Tag: নির্বাচন

  • সিজেকেএস নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

    সিজেকেএস নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

    চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম এখন স্টেডিয়াম অঙ্গন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুই মহিলা সংরক্ষিত পদ ছাড়া বাকি সব পদে নির্বাচন হবে।

    নির্বাচন না হওয়া গুরুত্ব পূর্ণ দুই পদের মধ্যে সভাপতি পদে পদাধিকার বলে দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এনিয়ে টানা চতুর্থবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নাছির। গতবারও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

    এ দুই পদ ছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা পদেও দুইজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন হওয়া বাকি ৫টি ক্যাটাগরির বিপরীতে ৪৯ জন প্রার্থী লড়ছেন ভোটে।

    ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিজেকেএস নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। নির্বাচনে ২৫২ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

    নির্বাচনে সহ-সভাপতির চারটি পদে প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন-তাহের উল আলম চৌধুরী স্বপন, একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, আবুল হাশেম, সৈয়দ আবুল বশর, মো. হাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম চৌধুরী, শাহজাদা আলম, মকসুদুর রহমান বুলবুল এবং মফিজুর রহমান। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদকের একটি পদের লড়াইয়ে আছেন তিনজন। তারা হলেন বর্তমান অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, মশিউর রহমান চৌধুরী এবং এসএম শহীদুল ইসলাম। এছাড়া যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে আমিনুল ইসলাম, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন এবং সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি লড়ছেন। কোষাধ্যক্ষের একটি পদে আছেন আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল এবং শাহাবুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর। নির্বাহী সদস্যের ১৩টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ২৮ জন। এছাড়া উপজেলার সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের জন্য নির্বাচন করছেন তিনজন।

  • বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী মালদ্বীপ ইসি

    বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী মালদ্বীপ ইসি

    মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ তৌফিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন-এর মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।

    আজ শনিবার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক দলসমূহের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

    এসময় মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি।

    ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সার্কভুক্ত দেশসমূহের নির্বাচন কমিশনার এবং মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আমন্ত্রণ পেলে পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রতিনিধি প্রেরণ করবে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন।

    চেয়ারম্যান আরো বলেন, একটি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিকল্প নেই। আর নির্বাচন আয়োজনের মূখ্য ভূমিকা পালন করবে নির্বাচন কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সরকারের সহযোগীতা থাকবে, হস্তক্ষেপ নয়। রাজনৈতিক দলসমূহের উচিত নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব পালনে সহযোগীতা করা।

    সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মালদ্বীপের বিশেষ প্রতিনিধি ও মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ইসমাইল হাবিব এবং মালদ্বীপের কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমজাদ মোস্তফা।

    সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নিউজ বিএন-এর সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার, কেন্দ্রীয় পরিচালক বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী ও এম এ মালেক।

    ২৪ ঘন্টা/

  • বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন চান ক্রীড়ামোদীরা

    বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন চান ক্রীড়ামোদীরা

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির নির্বাচন চান ২০১৮ সালে স্থগিত হওয়া নির্বাচনের ক্রীড়ামোদী পদপ্রার্থীগণ।

    মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির কাছে এ সংক্রান্তে পত্র দিয়েছেন তারা।

    উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সদস্য পদপ্রার্থী মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, এসএম মোদ্দাচ্ছের, মো. আবদুস শুক্কুর রানা, ফজলুল কবির, মো. মানিক স্বাক্ষরিত এ পত্রে বলা হয়, বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিগত ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করা হয়েছিল। তফশীল অনুযায়ী ওই বছরের ২০ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। তফশীল ঘোষণার পর উপজেলার ক্রীড়ামোদীগণ বিভিন্ন পদে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন এবং কয়েকটি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীও রয়েছেন। তবে তফশীলে ঘোষিত নির্ধারিত নির্বাচনের ২৭ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত কারণে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এতে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। ফলে উপজেলার খেলোয়াড়গণ মনোবল হারিয়ে অনুশীলনসহ বিভিন্ন লীগ-টূর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    স্থগিত হওয়া এ নির্বাচন পুন:রায় আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়মিত খেলাধূলা আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে পত্র দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিগত নির্বাচনের ক্রীড়ামোদী পদপ্রার্থীগণ।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে আওয়ামী পন্থী হলুদ দল

    চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে আওয়ামী পন্থী হলুদ দল

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক সমিতির আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা অংশগ্রহণ না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামীপন্থী হলুদ দল।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গতকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল মনোনয়ন নেয়া এবং জমা দেয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি।

    ফলে অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অষ্টমবারের মতো নিশ্চিত বিজয়ের অপেক্ষায় রয়েছে হলুদ দল। আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের নির্বাচিত ঘোষনা করা হতে পারে।

    বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের নির্বাচন বর্জনের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক ও বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনিস্টিটিউটের প্রফেসর ড. আমিন বলেন, এ যাবৎ আমরা সব সময় নির্বাচন করে আসছি। এবার আমরা প্রতীকি প্রতিবাদ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। সারা দেশে ভোটাধিকারের অবস্থা আপনারা জানেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মনে হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে দলীয় বিবেচনায় ভোটার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

    শিক্ষকরা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীদের ভোট দিতে বিব্রতবোধ করছে। এরকম ভাবে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এটারই একটা প্রতিবাদ, আগামীতে যেন মেধা ও মননের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।

    সাদা দলের আহ্বায়ক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর এম আতিকুর রহমান বলেন, আমরা সব সময় নির্বাচন করে আসছি এবং বিভিন্ন পরিষদে জয় লাভও করেছি। বর্তমান ভিসি ম্যামের আগে দ্বায়িত্ব পালন করা দু’জন ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ণ কর্মকাণ্ড, সভা, সমাবর্তন, অনুষ্ঠান নিয়ে গঠিত কমিটি, হল প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষক নিয়োগে সাদা দলের সাথে বৈষম্য করেছেন।

    তিনি আরও বলেন, অতীতে এসব কমিটি একতরফা দলীয় বিবেচনায় করা হয়নি। এতে সাদা দলের শিক্ষকরাও ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সব পরিষদে সবার সমান অধিকার। এসব কারনে শিক্ষকদের ক্ষোভ রয়েছে। যার কারনে এবার আমরা নির্বাচনে অংশ নিইনি।

    তবে ভরাডুবির আশংকায় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা আসছেন না বলে জানিয়েছেন হলুদ দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ।

    হলুদ দলের প্রার্থী যারা : হলুদ দল থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর মো. তৌহিদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ পদে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ নেওয়াজ মাহমুদ, সদস্য পদে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর খালেদ মিসবাহুজ্জামান, বাংলা বিভাগের শফিউল আযম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আদনান মান্নান, আইন বিভাগের মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন, ইনিস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ ও ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রিনক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী তানভীর আহাম্মদ।

    উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দল ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। শুধু ২০১৪ সালের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বয়কট করে অংশ নেয়নি সাদা দল। এছাড়া গত ৩৩ বছরে সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছিল দলটি।

  • সুপ্রীম কোর্ট  বারের নির্বাচন ১১-১২ মার্চ

    সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচন ১১-১২ মার্চ

    আগামী মাসের  ১১ ও ১২ তারিখ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন) ২০২০-২০২১ ইং সেশনের নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

    আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন লিখিত বক্তৃতায় জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল এবং ৪ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। প্রার্থীতা যাচাই বাছাই করা হবে ১ মার্চ। কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ১৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

    নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের নির্বাচন উপ-কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    এরইমধ্যে সরকার সমর্থক ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। সরকার সমর্থিত প্যানেল থেকে বর্তমান সভাপতি আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিনকে সভাপতি পদে এবং আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমিতির সাবেক সভাপতি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং সম্পাদক পদে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০ সেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন সরকার সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

  • চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন : মোক্তার সভাপতি, জিয়াউদ্দিন সম্পাদক

    চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন : মোক্তার সভাপতি, জিয়াউদ্দিন সম্পাদক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩ হাজার ৭শ ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন।

    এবারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাতটি পদে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। সভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মুহাম্মদ এনামুল হককে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সৈয়দ মোক্তার আহমেদ।

    ঐক্য পরিষদের প্রার্থী আবদুস সাত্তার সারোয়ারকে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন সমন্বয় পরিষদের এএইচএম জিয়াউদ্দিন।

    সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ শেষে দিবাগত রাত দেড়টার সময় নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালা এবারের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

    এদিকে শীর্ষ দুটি পদে পরাজিত হলেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে জয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ।

    বিএনপি সমর্থিত ঐক্য পরিষদ থেকে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি পদে সাবেদুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে আলী আশরাফ চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ কবির হোসাইন জয়ী হয়েছেন। এছাড়া আলী আকবর সানজিক পাঠাগার সম্পাদক এবং রুনা কাশেম সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন।

    এ প্যানেলে নির্বাচন করে নির্বাহী সদস্য হয়েছেন রিদুয়ানুল করিম, তানজিনা আক্তার, মেজবাহ উদ্দিন, ওমর ফারুক, নাজমুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসাইন ও তাপসী তহুরা।

    অন্যদিকে আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের হয়ে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইমরুল হক মেনন। এ প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শফিউল আজম বাবর, নাসরিন আক্তার চৌধুরী ও রবিউল আলম।

    সমিতি সূত্রে জানা যায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান মোট সদস্য সংখ্যা ও ভোটার রয়েছে ৪ হাজার ৫শ ৯জন। এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রার্থী নির্বাচিত করতে ভোট দিয়েছেন ৩ হাজার ৭শ জন।

  • বিদেশীদের কাছে নির্বাচন নিয়ে নালিশ করাও একধরনের আচরণ বিধি লংঘন : তথ্যমন্ত্রী

    বিদেশীদের কাছে নির্বাচন নিয়ে নালিশ করাও একধরনের আচরণ বিধি লংঘন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের কাছে নালিশ করাও একধরনের নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন।

    তিনি বলেন, ‘যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করা এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছোট খাটো যে ঘটনা গুলো হচ্ছে, সেগুলো বিদেশীদের কাছে উপস্থাপন করাও তো এক প্রকার নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন।’

    হাছান মাহমুদ আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপি হাইকোর্টে গিয়েছিল।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তারা হাইকোর্টে গিয়েছিল ইভিএম এর বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। সর্বোচ্চ আদালতে তাদের অবেদন রিজেক্ট করে দিয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘যেখানে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি, আবার সেই একই নালিশ বিদেশিদের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করা তো আদালত অবমাননার শামিল এবং যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করা এটিও তো আচরন বিধি লংঘন।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কোন অভিযোগ থাকলে তা ভোটার ও জনগনের কাছে উপস্থাপন করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশী রাষ্ট্রদুতের কাছে উপস্থাপন করা অনেকেই মনে করেন এটিও এক প্রকার আদালত আবমাননার শামিল।

    বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম হচ্ছে একটি অধুনিক প্রযুক্তি। পুরো ভারত বর্ষের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে এবং ভারতে এই ভোট গ্রহণ বিষয়ে তেমন কোন অভিযোগ ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রেও ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, এই অধুনকি প্রযুক্তি দিয়ে কেন ভোট গ্রহণের বিরোধীতা করছে বিএনপি তা আমরা বোধগম্য নয়। তবে বিএনপি সব সময়ে অধুনিক প্রযুক্তির বিরোধীতা করে। কারণ তারা প্রযুক্তিকে ভয় পায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকার প্রধান খালেদা জিয়া সাবমেরিন ক্যাবল সুবিধা গ্রহণ করেননি। কারণ তিনি ভেবে ছিলেন যে দেশের অভ্যন্তরিন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। কিন্তু পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সরকারের সময় কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত হতে হয়েছে।

    তিনি বলেন, ইভিএম এর ক্ষেত্রেও বিএনপির মানসিকতা একই রকম। দেশে এক সময়ে হাত তুলে ভোট হত। পরবর্তিতে ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট নেয়া শুরু হয়। ইভিএম ইতিপূর্বে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন ও সংস্দ নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এতে দেখা গেছে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল মারার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। কিন্তু তারপরও তারা ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে তারা পরিজিত হবে তা বুঝতে পেরে আগে থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। যেমন হাইকোর্টের বিচারপতি, সেগুলোও সাংবিধানিক পদ।

    হাইকোর্টের কোন বিচারপতি যেমন তাদের অভ্যন্তরিন বিষয় জনগনের সামনে উপস্থাপন করেন না এবং সেটি নিয়মও নয়। সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমিচিন নয়। এটি একান্তই অভ্যন্তরিন বিষয়। তাই সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলাই ভাল। সেটি জনসমুখে বিশেষ করে গণমাধ্যমের সামেনে বলা, সেটি তার সাংবিধানিক পদের বর খেলাপ কিনা সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্নে তুলেছেন।

  • বিএনপি নির্বাচন ও আন্দোলনে পরাজিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে : কাদের

    বিএনপি নির্বাচন ও আন্দোলনে পরাজিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন ও আন্দোলন-সংগ্রামে পরাজিত হয়ে আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাপথ দিয়ে তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চায়।

    তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এসব মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার পাশে একজন বিশ্বস্ত সাহসী মানুষ প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীনের খুব প্রয়োজন ছিল।

    ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব প্রয়াত মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রম স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    প্রয়াতের বড় ভাই ইসমাঈল হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে চুনতি মেহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    এছাড়াও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, কানিজ ফাতেমা এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, আবু রেজা নদভী এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, জনগণের সঙ্গে গণভবনের সেতুবন্ধন রচনা করেছিলেন সামরিক সচিব জয়নুল আবেদীন। সৈনিক হয়েও তার গন্ডি পেরিয়ে জনগণের সঙ্গে অবাধে মিশে যেতে পারতেন তিনি। তার মধ্যে অহংকার কখনও দেখিনি।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়নুল আবেদীন ছিলেন একজন আপোষহীন কর্মবীর। তার গ্রামে এলে বোঝা যায়, একজন মানুষ শেকড়ের টানে নিজ জন্মভূমির জন্য কি না করতে পারেন। এ অন্ধকার গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন জয়নুল আবেদীন। তিনি সরাসরি রাজনীতি করেননি। কিন্তু একজন রাজনীতিকের যে গুণাবলী থাকা দরকার তার চেয়ে অনেক বেশি গুণাবলী ছিল জয়নুল আবেদীনের মধ্যে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষের দরকার। তবে এখন সেই সোনার মানুষের বড় অভাব রাজনৈতিক অঙ্গনে।

  • বোয়ালখালীতে আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা-অগ্নিসংযোগ

    বোয়ালখালীতে আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা-অগ্নিসংযোগ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বোয়ালখালীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার আরকান সড়কের আমতল এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এসএম মিজানুর রহমান জানান, রাতে নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে নৌকার কর্মী সমর্থকরা শুক্রবারের নির্বাচনী প্রচার প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছিল।

    এ সময় হঠাৎ ৭-৮টি মোটর সাইকেল নিয়ে কয়েকজন যুবক নির্বাচনী কার্যালয় লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল ছুঁড়ে মারে এবং দ্রুত সটকে পড়ে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি।

    দুর্বৃত্তরা ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। তারা যাওয়ার সময় বেশ কয়েক রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে বলে জানান তিনি।বোয়ালখারী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোকারম বলেন, ‘আবুর ওপর হামলা কেন? জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে। ককটেল হামলার ঘটনায় একটি মোটর সাইকেলও পুড়ে গেছে।

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    ঘটনাস্থল থেকে বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, দুটি অবস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। এছাড়া বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু নমুনা দেখা গেছে। আগুনে একটি মোটর সাইকেল পুড়ে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

  • ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচন : তফসিল ঘোষণা

    ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচন : তফসিল ঘোষণা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামি ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিরতীহীন ভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সভাপতি জসীম চৌধুরী সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    সভায় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিযাম উদ্দিন, মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, মুহাম্মদ শামসুল হক, মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি আগামী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সরবরাহ করা হবে। ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা এবং ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    তাছাড়া আগামী ২০ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। ২১ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বিকেল-৪টা পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ৩০ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জসীম চৌধুরী সবুজ চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস’র কাছ থেকে এই দায়িত্ব বুঝে নেন।

    এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মুহাম্মদ শামসুল হক, মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, মামুনুর রশীদ।

    জানা যায়, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, নির্বাহী পরিষদের একটি সদস্যপদ সহ মোট ৯ (নয়)টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৪শ ৪জন সদস্য নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

  • বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়:তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঢাকার আসন্ন দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যকে হটকারি উল্লেখ করে এর সমালোচনা করে বলেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়।

    শনিবার রাজধানীর তেজগাঁয়ে চ্যানেল আই-এর একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা সব সময়ই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে এবং মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষেই নির্বাচনে অংশ নেয়।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিবর্তে জয়লাভের উদ্দেশ্যেই বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিৎ।’

    এ সময় বিএনপি’র একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর গ্রেফতার সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘যদি বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা অথবা গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকে, তবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করতেই পারেন।’

    সিটি নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিবৃতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তাদের বিবৃতিতে আসন্ন সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র পরাজয়ের বিষয়টিই উঠে এসেছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যহত করাই বিএনপি’র প্রধান লক্ষ্য।’

    তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র অভিযোগগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

    হাছান আরো বলেন, ‘বিএনপি জয়লাভ করার উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভের জন্য অংশ নেয়নি। তারা নির্বাচনটিকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। এখনও তারা তাই করছে।’

    এর আগে, মন্ত্রী বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ আয়োজিত দিনব্যাপী পিএলজি প্রকৃতি মেলা উদ্বোধন করেন।

  • দক্ষিণে তাপস-ইশরাকসহ সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

    দক্ষিণে তাপস-ইশরাকসহ সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

    আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গোপীবাগের মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং অফিসার মো. আবদুল বাতেন।

    শেখ ফজলে নূর তাপস ও ইশরাক হোসেন ছাড়া আরও যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন—বাংলাদেশ কংগ্রেসের আক্তারুজ্জামান, এনপিপির বাহারানে সুলতান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।

    মেয়র প্রার্থীদের বৈধতা নিশ্চিত হওয়ার পর সবাই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।

    ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আজ (২ জানুয়ারি) হচ্ছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।

    রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা যাবে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৫টি কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৪০৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলদের ২৫টি পদের বিপরীতে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    সকাল ১০টা থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শুরু হয়। শেষে কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যে বাতিল হওয়া প্রার্থিরা আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচন যেন সংঘর্ষে রূপ না নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কর্মকর্তারা আরও বলেন, আচরণবিধি না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।