Tag: নির্বাচন কমিশন

  • রক্তের প্রতি দায় থেকে প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন মূল চ্যালেঞ্জ

    রক্তের প্রতি দায় থেকে প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন মূল চ্যালেঞ্জ

    নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নিতে যাচ্ছেন আগামীকাল রোববার। বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শুধু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানই নবনিযুক্ত এই কমিশনের প্রধান কর্তব্য নয়-একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার পাশাপাশি এই কমিশনের সামনে এবার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেটি হলো জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে ঝরা রক্তের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো।

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। আর নবনিযুক্ত চার জন নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

    সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার শুক্রবার বলেন, ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং সততা ও সাহসের সঙ্গে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে নতুন কমিশনের সামনে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ঝরে যাওয়া রক্তের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে এই কমিশন জাতিকে একটি প্রশংসিত নির্বাচন উপহার দেবে-এটাই মূল প্রত্যাশা। বিশেষ করে, নতুন প্রজন্মের একটি বড় অংশ-যারা গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, তাদেরকে ভোটকেন্দ্রমুখী করার জন্য আস্থার পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে। অতীতের বদনাম ঘোচাতেও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে তাদেরকে।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিশেষ এক প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব নিচ্ছে নাসির উদ্দীন কমিশন।
    ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত পরপর তিনটি সংসদ নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ভোটাররা ছিলেন ভোটবিমুখ। তিনটি নির্বাচনই ছিল প্রায় একতরফা। দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এই তিন নির্বাচনের একটিও। বিশেষ করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় যাদের বয়স ১৮ বছর পেরিয়েছিল, যারা তখন প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছিলেন-তারা ভোট দিতে পারেননি বা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। সেই হিসাব কষলে বর্তমানে যাদের বয়স ন্যূনতম ২৮ বছর কিংবা এর থেকে কিছুটা বেশি-দেশের এই বিপুল সংখ্যক নতুন প্রজন্মের ভোটার সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চোখে দেখেননি।

    পরপর তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আয়োজনের কারণে নির্বাচন ও রাজনীতির প্রতিই তারা আস্থা হারাতে বসেছিলেন। বলতে গেলে এই দীর্ঘ সময়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনের প্রতিই আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল দেশের নতুন-পুরোনো প্রজন্ম। এমন বাস্তবতায় বিপুল জনপ্রত্যাশা ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে যাত্রা শুরু করছে নাসির উদ্দীন কমিশন।

    গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৭১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৭ বছরের নিচে। জুলাই- আগস্ট বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাগুলো এখনো সবার মনে সতেজ। এই আকাঙ্ক্ষা লাখো কণ্ঠের আওয়াজ, প্রায় পুরো জাতির আওয়াজ। যুবসমাজ পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। জুলাই বিপ্লবে ১ হাজার ৫০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

    জুলাই-আগস্টে ঝরা রক্তের প্রতি যে নতুন নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে, সেটি অবশ্য নবনিযুক্ত সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীনও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান বিষয়ই ছিল ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা সম্ভব নয়। সেজন্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে ও সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাব।

    নাসির উদ্দীন এ-ও বলেছেন, মানুষ যাতে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনের জন্য মানুষ গুম- খুনের শিকার হয়েছে। এই ভোটাধিকার আদায় করতে গিয়ে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হাজার-হাজার মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। অনেকে হাত, পা, চোখ হারালো! নিহত হলো কত মানুষ! তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, তাহলে তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৫ থেকে ১৭ বছর ধরে এ দেশের জনগণ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুদ্ধ করে চলেছে, এটা মনে রাখতে হবে। আমার মতে, এটাই নতুন নির্বাচন কমিশনের মূল চ্যালেঞ্জ। একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তারা আয়োজন করবেন-এটাই প্রত্যাশা।

    বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় এই নেতা বলেন, দেশ থেকে নির্বাচন উঠে যাওয়ার কারণেই দানব সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচনহীনতার কারণেই আগের সরকার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিল। কারণ, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে হলে অন্যান্য অধিকারও কেড়ে নিতে হয়। বিগত সরকার এই কাজটিই করেছে। কারণ, বর্তমান সমস্যা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে-এর মূল সংকটটা কিন্তু নির্বাচনহীনতা। দেশে যখন জনগণের ভোটের অধিকার থাকে না, তখন সরকারের ও প্রশাসনের জবাবদিহিতাও থাকে না।

    তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই নতুন নির্বাচন কমিশনকে কাজ করে যেতে হবে। আর একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে সেখান থেকেই জনপ্রত্যাশিত পরিবর্তন আসতে শুরু করবে।

  • দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার

    দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার

    দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ইসির পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তালিকা প্রকাশ করার সময় এ তথ্য জানানো হয়।

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন। আর হিজড়া ভোটার ৯২৪ জন।

    ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন।

    ইসির তথ্য অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলা ও থানা নির্বাচন কার্যালয়ে এই তালিকা থাকবে। খসড়া তালিকায় বিদেশি ভোটার, মৃত ভোটার, জাল ভোটারের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো যাবে। আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা ধরেই আগামী উপজেলা নির্বাচন হবে।

  • প্রতীক বরাদ্দ আজ, প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা

    প্রতীক বরাদ্দ আজ, প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ আজ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। এরপর আজ থেকেই প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামবেন প্রার্থীরা। তারা ভোটারদের কাছে যাবেন। ভোট চাওয়া শুরু করবেন।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

    এদিকে, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দলীয় ও জোট শরিক প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তালিকা মোতাবেক, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৩ আসনে লড়বে। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

    এর আগে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এরমধ্যে ৫টি আসন ইসির বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়।

    জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

    অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

  • ৩৩৮ ওসি-১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন

    ৩৩৮ ওসি-১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন

    ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।

    নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি-ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটা ফাইল স্বাক্ষরও হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হবে। এই চিঠি স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে।

    গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন।

    এর আগে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাদের ও পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশন বদলির প্রস্তাব পাঠাতে আরও তিন দিন সময় বাড়ায়। সারাদেশে বর্তমানে ৬৫০টির বেশি থানা রয়েছে।

    এছাড়া দেশের সব ইউএনওকেও পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন।

    ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

  • বাছাইয়ে টিকলো ১৯৮৫ জনের মনোনয়ন, বাতিল ৭৩১

    বাছাইয়ে টিকলো ১৯৮৫ জনের মনোনয়ন, বাতিল ৭৩১

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ৩০০ আসনে দুই হাজার ৭১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে এক হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৩১ জনেরটা অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তবে, কোনো দলের কতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বা কী কারণে হয়েছে তা জানায়নি ইসি।

    অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আপিল করতে পারবেন। এ বিষয়ে আপিল শুনানি হবে।

    ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলে আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

  • দুই ডিসিকে বদলির আদেশ

    দুই ডিসিকে বদলির আদেশ

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ডিসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে উপসচিব ও সুনামগঞ্জের ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে ময়মনসিংহের নতুন ডিসি করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীকে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক করা হয়েছে।

    শনিবার (২ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাদের বদলির আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

    এর আগে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ইসি।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

     

  • দেশের সব থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির

    দেশের সব থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে কমিশন আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

    ইসি জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। মনোনয়ন বাছাই চলবে শুক্রবার থেকে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

    নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

  • দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না

    দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না

    দলীয় সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি জানায়, দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক, সংসদ সদস্য পদে থেকেই দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, কোনো নির্দলীয় সংসদ সদস্য নির্দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে শর্তগুলো পরিপালন করতে হবে।

    মো. শরিফুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে তালিকার প্রয়োজন হবে না।

  • ইসির ক্ষমতা রহিত হয়নি, বেড়েছে: সিইসি

    ইসির ক্ষমতা রহিত হয়নি, বেড়েছে: সিইসি

    নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) হেয় ও জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে মন্তব্য করে সমালোচকদের একহাত নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ইসি ভোট শেষে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কিছু কেন্দ্রে ভোট বাতিল ও গেজেট প্রকাশ আটকে দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরও বেড়েছে ও সুসংহত হয়েছে।

    সোমবার (১০ জুলাই) আরপিও সংশোধন গেজেট আকারে প্রকাশের পর সার্বিক বিষয় নিয়ে নির্বাচন ভবনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    পাশাপাশি ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা ‘খর্ব হয়েছে’ ‘নিজের পায়ে নিজে কুঠার মেরেছে’- এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। সিইসির দাবি, ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা রহিত হয়নি। একটি বিধান সংশোধন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, ইসিকে হেয় করা হচ্ছে।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দীর্ঘ ক’মাসে আইনটি নিয়ে নানা বক্তব্য এসেছে। তাতে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে। এজন্য যেসব ব্যাখ্যা, মন্তব্য এসেছে তার সবগুলো সঠিক নয়। এজন্য ইসির পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টীকরণ করতে চাই।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশন বুঝে না বুঝে নিজের পায়ে নিজে কুঠার মেরেছে- এমন মন্তব্য এসেছে। গেজেট প্রকাশের পর নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল, ৯১ এ দফায় সংশোধন হয়েছে বলে কথা এসেছে। সরকার নিজের সুবিধার জন্য আইন সংশোধন করেছে। এগুলো নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। সরকার আমাদের প্রস্তাবমতো আরপিও সংশোধন করেছে। ইসি তার অবস্থান আরও সংহত, শক্তিশালী করার জন্য সংশোধনগুলো চেয়েছিল, সরকার সম্মত হয়েছে। সংসদ সম্মত হয়েছে। এতে করে আমাদের ক্ষমতা বর্ধিত হয়েছে। কমিশন থেকে ইসির ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে- এটাও অবান্তর কথা। ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব পাঠাতে পারে না ইসি।

    সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটাকে নিয়ে অপব্যাখ্যা করাটা দুঃখজনক। আমরা পুরো জাতি একটা সুন্দর নির্বাচন চাই। নির্বাচন নিয়ে অহেতুক, বিভ্রান্তকর মন্তব্য করে ইসিকে হেয় করা বাঞ্ছনীয় নয়। কমিশনকে গঠনমূলক সাজেশন দিয়ে সহায়তা করলে আমরা উপকৃত হবো।’

    ভোটে বন্ধে ইসির ক্ষমতা রহিত করা হয়নি দাবি করে সিইসি জানান, আইনের বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। এখান ইনহেরেন্ট পাওয়ার।

    ‘সেই পরিস্থিতিতে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে আইনকানুন, রুলিং অনুযায়ী। ইলেকশনের পরিবর্তে যেহেতু পোলিং এসেছে, এটা আপনাদের মতো আপনার বোঝেন, আমরা আমাদের মতো বুঝেছি। আপনারা যেভাবে বুঝেছেন, বুঝতে থাকেন। আমরা কী করতে পারবো আমরা জানি। আপনারা চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন।’

  • ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

    ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রকাশিত গেজেটে কয়েকটি আসনে পরিবর্তন এসেছে।

    শনিবার চূড়ান্ত এ গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

    এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। সেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সীমানা বহাল রাখে বর্তমান কমিশন।

    খসড়া প্রকাশের পর দাবি কিংবা আপত্তি জমা দিতে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। ৩৮টি আসনের বিপরীতে দাবি-আপত্তির আবেদন পড়েছিল শতাধিক। পরে ৩ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চার দিনে শুনানি শেষ করে কমিশন। কয়েকটি আসনের দাবি-আপত্তি আমলে নেয় ইসি।

    গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য জমা পড়া আবেদনগুলো শুনানি করে যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমলে নেয়া হয়েছে। অল্প কয়েকটা আসনে সীমানা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা গেজেট করার জন্যে ইসি সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে।

  • দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার, বেড়েছে প্রায় ৫৮ লাখ

    দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার, বেড়েছে প্রায় ৫৮ লাখ

    দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। মোট ভোটার বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    এদিন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।

    প্রতি তিন বছর পরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে ইসি।

    ইসি সচিব জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি তিন লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৩৭ জন।

    ২০২২ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৪৫৪ জন।

    ২০২২ সালে হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত ভোটার সংখ্যা ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৪৫৫ জন। নারী ৩৯ লাখ ১০ হাজার ৪৩৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ৩৮৩ জন।

    ওই বছরের হালনাগাদে কর্তনকৃত ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ নয় হাজার ১২৯। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭২ জন। নারী আট লাখ ৩০ হাজার ২৫৭ জন।

    গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারও কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

    দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানার ভোটার এলাকার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কতিপয় বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-কে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) নিয়োগ করা হয়েছে।

    ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি।

  • আগামী ১৫ জানুয়ারি ‘২৩ হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ

    আগামী ১৫ জানুয়ারি ‘২৩ হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ সালে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করবে । হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করতে এবার ১৩ দিন পেছাচ্ছে। প্রতিবার ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশ করা হতো ।

    আজ ১২ ডিসেম্বর (সোমবার) সব থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠানো ইসির এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসাররা আগামী ১৫ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন এবং তা বিধি মোতাবেক প্রকাশ করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন করবেন।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর