Tag: নির্বাচনী ইশতেহার

  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১১ বিষয়ে আ’লীগের ইশতেহারে অগ্রাধিকার

    দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১১ বিষয়ে আ’লীগের ইশতেহারে অগ্রাধিকার

    দ্রব্যমূল্য সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্য রাখা, কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করাসহ ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করছে আওয়ামী লীগ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এইশতেহার ঘোষণা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা করছেন।

    এর আগে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের গ্রান্ড বলরুমে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    নির্বাচনী ইশতেহারের শুরুতে ‘আমাদের বিশেষ অগ্রাধিকার’ শিরোনাম ১১ দফা অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়েছে। আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতায় আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়গুলো দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে

    ১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

    ২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

    ৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

    ৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

    ৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।

    ৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

    ৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।

    ৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।

    ৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

    ১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

    ১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

    ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে।

  • আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রুহেলের ২২ দফা ইশতেহার ঘোষণা

    আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রুহেলের ২২ দফা ইশতেহার ঘোষণা

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে ২২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল। ‘স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হবে মিরসরাই’ শিরোনামে এই ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে সবুজ পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব মিরসরাই গড়ার প্রত্যয়। নির্বাচিত হলে তিন মাসের মধ্যে চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মাহবুব উর রহমান রুহেল তার ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

    এ সময় চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান,মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারাণ সম্পাদক একে এম জাহাঙ্গীর ভুঁইয়া, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, মিরসরাই পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও আছে পরিকল্পিত আবাসন, পরিকল্পিত মডেল উপজেলা গঠন, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (আইটি পার্ক) নির্মাণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, পর্যটন স্পটগুলোকে ইকো ট্যুরিজম হাব, নিরাপদ গ্রীণ মিরসরাই প্রতিষ্ঠা, দুই ও তিন ফসলী কৃষিজমি রক্ষা, বিদেশগমনকারীদের টেকসই চাকুরির নিশ্চয়তা প্রদান করতে প্রশিক্ষণ প্রদান, নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, সম্প্রীতির মিরসরাই, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ, সাধারণ মানুষের দৌড় গড়ায় সকল সেবা প্রদান, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে স্থানীয় বেকার যুবকদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তার প্রদান, ভূমি ও গৃহহীন মানুষের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস বৃদ্ধি করা, জেলে সম্প্রদায়ের জীবন মান উন্নয়ন ও তাদের পূণর্বাসন, উৎপাদিত ফসলাদি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহ সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি-সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।

  • ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেজাউল করিমের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেজাউল করিমের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    চট্টগ্রাম ব্যুরো: আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

    ইশতেহারে রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-খাল-নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দেন।

    নির্বাচনী ইশতেহারে ‘রূপসী চট্টগ্রাম আমার আপনার অহংকার, অঙ্গীকার-সবার যোগে সাজবে নগর’ শ্লোগানে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম প্রকৃতির এক অনন্য উপহার।

    ঘন সবুজের দেয়াল ঘেরা পাহাড়-নদী-হ্রদ ঝিলের সমন্বয়ে প্রকৃতি নিজের হাতে সাজিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর চট্টগ্রাম। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার এই বন্দর।

    জাতীয় আমদানী-রফতানির ৮৫ শতাংশ চট্টগ্রাম দিয়ে পরিচালিত হয়। স্বাভাবিক কারণে চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম অনেক দূর এগিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিবেষ্টিত সেভেন সিস্টার, চিনের কুনমিং শহর, নেপাল ও ভূটানের আমদানী-রফতানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে চট্টগ্রাম। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন তীর্থ হিসেবে গড়ে উঠবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম।

    রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা পরম সৌভাগ্যবান হয়েও প্রকৃতির চমৎকার উপহার চট্টগ্রামকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছি না। এর জন্য শুধু দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ নয়, চট্টগ্রামের নাগরিক হিসেবে সকলেই সমান দায়ী। কারণ আমাদের মধ্যে নাগরিক দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি নিজেও এই দায় এড়াতে পারি না। আপনাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের সকল ভু ল বিচ্যুতি পরিহার করে চট্টগ্রামকে সর্বাধুনিক বাসোপযোগী বিশ্বমানের উন্নত ও নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

    তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার ধারাবাহিক উন্নয়ন সূচীর মূল অঙ্গীকারগুলো হলো: জলাবদ্ধতা নিরসন, নগরীর দখলকৃত খাল, নালা-নদী পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশন উপযোগী করতে ১০০ দিনের মধ্যে সব ত্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে কঠোর আইন প্রয়োগ, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়ক শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, চট্টগ্রামকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিনিয়ত মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখা এবং হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সকল ধার্য্যকৃত কর সহনীয় পর্যায়ে রাখা।

    রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে একটি সেবামূলক ও কল্যাণ-জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাব। আমার পূর্বসুরী সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে উচ্চতায় চট্টগ্রাম নগরীকে উন্নীত করেছিলেন তা পুনরুদ্ধার করে চলমান রাখবো এবং তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

    ইশতেহার ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।

  • ৯ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা: শাহাদাত’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    ৯ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা: শাহাদাত’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়াসহ ৯টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর একটায় নগরের জামালখানে একটি রেস্টুরেন্টে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

    তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে- জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম, স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম, শিক্ষাবান্ধব চট্টগ্রাম, গৃহ কর ও আবাসন সুবিধা, পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম, নিরাপদ চট্টগ্রাম, সাম্য-সম্প্রীতির চট্টগ্রাম, নান্দনিক পর্যটন নগর এবং তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়া।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর একটি পাহাড়, সাগর ও নদী পরিবেষ্টিত শহর।

    পাহাড় হতে বৃষ্টির পানি বিভিন্ন খাল হয়ে শহরের মধ্য দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার কারণে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি মাটি পড়ে খাল ও নালা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
    এছাড়াও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে তা খালে গিয়ে পড়ে। যা নিরসনে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

    তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা মুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে শহরের মধ্যে প্রবাহিত খাল উদ্ধার করে তা পানি চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং খালের উভয় পাশ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। প্রতি বছর বর্ষার আগে শহরের সমস্ত খাল, নালা-নর্দমা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারসহ পানি চলাচলের উপযুক্ত করে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করবো।

    ডা. শাহাদাত বলেন, নগরবাসীর নাগরিক অধিকার আমাদের সংবিধান নির্দিষ্ট করেছে-কিন্তু সে অধিকার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তার বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ করে থাকে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যদি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনই পারে বিদ্যমান উন্নয়ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নগরবাসীর দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দিতে। নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে এ প্রচেষ্টায় সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

    সাম্য সম্প্রীতির চট্টগ্রাম গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের হাজার বছরের ঐতিহ্যের আলোকে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াস থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে মাদকাসক্তির ঝুঁকি কমাতে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা, কবরস্থান, শ্মশান ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

    নান্দনিক পর্যটন নগর গড়তে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরীকে অল্প সময়ে বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পাহাড়, নদী, সমুদ্র, বিরল প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের আলোকে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধন করে আধুনিক আকর্ষণীয় পর্যটন নগর গড়ে তোলা হবে। নগরবাসীর সুবিধা নিশ্চিত করে পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি পর্যটন আকর্ষণের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।

    তিনি বলেন, নাগরিকদের যাতায়াত সুবিধার জন্য পরিকল্পিত স্মার্ট নগরীর সৌন্দর্য রক্ষা করে আয়বর্ধক প্রকল্প বৃদ্ধিসহ বাস স্টপ নির্মাণ করা হবে। বন্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহ চালু ও লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বায়ু দূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু করা হবে। নগরীতে অবস্থিত দিঘি ও লেক সমূহকে পর্যটন স্পটে পরিণত করা হবে। এছাড়া নগরবাসীর জন্য নানা সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বাস্তবভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন উন্মুক্ত পার্ক নির্মাণ করা হবে।

    স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, করপোরেশন এলাকায় অবহেলিত বিভাগগুলোর মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য বিভাগ। নগরের জনসংখ্যা গত ৫০ বৎসরে প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেলেও নতুন কোনও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত নেই। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত বন্দরনগরীর স্বাস্থ্য সেবার পরিধি বৃদ্ধিকল্পে অন্তত আরও ২ হাজার শয্যার পর্যাপ্ত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। সাথে সাথে শিশু হাসপাতাল, মাতৃসদন ও ট্রমা সেন্টারসহ বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, বর্তমানে অনুমোদিত ১৩১৩ শয্যার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০০-৩০০০ রোগী ভর্তি থাকে। অন্যদিকে প্রশাসনিক আদেশে ২৫০ শয্যার ঘোষণা দেওয়া হলেও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালটি এখনও ১৫০ শয্যার জনবল নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে।

    শিক্ষাবান্ধব চট্টগ্রাম গড়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় এনে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন, স্কুলে প্রবেশ, প্রস্থান, ক্লাস কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও পরীক্ষার ফলাফল সবকিছু যাতে অভিভাবকরা ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে মনিটরিং করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করপোরেশন পরিচালিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকারি নির্দেশনার আলোকে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবনে নেতৃত্ব ও গুণাবলী অর্জনের নিমিত্তে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    গৃহকর ও আবাসন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, চসিক একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সেবা প্রদানে কর প্রয়োজনীয় সহায়ক শক্তি। জনগণের উন্নত সেবা নিশ্চিতকরণে বর্তমান গৃহকরের প্রয়োজনীয় বিন্যাস ও সরলীকরণ করাসহ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিম্ন আয়ের নগরবাসী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের আবাসন গৃহ করমুক্ত করা হবে। হিজরা, ভবঘুরে ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হবে। শ্রমজীবীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতে আবাসন সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

  • পাঁচ পরিকল্পনায় তাপসের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    পাঁচ পরিকল্পনায় তাপসের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীন মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পাঁচ পরিকল্পনায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

    তাপস আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

    তার নির্বাচনী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যের ঢাকা, সচল ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা।

    এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা তাবিথের

    মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা তাবিথের

    মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকারসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশ‌তেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে গুলশা‌নে ইমানুয়্যেলস ব্যাংকুয়েট হলে নির্বাচনী ইশ‌তেহা‌র ঘোষণা করেন তিনি।

    ঘোষিত ১৯ দফার মধ্যে রয়েছে- দূষণমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ঢাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ, যানজট ব্যবস্থাপনা, গণপরিবহন, সড়ক নিরাপত্তা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, নারী শিশু ও প্রতিবন্ধী বান্ধব ঢাকা, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, নিরাপদ খাদ্য, পাবলিক টয়লেট, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ইন্টেলিজেন্ট সিটি অপরাধ দমন ও বিনোদন, আবাসন ও নগর প্রশাসন।

    ইশতেহার ঘোষণাকালে তাবিথ বলেন, ‘এ দফাগুলো বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

    এসময় তা‌বিথ আউয়াল ব‌লেন, ‘নগর প্রশাসন ক‌রে নাগ‌রিক সেবা ওয়ার্ড পর্যা‌য়ে বি‌কেন্দ্রীকরণ করা হ‌বে। নগর সরকার ক‌রে মানু‌ষের নিরাপত্তা নি‌শ্চিত করা হ‌বে।’

    ‌তি‌নি ব‌লেন, ‘ঢাকা সি‌টি‌তে মশার উপদ্রপ এক‌টি অন্যতম সমস্যা। বর্তমান সরকার ও মেয়রেরা মশা নিধ‌নে ব্যর্থ হ‌য়ে‌ছে। আমরা নির্বা‌চিত হ‌লে বছরব্যাপী মশা নিধ‌নে কার্যত্রম গ্রহণ কর‌বো। যানজট নিরস‌নে কাজ কর‌বো। বায়ুদূষণ রো‌ধে কার্যকর উদ্যোগ নেবো।’

    ‌নির্বাচিত হলেও বি‌রোধী দ‌লে থে‌কে ইশতেহার বাস্তবায়ন ক‌রেত পারবেন কিনা- সাংবা‌দিক‌দের এমন প্রশ্নের জবা‌বে তাবিথ আউয়াল ব‌লেন, ‘জনগণ পা‌শে থাক‌লে ‌বি‌রোধী দ‌লে থে‌কেও ইশতেহার বাস্তবায়ন ক‌রা সম্ভব।’

    ইশতেহার ঘোষণা করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘সরকার চায় আমরা মাঠ ছেড়ে যাই, সেজন্য সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগোর আহ্বান জানাচ্ছি। হুমকি ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে, ভোটাররা যেনে কেন্দ্রে না যায়। কিন্তু এসব হুমকিতে ভীত হবেন না, ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে সবাই ভোট দিতে যাবেন।’

    মেয়র নির্বাচিত হলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু মহামারি ও ঢাকার দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।

    তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে বাসা ভাড়া নির্ধারণে, আবাসনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাচেলর স্টুডেন্টড হাউজিং, চাকুরিজীবী নারীদের আবাসনের জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে জনগণের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদ্যমান সংকট সমাধান করা হবে।’

    তাবিথ বলেন, ‘বিজয়ী হলে সততা সদিচ্ছা দিয়ে ওয়াসার সাথে সমন্বয় করা হবে। নারীদের জন্য নিরাপদ ঢাকা গড়ে দেয়া হবে। প্রথম দিন থেকেই নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান করা হবে।’

    ইশতেহার ঘোষণার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা

  • সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গিকার আতিকুলের

    সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গিকার আতিকুলের

    রাজধানী ঢাকাকে সুস্থ, সচল, আধুনিক ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

    রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা কালে আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

    ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম জানান, বায়ু দূষণ রোধে চালু করা হবে ইলেক্ট্রিক্যাল বাস। এছাড়া, স্মার্ট বাসস্টপ নির্মাণ, বছরব্যাপী মশা নিধনে আইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগ, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,জলাবদ্ধতা নিরসন, বাইসাইকেল লেনসহ ৩৮টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন তিনি।

    আওয়ামী লীগে মনোনিত মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচিত হলে মেয়রসহ সব কাউন্সিলরের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেয়া হবে। তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলর ও মেয়রকে জনতার মুখোমুখি করা হবে।

    ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪০০ বছরের পুরানো শহর ঢাকা। ১১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আজ আলোয় উদ্ভাসিত। উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, ঢাকা নগরীর সার্বিক উন্নয়নে আমি কথা দিচ্ছি, আমাকে পুনরায় পূর্ণমেয়াদে নির্বাচিত করলে ঢাকাবাসির সার্বিক লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা পুরনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, সব উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে ঢাকা শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার সমস্যার সমাধান করে আগামী দিনে গড়ে তুলবো সবার প্রিয় ঢাকা, যে ঢাকা আপনাদের সবার প্রাপ্য।

    ঢাকা উত্তর নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি জানি শত সংকট, শত সীমাবদ্ধতা, নাগরিক যন্ত্রণাসহ নানাবিধ সমস্যা আছে এই ঢাকা উত্তর সিটিতে। এই ঢাকা আপনার, আমার ও সকলের। আমাদের একটু সচেতনতা ও কিঞ্চিৎ সহযোগিতা এই নগরীর প্রাপ্য।

    ঢাকা উত্তরে দৃশ্যমান আগামীতে পরিবর্তন আসবেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি সবাই একটু সচেতন, আন্তরিক ও উদ্যোগী হই, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত রাখি এবং শহর বিনির্মাণে অংশ নেই,তাহলে অবশ্যই ঢাকা উত্তর সিটির দৃশ্যমান বদলে যাবে।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় স্বপ্নের ঢাকাকে বাস্তব করতে চলুন আমরা সবাই সামনের দিকে এক সাথে এগিয়ে যাই। আমরা সকলে মিলে মিশে সবার ঢাকা- একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক স্বপ্নের ঢাকা গড়ে তুলি। আমি নগরবাসীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে আগামী দিনে ঢাকা নগরবাসির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এটাই আমার অঙ্গীকার। ইশতেহারে আতিকুল ইসলাম ‘সচল ঢাকা’ শিরোনামে ১৩টি, ‘আধুনিক ঢাকা’ শিরোনামে ১২টিসহ মোট ৩৮টি অঙ্গীকার ঘোষনা করেন।