনে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে স্বাগতিকদের ১৭৬ রানে আটকে রাখার পর আকবর আলির অর্ধশতকের সুবাদে ৬৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

    ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। দলীয় ১১ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ১০ বলে ২ রান করে রান আউট হন তিনি। তানজীদ হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় তার। দ্বিতীয় রান নিতে গেলে ইমন হাত দিয়ে তানজীদকে না-বোধক ইশারা দিলেও তানজীদ দৌড় থামাননি। এরপর নিজের উইকেট বিসর্জন দেন ইমন।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তানজীদ ও মাহমুদুল হাসান জয় মিলে গড়েন ৩০ রানের জুটি। দ্রুত রান তুলছিলেন তানজীদ হাসান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২৪ বলে ২৮ রান করে স্পিনার ট্যাশকফের বলে লেগ সাইডে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মারিউর হাতে। তার ইনিংসে ছিল ৫ টি চার। এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪০ রান যোগ করেন জয়। জয়ও করেন ২৮ রান। পেস বোলার জ্যাকসনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে জোহরাবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৮১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

    ইনিংস বড় করতে পারেননি হৃদয়ও। ৪৭ বল খেলে রান করেন ২৬। ডাউন দ্যা উইকেটে এসে ট্যাশরফের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন হৃদয়।

    পঞ্চম উইকেটের জুটিতে হাল ধরেন শাহাদাত হোসেন আর আকবর আলী। এ দুইজনের ব্যাটে চড়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের কেউ বড় স্কোর না করতে পারলেও লক্ষ্য সহজ থাকায় তা তাড়া করা খুব একটা কষ্টকর হয়নি।

    চমৎকার ব্যাটিং করেন আকবর আলী। শাহাদাতকে সাথে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। অর্ধশতক তুলে নেওয়া আকবর আলি অপরাজিত ছিলেন ৬১ বলে ৬৫ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ১১ টি চার।

    এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের যুবাদের বোলিং তোপে পড়ে ১৭৬ রানে অলআউট হয় তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার মারিউকে বোল্ড করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উপরে ফেলেন লেগ স্টাম্প। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জোহরাব আর আনসেল। তবে রানের গতি ছিল বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রণে। ৪৫ রানের এ জুটি ভাঙেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ২৪ রান করা আনসেল পুল করতে গেলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত আনে স্টাম্পে।

    ওপেনার জোহরাবকে ফেরান শামীম হোসেন। দলীয় ৫১ রানের মাথায় তানজীদের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জোহরাব (১৮)। ঐ ওভারে ট্যাশকফও ফিরেন তানজীদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

    বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন লেলম্যান ও হোয়াইট। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে এ জুটি যোগ করে ৪৭ রান। লেলম্যান (২৯ বলে ২১) শরীফুলের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিকমতো ঘটাতে পারেনি। হাওয়ায় ভাসতে থাকা বল এসে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক আকবরের গ্লাভসে।

    শরীফুলের বলে এক ওভার পর বিদায় নেন হোয়াইটও। তানজীম হাসান সাকিবের বলে বিদায় নেন হোয়াইট। দারুণ এক ক্যাচ নেন আকবর আলি। ৫০ বলে ৩০ রান করেন হোয়াইট।

    সপ্তম উইকেটে অশোক ও উইকেটরক্ষক পোম্যার যোগ করেন ৩৩ রান। ১৩৫ রানের মাথায় রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হন অশোক। ২৫ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ফিল্ডকে সাথে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৭ রান যোগ করেন পোম্যার। এ দুইটি জুটি স্বাগতিকদের লড়াইয়ের রসদ দেয়।

    ১৭৫ রানের মাথায় বিদায় নেন পোম্যার। দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ফিল্ড ও জ্যাকসনকে মৃত্যুঞ্জয় ফিরিয়ে দিলে দুই ওভার আগেই নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:
    নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব- ১৯ দল ১৭৬/১০, ৪৮ ওভার
    পোম্যার ৪০, হোয়াইট ৩০, আনসেল ২৪
    মৃত্যুঞ্জয় ৩/২১, শরীফুল ৩/৪৪, শামীম ২/৪২

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৮০/৪, ৩৮.৪ ওভার
    আকবর ৬৫*, তানজীদ ২৮, জয় ২৮
    ট্যাশকফ ২/৩৭, জ্যাকসন ১/৪০