ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ করোনাকালীন লকডাউন, স্থানীয় লকডাউন, বিধিনিষেধ সব কিছুর মাঝে থেমে নেই ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম। প্রবাসী ভোটার, নতুন ভোটার, ভুল সংশোধন, কোবিড ভ্যাকসিন নিবন্ধনে ম্যাচফান্ড সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ সেবা নিয়েছে বিগত তিন মাসে। নতুন ভোটার হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেমিটেন্স যোদ্ধারা নানান সীমাবদ্ধতার কারণে যথা সময়ে ভোটার হতে না পারার কারণে এবং করোনার লক ডাউনে আটকে যায় প্রচুর প্রবাসী। তারা এই সময়ে ভোটার হতে আগ্রহী। নতুন প্রজম্মও নিবন্ধিত হতে আগ্রহী এরকম তিন মাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে।
প্রতিদিন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শত শত লোকজন নাম, জম্ম তারিখ সহ নানান প্রকার সেবা নিতে আসে। তাদের সাথে কথা বলে জানাযায় অনেক উপজেলায় নির্বাচন অফিসে আশানুরুপ সেবা পাওয়া যায় না। সেখানে ফটিকছড়ি নির্বাচন অফিস ব্যতিক্রম। ভুল সংশোধন, নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে দ্রততার সাথে।
পাইন্দং এলাকার বাসিন্ধা প্রবাসী মোহাম্মদ আলী (৪৫) জানান, জীবিকার সন্ধানে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। তাই এনআইডি কার্ড তৈরী সম্ভব হয়নি। লকডাউনের মাঝেও সব কাজ সম্পন্ন করেদিল নির্বাচন অফিসার।
ধর্মপুর থেকে আসা মাহাবুবুল আলম (৫৫)জানান,
দেশ বিদেশ ঘুরতে ঘুরতে অনেক দিন গেল। এখন নাকি ছেলে মেয়ের স্কুলের কাজে এনআইডি লাগবে তাই অনলাইনে আবেদন করে ছবি তুলে নিলাম।
মোস্তফা হোসেন নামক ২২ বছর বয়সী যুবক জানান, বিদেশ যেতে পাসর্পোট তৈরী করতে তাগাদা দিচ্ছে অভিভাবকরা। খবর নিয়ে জানলাম এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট হবেনা। তাই ছবি সব কাজ সম্পন্ন করলাম।
জাহানারা বেগম (২৮) জানান, বিয়ের হয়েছে ৪ বছর। স্বামীর বাড়িতে ভোটার স্থানান্তর হয়নি। তাই আবেদন নিয়ে আসলাম। লেলাং দমদমা গ্রামের বাসিন্ধা বিপ্লব ভান্ডারী জানান, স্বাক্ষর আর ছবি আপডেট করতে আসলাম।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মসকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে প্রবাসী ভোটার বেশি নিবন্ধিত হয় এবং ভুলত্রুটি সংশোধন করতে হয়। কোভিড ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের সময় অনেক মিসফান্ড এসেছে তাদেরও সেবা দিতে হচ্ছে সীমিত কর্মচারী আর খন্ডকালীন লোকজন নিয়ে করোনা লক ডাউনের মাঝেও নাগরিক সেবা অব্যাহত রেখেছি।