Tag: নির্দেশনা

  • নাশকতা রোধে যে ১০ নির্দেশনা দিল ডিএমপি

    নাশকতা রোধে যে ১০ নির্দেশনা দিল ডিএমপি

    অবরোধ ও হরতালের নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নাশকতা করার চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ যেন পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রলপাম্প থেকে পেট্রল/জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

    শনিবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১। পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।

    ২। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।


    অবরোধে বাস চলাচল নিয়ে যে ঘোষণা দিল মালিক সমিতি
    ৩। প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

    ৪। নিজ নিজ পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

    ৫। প্রত্যেক পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।

    ৬। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

    ৭। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।

    ৮। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

    ৯। লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

    ১০। পেট্রলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।

  • করোনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ১৭ দফা নির্দেশনা

    করোনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ১৭ দফা নির্দেশনা

    করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করে জরুরি কাজের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

    প্রতি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এমনি ১৭ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি চলছে। ছুটি আর না বাড়লে ৩১ মে খুলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে প্রয়োজনে সেপ্টেম্বরে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরও স্বাস্থ্য অধিদফতর ২ মে ১৭ ধরনের করণীয় নির্ধারণ করেছে।

    ‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয়গুলোর মধ্যে রয়েছে :-

    ১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করে জরুরি কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন।

    প্রতি ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন এবং শিক্ষক ও শিক্ষাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।

    ২. শিক্ষক, শিক্ষাদান কর্মী ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ জোরদার করুন। সকাল ও দুপুরে পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং ‘প্রতিদিনের প্রতিবেদন’ এবং ‘শূন্য প্রতিবেদন’ পদ্ধতি প্রবর্তন করুন।

    ৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেটে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত শিক্ষাদানকর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিন। বেশি পাওয়া গেলে প্রবেশে নিষেধ করুন।

    ৪. শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ এবং পাঠাগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বায়ু চলাচল নির্বিঘ্ন করুন। দিনে ২-৩ বার ২০-৩০ মিনিটের মতো উন্মুক্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক মাত্রা নিশ্চিত করুন।

    ৫. শ্রেণিকক্ষ ছাড়াও সবাই ব্যবহার করে এমন স্থান যেমন মেঝে, দরজা ও সিঁড়ির হাতল এবং যেসব বস্তু বারবার ব্যবহৃত হয় সেসব বস্তুর তলপৃষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।

    ৬. খাবার থালা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা, প্রতিবার ব্যবহারের পর সেগুলো ফের জীবাণুমুক্ত করুন।

    ৭. দূরত্ব বজায় রেখে খাবার গ্রহণ করা এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব থালাবাসন বা ওয়ানটাইম থালাবাসন ব্যবহার করুন।

    ৮. প্রতিষ্ঠান চত্বরের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র জীবাণুমুক্ত করুন।

    ৯. অফিসে কাগজের সীমিত ব্যবহারকে উৎসাহিত করুন। শারীরিক যোগাযোগ কমিয়ে অনলাইন শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন।

    ১০. স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত যে কোনো জমায়েত বা ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

    ১১. শিক্ষক, শিক্ষাদানকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের বহির্গমন কমিয়ে দিন।

    ১২. শিক্ষাদান কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত ধোয়াসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। দ্রুত হাত শুকানো জীবাণুনাশক বা জীবাণুনাশক টিস্যু ব্যবহার করুন। হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক ঢাকতে টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করুন।

    ১৩. মহামারী প্রতিরোধ জোরদার করুন। শিক্ষাদানের সময় নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করুন।

    ১৪. কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন ব্যক্তি থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানান এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করুন।

    ১৫. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পিতামাতার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানা এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার জন্য একজন বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়োগ করুন।

    ১৬. নিশ্চিত কোভিড-১৯ কেস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ু চলাচল ব্যবস্থা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত এটির পুনরায় ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত থাকুন।

    ১৭. একত্রে বসে খাওয়ার মতো ডাইনিং পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর