২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স ।। লজ্জা ভেঙে নিম্নবিত্তের কাতারে এসে মধ্যবিত্তরা দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘ লাইনে। কিনছেন কম দামে পণ্য। চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবসহ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকায় টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এদিকে করোনার প্রভাবে খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য কিনতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বিক্রয় কেন্দ্রে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও ভিড় করায় চাহিদা বেড়েছে বহুগুন। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পণ্য না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন কয়েকজন ক্রেতা।
নিম্নবিত্তের কাতারে এসে মধ্যবিত্তরাও ভিড় করায় চাহিদা বেড়েছে উল্লেখ করে টিসিবি’ কর্মকর্তার দাবি করছেন, চাহিদা বাড়ায় তাদের পয়েন্টও বাড়িয়েছে। আগে ছিল ১৫টি আর এখন তা বাড়িয়ে ৩৫ পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
লজ্বা ভুলে নিজেকে একটু আড়াল করে প্রেস ক্লাবের সামনে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে লাইনে দাড়িয়েছেন নগরীর হেমশেন লেইন এলাকার একজন ব্যবসায়ি। নাম না জানানো শর্তে তিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, তিনি একজন ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রেতা। নগরীর তিন পোলের মাথায় তার নিজস্ব ছোট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।
তবে করোনার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার কারও কাছে হাতও পাততে পারছিনা লজ্জ্বায়। তাই বাধ্য হয়ে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কমে পণ্য কেনার জন্য লাইনে দাড়িয়েছি।
বেসরকারি চাকুরিজীবি নয়ন দে জানালেন, ঘরে যা মজুদ ছিলো কয়েকদিন আগেই সব শেষ হয়েছে। এদিকে জমানো অর্থটাও প্রায় শেষ তাই এখানে কমদমে পণ্য কিনতে লাইনে দাড়িয়েছি। তবে তিনি অভিযোগ করেন সরবরাহ কম থাকায় গতকালও তিনি লাইনে দাড়িয়ে পণ্য কিনতে পারেনি।
টিসিবির পণ্য বিক্রেতারা বললেন, কয়েকদিন আগেও টিসিবির এই বিক্রয় কেন্দ্রে নিম্নআয় ও খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় বেশি লক্ষ করা গেছে। এখন মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছেন। প্রতিদিনই তাদের ভিড় বাড়ছে। চেহারা দেখেই টের পাচ্ছি।
ভোক্তারা অভিযোগ করেছে টিসিবির প্রতিটি পয়েন্টে তেল, ডাল, চিনিসহ সাড়ে ৩০০ জন পণ্য পাওয়ার কথা থাকলেও ১৫০ থেকে ২০০ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করে তা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে টিসিবি’ কর্মকর্তার দাবি, চাহিদা বাড়ায় নগরীর ১৫টির পরিবর্তে এখন ৩৫টি পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ক্যাবের সভাপতি এস এম নাজির হোসেন করোনা দুর্যোগের সময় টিসিবির বিতরণ পয়েন্ট গুলোতে আরো বেশি পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
২৪ ঘণ্টা/আর এস পি